অচেনা শহর - গল্প বাজার

অচেনা শহর পর্ব ৩১ || জল ফড়িঙের খোঁজে

অচেনা শহর

অচেনা শহর পর্ব ৩১
লেখিকা:– তানজিনা আক্তার মিষ্টি

বকার জন্য মুখ করে মাথা উঁচু করে রুনা আপুর মুখ দেখলাম।তাকে দেখে রাগ সংযত করলাম।
আপু আমার মুখ দেখে হয়তো কি আন্দাজ করতে পারছে।
তাই জিজ্ঞেস করলো,,
“কি হয়েছে রে স্নেহা এমন রেগে আছিস কেন?”
“কিছু না আপু চলো। রায়া রা কোথায়?”
“ওরা ওই পাশে তোকে খুঁজতে এলাম চল।”
“চলো।”
আপুর সাথে রায়াদের কাছে গেলাম।

সবাই বাইরে হালকা কিছু খেয়ে নিলাম। তারপর বাসায় ফিরে এলাম তখন ই ফোনে আদ্রর কল এলো।
বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে রইলাম না চাইতে ও রিসিভ করতে হলো ফোনটা‌,,,
“হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।”
“ওয়ালাইকুম আসসালাম। কোথায় গিয়েছিলে?”
“কেন আমি কোথায় গিয়েছি না গিয়েছি আপনাকে কেন বলবো?”
লোকটা সব বুঝে যায় কেমনে কে জানে?সব সময় আমাকে ফলো করে নাকি।
‘তুমি পার্কে এসেছিলে কার সাথে?”

“দেখুন একদম অধিকার দেখাতে আসবেন না যতসব। আমার যেখানে খুশি সেখানে যাব তার সাথে ইচ্ছা।
এসব আপনি বলতে পারেন না।বাই।”
বলে কেটে দিলাম।
আমার পেছনে গোয়েন্দা গিড়ি করা শুরু করেছে অসহ্য কর লোক একটা‌। রুমে এসে ব্যাগ রেখে দিলাম। তারপর বাবাকে খাবার খাইয়ে দিলাম গরম করে। সাথে ওষুধ।
মাগরিবের আজান পরতেই ওযু করে নামাজ আদায় করে নিলাম।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

রাতের জন্য রান্না করতে এলাম মাসের শেষ আর ফিশ দিয়ে হাত ফাঁকা হয়ে গেছে।আড়াইশ টাকা আছে এটা
দিয়ে বাবার জন্য ওষুধ আনতে হবে কাল। ওষুধ ও শেষ হয়ে এসেছে। আবার এদিকে চাল ও শেষ আজ রাত
চলবে কোন রকম। শুধু বাবার জন্য রান্না করে নিলাম আজ খাব‌ই না। বাইরে থেকে চটপটি হালিম খাইয়ে
ছিলো আপু সমস্যা হবে না।
এদিকে মাসের আর ও আট দিন আছে।

চলবে কি করে চাল তো কিনতেই হবে তেল ও শেষ। তেল ছাড়াই না হয় খাব কিন্তু গাড়ি ভাড়া তো হবে না‌। ধুর
গাড়ি ভাড়া লাগবে না‌। আগে বাবার ওষুধ আর চালটা আনতে হবে। বাবার শরীর টা ইদানিং বেশিই খারাপ দেখা
যায় এবার টাকা হাতে এলে আগে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে যাব।
অন্য মনস্ক হয়ে আলু কাটছিলাম ফট করে হাতটা কেটে ফেললাম। চাকু রেখে আংগুল চেপে ধরলাম।
প্রচন্ড জ্বালা করছে।

দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করতে হলো ওইভাবে আলু কাটতে লাগলাম কষ্ট হলে ও করতে হলো।
রান্নাঘরে কাজ শেষ করে রুমে এসে হাত মুখ ধুয়ে ব‌ই নিয়ে বাবার কাছে চলে এলাম।
আজকে বাবার পাশে বসতে ইচ্ছে করছে এসে দেখি বাবা কালেন্ডার এর দিকে তাকিয়ে আছে তার চোখে
পানি‌। আমি তারাতাড়ি বাবার কিচেন গিয়ে বুঝার চেষ্টা করলাম কি জন্য কাঁদছে বাবা।
আমি ও কালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে দেখলাম আজকে বারো তারিখ সাথে সাথে মনে পরে গেল আজ ভাইয়ার
জন্মদিন ছিলো। এসব মনে করেই কি কাঁদছে বাবাকে এখন ও ভাইয়ার জন্য কাঁদে ভাবতেই আমার চোখ দুটো
ঝাপসা হয়ে এলো।

.

শেষ বার ভাইয়ার জন্য দিনে আমি টাকা জমিয়ে একটা শার্ট গিফট করেছিলাম কতো খুশি হয়েছিলো ভাইয়া।
মা সারাদিন ভরে ভাইয়ার পছন্দের খাবার রান্না করেছিলো।
তারপর সবাই মিলে তৃপ্তি করে খেয়েছিলাম মার রান্না বরাবর খুব ভালো। কতোদিন সেই রান্নার স্বাদ নেওয়া হয়
না আর কখনো নিতে ও পারবো না। কখনো না গাল বেয়ে টপ টপ করে ঝল গরিয়ে পরলো কতো আনন্দে
ছিলাম বাবা মা ভাই আর আমি একটা হ্যাপি ফ্যামিলি সব নষ্ট করে দিলি তুই ভাই।
আমি তোকে কখনো ক্ষমা করবো না কখনো না।
বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম।

-সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেছে বাবা তুমি আছো তুমি কখন যেও না প্লিজ তাহলে আমি বাঁচতে পারবো না।
তুমি আমার একমাত্র অবলম্বন।
চোখ বন্ধ করে ওইভাবেই র‌ইলাম কিছু সময়। ফোন বেজে উঠল,, জানি ওই অসভ্যটাই কল করেছে মাথা উঁচু
করে দেখলাম সত্যি ফোন কেটে বায়ভিশন করে রাখলাম।
পরদিন।

সকালেই দোকানে চলে এলাম। ওষুধ কিনতে কিন্তু একটা ওষুধ পেলাম না।আর বাকি গুলো কিনে নিয়ে
এলাম।তারপর চাল, ফুল কপি কিনলাম দুইটা পনেরো টাকায়।
পঞ্চাশ টাকা র‌ইল।
অনেক সকালে উঠেছিলাম আজ। বাসায় সামনে সবজির ভ্যান আসে সেখানে থেকে সবজি কিনছি। সব
কেনা শেষে ভেতরে ঢুকে গেলাম। সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছি হঠাৎ কাউকে দেখে থেমে গেলাম। সেও মনে
হয় আমাকে চিনতে পেরেছে হালকা।
“আপনি এখানে! আপনি কি এখানে থাকেন?”

কৌশিক স্নেহাকে এখানে দেখে কিছু টা অবাক হয়েছে সাথে ভয় ও পাচ্ছে। পেছনে রুনা আসছে।
মেয়েটা তো ওকে ঐশীর সাথে দেখেছিল এখন আবারও রুনার সাথে দেখবে।
কৌশিক কথা বলছেনা দেখে স্নেহা ভাবছে হয়তো ওকে চিনতে পারে নি।
“আপনি কি আমাকে চিনতে পারছেন না নাকী। ওই যে শপিং মলে আমার ব‌উ শাড়ি…
স্নেহা থেমে গেল পেছন থেকে রুনা আপুকে দেখে।

.

