অচেনা শহর - গল্প বাজার

অচেনা শহর পর্ব ৪৮ || tanjina akter writter

অচেনা শহর

অচেনা শহর পর্ব ৪৮
লেখিকা:– তানজিনা আক্তার মিষ্টি

জরোসরো হয়ে দাঁড়িয়ে আছি আদ্রদের ডয়িং রুমে। মিনিট পাঁচেক আগে এখানে
এসে পৌঁছেছি আমরা।
তারপর থেকে এভাবেই দাঁড়িয়ে আছি আমি।
একটু আগে আদ্রর মার হাতে আদ্র একটা চর খেয়েছে তারপর থেকে থ মেরে
দাঁড়িয়ে আছে আদ্র আর তার পাশে আমি‌।
আদ্রর মা নিজের আদরের ছেলেকে মেরে কিছু টা দূরে দাঁড়িয়ে কাঁদছে।আর
আমার দিকে রেগে তাকাচ্ছে।
বাসায় আদ্র মা, চাচি, দাদু, আর ছোট বোন আছে।

আদ্রর বাবা বাসায় খুব কম সময় থাকে রাত করে আসে এখন ও এসে পৌঁছায় নি।
এখানে আসার পর আমি হাঁ করে চারপাশ দেখছিলাম কতো বড় বাড়ি আদ্রদের
যেন কোন রাজ প্রাসাদ এটা।
বাইরে মনে হয় ফুলের বাগান রাত হলেও আলো ছিলো যাতে দেখেছি। আদ্রর
বোনের ফুল পছন্দ এজন্য এই বাগান।
কলিং বেল দেওয়ার সময় আমি শক্ত করে আদ্র হাত ধরে ছিলাম‌। বুকের ভেতর
জোরে জোরে লাফাচ্ছিলো হার্টবিট ভয়ে কি হবে? দরজা খুলে দেয় আদ্রর মা।
আমাদের এমন বিয়ের পোশাকে দেখে উনি বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আদ্রকে
জিজ্ঞেস করে,,,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

” এসব কি আদ্র?”
আদ্র র্নিধিদায় বলে উঠে,,,
” আম্মু আমি স্নেহাকে বিয়ে করেছি।”
উনি চিৎকার করে ওঠে শুনে আর ঠাস করে চর মেরে বসে আদ্রর গালে। আমি
চমকে উনার দিকে তাকায় উনি অগ্নি দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বকতে লাগলে।
আদ্রর চাচি তাকে নিয়ে সোফায় বসেছে আর আদ্রর বাবাকে কল করে সব বলেছে
সে আসছে।
আদ্রর বোন কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে আদ্রর দাদু
আমাকে মাথা থেকে পা অবধি দেখছে তারপর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো,

“এই ছেরি তোর নাম কি লো?”
উনার কথা শুনে চমকে মাথা উঁচু করলাম আদ্র ওর মার হাতে মার খেয়ে হতদম্ব
হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবার সে ও আমার দিকে তাকালো। আমি ভয় পেয়ে আদ্রর
দিকে তাকিয়ে আছি।
“দাদু..
আদ্রকে কথার মাঝে থামিয়ে দিয়ে বলল,,
“দাদুভাই চুপ মার হাতে জীবনের প্রথম মার খেয়ে শিক্ষা হয়নি তোর আবার
আমার কাছেও খেতে চাস। এই মেয়ে বল?”
আদ্রর আমাকে চোখের ইশারায় বলতে বললো আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,,
“জী, স্নে–হা।”

.

উনি আরো কিছু বলবে তখন আদ্রর বাবা ও সাথে আরেকটা লোক বাসায় আসলো
পেছনে আরেকটা লোক।
গম্ভীর হয়ে আদ্রকে বলল,,
“এসব কি আদ্র? তুমি এই মেয়েটাকে বিয়ে করেছো?”
“জি, আব্বু আমি ওকে ভালোবাসি।”
উনি কঠিন মুখ করে আমার দিকে তাকালো তারপর আদ্রকে বললো,,
“এই মেয়ের পরিচয় কি এর বাবা কি অনেক প্রভাবশালী লোক।”
আমার দিকে তাকিয়ে বলল,

“জি না ও বাবা একজন স্কুল শিক্ষক ছিলো গ্ৰামের যিনি বর্তমানে মৃত।”
“হোয়াট?”
চিৎকার করে উঠল,,,
“লো ক্লাসের মেয়েকে বিয়ে করে এনেছো? সাথে এতিম।”
“আব্বু এভাবে বলো না ও আমার স্ত্রী এখন।”
“সো হোয়াট তুমি এমন মেয়েকে কেন বিয়ে করলে আর তোমার তো বিয়ের
বয়স‌ই হয় নি এই তোমাকে আমি বিদেশে পাঠাবো ভেবেছি আর তুমি এমন
একটা মেয়ে কে বিয়ে করে বাসায় নিয়ে এসেছো?”
রেগে বলল।

