কতোটা চাই তোকে পর্ব ২০
Writer:-TanjiL Mim
“চারিদিকে ঢেউয়ের শব্দ, রাতের আকাশে জ্বল জ্বল করা চাঁদ আর তাঁরার মিশে থাকা হাসি’!!গভীর রাতে পাল তোলা নৌকায় করে নদীর মাঝখানে নিয়ে আসবে কাব্য সেটা হয়তো একদমই আমার কল্পনার বাহিরে ছিল’!!পুরো নৌকা টাই খুব সুন্দর করে সাজানো’!!চারিদিকে লাইটিং করা এক কথায় বলতে গেলে অবিশ্বাস কর সুন্দর একটা জায়গা’!!দিনের বেলা হলে হয়তো এই সৌন্দর্য তা চোখে পড়তো না’!!এই মুহূর্তে সত্যি খুব ভালো লাগছে আমার’!!আমি জাস্ট হা হয়ে পুরো জায়গার দিকে তাকিয়ে আছি’!!আর আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে কাব্য’!!আকাশটা খুব সুন্দর লাগছে’!!কিছুক্ষন আগে কাব্য গাড়ি থামিয়ে আমার হাত ধরে এই নদীর কিনারার নিয়ে আসলো’!!চারিদিকে শুধু অন্ধকার’!!বিষয়টা খুব একটা ভালো লাগে নি আমার’!!তাই আমি কাব্যকে বললামঃ
———“এটা কোথায় নিয়ে এসেছো তুমি, অন্ধকার ছাড়া আর তো কিছু দেখতে পারছি না’!!
“কাব্য হেঁসে বললোঃ
———“ওয়েট” এই বলে হাতে দু-বার তালি দিতেই সাথে সাথে পুরো জায়গাটা আলোয় ভরে গেল’!!আমি শুধু হা হয়ে তাকিয়ে ছিলাম’!!
“এমন সময় কাব্য আমার চোখ তার হাত দিয়ে চেপে ধরে বললঃ
———“চল…..
“আমি কাব্যের কাজে অবাক হলাম তারপরও কিছু না বলেই চুপচাপ সামনে হাঁটতে লাগলাম’!!কিছু দূর যেতেই কাব্য আমার চোখ খুলে ফেললো’!!সামনে তাকাতেই আমি জাস্ট হা হয়ে তাকিয়ে ছিলাম’!!কারন আমার চোখের সামনে ছিল’!!একটা পাল তোলা নৌকা খুব সুন্দর লাইটিং আর ফুল দিয়ে সাজানো’!!এক মুহূর্তের জন্য হলেও এই মুহুর্তে নিজেকে খুব সুখী মানুষ বলে মনে হচ্ছে আমার’!!কাব্য আমার জন্য এত কিছু করছে’!!হর্ঠাৎই কাব্য বলে উঠলঃ
———“কি হলো এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি যাবি’!!আমি কাব্যের দিকে তাকিয়ে শুধু “মাথা নাড়ালাম”!!তারপর খুশি মনে কাব্যের হাত ধরে উঠলাম নৌকায়’!!আমরা উঠতেই নৌকা চলতে শুরু করল’!!
“বর্তমানে মানে…….
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
“হর্ঠাৎই কাব্য আমার সামনে একটা লাভের চকলেট কেক নিয়ে আসলো আর চকলেট কেকের ওপরে লেখা আই লাভ ইউ মাইশা”!!আমি শুধু অবাক হচ্ছি কাব্যের এসব কাজ দেখে’!!আচমকা কাব্য এক গুচ্ছ লাল গোলাপ হাতে নিয়ে বসে পরলো’!!তারপর বললোঃ
———-“আই লাভ ইউ মাইশা’!!Do you Love me😊
“কাব্যের কাজ দেখে মুচকি হাসলাম আমি’!!তারপর খুশি মনে কাব্যের কাছ থেকে গোলাপগুলো হাতে নিয়ে বললামঃ
———“আই লাভ ইউ টু……
“আমার কথা কাব্য খুশি হয়ে উঠে দাঁড়ালো তারপর মাইশা কাব্য একে অপরকে খুব গভীর ভাবে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল!!এমন সময় কাব্য আমার কানে কানে বললোঃ
———“কখনো ছেড়ে যাস না তাহলে যে আমি পাগল হয়ে যাবো!!আমি তোকে আমার মৃত্যু পর্যন্ত সাথে নিয়ে বাঁচতে চাই’!!
“বিনিময়ে আমি কিছু বললাম না’!!শুধু শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম কাব্যকে’!!হয়তো এতেই কাব্য তার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছে’!!
“বেশকিছুক্ষন পর……..