কোলে রায়া চোখ বন্ধ করে আছে সাত সকালে আপু রায়াকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছে। সাথে তো রানীর নাই‌।
“আরে আপু তুমি এই এতো সকালে কোথায় যাচ্ছ।”
রুনা আপু বলল,,, ” স্নেহা তোকেই তো খুঁজে এলাম রানীকে তোর কাছে রাখিস কিছু ক্ষন আমরা একটু
ডাক্তার এর কাছে যাচ্ছি।
“কেন কার কি হয়েছে আর তুমি কি একা যাবে ভাইয়া ক‌ই।”
“রায়ার কাল থেকে জ্বর আর একা না এই যে তোর ভাইয়া রায়ার আব্বু।”

কৌশিক কে দেখিয়ে বলল। স্নেহা বিস্মিত চোখে তাকিয়ে আছে কৌশিকের দিকে। কৌশিকের চোখে মুখে
আতঙ্ক এই বুঝি সব বলে দিবে স্নেহা।
“ইনি।”
“হুম এবার যাই এসে কথায় বলবো।”
বলেই রুনা আপু এগিয়ে গেল। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে র‌ইলাম তাদের দিকে তীক্ষ্ণ চোখে। কৌশিক
ভাইয়া বারবার করে ঢোক গিলে আমার দিকে তাকাচ্ছিল।

হতদম্ব হয়ে গেছি একদম উনি যদি আপুর বর হয় তাহলে ওইদিনের শপিং এর মেয়েটা কে। চিন্তা ভাবনা করতে
করতে রুমে আসলাম রানী সেখানেই ছিলো ওকে নিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। আপুকে কি জিজ্ঞেস করবো ওইটা
কে হয়তো আত্মীয় কেউ। কিন্তু কথা শুনে তা মনে হয় নাই।
ফ্রেশ হয়ে এসে রান্নাঘরে গেলাম।
মাথা থেকে রুনা আপুর হাজবেন্ড কে নিয়ে টেনশন যাচ্ছে না। কোন একটা ঘাপলা তো আছেই সেটা কি
এমনিতেই এই মানুষটা কে আমার দেখার ইচ্ছা ছিলো যেদিন আমার গালের মারের দাগ দেখেছিলাম। আচ্ছা
ওনি কি আপুকে পছন্দ করে না।

.

রান্না শেষ করে বাবাকে খাইয়ে রানীকে নিয়ে আমি ও খেয়ে নিলাম। রুমে এসে ফোন হাতে নিলাম আর ফোন
হাতে নিয়েই আমার চোখ চরকগাছ। ১০০মিসকলড এতো গুলো ফোন কে দিলো কল লিস্টে শুধু আদ্রর নাম্বার
তারমানে আদ্র এতো গুলো কল দিয়েছে।
মাই গড এতো কল কেউ দেয়। সাইলেন্ট ছিলো বলে বুঝতে পারিনাই‌। সাথে সাথে আবার কল এলো রিসিভ
করলাম।
“আপনি কি পাগল এতো কল দিছেন কেন?”
“আর ইউ ওকে। ”
“আমার আবার কি হবে?”
‘কিছু হয় নাই তো কল রিসিভ করো নাই কেন? ”
চিৎকার করে উঠল,,

“আমি বিজি ছিলাম আর আপনি যেহেতু দেখেছেন আমি রিসিভ করছি না তাহলে কল দিয়েছেন কেন?””আমি
আগেও বলেছি আমার ইচ্ছে তাই আমি কল দেবো। আর তুমি রিসিভ করতে বাধ্য।””আমি কারো অনুসারে
চলবো না। আপনি অনেক জ্বালিয়েছেন আর না আজকে আপনার নাম্বার আমি ব্লক
করবো। তা খুশি করেন।”
বলেই ফোন কেটে দিলাম। এমনি তেই রুনা আপুর চিন্তায় আছী তার উপর এসব পাগল হয়ে যাব আমি।
একটু পরে কলিং বেল বেজে উঠল,, উঠে গিয়ে দরজা খুলে শক খেলাম সামনে দাঁড়িয়ে আছে কৌশিক
ভাইয়া‌।
“আপনি,,

