কতোটা চাই তোকে পর্ব ২২
Writer:-TanjiL Mim
“বেশ কয়েক ঘন্টা পর গাড়ি এসে থামলো একটা বড় হোটেলের সামনে’!!আমি আর কাব্য নেমে সোজা চলে গেলাম হোটেলে’!!রুমে ঢুকে কাব্য চলে গেল ওয়াশরুমে’!!আর আমি পুরো রুমটায় চোখ বুলাতে লাগলাম’!!অসম্ভব সুন্দর দেখতে রুমটা’!!একটা খাট রয়েছে সামনে’!!সাদা রঙের তোশক বিছানায় শুতেই পুরো নরম বিছানা’!!কিছুক্ষন শুয়ে থেকে উঠলাম’!!হর্ঠাৎই চোখ গেল বেলকনির দিকে’!!আস্তে আস্তে বেলকনির দিকে গেলাম আমি’!!বেলকনি থেকে সামনে তাকাতেই চোখ অটোমেটিক হা হয়ে গেছে আমার’!!সামনে রয়েছে অসম্ভব সুন্দর রকম চা বাগান’!!আশেপাশের পরিবেশটা সত্যি খুব মনোরম কর’!!কম করে হলেও আমাদের বিল্ডিং এর পাঁচ তালার ওপরে দাঁড়িয়ে আছি’!!বাহিরের দৃশ্য যে এতোটা সুন্দর হবে জানা ছিল না আমার’!!তবে বিভিন্ন ফটো দেখে ছিলাম চা বাগানের কিন্তু বাস্তবে ফটো চেয়েও আরো বেশি সুন্দর’!!মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছি আমি বাহিরে’!!এমন সময় পিছন থেকে কাব্য জড়িয়ে ধরলো আমায়’!!আচমকা এমনটা হওয়াতে আমি পুরো কেঁপে উঠলাম পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিলাম’!!এমন সময় কাব্য বলে উঠলঃ
———“এখানে কি করছিস তুই…….
———“তেমন কিছু নয় ওই বাহিরে তাকিয়ে ছিলাম…….
———-“ওহহ……
———-“আচ্ছা আমরা ওইখানে ঘুরতে যাবো তো……(হাত দিয়ে দেখিয়ে)
———-“হুম নিশ্চিয়ই যাবো তবে এখন নয় পরে আর আমায় এখন যেতে হবে!!
———“ঠিক আছে তুমি গিয়ে তৈরি হও……
———“হুম তবে শোন একদম বাহিরে যাবি না,রুমের মধ্যে থাকবি বিকেলে আমি এসে ঘুরতে বের হবো ঠিক আছে……..
“বিনিময়ে আমি শুধু মাথা নাড়ালাম’!!
“তারপর কাব্য তৈরি হয়ে চলে গেল’!!আর আমিও দরজা বন্ধ করে নরম বিছানায় শুয়ে ঘুম……
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
“বিকেল ৫ঃ০০টা……..
“আমরা বের হলাম চা বাগান দেখার উদ্দেশ্যে!!ইয়া বড় বড় রাস্তা পেরিয়ে হেঁটে চলেছি আমি’ আর কাব্য’!!,, পাহাড়ি রাস্তাগুলোকে ঘিরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছ পালা”!!হর্ঠাৎই চোখ গেল সামনে থাকা কিছু মহিলাদের দিকে’!!সম্ভবত তারা এখন বাড়ির ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে’!!তাদের দেখে বুঝতে পেরেছি এতক্ষণ তারা চা বাগানে চা সংগ্রহের কাজ করছিল এখন হয়তো বাড়ি ফিরবে’!!হয়তো আমাদের এখানে আসতে দেরি হয়ে গেছে’!!এটা হয়েছে শুধু মাএ কাব্যের জন্য কাজ সেরে ফিরতেই দেরি করেছে সে!!এমন সময় কাব্য বলে উঠলঃ
———–“এই জন্য বলে ছিলাম কাল আসি,এখন এখানে সবাই ফিরে যাবে আর সন্ধ্যাও হয়ে আসবে’!!জায়গাটার চারপাশে গাছ পালায় ভরে যাওয়ার কারনেই খুব তাড়াতাড়ি রাত হয়ে যায় এখানে’!!