“আমরা একে অপরকে ছেড়ে দিলাম তারপর দুজনে একসাথে কেক কেটে সেলিব্রেট করলাম’!!আমার লাইফে শেষ্ঠ একটা দিন হয়ে থাকবে আজকের দিনটা’!!তারপর আমরা নৌকার এক কিনারায় বসে পরলাম’!!আর তার সাথে নৌকায় বসে নদীর ঢেউয়ের আওয়াজের সাথে রাতের আকাশের চাঁদ টাকে খুব সুন্দর করে দেখতে লাগলাম’!অসম্ভব রকম ভালো লাগছে আমার!!কাব্য আমায় খুব শক্ত জড়িয়ে ধরলো তার বুকের মাঝপ’!!আমিও খুব খুশি কারন আমিও যে খুব ভালোবাসি কাব্যকে’!!আমি কাব্যের গালে একটা চুমু দিয়ে বললামঃ………
——–“থ্যাংকু জামাই আমায় এত সুন্দর একটা রাত উপহার দেওয়ার জন্য আর আমি তোমায় এওতো এওতো ভালোবাসি’!!এই বলে কাব্যকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আমি’!!
.
“কাব্য খুব খুশি মাইশার কাজে!!তার সেই ইচ্ছে স্বপ্ন ভালবাসা সব আজ সত্যি হয়ে গেছে!!কাব্য মাইশার কপালে একটা চুমু জড়িয়ে ধরলো মাইশাকে……..!!এই মুহূর্তে দুজন মানুষই খুব আনন্দে আছে আর তাদের এই আনন্দগুলো সাক্ষী হিসেবে রইল রাতের আকাশটা,আকাশে থাকা জ্বল জ্বল করা তাঁরারা,নদীর স্রোতেরা,আর আকাশে থাকা এওতো বড় চাঁদটা……..
“ভোর ৫ঃ০০টা……….
“আকাশটা হাল্কা হাল্কা পরিষ্কার হতে শুরু করেছে!!চারদিকে পাখিদের হাল্কা কুউহু কুউহু শব্দ ভেসে আসছে কানে’!!আস্তে আস্তে চোখ খুললাম আমি’!!পাশে কাব্যকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে হাল্কা হাসলাম আমি’!!তারপর আস্তে আস্তে শোয়া থেকে উঠে বসলাম’!!আশেপাশে তাকাতেই বুঝে গেছি নৌকা অনেক আগেই নদীর পাড়ে চলে এসেছে’!!আমি আস্তে আস্তে কাব্যের দিকে ঝুঁকে তার কানে কানে বললামঃ
————“জামাই বাসায় কি যাবে না!!সকাল হয়ে আসছে তো সবাই তো উঠে যাবে মনে হয়!!তারপর রুম ঢুকতে তো অসুবিধা হবে!!
“আমার কথা হকচকিয়ে উঠলো কাব্য’!!তাড়াতাড়ি শোয়া থেকে উঠে বসলো’!!তারপর বলে উঠলঃ
——–“ঠিক বলেছিস আমার তো এটা মাথায় আসে নি!!
“তারপর আমরা তাড়াতাড়ি করে নৌকা থেকে নেমে পরলাম’!!কাব্য মাঝিকে কিছু টাকা দিল সাথে আরো অনেক কিছু বললো’!!তারপর আমরা তাড়াতাড়ি করে চললাম গাড়ির কাছে’!!তারপর আমরা দ্রুত গতিতে গাড়িতে বসলাম’!!আর কাব্যও তাড়াতাড়ি করে গাড়ি চালাতে শুরু করলো’!!
“এত ভোরে পুরো রাস্তাই ফাঁকা’!!খুব একটা খারাপ লাগছে না’!!ধীরে ধীরে পুরো রাস্তা পরিষ্কার হতে শুরু করল’!!বাহিরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম বুঝতেই পারি নি’!!
“এদিকে কাব্য মাইশার কাজ দেখে হাসলো’!!তারপর মাইশাকে কাছে এনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিল’!!মাইশাও কাব্যকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আরাম করে ঘুমিয়ে পরলো’!!আর রাস্তা ফাঁকা থাকায় কোনো অসুবিধাই হচ্ছে না কাব্যের!!কাব্য খুশি মনে ড্রাইভ করছে………
“বেশকিছুক্ষন পর……..
“কাব্য এসে গাড়ি থামালো তাদের বাড়ির সামনে’!!তারপর গাড়ি থেকে নেমে মাইশাকে না ডেকে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটা শুরু করল কাব্য’!!আস্তে আস্তে দরজা খুললো কাব্য!!তারপর চুপি চুপি মাইশাকে কোলে নিয়েই চলে গেল উপরে তারপর রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে বিছানায় শুয়ে দিল কাব্য মাইশাকে’!!তারপর মাইশার কপালে ছোট্ট একটা চুমু দিয়ে বললোঃ
———“আমার মায়াবতী”!!
“এই বলে সেও মুচকি হেঁসে মাইশাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো!!