লেগে গেল বাবা ছেলের মাঝে তকাতকি। মাঝে আমি নিরব হয়ে দাঁড়িয়ে চোখে
পানি ফেলছি আচমকা আদ্রর মা এসে বললো,,
“এই মেয়ে তুমি বাসা থেকে বের হ‌ও । এই বাসায় তোমার কোন জায়গা নেই।”
আদ্র ওর বাবার থেকে চোখ সরিয়ে আমার কাছে এসে আমার হাত ধরে টেনে
নিজের কাছে নিয়ে বলল,,
” আমার ব‌উ এর জায়গা না হলে আমি ও বাসা থেকে বের হয়ে যাব।”
এবার আদ্রর বাবা মা দুজনেই নিশ্চুপ হয়ে গেল। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে
আদ্রর দিকে তারপর বলল,,

.

“কি সব বলছিস আদ্র এই মেয়েটার জন্য তুই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবি।”
“হুম আম্মু। তোমরা ওকে মেনে না নিলে তো যেতেই হবে।”
“এই মেয়েটা ভালো না তুই কেন একে বিয়ে করলি? আমার কথা কানেই নিলি না
আর এইভাবে লুকিয়ে কেন ওই মেয়ে তোকে জোর করে বিয়ে করতে বলেছে তাই
না।”
“এই মেয়ে এই মেয়ে কেন করছো ওর নাম আছে তো। আর ও জোর করে নি
আমি ওকে জোর করেছি।”
“এই মেয়েটা তোমাকে জাদু করেছে আদ্র।”
“আম্মু বাজে কথা বলো না প্লীজ।”

“এই মেয়েকে আমি বাসায় এলাও করবো না ওকে বের হয়ে যেতে বলো। ও
তোমার যোগ্য না আদ্র তোমার জন্য আমি উপযুক্ত পরীর মত ব‌উ এনে দেবো।”
“আমার পরীর মতো ব‌উ আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে তাকে একসেপ্ট করো আম্মু
তুমি তো জানো আমি স্নেহাকে কতোটা ভালোবাসি। তুমি এসব কথা করে বলছো
আম্মু আব্বু কে বলো না।”
“না আমি কিছু জানি না ওকে বের করে দাও বাসায় থেকে।”
“তুমি কি চাও আমি এই বাসা ছেড়ে চলে যা‌ই।”
“এই মেয়ের জন্য আমাকে তোমার ফ্যামিলি ছেড়ে চলে যাবে।”
অবাক হয়ে বলল।

“আমি এটা করতে চাই না কিন্তু তোমরা করতে বাধ্য করছো।”
আমি হতদম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। বিয়েটা করতে আমি রাজি না হলে হতো তাহলে
এসব হতো না। আদ্রকে আমার জন্য পরিবার ছারতে হবে ভাবতেই নিজেকে
দোষী মনে হচ্ছে। না না এসব হতে দেওয়া যাবে না তারা আমাকে না মানলে আমি
একাই বাসা থেকে বেরিয়ে যাব আদ্রকে কিছু তেই নিজের পরিবার ছারতে দেবো
না।
আমি ফিসফিসিয়ে বললাম আদ্রকে,,
“আপনি এমন করবেন না প্লীজ।”
আদ্র ভ্রু কুঁচকালো আমার কথায়,,

.

“আমাকে তারা না মেনে নিলে আমি বাসা থেকে চলে যাব আপনি আসবেন না‌।”
আদ্র রেগে বলল,, ” চুপ করে থাকবা বেশি পাকনামো আমার পছন্দ না।আমি যা
করবো শুধু দেখবা।”
আদ্রর কথায় চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম।
হঠাৎ দেখি আদ্রর মা বাবা কিছু বলছে তারপর আদ্রর বাবা গম্ভীর মুখে চলে গেল
ভেতরে। আদ্রর মা তার শাশুড়ি কে নিয়ে যাওয়ার সময় আদ্রর চাচি কে কিছু
ইশারা করে চলে গেল।

আদ্রর রুমে নিয়ে এসেছে আমাকে আদ্রর বাবা মা আমাকে না মানলে ও যখন
ছেলের চলে যাওয়ার কথা শুনেছে তখন আর কিছু বলতে পারেনি আদ্রকে তারা
খুব ভালোবাসে আর আদ্রর জেদ অনেক যা বলে তাই করে এজন্য আর কিছু
বলতে পারেনি।

রুমে এসে হাঁ করে চারপাশ দেখছি আদ্রর রুম। রুমে ঢুকেই আমার চোখ পরে
পেন্ডিং এর উপর যেখানে আদ্রর একটা ইয়া বড় ছবি টানানো। দাঁত বের করে
হাসছে আদ্র দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি সেদিকে
বিছানায় বসতেই আবার উঠে গেলাম কি নরম তুলতুলে বিছানা। আদ্রর পড়ার
টেবিলে ব‌ই দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।
আমার কি আর পড়া হবে?

