কতোটা চাই তোকে - Golpo Bazar

কতোটা চাই তোকে পর্ব ২ || kotota chai toke

কতোটা চাই তোকে

কতোটা চাই তোকে পর্ব ২
Writer:-TanjiL Mim

“টপ টপ করে রক্ত পড়ছে কাব্য ভাইয়ার হাত থেকে আমি তা দেখে রীতিমতো ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম’!!তারপর ভাইয়ার হাতের রক্ত দেখে কেন জানি না খুব কষ্ট হলো’!!তারপর ভাড়ি লেহেঙ্গা ধরে বিছানা থেকে উঠে দৌড়ে ভাইয়ার সামনে দাঁড়িয়ে বললামঃ
——–“এসব কি করছো তুমি ভাইয়া'”!!
“ভাইয়া কিছু বললো না,,শুধু অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকালো আমার দিকে’!!আমি রীতিমতো ভাইয়ার চোখ দেখে ভয়ে আধমরা হয়ে যাচ্ছি’!!তারপরও এই মুহুর্তে ভয়টাকে উপেক্ষা করে ড্রয়ার থেকে স্যাভলন আর ব্যান্ডেজ বের করে ভাইয়ার সামনে দাঁড়িয়ে বললামঃ
———“ভাইয়া তোমার হাত ব্যান্ডেজ করে দেই রক্ত পড়ছে’!!
“ভাইয়া চেঁচিয়ে বললোঃ
———“তোকে এত দরদ দেখাতে হবে না আমার উপর’!” তুই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়’!!
“ভাইয়ার কথা শুনে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলামঃ
——–“প্লিজ ভাইয়া আগে তোমার হাতটা ব্যান্ডেজ করে দেই’!!
“ভাইয়া আমার কথা শুনে কিছু বললো না’!!ভাইয়ার চুপ থাকাটা দেখে আমি একবুক সাহস নিয়ে ভাইয়াকে ধরে বিছানায় বসিয়ে দিলাম’!!তারপর আস্তে আস্তে করে হাতটা পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দিতে লাগলাম’!!

“এদিকে কাব্য ভিতরে ভিতরে খুব খুশি হয়েছে মাইশার কাজে’!!কারন মাইশা তার জন্য ভাবে’!!এই প্রথমবার মাইশা সাহস করে নিজ ইচ্ছে তার হাত ধরেছে আর কাব্যের রেগে যাওয়ার কারনটা হলো বিয়ের অনুষ্ঠানে মাইশা একটা ছেলের সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলেছিল’!!তখন থেকেই কাব্য প্রচন্ড বেগে রেগে ছিল মাইশার উপর’!!আর রুমে ঢুকে মাইশাকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে আরো রেগে যায় কাব্য’!!আমচকা কাব্য “আহ” করে শব্দ করে উঠে সাথে সাথে মাইশা কাব্যের হাতে ফু দিতে থাকে’!!
“ভাইয়ার হাতে ব্যান্ডেজ দিয়ে ভাইয়া বলে উঠলামঃ
———“তুমি বিছানায় শুয়ে পরো ভাইয়া’!!
“আমার কথা শুনে ভাইয়া বলে উঠলঃ
———-“আর তুই’!!
———-“আমি ওই সোফাটায় ঘুমিয়ে পরছি’!!তুমি ঘুমাও’!!
———-“সোফায় ঘুমাতে হবে না বিছানায় ঘুমাবি তুই’!!
———“কিন্তু তুমি…….
———”কোনো কিন্তু নেই তাড়াতাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পর’!!(ধমক দিয়ে)
“ভাইয়ার ধমক শুনে আমি আর কিছু বললাম না’!!চুপ করে বিছানার মাঝখানে একটা কোলবালিশ রেখে ঘুমিয়ে পরলাম’!!
“এদিকে কাব্য মাইশার কাজে মনে মনে হাসলো’ কিন্তু বাহিরে তা প্রকাশ করলো না’!!তারপর সেও গিয়ে ঘুমিয়ে পরল বিছানায়’!!
__________________________________________
_____________________
“সকালে……….
“শাড়ি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!প্রচন্ড বেগে বিরক্ত লাগছে আমার’!” শাড়ি পরতে পারছি না’!!পাক্কা ১ ঘন্টা যাবৎ ট্রাই করছি এই শাড়ি পরার কিন্তু কোনো ভাবেই শাড়ির কুঁচি দিতে পারছি না আমি’!!এদিকে বিছানায় ঘুমিয়ে আছে কাব্য ভাইয়া না জানি কখন উঠে পরে’!!তাহলে তো আমার মান সম্মান সব চলে যাবে’!!এখন কি করবো’!!হর্ঠাৎই মাথায় ইউটুব আন্টির কথা মনে পরল’!!ব্যাস মোবাইলটা হাতে নিয়ে ইউটুব আন্টিদের একটা ভিডিও দেখতে লাগলাম আমি’!!বেশ কিছুক্ষন পর কোনোরকমের কুঁচি দিলাম আমি’!!কিন্তু খুব একটা ভালো হলো না হয়তো’!!ধুর শালা এইভাবে বিয়ে হবে আগে জানলে কিভাবে শাড়ি পরতে হয় মায়ের কাছ থেকে শিখে নিতাম ধুর ভালো লাগছে না’!!একরাশ বিরক্ত মাখা মুখ নিয়ে সোফায় বসে পরলাম আমি’!!এমন সময় কারো হাসির আওয়াজ শুনে সামনে তাকালাম’!!সামনে তাকাতেই অবাক আমি’!!কারন কাব্য ভাইয়া হাসছে’!!আশ্চর্য এভাবে হাসার কি আছে বুঝতে পারছি শাড়ি পড়া হয় নি তাই বলে এইভাবে হাসতে হবে নাকি’!!মেজাজটা আরো গরম হয়ে গেল’!!আমি সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললামঃ

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

———-“এভাবে হাসার কি আছে শাড়িটাই তো পরতে পারি নি’!!কোনো ব্যাপার না এখনি মামুনির কাছে গিয়ে আমি শাড়ি পড়ে আসছি’!!এই বলে পা বাড়াতে নিয়েও আবার থেমে গেলাম’!!কেন জানি না একটু সংকোচ বোধ হচ্ছে’!!কালকে যা হলো’!!
.
“এদিকে কাব্য মাইশাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হয়তো বুঝতে পেরেছে মাইশা কেন যাচ্ছে না’!!কাব্য কিছুক্ষণ মাইশার দিকে তাকিয়ে থেকে বিছানা থেকে নেমে এগিয়ে গেল মাইশার দিকে’!!
.
“হর্ঠাৎ করে ভাইয়াকে এইভাবে কাছে আসতে দেখে ভয়ে ঘাবড়ে গেলাম আমি’!!ভাইয়া আসতে আসতে অনেকটা কাছে চলে আসলো আমার’!!আমি চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছি’!!ভিতরে ভিতরে বুক কাপছে আমার’!!!
“হর্ঠাৎই ভাইয়া বললোঃ
———“আমি পড়িয়ে দিচ্ছি…..
“ভাইয়ার কথা শুনে অটোমেটিক চোখ বড় বড় হয়ে গেল আমার’!!কি বলছে কি ভাইয়া……..
———-“তুমি শাড়ি পড়িয়ে দিবে আমায়……
——–হুম………
“হাজারো অনিচ্ছা থাকা সত্বেও এক প্রকার বাধ্য হয়ে শাড়ি পরতে হলো ভাইয়ার কাছে……….
“ভাইয়া কুঁচি ঠিক করে দিয়ে চলে গেল ওয়াশরুমে’!!আর আমি এখনো শকট মুডে দাঁড়িয়ে আছি কি করে পারলো ভাইয়া শাড়ি পরাতে’!!এমন সময় ফোনটা বেজে উঠল আমার’!!উপরে আপুর নাম দেখে একরাশ অভিমান নিয়ে ফোনটা তুলে বললাম আমিঃ
———“তুমি খুব পঁচা আপু,, কেন করলে এমন আপু’!!কেন এত বড় মিথ্যা কথা বলালে আমাকে দিয়ে’!!এই বলে কেঁদে দিলাম আমি’!!
“আপু আমাকে এইভাবে কাঁদতে দেখে শান্ত গলায় বললোঃ
———-“শান্ত হয় মাইশা’!!আমি তোকে সব বলছি’!!
“আপুর কথা শুনে আমি নিজেকে শান্ত করে বললামঃ
———–“বলো কেন এমন করলে……..
“আপু এক দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললঃ
———–“তুই তো জানিস আমি একটা ছেলেকে ভালোবাসি’!!কিন্তু আব্বুর ভয়ে আমি তো ওর কথা বলতেই পারলাম না’!!তাই বাধ্য হয়ে এই মিথ্যা কথাটা বলতে হলো’!!আমার ক্ষমা করে দে বোন'”!!!
———–“কিন্তু এখন তোমার আরেকজনের সাথে বিয়ে হয়ে গেছে সেটা……..
“আপু মুচকি হেঁসে বললোঃ
———–“আমি যাকে ভালোবাসি তাকেই বিয়ে করেছি বোন কারন ওই হলো রাসেল’!!আমার ভালোবাসার মানুষ’!!
“আপুর কথা শুনে আমি যেন অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে গেলাম’!!
———“বাহ এত সুন্দর নাটক করলা কালকে……
———“সরি মাইশা আমি জানি আমি যেটা করেছি সেটা হয়তো আমার করা উচিত হয় নি’!!কিন্তু বিশ্বাস কর এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না’!!
———-“সব বুঝতে পেরেছি কিন্তু তাই বলে আপু কাব্য ভাইয়ার সাথে আমি কি করে থাকবো তুমি বলো’!!তুমি তো জানো আমি ভাইয়াকে কতোটা ভয় পাই’!!ওনার মতো এতো রাগী, আর বদমেজাজি মানুষের সাথে থাকা যায় তুমি বলো……
———–“একটু কষ্ট করে নে’!!তবে আজ একটা কথা বলি আমার এই কাজের জন্য একদিন তুই আমায় ধন্যবাদ দিবি’!!!কারন কাব্য যে তোকে……….
“এতটুকু শুনতেই এমন সময় পিছন কাব্য ভাইয়া বলে উঠলঃ
———–“কার সাথে কথা বলছিস তুই……….
“হর্ঠাৎ করে ভাইয়া আওয়াজে ভয় পেলাম আমি’!!আমি আমতা আমতা করে বললামঃ
——–না মানে আপু’!!এই রে আপুর সাথে বলা কথাগুলো সব শুনে নিলো নাকি ভাইয়া’!!(মনে মনে)

কতোটা চাই তোকে পর্ব ১

———“তুই কি বলেছিলি রিয়াকে…..’!!এই বলে ভাইয়া সামনে এগোতে লাগলো আমার দিকে’!!যা দেখে ভয় পেয়ে গেলাম আমি’!!
“এই রে সব শুনে ফেলেছে মনে হয়’!!এই ভেবে এক প্রকার দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম আমি’!!আজকে আর যাচ্ছি না ভাইয়ার সামনে’!!এই ভেবে নিচে চলে আসলাম আমি’!!নিচে নামতেই দেখলাম………..

কতোটা চাই তোকে পর্ব ৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.