কতোটা চাই তোকে পর্ব ১৩
Writer:-TanjiL Mim
“হর্ঠাৎ করে মাঝ পথে গাড়ির থামানোর বিষয়টা বুঝলাম না আমি’!!হর্ঠাৎই কাব্য বলে উঠলঃ
——-“নাম…..
——-“আমরা এখানে কেন থেমেছি……
——-“এক জায়গায় যাবো…….
——-“কোথায়…….
——-“নাম আগে তারপর বলছি……
——-“গাড়ি করে যাওয়া যাবে না’…??
——-“না…..এত কথা কেন বলছিস তুই, তোকে মেরে ফেলবো না’!!(একটু রেগে)
——-“আরে রেগে যাচ্ছো কেন আমি তো এমনি বলেছি এই বলে গাড়ি থেকে নেমে পরলাম আমি’!!
“কাব্য গাড়িটা রাস্তার এক ছাইডে কিছু গাছের আড়ালে রেখে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসল’!!হাতে কিছু ব্যাগ’!!তারপর আমার কাছে এসে বললোঃ
——-“চল….আমিও আর কিছু না বলে চুপচাপ কাব্যের পিছনে চললাম’!!
“আমরা কিছুটা জঙ্গলের মতো দেখতে এমন একটা মাঠের মাঝখান থেকে হাঁটতে ছিলাম’!!আশেপাশের পরিবেশ দেখে গা ছমছম করে উঠল আমার’!!কারন আশেপাশে কাউকে দেখছি না’!!আমি কাব্যের কাছে গিয়ে বললামঃ
——–“আমরা এদিকে কোথায় যাচ্ছি’!!
———“গেলেই দেখতে পাবি……
“হর্ঠাৎ আমি কিছুটা দূরে একটা ছোট্ট কুঁড়েঘর দেখতে পেলাম’!!আমি অবাক হয়ে বললামঃ
——-“আমরা এখানে কেন এসেছি……
——-“আজকে এখানে থাকবো……
“আমি অবাক হয়ে বললামঃ
———“কি আজকে বাড়ি যাবো না…….
——–“না কালকে সকালে যাবো……
——–“বলছি কি আমরা কি এখানে একা একা থাকবো……..
——–“একা কোথায় আমি আছি না আর সাথে তোর প্রান প্রিয় ভুতেরা তো আছেই”!!………
“কাব্যের কথা শুনে ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!তারপর বলে উঠলামঃ
“বলছি কি পরিবেশটা কেমন যেন ভয় ভয় লাগছে তার চেয়ে চলো আমরা এখান থেকে চলে যাই’!!আকাশটাও কেমন যেন অন্ধকার হয়ে আসছে’!!মনে হয় বৃষ্টি আসবে…..
“কাব্য আমার হাত ধরে বললঃ
——–“কিছু হবে না আমি আছি না……..
——–“কাব্য ভাইয়ার কথা শুনে কেন জানিনা খুব ভালো লাগলো আমার’!!আমিও আর কোনো কিছু না ভেবে ভাইয়ার হাত ধরে চললাম…..
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
“কুঁড়েঘরে ঢুকে দেখলাম ঘরটা অগোছালো’!!কিন্তু খারাপ না’!!কেমন যেন ভালো লাগছে খুব’!!ভাইয়া ভিতরে ঢুকে বললো এগুলো সব পরিষ্কার কর…..
“কাব্যের কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার’!!তারপর হয়ে বললামঃ
——–“কি??
——–“তুই কি কানে শুনোস না……..
——–“আমি পারবো না……
——-“তুই সত্যি পারবি না….
——-“না পারবো না……
“হর্ঠাৎই কাব্য আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো’!!হর্ঠাৎ করে কাব্যের এমন কাজ দেখে ভয় পেয়ে গেলাম আমি’!!সাথে সাথে আমিও পিছনে যেতে লাগলাম’!!আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললামঃ
——–“তুমি এইভাবে এগিয়ে আসছো কেন??