.

আদ্র ওয়াশরুমে গিয়েছে বেরিয়ে এসেই বলল,,
” এমন গোমড়া মুখে দাঁড়িয়ে আছো কেন?”
আদ্রর আওয়াজ পেয়ে তার দিকে তাকালাম।
আদ্র তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে বিছানায় রেখে আমার কাছে এসে আমার গালে হাত
দিয়ে বলল,,,
“আব্বু আম্মু কে চিন্তা হচ্ছে তাইনা। চিন্তা করো না আমি আছি তো ঠিক মানিয়ে
নিবো।”
“হুম।”
“তোমাকে শাড়ি পড়া অবস্থায় দেখার কতো ইচ্ছে ছিলো জানো।”
“না।”

“জানবে কি করে কখনো বলি নি তো তোমাকে কতোবার আমি কল্পনায় শাড়ি
পড়া অবস্থায় দেখেছি হিসাব নেই কিন্তু বাস্তবে আজকে দ্বিতীয় বার প্রথম বার তো
ভালো করে দেখতেই পারিনি তার আগেই। আর আজকে এই ব‌উ সাজে আমার
ব‌উ হয়ে গেলে।”
আমি কিছু বললাম না চুপ করে আদ্রর দিকে তাকিয়ে র‌ইলাম। আদ্র আমার দুগালে
হাত রেখে বলল,,

“ইশ আমার ব‌উটাকে কি বাজে লাগছে দেখতে এতো কান্না কেউ করে!”
আমার ব‌উ শুনতেই বুকের ভেতরটা কেমন যেন করে উঠল। অদ্ভুত ভালো লাগা
কাজ করলো আমি চোখ পিটপিট করে দেখতে লাগলাম আদ্রকে এই লোকটা
আজ থেকে আমার শুধু আমার। আদ্র আমার চোখের পানি মুছে দিলো।
আদ্র আমাকে ওর ডেসিং টেবিলের কাছে নিয়ে গেল। তারপর আমার পেছনে
থেকে জরিয়ে ধরে বললো,,

.

“দেখো আমাদের কতো মানিয়েছে। একদম পারফেক্ট কাপেল তাই না ব‌উ।”
আমার এতো লজ্জা লাগলো যে আমি চোখ নিচে দিকে নিলাম। নিজের পায়ের
আঙ্গুল দেখতে লাগলাম।
তখন ভাইয়া ভাইয়া করতে করতে আদ্রর বোন এসে উপস্থিত হলো সিটকে দূরে
সরে আসলাম।
“হুম বল।”

“ভাইয়া আম্মু তোমাদের খেতে ডাকছে।”
আমি অবাক হলাম এতো কিছুর পর ও।
আদ্র আমার দিকে তাকিয়ে বলল,
” মিরা তোর একটা জামা দিস তো।”
“কেন ভাইয়া? আমার জামা দিয়ে তুমি কি করবে?”
“তোর ভাবির জন্য কাল শপিং করিয়ে দেব আজ পড়ার জন্য।”
“আমার জামা কি হবে?”

আদ্র বলল এনে দিতে আমার ও মনে হয়না হবে।
একটু পর নিয়ে এলো থ্রি পিস মেয়েটার পরনে ছিলো না এসব তার গায়ে ছিলো
স্কাট ফতুয়া।
আমি ওয়াশ রুমে গিয়ে চেঞ্জ করলাম টাইট হয়েছে কিন্তু পড়া গিয়েছে। এইভাবে
থাকতে হিমশিম খেতে হবে তাও কিছু করার নেই কাল ওই বাসায় গিয়ে আমার
ড্রেস গুলো আনতে হবে আজকে এটা দিয়ে কাজ চালাই।

.

আদ্র আমার হাত ধরে নিচে এলো খাবার টেবিলে সবাই বসে আছে আমরা গেলাম
সবাই একবার তাকিয়ে খাওয়াতে মন দিলো। আদ্র আমাকে নিয়ে এক চেয়ার এ
বসলো।
আদ্রর বাবা তখন বলল,,” পরিক্ষা কি দেবে নি ভেবছো?”
আদ্র মাথা উঁচু করে বলল,,,” পরিক্ষা দেবো না কেন?”
“আমার মনে হচ্ছে দেবে না।”
“এমনটা হ‌ওয়ার কারণ?”
“যা সব করছো পড়া তো হচ্ছেই না শুধু..