“তোমার সাথে কিছু জরুরী কথা আছে একটু ভেতরে আশা যাবে।”
জরুরী কথা কি ভেবে ভ্রু কুঁচকালাম। তাঁর দরজা থেকে সরে আসলাম আর বললাম,,,,
“আসেন।”
ভেতরে এসে বলে উঠলো,,, ” ওইদিন আমাকে একটা মেয়ের সাথে দেখেছিলে ওইটা প্লিজ রুনাকে বলো
না‌।”
তার কথা শুনে ই বিস্মিত হয়ে আছি এমনটা হবে ভেবেছিলাম তার মানে সত্যি মেয়েটার সাথে তার সম্পর্ক
আছে। সাথে ঘৃণা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে র‌ইলাম আপুর মতো এতো ভালো মানুষ কে উনি ঠকাচ্ছেন ছিঃ সেটা
থাকতে আবার আমার কাছে এসেছে।

.

লজ্জা ও নাই একটু ও ওনার কথা শুনবো না সব বলে দেবো আমি।
রেগে বললাম,,,”আপনি ভাবলেন কি করে আমি এসব লুকিয়ে যাব। সব বলবে আমি আপুর মতো এতো
ভালো একজন কে ঠকিয়ে আপনি অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে দেন ছিঃ। আবার সেটা ডাকতে আমার
কাছে এসেছেন। লজ্জা করে না ব‌উ বাচ্চা রেখে পর নারীতে নজর দিতে। আপু আপনাকে কতো ভালোবাসে
আর তার এই প্রতিদান দিলেন। আপুর গায়ে মারের চিন্হ দেখেই আমার আপনাকে নিয়ে সন্দেহ হচ্ছিল এক
নজর দেখতে ও চাইছিলাম। আর সেই দেখা হলো কিন্তু আরেক সত্যির সাক্ষী হয়ে কি কপাল আমার দেখুন।

কৌশিক ভয়ে আছে স্নেহাকে নিয়ে এই মেয়ে তো ওকে একদম উল্টো বুঝছে। এসব বললে রুনা জীবনের
মতো মুখ ফিরিয়ে নেবে ওর থেকে।
“প্লিজ বোন তুমি উপরে দেখে ভেতরে টা মাপতে যেও না। চোখের সামনে সব কিছু সঠিক নয়।”
“কি বলতে চাইছেন আমি যা দেখেছি সব ভুল। আমি তাও এতোক্ষণ ভেবেছি ভুল হতে ও পারে কিন্তু আপনার
এভাবে ভয়ে ছুটে আসা টা দেখে আমার ভাবনা ভুল হয়েছে। কিছু তো ঘাপলা আছে আমার বিশ্বাস সেইটা কি
বলেন ওই মেয়েটা কে আপনার ব‌উ আপনি কি আপুকে ঠকিয়ে আবারও বিয়ে করেছেন!!”
“কি সব বলছো ?এটা আমি কল্পনা ও করতে পারি না। রুনাকে আমি খুব ভালোবাসি।”

ভালোবাসি শুনে থমকে গেলাম কথাটা বলার সময় তার মুখটা উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল মনে হয় নাই মিথ্যা বলছে। কিন্তু তাহলে ওইসব কি?
“তাহলে ওই মেয়েটা কে?”
চুপ করে আছে কিন্তু আমি এতো সহজে ছারার পাত্রী না।চেপে ধরলাম প্রশ্ন করে বাঁধ্য হয়ে সব বলল আমাকে।
সব শুনে আমি হতদম্ব হয়ে গেলাম কি ডেন্জারেস মেয়ে রে বাবা। এত খারাপ ও কেউ হয়। এভাবে লোকটার
উপর বসে আছে। বেচারা এতোক্ষণ তীব্র রাগ নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম আর এখন দৃষ্টি পরিবর্তন হয়ে গেছে।

.

