কতোটা চাই তোকে - Golpo Bazar

কতোটা চাই তোকে পর্ব ১০ || শুধুই তোর কারণে

কতোটা চাই তোকে

কতোটা চাই তোকে পর্ব ১০
Writer:-TanjiL Mim

“আমাদের গাড়ি এসে থামলো ইয়া বড় একটা গেটের সামনে’!!কাব্য গাড়ির হন বাজানোর সাথে সাথে রহিম চাচা ইয়া বড় গেট খুলে ফেললেন’!!গেট খুলার সাথে সাথে কাব্য আবার গাড়ি চালাতে শুরু করল’!!ভিতরে ঢুকে সামনে তাকাতেই মুখ থেকে জাস্ট বেরিয়ে আসল ”ওয়াও”!!কাব্য ভাইয়াদের বাগান বাড়ি এত সুন্দর হয়ে গেছে জানাই ছিলো না আমার’!!পুরো রাস্তা চারদিক ঘিরে আছে অসংখ্য ফুলগাছ'”!!চারপাশে রয়েছে আমার সবচেয়ে ফেভারিট ফুল “লাল গোলাপ”!!গোলাপ ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ আছে’!!চারপাশে ফুলের গন্ধে মন হয়ে যাচ্ছে ফুড়ফুড়ে’!!কাব্য ভাইয়া গাড়ি থামাতেই আমি নেমে গেলাম গাড়ি থেকে’!!গাড়ি থেকে নেমে জোরে এক নিশ্বাস নিলাম’!!ফুলের গন্ধে পুরো মন ভরে যাচ্ছে আমার’!!হর্ঠাৎ একটা গোলাপের দিকে চোখ গেল আমার অসম্ভব সুন্দর দেখতে লাল গোলাপ’!!আমি সামনে গিয়ে যেই না ফুলটা ধরতে যাবো এমন সময় কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ

——–“ফুল গাছেই সুন্দর হাতে নয়”!!তাই ফুল ছিঁড়বি না’!!
“মনে মনে ভেবেছিলাম ফুলটা ছিঁড়ে মাথায় লাগাবো কিন্তু আমার ইচ্ছেতে এক বালতি পানি ঢেলে দিলো কাব্য ভাইয়া’!!অবশ্য কথাটা সত্যি বলেছে’!!কিন্তু ভিতরে ভিতরে খারাপ লাগলো’!!আমি আর কিছু না বলে চুপচাপ সামনে এগোতে লাগলাম’!!
“মাইশার কাজ দেখে কাব্য একবার ফুলটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেঁসে ভিতরে চললো’!!
“বাড়ির ভিতরে ঢুকে দরজা খুলতেই রেনু খালা এসে বললোঃ
——-“কেমন আছো মাইশা মামুনি……
“ওনার কথা শুনে মুচকি হাসলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ
——–“খুব ভালো তুমি কেমন আছো…..
“আমার কথা শুনে খুশি হলেন উনি’!!তারপর বললোঃ
———“আমিও আছি ভালো……’!!তোমরা উপরে যাও আমি তোমাদের জন্য খাবারে ব্যবস্থা করছি……

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

“এমন সময় কাব্য এসে হাজির’!!কাব্য রেনু খালাকে দেখে বললোঃ
——–“কেমন আছো তুমি,এই বলে জড়িয়ে ধরল কাব্য মহিলাকে……
“মহিলা খুব খুশি হয়ে বললোঃ
——–“খুব ভালো আছি বাবা তুমি কেমন আছো…….
——–“আমিও ভালো আছি এখন তোমার সাথে থেকে আরো ভালো থাকবো’!!
——–“হুম তা তো থাকবি…….এখন উপরে যাও আমি খাবারের ব্যবস্থা করছি আর তোমাদের ব্যাগ নামানোর ও ব্যবস্থা করছি……
——–“ঠিক আছে এই বলে কাব্য চলে আসলো উপরে’!!আমিও আসলাম ভাইয়ার পিছনে……
“পুরো বাড়ি দেখে বোঝা যাচ্ছে কালকেই হয়তো পুরো বাড়ি পরিষ্কার করেছে উনি’!!পুরো বাড়িটাই খুব সুন্দর আর পরিপাটি করে সাজানো’!!
“আমি আর ভাইয়া রুমে ঢুকলাম’!!কাব্য রুমে ঢুকেই গিয়ে বিছানায় বসে পরল’!!আর আমি পুরো রুমে চোখ বুলাচ্ছি’!!রুমটাও খুব সুন্দর করে গোছানো’!!তবে জিনিসপএ দেখে বোঝা যাচ্ছে এগুলল অনেক বছরের পুরনো ফার্নিচার’!!এত বড় বাড়িতে কি করে রেনু খালা একা থাকে’!!আমার তো এখনি ভয় করছে’!!বাড়িটা অনেক বছর আগের পুরনো’!!তাই একটু ভয় ভয় করছে’!!আর এত বড় বিশাল বাড়িতে শুধু মাএ তিনজন মানুষ’!!আমার ভাবনার মাঝে কাব্য বলে উঠলঃ

