অচেনা শহর - গল্প বাজার

অচেনা শহর পর্ব ৩৮ || মিশে আছি তোমাতে

অচেনা শহর

অচেনা শহর পর্ব ৩৮
লেখিকা:– তানজিনা আক্তার মিষ্টি

আয়না সামনে ধরে আছি।নিজের মুখটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি। কতো পরিবর্তন এসেছে নিজের মাঝে।
আচমকা কান্না পেয়ে গেল আমার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু পারছি না আয়না রেখে থ
মেরে বসে র‌ইলাম আমার চোখ বাঁধা মানছে না পানি পরছে টপটপ করে। আমার দৃষ্টি বিছানায় রাখা
আদ্রর জিনিস গুলোর দিকে।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাত উঠিয়ে চোখের পানি মুছলাম। ঠোঁট কামড়ে ধরে কান্না আটকালাম।
হাত বারিয়ে শাড়িটা হাতে নিলাম এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি শাড়ির দিকে এখন আমার একটা ইচ্ছে
জাগছে আর সেটা হলো আজকে খুব সাজতে ইচ্ছে করছে যেমন টা তিনবছর আগে চাইতো।

তিনবছর আগে
কতো সুন্দর একটা পরিবার ছিলাম আমরা বাবা মা ভাই আর আমি। ভাইয়া যখন সে চাকরি পেল আমি
ভাইয়ার কাছে সাজের জিনিস চেয়েছিলাম। ভাইয়া এনে দিয়েছিল খুশি ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরেছিলাম।
আমার ফ্রেন্ড ছিলো মিলা ওকে বলতে লাফিয়ে এসেছিল ও আমাকে সাজিয়ে দিয়েছিল আমি হাজ
পারতাম না। ওর থেকে শিখে ছিলাম। মার একটা শাড়ি ও পরেছিলাম তারপর বেড়াতে গিয়েছিলাম
আমার ব্লাউজ ছিলো না মিলার টা পরেছিলাম। ব্লাউজ শাড়ি নেই এটা ভাইয়া শুনে বলেছিলো পরে
কিনে দেবে। কিন্তু সেই সময় আর আসেনি হারিয়ে গেছে সব আনন্দ সুখ ভাই সব হারিয়ে গেছে।

শাড়িটা ধরে কেঁদে উঠলাম। আজ কেউ আমায় শাড়ি দিয়েছে সেও আমাকে ভালোবাসে।
আর কিছু না ভেবে শাড়ি পরতে লাগলাম। নিজেকে সাজাতে ইচ্ছে করছে। দুনিয়ার সমস্ত চিন্তাভাবনা
এক পাশে ফেলে রেখে শাড়ি পড়তে উঠে দাঁড়ালাম। শাড়ি আমি পড়তে পারি না তবুও কোন রকম
পেচিয়ে ওই ভাবে যে কোন রকম পড়লাম। বড় একটা আয়না থাকলে দেখতে পারতাম কেমন হয়েছে।
আদ্র যেভাবে বলেছে ওইভাবে সাজতে লাগলাম। আয়না মুখের সামনে ধরে চোখে কাজল দিলাম,
ঠোঁটে লিপস্টিক, হাতের চুরি, কানের দুল সম্পন্ন সাজলাম চুল গুলো ছেড়েই রাখলাম। খারাপ লাগছে
না।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

ওইভাবে কিছুক্ষণ বসে রইলাম কারণ এই শাড়ি পড়ে তো আদ্রর সামনে যাওয়া হবে না। তাই এখানেই
পড়ে বসে আছে।
হঠাৎ মনে হল কেউ বারান্দায় থেকে সরে গেল। আমি তাড়াতাড়ি উঠে বারান্দায় দিকে গেলাম কিন্তু
কেউ নেই। বারান্দায় দাড়িয়ে একবার নিচে তাকিয়ে রুমে ঢুকে গেলাম।
আমি স্পর্শ দেখেছিলাম কেউ আছে ধরে গেল কিন্তু।
ফোন বেজে উঠল,,
আদ্রর নাম্বার রিসিভ না করলে চলে আসে যদি সেই ভয়ে তারাতাড়ি রিসিভ করলাম।
“হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।”
“ওয়ালাইকুম আসসলাম। কেমন আছো?”
“ভালো।”
” শাড়ি পছন্দ হয়েছে।”
“আপনি এসব কেন দিয়েছেন। ”