ফোন কেটে দিতেই আদ্র রেগে বোম হয়ে গেল। এখন স্নেহা কে সামনে পেলে কি করতো নিজেও জানে কিন্তু
আজকে সামনে পাওয়া যাবে না।আজ ভার্সিটি অফ আর ওর প্রাইভেট ও ।
বেড ছেড়ে উঠে ফ্রেশ হতে গেল আদ্র। এখনি ও স্নেহার বাসায় যাবে ও এতো সাহস আমার কথা অমান্য করে।
আর আমার সাথে এভাবে কথা বলে কি বললো আমার নাম্বার ব্লক করবে ওকে দেখে নেব আমার অধিকার
নিয়ে কথা বলে।
ওর উপর সমস্ত অধিকার শুধু মাত্র আমার।

আদ্র ফ্রেশ হয়ে এসে গাড়ির চাবি হাতে নিলো।বাইক ওর ফ্রেন্ড আশিক নিয়েছে ও
এখন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে।
বাসার সবাই খেতে ডাকলেও শুনে নি আদ্র।সোজা বেরিয়ে গাড়ি তে উঠে বসে। ড্রাইভিং সিটে বসে ড্রাইভ
করতে লাগে।উদ্দেশ্য স্নেহার বাসা।
বাসায় সামনে এসে গাড়ি থামিয়ে নেমে স্নেহার নাম্বার এ কল করে নাম্বার বিজি তার মানে সত্যি ব্লক করেছে
রাগে ওর কপালের রগ ফুলে উঠে।
গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে ঢুকে যায় দারোয়ান এর সাথে পরিচিত আগে থেকে তাই সমস্যা হয় না‌।

অচেনা শহর পর্ব ৩০

স্নেহা কেবল দরজা অফ করে ভেতর রুমে যেতে থাকে রানীকে নিয়ে কৌশিক ভাইয়া গেল। আর আমার মনে
ঐশীকে নিয়ে আকাশ সোমান রাগ ক্ষবের জন্ম দিলাম ছিঃ এতো বাজে কি করে হয় ভাইয়ার একটা পূর্ন
পরিবার আছে এসব জেনেও মেয়েটা এমন জগন্য কাজ করছে ঘৃনা হচ্ছে খুব। সেদিনের ব্যবহার এই
বুঝেছিলাম মেয়েটা খুব দূরবাজ আজ সত্যি তার থেকে ও খারাপ মনে হচ্ছে।
ভাইয়া কে এই ভাবে ট্রাপে ফেলে ছিঃ। ওই মেয়েটার জ্বালায় আপুর সাথে ভাইয়া খারাপ ব্যবহার করে। এটা
শুনে আমি রেগে যাই আর বলি অআপুর সাথে খারাপ ব্যবহার না করে বুঝিয়ে কিছু টা বলা উচিত আপু ভুল
না বুঝে সঠিক পরামর্শ ও দিতে পারে । ভাইয়া রাজি হয়েছে।

রুমে ঢুকে খাটে বসবো এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠলো,, ওফ আবার কে এলো আপুরা ছাড়া তো আর
কেউ আসে না তাহলে কি ভাইয়া এলো আবার ছুটে এসে দরজা খুললাম।
দরজা খুলে বিস্ময়ে আমার চোখ দুটো মার্বেলের মতো গোল গোল হয়ে গেল। সামনে আদ্র দাঁড়িয়ে আমি কি
ঠিক দেখছি নাকি ভুল হাত দিয়ে চোখ ঢলে আবার তাকাচ্ছি কিন্তু আদ্র তো সেই ভাবেই রেগে আগুন হয়ে
আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।

তোতলাতে তোতলাতে বললাম,,,” আ–আপনি
আর কিছু বলতে পারলাম না আদ্র আমার হাতের কবজি ধরে টেনে ভেতরে নিয়ে এলো।
আতঙ্কে ভয়ে কাঁপতে লাগলাম।

অচেনা শহর পর্ব ৩২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.