——-“তুই কি বললি এইমাত্র..তুই সত্যি পারবি না……
——–“না মানে হুম না…..
——–“না মানে বাদ দিয়ে অন্যকিছু বল??
——–“তুমি আমার সাথে এমন করতে পারো না……
——–“আমি কি পারি আর কি না পারি তোকে দেখাচ্ছি……..
——–“কি দেখাবে……
“হর্ঠাৎই পিছনে কিছু একটার সাথে আটকে গেলাম আমি যার কারনে আর পিছনে যাওয়া যাবে না’!!এদিকে কাব্য এগোতে এগোতে অনেকটা কাছে চলে এসেছে আমার’!!কাব্য আমার এতটা কাছে আসায়’!!আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো’!!
.
“এদিকে কাব্য তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে’!!মাইশার ভয় মাখা ফেস তার বরাবরই পছন্দের’!!
“হর্ঠাৎ কাব্য ঝুঁকে গেল আমার দিকে’!!সাথে সাথে ভয় পেয়ে খিঁচে চোখ বন্ধ করে চেঁচিয়ে বলে উঠলামঃ
——–”হুম পারবো আমি,,করছি সব পরিষ্কার’!!
“কাব্য মাইশার কথা শুনে মুচকি হেঁসে বললোঃ
———“এইতো গুড গার্ল……
“এতটুকু বলে মাইশার কাছ থেকে সরে আসলো কাব্য’!!
.
“কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে রেখে আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি’!!চোখ খুলে কাব্যকে না দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম আমি’!!তারপর পুরো ঘরটায় একবার চোখ বুলিয়ে’!!শাড়ির আঁচল কোমরে বেঁধে পরিষ্কার করতে লাগলাম’!!আজকে একটা ব্লাক রঙের শাড়ি পরেছিলাম’!!রেনু খালা পড়িয়ে দিয়েছিল’!!এখন মনে হয় আমার শাড়িটা নষ্ট হয়ে যাবে’!!এই বলে কাজ করতে শুরু করলাম আমি আর মনে মনে হাজারটা গালি দিতে লাগলাম কাব্যকে……’!!
“বেশকিছুক্ষন পর জোরে নিশ্বাস ফেললাম আমি’!!কারন ঘরটা অনেকটাই পরিষ্কার করে ফেলেছি’!!এদিকে বিকেল গড়িয়ে গেছে’!!ঘরটার কাছ থেকে বাহিরে বের হতেই দেখলাম আকাশটা পুরো কালো হয়ে গেছে’!!আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল কাব্য ভাইয়ার দিকে’!!কারন সে কিছুটা দূরে একটা গাছের নিচে বসে আছে’!!
———“হুহ আমায় একা এখানে কাজ করতে দিয়ে শয়তানটায় ওইখানে বসে আছে’!!😤
“আমি কিছুটা হেঁটে ভাইয়ার সামনে গিয়ে বললামঃ
——–“এখানে বসে আছো কেন??
——–“তোর কাজ শেষ……
——–“হুম’!!এখন বলো খাবো কি প্রচুর ক্ষুধা লেগেছে আমার’!!সেই সকাল বেলা খেয়েছিলাম এখন পর্যন্ত কিছু খাই নি’!!তাড়াতাড়ি খাবারের ব্যবস্থা করে দেও……
“বিনিময়ে কাব্য বলে উঠলঃ
——–“ওখানে অনেক ঘাস আছে খেয়ে নে……
———“কি আমি ঘাস খাবো…….(রেগে)
——–“হুম এতটুকু বলে ভাইয়া হন হন করে চলে যেতে লাগলো’!!আমি গাল ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম’!!এমন সময় কালো মেঘের আকাশটা থেকে বর্ষন হতে শুরু করল’!!