” আমি কেন কি করবো সেটা কাউকে বলতে পছন্দ করি না।”
“ভালো। কিন্তু আমাকে আর কখনো কিছু দিবেন না আর এসব কালকেই নিয়ে যাবেন।”
“নো এটা পরে তুমি আসবে আমার সামনে। মন মতো সেজে এখন যেভাবে সেজেছো ঠিক এই ভাবে।” আনমনে বলে উঠলো,, বলেই জ্বিভ কাটলো
আর আমি চোখ বড় করে আশেপাশে তাকালাম।
আদ্র এখানে আছে।তার মানে তখন আমি ভুল দেখেনি ওইখানে কেউ ছিলো। কিন্তু আমি গিয়ে কাউকে
পেলাম না কেন। ফোন কানে থেকে নামিয়ে রেখে ছিলাম এবার ফোন কানে ধরে বিষ্ময় হয়ে বললাম ,,

“আপনি কোথায় আছেন সত্যি করে বলেন তো?”
“এত খুঁজে লাভ নাই পাইবেনা।”
অবাক হয়ে বললাম,,”মানে সত্যি আপনি এসেছিলেন আমায় কি অবস্থায় দেখে ফেলেছে।”
“সে তো দেখেছি তোমাকে। আর আমি না দেখলে দেখবে কে এজন্যই তো গিয়েছিলাম কিন্তু
আমি ভাবি নি তুমি এত তাড়াতাড়ি জিনিস গুলো পড়ে ফেলবে।”
রাগে আমার নিজের চুল নিজে খেতে ইচ্ছে করছে,, এভাবে আমাকে আদ্রর দেখে ফেলল, লজ্জায়
আমি কথা বলতে পারছি না সত্যি কেন যে পরলাম। নিজের কাছে নিজেই লজ্জায় পড়তে হচ্ছে।কে
জানতো আর্দ্র এখানে এসে বসে থাকবে আর আমাকে এভাবে দেখে ফেলবে।

.

“কি হল কথা বলছো না কেনো এতো লজ্জা পাচ্ছো কেন আমি তো এগুলো তোমাকে দিয়েছি। তাই
এগুলো পড়ার জন্য প্লিজ লজ্জা পেওনা। আরেকটা কথা তোমাকে এভাবে দেখে কিন্তু আমি সত্যি
অনেক খুশি হয়েছি। যেটা দুদিন পর দেখতে চেয়েছিলাম সেটা দুদিন আগেই দেখতে পেলাম আমি
কতটা খুশি হয়েছে তুমি জানো খুশি এখন তোমাকে ধরে একটা চুমু খেতে ইচ্ছে করছে।”
“ছি আপনি এত খারাপ আমি আগে থেকে জানতাম আপনি খারাপ তাই এতোটা। এই সব বলতে
আপনার লজ্জা করছে না। ফোনটা কানুন যতসব।”
বিরক্তিতে নাক মুখ কুঁচকে বললাম।

“উফফ স্নেহা রেগ না রাখলে তোমাকে এত কিউট লাগে মন চায়..
“চুপ প্লীজ বাজে কথা বলবেন না।”
“ওকে তাহলে একবার বারান্দায় এসো।”
“কেন আপনি কোথায়?”
“আসো আসলে দেখতে পাবা আমি কোথায়?আর তুমি ইদানিং খুব চালাক হয়ে যাচ্ছে স্নেহা আমাকে
কিভাবে ধরে ফেললে! কোনরকম পালিয়ে আসলাম।”
“তারমানে আপনি বারান্দায়তে এসেছিলেন?”
“তোমার কি মনে হয়?”

“আপনি সত্যিই খুব খারাপ এইভাবে একটা মেয়ের রুমে উকি দিতে আপনার লজ্জা করল না।”
“দেখো আমাকে খারাপ বলবে না। আমি তোমার কিছু দেখি নি শুধু তোমাকে শাড়ি পরা অবস্থায়
কেমন লাগে দেখেছি।”
“এইটাই দেখবেন কেন একটা মেয়ের রুমে আপনি উকি মরবেন কেন এইসব অসভতামি কাজ না
করলে হয়না। নিজে কতটা খারাপ সেটা বারবার প্রমাণ করতে চাইছেন।”
“শোনো আমি খারাপ আমি অসভ্য যা খুশি বল এখন ঝগড়া করবো না চুপচাপ বারান্দায় আসো। আর
যদি না আসো আমি তোমার রুমে আসতে বাধ্য হব। এখন তুমি বলো কি করবে আসবে নাকি আমি
আসবো।”

.