“একরাশ মন খারাপ নিয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য চললাম আমরা’!!ধুর শুধু শুধু আসলাম এখানে ভেবেছিলাম এতো এতো ছবি তুলবো কিছুই হলো না’!!অন্ধকারে ছবি ভালো হয় না-কি…….
“এমন সময় কাব্য বলে উঠলঃ
———-“মন খারাপ করিস না কালকে আলো থাকতেই আসবো আমরা এখানে……
“মন খারাপ নিয়েই বলে উঠলামঃ
———-“ঠিক আছে…….
“তারপর আর কি আমরা আবার বেক করলাম হোটেলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে’!!আমাদের সাথে ছিল আমাদের হোটেলের ম্যানেজার’!উনিও বলে ছিল এখন না আসতে কিন্তু আমি শুনলাম না ‘!!এখন মনে হচ্ছে না শুনে ভুলই করেছিলাম’!!
“বেশকিছুক্ষন পর আমরা চলে আসলাম হোটেলে’!!হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যাথা হয়ে গেল কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না’!!
“একরাশ মন খারাপ নিয়ে মাইশা চলে গেল ওয়াশরুমে’!!আর কাব্যও কিছু না ভেবে বসে পরলো বিছানায়’!!
_____________________
“রাতে……….
“শাওয়ার নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে মাইশা’!!চুল থেকে তার টপ টপ করে পানি পরছে’!!বিকেলে ঘুরাঘুরি করার জন্য প্রচুর ক্লান্ত লাগছিল মাইশার’!!তাই কোনো কিছু না ভেবেই শাওয়ার নিয়েছে সে’!!এখন ফ্রেশ লাগছে তার’!!এই মুহূর্তে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছতে ব্যস্ত সে’!!
“এদিকে কাব্য বিছানায় বসে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে’!!অদ্ভুত এক অনুভূতি বয়ে চলেছে তার ভিতর’!!কাব্য তার ল্যাপটপ টা টেবিলে উপর রেখে চলে যায় মাইশার সামনে’!!তারপর পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মাইশার চুলের ভিতর মুখ ডুবিয়ে দেয় কাব্য’!!
.
“আচমকা এমনটা হওয়াতে মাইশা পুরো কেঁপে উঠল’!!পরক্ষণেই আয়নায় কাব্যকে দেখে হাসলো সে’!!
———“তুই কি শ্যাম্পু ইউস করিস বলতো যার গন্ধে আমি পুরো পাগল হয়ে যাই’!!
“কাব্যের এমন কথা শুনে হাসলো মাইশা তারপর বলে উঠলঃ
———-”তুমি যে শ্যাম্পু কিনে দিয়েছো সেটাই তো……
———-“এত রাতে শাওয়ার নিয়েছিস কেন??
———-“এমনি ক্লান্ত লাগছিল অনেক্ক্ষণ যাবৎ ভাবছিলাম গোসল করবো তাই…….
———“উহু!!এই কাব্য মাইশার ঘাড়ে চুমু দেয়’!!সাথে মাইশা পুরো কেঁপে উঠল’!! হুট করে কাব্য মাইশাকে কোলে তুলে নেয়’!!
“আচমকা এমনটা হওয়াতে মাইশা ঘাবড়ে গিয়ে বললোঃ
———-“এসব কি করছো তুমি’!!
“এতরাতে শাওয়ার নিয়ে আমায় পাগল বানিয়ে এখন বলা হচ্ছে এসব কি করছো……
“কাব্যের কথার আগা মাথা কিছু না বুঝে মাইশা বলে উঠলঃ
———“মানে…….
——–“বুঝাচ্ছি চল…..
“এই বলে মাইশাকে কোলে তুলে নিয়ে লাইট অফ করে শুয়ে পড়ে কাব্য……’!!তারপর দুজনেই ডুবে যায় ভালো বাসার সাগরে………
“সকালে……….
“আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে কাব্য মাইশাকে’!!আস্তে আস্তে ঘুম ভাঙল মাইশার’!!কাল রাতের কথা মনে করে হাসলো মাইশা’!!তারপর কাব্যকে ছাড়িয়ে চলে গেল ওয়াশরুমে……..
