তুমিময় অসুখ সিজন ২ - Golpo Bazar

তুমিময় অসুখ সিজন ২ পর্ব ৮ || romantic golpo bangla

তুমিময় অসুখ ২

তুমিময় অসুখ সিজন ২ পর্ব ৮
লেখা-ইশরাত জাহান ফারিয়া

আনিশা আপু কোমড়ে হাত দিয়ে সন্দেহী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
গোলগোল চশমা ভেদ করে বাদামি চোখ মেলে আমার দিকে এভাবে তাকাতে
দেখে আমিও ভাবুকের মতো আপুর দিকে তাকিয়ে রইলাম! আপু বললো, ‘ এভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? কিছু ভাবছিস?’
‘ হুম।’
‘ কি?’
‘ ভাবছি আমি কোথায় আসলাম। বাংলাদেশ নাকি সুইজারল্যান্ড!’
আনিশা আপু ভ্রু কুঁচকে বলল, ‘ এরকম মনে হবার কারণ?’
‘ তোমাদের এই জায়গাটা, বাড়িটা কত সুন্দর!’
‘ ভাবাভাবি বাদ দিয়ে ভেতরে আয়।’

আমি চারপাশে চোখ বুলিয়ে পা বাড়ালাম সামনে। ছোট্ট দুটো সিঁড়ি বেয়ে
বারান্দায় উঠে এলাম। সামনে বিশাল ড্রইংরুম, বাঁ দিকে ডাইনিং রুম। দুটোর
স্পেসে আছে রান্নাঘর। আম্মুরা বয়স্ক মহিলাদের সাথে কথা বলছেন, ইলহাম
বাচ্চাদের খুব ভালোবাসে। সেজন্য বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা শুরু করেছে। আমি
চাচ্চু আর বড়চাচীকে কুশল বিনিময় করলাম। সবার সাথে কথাবার্তা বললাম, হাউকাউয়ে একসময় বিরক্ত হয়ে গেলাম। মাথাব্যথা হয়ে যাচ্ছিলো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

আনিশা আপু আমাকে ওর রুমে নিয়ে গেলো। আমি ফ্রেশ হলাম। বসে বসে
জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইলাম। কি সুন্দর দৃশ্য! কতফুট উঁচুতে এই বাড়িটা
আমি জানিনা, তবে মানুষদের একটা বিড়ালের সাইজ মনে হচ্ছে। বিশাল বিশাল
পাহাড়েরা যেন আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ চোখ পড়লো ছোট একটা
জলস্রোত, উপর থেকে পানি গড়িয়ে নিচে পড়ছে। ঝর্ণা নয়, তবুও এটাকে আমি
ঝর্ণা নামেই আখ্যায়িত করলাম। মনে হচ্ছে, পাহাড়টা বোধহয় কাঁদছে আর
সেগুলো ঝর্ণার জল হয়ে গড়িয়ে পড়ছে! চারদিকে সবুজ গাছপালা, হালকা
কুয়াশা আর আকাশে ভেসে বেড়ানো বিশাল বিশাল তুলোর ন্যায় মেঘের সমুদ্র।

উফ…কি অস্থির দৃশ্য! অভ্র ভাইটা যদি বুঝতো তাহলে লোকটাকে এখানে নিয়ে
আসা যেতো। আর এই অবস্থায় তো আমি হাঁটতে বা ঘুরাঘুরি করতে পারবোনা,
অভ্র ভাইকে বলতাম আমাকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখাতো!
বউ-বাচ্চা নিয়ে ঘুরার মজাটা তখন বুঝতো! কিন্তু লোকটা এসব চায়-ই না। একবুক দুঃখকে সাথী করে দূরের ঝর্ণার পানে চেয়ে রইলাম। আমার চোখ ভিজে
উঠলো। একটা পুরোনো গানের কথা মনে পড়লো!

.

‘পাহাড়ের কান্না দেখে,
তোমরা তাকে ঝর্না বলো।
ঐ পাহাড়টা বোবা বলে
কিছু বলে না।
তোমরা কেন বোঝনা যে ?
কারো বুকের দুঃখ নিয়ে কাব্য চলেনা।
পাহাড়ের কান্না দেখে
তোমরা তাকে ঝর্না বলো।
ধরতে বুকে এক ফোটা জল
কেউ জানেনা কত ব্যথায়
মেঘের হৃদয় হল কাজল!
তোমরা দেখো বৃষ্টি নূপুর।

দেখনা,আঘাত ছাড়া মেঘ তো গলেনা
ঐ কালো মেঘ বোবা বলে কিছু বলেনা
তোমরা কেন বোঝনা যে?
কারো বুকের দুঃখ নিয়ে কাব্য চলেনা।
পাহাড়ের কান্না দেখে
তোমরা তাকে ঝর্না বলো।
ফুটতে বনে এক গোছা ফুল
কেউ জানেনা কি আগুনে
রঙ্গের নেশা হলো আকুল!
তোমরা দেখ মিষ্টি বরণ।
দেখনা,দহন ছাড়া অগ্নি জ্বলেনা
ঐ ফোটা ফুল বোবা বলে কিছুই বলেনা
তোমরা কেন বোঝনা যে?
কারো বুকের দুঃখ নিয়ে কাব্য চলেনা।
পাহাড়ের কান্না দেখে
তোমরা তাকে ঝর্না বলো!’