“সব সময় থ্রেট না দিলে হয় না তাই না।”
“না হয় না তুমি তো আবার ভালো কথা শুনতে পছন্দ করো না। এজন্যই তো আমাকে থ্রেট দিতে
হয়।যদি প্রথম বার ভালই ভালই চলে আসতে তাহলে কি আমার এতগুলা কথা বলতে হতো।”
রাগে গজগজ করতে করতে আমি বারান্দায় গিয়ে উপস্থিত হলাম। নিচে অন্ধকার আমার কিছুই
চোখে পড়ছে না। আমি তাকাতাকি করে আদ্র কে খুঁজছি।
“আমাকে খুজছো?”
আচমকা আমাকে খুজছো শুনে ভয় পেয়ে যায় আমার মনে হলেই আমার কাছ থেকে কথাটা বলছে
আমার মনে নাই ফোনটা আমার কানে।
বুকে এক হাত চেপে বারান্দায় খুঁজছি আদ্রকে।

“বারান্দায় আমাকে পাবে না আমিতো বারান্দায় নাই। এই যে আমি দেখো মুখে লাইট ধরেছি।”
এবার বুঝলাম যে ফোন থেকে কথাগুলো আসছে। নিজের কাছে নিজে বোকা বনে গেলাম।
“ফোনের কথা এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে। আচ্ছা তুমি কি চাইছো আমি বারান্দায় আসি।”
সামনে তাকিয়ে দেখি রাস্তায় বাইকের উপর বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে আদ্র। ঠোঁটে তার হাসি
আমি বোকা হয়ে আদ্রর দিকে তাকিয়ে আছি। আজকে কি হয়েছে আমার সবকিছুই উল্টাপাল্টা করছি
কেন?

.

বিরক্ত হয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম আদ্র চলে যাওয়ার পর রুমে চলে এলাম।
দুইদিন খুব তাড়াতাড়ি চলে গেল। ভার্সিটি টিউশনি করে। কিন্তু টিউশনি ভালো লাগে না ওই লোকটার
একদম ঠিক লাগছে না। ইদানীং উনাকে বাসায় দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আমি যে দুই মাস ধরে পরাচ্ছি দুই
মাসের কক্ষনো বাসায় দেখি নাই। কিন্তু তিন দিন যাবত সে বাসায় আছে।কোনরকম পরিয়ে বাসা থেকে
বের হতে পারলে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি।

যথারীতি অন্তরা দুইটা নাগাদ বাসায় এসে হাজির। আজ ওদের সাথে বেড়াতে যাওয়ার কথা। আবার
আজকেই আদ্রর সাথে দেখা হওয়ার কথা। অদ্ভুত কোন জায়গার ঠিকানা দেয়নি আদ্র আমাকে এটা
ঠিক যে আমি ওর সাথে দেখা করতে যাবো না। কিন্তু যদি আমি যেতাম তাহলে কোথায় যেতাম। আচ্ছা
উনি কি আমাকে নিতে আসবে। জোর করে নিয়ে যেতে চাইবে।অন্তরার সামনে যদি চলে আসে আর
তার সাথে যাওয়ার জন্য জোর করে তাহলে কি হবে? তাহলে অন্তরা জেনে যাবে আমার বাসায় আসে
আর এরকম জোর করে। অন্তরাকে আমি বলেছি আদ্র এখন আমাকে ফোন দেয় কিন্তু বাসায় সেটা
বলিনি।

.

“এই কি চিন্তা করছিস? তারাতারি রেডি হ।”
“আমি না গেলে হয় না প্লিজ তোরা যা।”
“তুই কিন্তু পরে রাজি হয়ে ছিলি। আর এখন উল্টা কথা বলছিস।”
“হ্যাঁ সেটা তো তোর রাগ এর জন্য।”
“তো রাগের জন্য যেতে রাজি হয়েছিল তাহলে এখন যেতে মানা কোথায়।”
“আমার না ভাল লাগছে না মাথা ব্যথা করছে।”
“কোন এক্সকিউজ এ কাজ হবে না। তোর মাথা ব্যথা করছে আমি তোকে মাথা
ব্যথার ওষুধ দেবো। তবুও তোকে যেতেই হবে।”

অসহায়ের মত করে অন্তরা দিকে তাকিয়ে আছি। আজ আমার কোন কথা শুনবে না সেটা আমি খুব
ভাল করেই জানি। এমনিতেই অন্তরার খুব জেদ ও আমাকে নিয়ে যাবে।
আদ্র কে শাড়ী দেওয়ার কোনো পরিস্থিতি খুজে পাইনি আসলেই দুইদিন আদ্র আমি চোখের সামনেই
পাইনি। না আমার সামনে এসেছে আর না আমাকে ফোন দিয়েছে। তাই এগুলো ফিরত দিতে পারি নাই
বিছানা একপাশে রেখে দিয়েছিলাম। আর এটা আমার কাল হয়ে দাঁড়ালো।অন্তরা দেখে ফেলল আর
বায়না ধরল এই শাড়ি পড়ে যেতেই হবে কে দিয়েছি সে সব জিজ্ঞেস করল না অদ্ভুত আমি সন্দেহ
চোখে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।

“কিরে ভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?”
“কিছু না আমার কেন জানি না তোকে খুব সন্দেহ হচ্ছে।”
“আমার কথা অন্তরা কিছুটা থতমত খেয়ে গেল।”
“মানে আমাকে তোর সন্দেহ হচ্ছে কেন?”