“মাঝখানে কেটে গেল দুদিন’!!এই দুইদিন মাইশার আর চা বাগানে ঘোরা হলো না’!!কারন কাব্যের কাজের চাপ এতটাই ছিল যে একদিনও তাড়াতাড়ি ফিরতে পারি নি’!!এ জন্য মাইশা অবশ্য প্রতিদিনই রাগ করতো’!!আর কাব্য এসে প্রতিদিন মাইশার রাগ ভাঙাতো……..
“আজকে আর কোনো প্রবলেম নেই কাব্যের ঘুরতে যেতে’!!কারন কালকেই কাব্যের কাজ শেষ হয়েছে এখানের’!!আর দুদিন পরেই ফিরে যাবে তারা……
“আর এই দুদিন শুধু মাইশাকে ঘুরাঘুরি করবে বলে প্রমিজ করেছে কাব্য…….
“তাই মাইশা আজকে খুব খুশি’!!আজকে মাইশা একটা মেরুন রঙের চুড়িদার পড়েছে সাথে চুলগুলো বিনুনি করে এক পাশে রেখে দিয়েছে’!!চোখে কাজল,ঠোঁটে লিপস্টিক মুখে হালকা মেকাপ ব্যাস মাইশা তৈরি’!!আর কাব্য আজকে পরেছে সুন্দর একটা টি-শার্ট সাথে জিন্স টি-শার্টের হাতা কনুই পর্যন্ত ভোল্ট করা তার,হাতে ব্লাক ঘড়ি,আর বরাবরের মতো চুল গুলো খুব সুন্দর করে সাজানো,ব্যাস কাব্য তৈরি’!!
“আজকে আর ওরা ওদের সাথে ম্যানেজারকে নিবে না একাই ঘুরতে যাবে!
“সারাদিন ঘুরাঘুরি, প্রচুর সেলফি আর খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে আজকের মতো দিনটা শেষ হলো কাব্যের আর মাইশার…….
“দেখতে দেখতে কেটে গেল কয়েক মাস’!!খুনশুটি আর ভালোবাসার মাধ্যমে কাটছে মাইশা কাব্যের জীবন’!!এখন রোজ রাতে কাব্য মাইশাকে পড়াশোনা করায়’!!আর মাইশা প্রতিদিন পরতে পরতে ঘুমিয়ে পড়ে’!!কিছুদিন পর মাইশার পরীক্ষা ‘!!তাই আর এই রোজ কারের ডিউটিতে এখন অভ্যস্ত মাইশা কাব্য দুজনেই……!!আর কাব্যের মূল উদ্দেশ্য হলো মাইশাকে পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট করানো’!!এই মেয়েটা একদম পড়াশোনায় কানচোরা…..তাই কাব্যই পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে……
…….
——-“টেবিলে বসে ঝিমাচ্ছি আমি’!!ধুর এই প্রতিদিন পড়াশোনা আর ভালো লাগছে না আমার’!!এই রকম জামাই থাকতে আর কি লাগে আমার’!!এমন জামাই আর লাগবে না আমার প্রতিদিন শুরু পড়ায় ধুর একটুও ভালোবাসে না’!!এই বলে নেকা কান্না শুরু করেদিয়েছি আমি…..
“এদিকে আমার কান্না শুনে কাব্য হাতের লাঠি টা নিয়ে বারি মারলো টেবিলে উপর কাব্য’!!তারপর বলে উঠলঃ
———-“যতই কান্না করো না কেন জানেমন কাজ হবে না’!!কাব্যের বউ হয়ে যদি ভালো রেজাল্ট না করো তাহলে কি হবে তোমার ভাবতে পারছো……..
কতোটা চাই তোকে পর্ব ২১
———-“আমার লাগবে না তোমার বউ হওয়া,,খালি বকে………
———“তুই সত্যি আমার বউ হবি না……,এই বলে আবারো লাঠিটা নিয়ে মারলো টেবিলের উপর……
“সাথে সাথে আমি কেঁপে উঠলাম তারপর বললামঃ
———-“ধুর পাগল জামাই মজা বুঝে না,তোমায় ছেড়ে কোথায় যাবো আমি……
“এই বলে ন্যাকা কান্না করতে করতে পড়াশোনা করতে লাগলাম আমি’!!আর কাব্য চুপ করে হাতে লাঠি নিয়ে বসে রইল……
——–“এ্যা এ্যা আমি খেলুম না কাক্কু জামাই আমার একটু ভালো না…..🥺🥺
———“আবার……
——–“না না পড়ছি তো……