“রেজাল্ট দেখে বলো। আমি পড়া নিয়ে গাফিলতি কখনো করি না।”
আমি চুপ করে বসে আছি খেতে কেমন লাগছে আদ্রর মা কেমন গম্ভীর
মুখ করে তাকায় দেখেই আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়।
আদ্রর দাদুকে দেখলাম না। আসেনি মনে হয়।
“খাচ্ছ না কেন?”
আদ্রর কথায় চমকালাম। সাথে খাবার টেবিলের সবাই খাওয়া অফ করে আমার
দিকে তাকালো। সবার দিকে তাকিয়ে ঢোক গিললাম।
“খাবার কি খারাপ হয়েছে?”
আমি মাথা নেড়ে না করলাম।
“খাও।”

হুম বলেই ভাত মুখে দিলাম।কতো খাবার এখানে এতসব আমি মাসে পাইনা
আর এরা একদিনে।
একটু খেয়ে আর খেতে পারলাম না হাত ধুয়ে ফেললাম।
আদ্র রেগে বলল,,” হাত ধুলে কেন কিছুই তো খেলে না‌।”
“আমার খাওয়া শেষ।”
আর কিছু বলল না আমি ওইখানেই বসে র‌ইলাম আদ্রর খাওয়া শেষ হলে চলে
এলাম আদ্রর সাথে।
“তুমি একটু বসো আমি আসছি।”

.

আমাকে রুমে রেখে আদ্র চলে গেল। আমি একাই ওর রুম দেখতে লাগলাম।
তখন আদ্রর বোন মিলা এলো। আর আমার সাথে গল্প করতে লাগলো। তাকে দেখে
মনে হয় না সে আমাকে দেখে অখুশি বরং চ খুশি হয়ে তার সম্পর্কে বলতে
লাগলো।
ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পরে জানতে পারলাম ‌।আমাকে ও জিজ্ঞেস করলো
সব।মেয়েটার সাথে কত্থা বলে ভালো লাগলো এর মাঝে আদ্র চলে এলো আর
মিলা চলে গেল।
“কি গল্প করলে এতো?”

“তেমন না আমাকে জিজ্ঞেস করলো সব কিছু আর নিজের সম্পর্কে বলল।”
“আচ্ছা ননদের তাহলে পছন্দ হয়েছে।”
“আপনার এভাবে বিয়ে করাটা ঠিক হয়নাই‌।”
“বাদ দাও এসব। ”
বলে আদ্র আমাকে নিয়ে ওর বেলকনিতে নিয়ে গেল বেলকনিতে ফুল আছে। বসার জন্য সোফা ও আছে সেখানেই বসলাম।
“আজকে আমাদের বাসর রাত।তাই এখন সমস্ত চিন্তাভাবনা আমাকে নিয়ে
করো। ঝামেলা তো থাকবেই তাই না সেসব ভেবে এই মুহূর্তটা কেন নষ্ট করবো।”

বলেই আদ্র আমার হাত টেনে নিজের হাতের মুঠোয় নিলো তারপর চুমু খেলো।
আমার কি হলো জানি না টেনে হাত নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম।
এতে আদ্র বিস্মিত হলো বিষ্ময় হতদম্ব হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে র‌ইলো।আমি
কাঁপছি অদ্ভুত ভাবে।
“তুমি কি ভয় পাচ্ছ আমাকে?”
আমি কিছু বললাম না চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম।
আদ্র টেনে আমাকে আবার বসিয়ে দিল ওর পাশে।

অচেনা শহর পর্ব ৪৭

তোমার সম্মতি ছাড়া কিছু করবো না তাই ভয় পেয় না।
জাস্ট একসাথে জোসনা দেখবো।
বলেই টেনে কাছে বসিয়ে দিলো। আমার কাঁধে নিজের থুতনি রেখে দিলো আমি
মনে হয় ফ্রিজ হয়ে গেলাম। হার্ট বিট ঝরের গতিতে লাফাচ্ছে। আদ্র কাছে থাকলে
অদ্ভুত অনুভূতি হয় কান গরম হয়ে আসছে। চোখ বুজে একটা শ্বাস ফেললাম
দাঁতে দাঁত চেপে শক্তভাবে বসে আছি‌।

আদ্র আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি জানি। হঠাৎ নরম ছোঁয়া পেলাম ঘাড়ে কি
করছে বুঝতে পেরে থমকে গেলাম এভাবে কিছুক্ষণ থাকলে আমি দম বন্ধ হয়ে
মারা যাব নিশ্চিত।
আদ্রকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে উঠে পরলাম দৌড়ে রুমে চলে এলাম।

অচেনা শহর পর্ব ৪৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.