_____________________
“সকাল ১০ঃ০০টা………
“সকালের সূর্যের ফুড়ফুড়ে আলোতে ঘুম ভাঙল আমার’!!রোদ্দুরে ভরে গেছে চারপাশ’!!মিট মিট করে চোখ খুলে তাকালাম আমি!!নিজেকে রুমের ভিতর থেকে অবাক হলাম আমি!!আমি তো গাড়িতে ছিলাম রুমে কখন আসলাম’!!হয়তো কাব্য নিয়ে এসেছে’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল কাব্যের ঘুমন্ত মুখের দিকে!!অসম্ভব রকম সুন্দর লাগছে কাব্যকে!!কালকের রাতের কথা মনে পড়তে আরো ভালো লাগলো খুব!!আমি কাব্যের বুকের উপর মাথা দিয়ে কাব্যকে জড়িয়ে ধরে বললামঃ
———“থ্যাংক ইউ মাই জামাই আমাকে এতো ভালোবাসার জন্য!!সারাজীবন এইভাবেই ভালোবাসবে আমায়!!জানি কাব্য শুনতে পায় নি!!তারপর বলতে ভালো লাগলো!!
“কিছুক্ষণ পর তাড়াতাড়ি করে উঠে যেতে নিলে কাব্য জড়িয়ে ধরল আমায়’!!তার কাজে অবাক আমি’!!
——–“ঘুম ভেঙে গেছে নাকি’!!
আমার কথা শুনে কাব্য বলে উঠলোঃ
——–“ঘুম তো অনেক আগেই ভেঙে গেছে!!
———“তুমি কি আমার কথা সব শুনেছো!!
——–“হুম শুনেছি আর কথাও দিচ্ছি সারাজীবন এইভাবেই ভালোবাসবে তোকে…….
——–“হুম বুঝতে পারছি এখন সরো উঠতে হবে…….!!এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে!!
———“না আগে আমার একটা জিনিস চাই!!
———–“এখন……
———–“হুম…..
———“এখন আমার কাছে তোমাকে দেওয়ার মতো কিছু নেই!!শপিং গিয়ে তোমার জন্য গিফট নিয়ে আসবো আনে ঠিক আছে!!
———“না তাতে হবে না আমার এখনই গিফট চাই!!
———“আশ্চর্য তুমি দেখি বাচ্চাদের মতো কান্না করছো!!কিন্তু কি দিবো তোমায় সেটা তো বলবা…..
“হুট করে কাব্য এসে মাইশার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দিল!!ঘটনাটা আচমকা এমনটা হওয়াতে মাইশা পুরো ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল!!😝
“কিছুক্ষন পর কাব্য মাইশাকে ছেড়ে দিয়ে বললোঃ
———-“এখন তুই যেতে পারিস আমার গিফট আমি পেয়ে গেছি!!
“কাব্যের এমন কথা শুনে মাইশা বলে উঠলঃ
———-“তুমি এই গিফট এর কথা বলেছো’!!এটা তো বললেই হতো!!এই বলে মাইশা নিজেই কাব্যের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দিয়ে কাব্যকে কিস করতে লাগলো!!😝
“বেশকিছুক্ষন পর………
“মাইশা কাব্যকে ছেড়ে দিলো’!!তারপর বিছানা থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে’!!
.
“আর এদিকে কাব্য মাইশার কাজে হা হয়ে তাকিয়ে রইল!!তার যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না মাইশা তাকে নিজ ইচ্ছে কিস করলো!!জাস্ট হা হয়ে আছে কাব্য এখনো শকট সে মাইশার,কাজে…….
“দুপুর দুটো……!!
“কাব্যের অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি!!কাব্য ফোন করে বলেছিল তার জন্য খাবার নিয়ে আসতে!!তাই আমিও নিয়ে এসেছি!!ভিতরে ঢুকতে ভয় হচ্ছে ভিষণ!!তারপরও এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে ভিতরে ঢুকলাম আমি’!!দূর যা হবে দেখা যাবে!!এই ভেবে ভিতরে ঢুকে লিফটে উঠে পরলাম’!!কিছুক্ষনের মধ্যে এসে পরিছি কাব্যের রুমে’!!আস্তে আস্তে ভিতরে ঢুকলাম’!!!ভিতরে ঢুকতেই দেখলাম!!কাব্য তার টেবিলে বসে কিছু একটা করছে!!আমিও চুপি চুপি ঢুকলাম কাব্যের দিকে!!উদ্দেশ্য হচ্ছে কাব্যকে চমকে দেওয়া!!হাঁটতে হাঁটতে একদম কাব্যের সামনে চলে এসেছি’!!এমন সময় হুট করে কাব্য টান মেরে তার কোলে বসিয়ে দিল!!আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি ঘাবড়ে গেলাম!!আমি ঘাবড়ে গিয়ে বললামঃ
———“এটা কি হলো তুমি বুঝলে কিভাবে আমি তো চুপিচুপি ঢুকে ছিলাম……
কতোটা চাই তোকে পর্ব ১৯
“কাব্য হেঁসে বললোঃ
———“তুই রুমে ঢুকেছিস আর আমি বুঝতে পারবো না!!
“এমন সময় রুমে ঢুকলো কেউ!!তাকে দেখে অবাক হলাম আমি’!!কারন সামনের ব্যক্তিটি হলো সেই মেয়েটা লাবন্য!!কিন্তু এখানে কেন???