——–“কি এতো ভাবছিস তুই…….
———“না তেমন কিছু না, ভাবছি এত বড় বাড়িতে রেনু খালা কি করে একা থাকে’!!বাড়ির সামনে দিকটা খোলা মেলা হলেও ভিতরে কেমন জেনো আমার খুব ভয় ভয় লাগছে’!!
“কাব্য আমার কথা শুনে হাসলো’!!ওনার হাসি দেখে বললামঃ
———“এতে হাসার কি আছে??
———“না কিছু না এই বলে কাব্য ওয়াশরুমের দিকে চলে গেল’!!হর্ঠাৎই পিছন থেকে ফিস ফিস করে আমার কানের কাছে এসে বললঃ
——–“মাইশা”………
“আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো ভয় পেয়ে চমকে উঠলাম’!!পিছন তাকাতেই দেখলাম কাব্য হাসছে………
“আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না ফিসফিস করে আমাকে ভয় দেখাতে চাচ্ছে’!!আমি একটু ভীতু স্বরে বললামঃ
———-“এসব কি তুমি দেখছো তো আমি ভয় পাচ্ছি তার ওপর তুমি আবার ভয় দেখাচ্ছো কেন??
“আমার কথা শুনে কাব্য ভাইয়া হেঁসে বললোঃ
——–“সরি সরি আসলে কি বলতো তোকে ভয় পেতে দেখলে আমার হেব্বি লাগে’!!এই বলে আবারো হাসলো ভাইয়া’!!
“আমি ভীতু স্বরে বললামঃ
———“আমাকে ভয় পেতে দেখে তোমার তো মজা লাগবেই হুহ…….
“বিনিময়ে ভাইয়া ছোট করে সরি বলে চলে গেল ওয়াশরুমে………
“এমন সময় দরজায় কাছে এসে বললো কেউঃ
——–“আপনাদের ব্যাগ……

——–“আমি সামনে গিয়ে দেখলাম একটা ছেলে খুব একটা বয়স হবে না তবে আমার চেয়ে বড়’!!আমি তার দিকে তাকিয়ে বললামঃ
———“ঠিক আছে ওই খাটের ওপর রেখে দিন’!!আমার কথা শুনে ছেলেটি খাটের ওপর ব্যাগগুলো রেখে আর কিছু না বলে চলে গেল’!!
“ছেলেটির যাওয়ার পানে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে আমি চলে আসলাম ব্যাগের কাছে’!!তারপর ব্যাগটা খুলে কিছু জামাকাপড় বের করে রাখলাম বিছানার উপর’!!এমন সময় ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলো কাব্য ভাইয়া’!!
“ওনাকে দেখেই হা হয়ে তাকালাম’!!এই মুহূর্তে ভাইয়াকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে’!!চুলগুলো ভিজে গেছে এখনো সারা শরীরে পানি আছে অল্প অল্প দেখে বোঝাই যাচ্ছে শাওয়ার নিয়ে এসেছে ভাই……..
“ভাইয়া চুল মুছতে মুছতে বললোঃ
———“ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেন???
“হর্ঠাৎই করে ভাইয়ার এমন কথা শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম আমি’!তারপর আমতা আমতা করে বললামঃ
———“ইয়ে না মানে…….
———“তোর ইয়ে মানে ছাড়া আর কিছু আসে না………
——–“না তেমন কিছু না আসলে কি বলো তো ওখানে একটা পাখি বসেছিল সেটার দিকেই তাকিয়ে ছিলাম’!!এই বলে খাটের ওপর থাকা সাদা রঙের চুড়িদার নিয়ে চলে গেলাম আমি ওয়াশরুমে…….