“বৃষ্টির পানি গায়ে পরতেই কেমন যেন শরীর শিউরে উঠলো’!!ধীরে ধীরে বৃষ্টির রেখা বাড়তে লাগল’!!আর আমিও খুশি মনে বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম’!!বৃষ্টি বরাবরই ফেভারিট আমার’!!আর বৃষ্টিতে ভিজতে তো আরো বেশি ভালো লাগে’!!
“খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম আমি’!!এমন সময় হর্ঠাৎই কাব্য ভাইয়া চেঁচিয়ে বললঃ
———“এই তাড়াতাড়ি চল,,বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগবে…….
——–“কিছু হবে না…….চলো না ভিজি….
——–“না আমি ভিজবো না…..
———“আরে ভিজো না কিছু হবে না……
“এই বলে বৃষ্টিতে লাফাতে লাগলাম আমি’!!
.
“এদিকে কাব্য তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে’!!মাইশার এই বাচ্চামো গুলো তার খুব ভালো লাগছে’!!তারপর আর কি সেও মাইশার সাথে বৃষ্টিতে ভিজার মজা নিতে লাগলো’!!
“বেশকিছুক্ষন পর হর্ঠাৎই আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো মাইশা আকাশের এই জ্বলকানি দেখে ভয় পেয়ে কাব্যকে জড়িয়ে ধরল’!!আকাশের মেঘের ডাক শুনে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরল মাইশা কাব্যকে………
.
“এদিকে আচমকা এমনটা হওয়াতে কিছুটা অবাক হয়ে যায় কাব্য’!!তারপর সেও খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরল মাইশাকে………
“কিছুক্ষণ পর……..
“মাইশা কাব্যকে জড়িয়ে ধরে আছে বুঝতে পেরে ঘাবড়ে গেল’!!তারপর তাড়াতাড়ি কাব্যকে ছাড়িয়ে বললোঃ
——–“সরি জামাই আসলে একটু ভয় পেয়ে গেছিলাম…..
কতোটা চাই তোকে পর্ব ১২
“এদিকে কাব্য মাইশার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে’!!মাইশা যে তাকে কিছু বলছে তা হয়তো তার কান পর্যন্ত পৌছাচ্ছে না’!!বৃষ্টিতে ভিজে পুরো শরীর ভিজে গেছে মাইশার’!!এক অদ্ভুত নেশা এসে গ্রাস করলো কাব্যকে’!!কাব্য মাইশার ঠোঁটে হাত দিয়ে বললোঃ
———“হুস…..
“হর্ঠাৎই করে কাব্যের এমন কাজে অবাক মাইশা’!!কারন সে হয়তো ভেবেছিলো কাব্য তাকে মন্দ বলবে’!!অবশ্য মন্দ বলার কিছু নেই জামাইরেই তোর জড়িয়ে ধরছি অন্য কাউকে তো ধরি নাই’!!এসব ভাবনার মাঝে হর্ঠাৎই কাব্য মাইশাকে টান মেরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়’!!মাইশার কোমড় জড়িয়ে ধরে মাইশার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দিল………..
“আচমকা এমনটা হওয়াতে মাইশা পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়’!!পরক্ষণেই কি হচ্ছে বুঝতে পেরে কাব্যের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে এক পর্যায়ে সেও থেমে যায়’!!দু’জনেই এক অদ্ভুত অনুভূতিতে চলে যায়’!!
“বেশকিছুক্ষন পর………
“কাব্য মাইশাকে ছেড়ে দেয়’!!একে অপরকে ছেড়ে দিয়ে দুজনেই একসাথে শ্বাস ফেলতে শুরু করলো’!!দুজনের মধ্যেই কুটকুটে নীরবতা এসে ভর করলো’!!কারন তারা নিজেরাও বুঝতে পারে নি’!!এতক্ষণ তারা কি করছিল’!!হর্ঠাৎই দুজনে একসাথে হাঁচি দিতে শুরু করলো’!!!