জানি না সত্যি করে বলতো কিছু লুকাচ্ছিস কি?”
পাগল নাকি আমি আবার কি লুকাতে যাব তাড়াতাড়ি শাড়িটা পর আর না হলে দে আমি পরিয়ে দেয়।
আমিও তো শাড়ী পোরেছি দুজনে শাড়ী পড়ে যাব খুব মজা হবে।
চিন্তাভাবনা এক পাশে ফেলে শাড়িটা পড়লাম অন্তরা জেদের কাছে হার মেনে।
অন্তরায় আমাকে শাড়ি পরিয়ে দিলো সাজিয়ে ওদিল অদ্ভুত একদম আদ্র আমাকে
যেভাবে সাজতে বলেছিল ওই ভাবে সাজিয়ে দিয়েছে অন্তর।

.

“এভাবে সাজিয়ে দিল কেন? আর চুল খোলা রাখলি কেন আমি চুল বাধবো।”
“না প্লিজ স্নেহা চুলটা খোলা রাখ দেখ তোকে চুল খোলাই খুব সুন্দর লাগছে।”
“না আমার চুল খোলা রাখতে অস্বস্তি হয় আমি এভাবে যেতে পারবো না।”
“প্লিজ ইয়ার এই কথা রাখ।”
“সবকিছু তো তোর কথাই হলো এবার আমার কথা একটু রাগ।”
“রেগে যাচ্ছিস কেন প্লিজ।”
“আচ্ছা চল।”

নিচে এসে দেখলাম হৃদয় আমাদের জন্য দাঁড়িয়ে আছে একটা অটো আছে একটু কথা বললাম হৃদয়ের
সাথে তারপর অটোতে উঠে বসলাম। অন্তরা আর আমি পেছনে আমরা দুজন। আর সামনে ডাইভারের
সাথে হৃদয় বসলো।
সকাল থেকে রুমের ভেতর আদ্র একটার পর একটা ড্রেস পরছে আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আবার
খুলে ফেলছে। পুরো বিছানা এলোমেলো হয়ে আছে।সেদিকে তার খেয়াল নেই চিন্তিত আজকে কি পড়ে
যাবে স্নেহার সাথে দেখা করতে।

অচেনা শহর পর্ব ৩৭

আগেও অনেকবার এগিয়েছে কখনোই এই নিয়ে চিন্তিত ছিল না কিন্তু আজকে স্নেহা ওর মনের মত
সেজে আসবে। সো ওকে ও তো স্নেহার পছন্দমত যেতে হবে যাতে স্নেহা হা করে ওর দিকে তাকিয়ে।
ইচ্ছে করে এই দুইদিন স্নেহার সামনের যায় নাই। আজকে যাবে কিভাবে সেই নিয়ে দুই দিন ধরে
ভাবছে সব পরিকল্পনা করছে কিভাবে স্নেহাকে মনের কথা জানাবে। সে নিয়ে পরিকল্পনা করতে
করতেই স্নেহা সামনে যাওয়া হয় নাই।

অবশেষে আদ্র রেডি হল সাদা কালারের এর পাঞ্জাবি পরে স্নেহা যেহেতু শাড়ি পরবে আমার পাঞ্জাবি
পরা বেস্ট হবে। রেডি হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কিছুবাদ আছে কিনা সব ঠিক আছে ঘড়ির
দিকে তাকিয়ে দেখে সময় হয়ে এসেছে এতক্ষণে পৌঁছে গেছে হয়তো ওরা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পরল ।
বাসার সবাই আদর এভাবেপাঞ্জাবি পড়ে রেডি হয়ে বের হয়ে যেতে দেখে বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে ছিল।
কার মাথায় ঢোকছে না আদ্র এভাবে কোথায় যাচ্ছে।

আজকে আর বাইক নিল না আজকে গাড়ি নিয়ে বের হল।অনেকদিন পর গাড়িতে উঠেছে আজকে
স্নেহাকে নিয়ে লং ড্রাইভে যাবে। সবকিছু ঠিক আছে আধা ঘন্টার ভিতরে গন্তব্য স্থানে এসে পৌছালো
আদ্র।এসে ওর চোখ আটকে গেল একটা লাল পরীর উপর।তার ঘন কালো চুল বাতাসে উড়ছে শাড়ির
আঁচল বাতাসে হেলেদুলে নাচছে। একদম আমার পছন্দ মত সেজে এসেছে স্নেহা স্নেহাকে মুগ্ধ নয়নে
দেখছি আমি।

অচেনা শহর পর্ব ৩৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.