“এদিকে কাব্য আর কিছু না ভেবে তৈরি হতে লাগলো’!!বেশকিছুক্ষন পর শাওয়ার নিয়ে চলে আসলাম আমি’!!এখন অনেকটা ফ্রেশ লাগছে……..’!!!ওয়াশরুম থেকে বেরোতেই টাওয়াল নিয়ে চুল মুছতে লাগলাম আমি’!!
_____________________
”এদিকে কাব্য এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে’!!অদ্ভুত এক চাহনি তার’!!কাব্য তাড়াতাড়ি তার চোখ নামিলে নিলো’!!তারপর ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে উঠলঃ
———“আমার জন্য খাবার নিয়ে আয়…….
“হর্ঠাৎ করে ভাইয়ার এমন কথা শুনে আমি পুরো কেঁপে উঠলাম’!!আমি তো ভুলেই গেছিলাম রুমে ভাইয়া আছে’!!আমি অবাক হয়ে বললামঃ
——–“আমি…..
——–“তুই ছাড়া আর কেউ আছে এখানে……..
——–“না মানে রেনু খালা তো বললো আমাদের জন্য খাবার আনছে’!!!
———“তাতে কি হয়েছে তুই গিয়ে এখানে খাবার নিয়ে আয়’!!
“আমিও আর কিছু বা বলে টাওয়াল টা বিছানার পাশে রেখে চললাম নিচে…….

“সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতেই’ দেখলাম টেবিলের উপর বিভিন্ন ধরনের খাবার সাজিয়ে রেখেছে রেনু খালা’!!আমি নামতেই উনি বলে উঠলেনঃ
——–“তুমি একা কেন মামুনি কাব্য বাবা কোথায়???
———“আসলে ভাইয়া উপরে বসে খাবার খাবে…..
——–“তুমি এখনো কাব্যকে ভাইয়া ডাকছো……
——–“সরি সরি থুক্কু তুমি আবার বলো না ভাইয়াকে মুখ ফোসকে বেরিয়ে গেছে আমার……
“আমার কথা শুনে হেঁসে বললেন উনিঃ
———“ঠিক আছে,,তারপর একটা ট্রে-তে করে কিছু খাবার বেরে দিলো আমার হাতে’!!তারপর আমিও খাবারগুলো নিয়ে চললাম উপরে……

“রুমে ঢুকে দেখলাম ভাইয়া লেপটপ নিয়ে বসে আছে’!!আমি খাবার গুলো সামনে রেখে বললামঃ
——–“তোমার খাবার……
“ভাইয়া আমার কথা শুনে আমার দিকে না তাকিয়েই বলে দিলঃ
———“খাইয়ে দে……
“কাব্যের কথা শুনে আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেল’!!আমি অবাক হয়ে বললামঃ
———-“কি????
———-“তুই কি কানে শুনিস না…….
———“না মানে আমি তোমায় খাইয়ে দিবো…….
———“না তুই দিবি না তোর পাশে যে ভূতটা আছে সে দিবে……
“ভাইয়ার কথা শুনে কিছু ঘাবড়ে গেলাম’!!কারন ছোট বেলা থেকেই এই ভূতেদের প্রচুর ভয় পাই আমি'”!!আমি একবার আশেপাশে তাকিয়ে বললামঃ
———“আমি খাইয়ে দিবো না বলি নি তো তুমি এইসব ভূত টূত কোথায় পাচ্ছো’!!একদম ভয় দেখাবে না আমায়……
———“তুই কি ভূতের নাম শুনেই ভয় পাচ্ছিস নাকি…..
———“কে বলছে আমি ভয় পাচ্ছি (কাঁপা কাঁপা গলায়)
“এতটুকু বলে কাব্যের পাশে বসে পরলাম’!!তারপর কাব্যকে খাইয়ে দিতে লাগলাম আমি’!!ভিতরে ভিতরে আমি প্রচুর পরিমানে ভয় পাচ্ছি আমি’!!এত ভয় কেন লাগছে আমার বুঝতে পারছি না……..
“কাব্যকে সব খাবার খাইয়ে দিলাম’!!তারপর ভাইয়া বলে উঠলঃ
——–“এখন থেকে রোজ আমার জন্য খাবার রুমে নিয়ে আসবি আর খাইয়ে দিবি…..আর শোন তুই গিয়ে খাবার খেয়ে এসে আমার মাথাটা একটু টিপে দিবি’!!এখন যা আমার কাজ আছে……….
“আমি হ্যাঁ না কিছু না বলেই চুপ করে চলে আসলাম’!!বাহিরে বেরিয়ে এসে শালা আমি পারুম না তোর মাথা টিপে দিতে,আমারে কি কাজে মাইয়া পাইছোস আর কে দিবে তোকে রোজ রোজ খাইয়ে’! পারুম না আমি…..’!!একা পাইয়া এখন তার সুযোগ নিতাছো………শালা,হনুমান,বান্দর………

কতোটা চাই তোকে পর্ব ৯

“এমন সময় পিছন থেকে কাব্য বলে উঠলঃ
———“এই তুই কি বললি…….
“কাব্যের কথা শুনে আত্মা কেঁপে উঠল আমার’!!
——“এই রে শুনে ফেললো নাকি,শুনে ফেললে এখন আমার কি হবে এখন আমায় কে বাঁচাবে………..???

কতোটা চাই তোকে পর্ব ১১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.