.

কে যেন আমার কাঁধে হাত রাখলো। আমি পেছনে ঘুরে দেখি আনিশা আপু।
বললো, ‘কি ভাবছিস ইরু?’
‘ কিছুনা।’
‘ আচ্ছা একটা কথা বলতো!’
‘ কি?’
‘ অভ্র ভাইয়া এলোনা কেন?’
‘ পাগলছাগল মানুষ, ওনার কথা বাদ দাও।’
‘ আবার কি করলো?’
‘ বিশাল এক ইতিহাস!’
‘ বলতো কি হয়েছে?’

আমি আপুকে সবটা ঘটনা খুলে বললাম। আপু বিস্তারিত শুনে এতো অবাক হলো
যে কয়েকমিনিট কথাই বলতে পারলোনা। আমি বললাম, ‘এবার বুঝলে?’
আপু মাথা নাড়িয়ে বললো, ‘এতো সাংঘাতিক ছেলে!’
‘ হবেই তো। বিয়ের রাতে আমাকে কি বলেছিলো জানো?’
‘ কি?’
‘ বলেছিলো আমাকে নিয়ে টইটই করে ঘুরবে আর নতুন নতুন মেয়ে পটাতে আমি
যাতে ওনাকে হেল্প করতে পারি। ইভেন ওনার বন্ধুর সাথে নাকি আমাকে ভালো
মানাবে, ওনি আমার মতো নিরামিষ মেয়েকে প্রেম করা শিখাবে। আচ্ছা,
বলোতো! কোনো বর তার বউকে এইসব কথা বলে? বুঝলা? কেমন পাগলের
পাল্লায় পড়েছি! আর এখন তো আরেক ঝামেলা শুরু করেছে।’

.

আপুর মুখটাতে হালকা ভয়ের ছাপ দেখা গেলো। বললো, ‘আমার বর যদি এমন
হয়? ও আল্লাহ! আমি হার্টফেল করে মরেই যাবো।’
আমি হাসলাম। বললাম, ‘এরকম হবেনা নিশ্চিত। অভ্র ভাই দ্বিতীয়টি এই
পৃথিবীতে নেই। সো রিল্যাক্স আপু।’
আপু হাসলো। বললো, ‘আসলে আমার মনে হয়, বেচারা তোকে ভালোবাসে।
সেজন্যই তো এরকম করছে। ভালোবাসার জন্য মানুষ কতকিছু করে, নিজের
জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয়। সেখানে তুই বউ বলে কথা।’

‘ এটা আমার প্রতি মায়া। ভালোবাসা নয়!’
‘ সেটা অন্যবিষয়! এখন এতোদিন থাকলি, মায়াটাই ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে।
অনেকে আছে যারা রাগী, ইগো বেশি। তারা ভালোবাসলেও কখনো মুখফুটে
কিছু বলেনা। রাগ দেখায়, কেয়ার করে। চোখের আড়াল হতে দেয়না, এটাই ভালোবাসা। তুই ছোট তাই বুঝলি না!’

বলে আপু মুচকি হেসে উঠে গেলো। আমি ভাবছি এগুলো কি সত্যিই? একসময়ের
বখাটে ট্যাগ পাওয়া লোকটা কি আজ আমায় সত্যিই ভালোবাসে? আর আমাকে
হারাতে চাইছেনা?সেজন্যই বাচ্চাকে এবোরেশন কর‍তে বলছে? কিন্তু যাইহোক,
এটা অন্যায়। আমি ওনার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য নিজের বাচ্চাকে বলি দিবোনা, এটাই ফাইনাল এন্ড লাস্ট ডিসিশন।

.

কিছুক্ষণ পরে আনিশা আপু ট্রেতে করে দুধ, কিছু ফল, আর পায়েস নিয়ে এলো।
আমি খেতে না চাইলেও জোর করে খাইয়ে দিতে লাগলো। অবশ্য খাবারের গন্ধ
শুনে বমি বা গা গুলানো ভাবটা আমার নেই। বেশ সুস্থ আছি!

রাতেরবেলা আমি আর ইলহাম আপুর রুমে থাকবো। গেস্টরা অন্যান্য ঘর দখল
করে নিয়েছে। বিয়েবাড়ির ঝামেলায় সবাই খুব ক্লান্ত। দুদিন পরই বিয়ে! আপুর
রুমের জানালাটাই আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয়। আমি ঠিক করেছি জানালার
ধারেই শুবো। কিন্তু বিধিবাম আমার ছোট বোন! সে কিছুতেই আমাকে এখানে
শুতে দিবেনা, নিজে শুবে। আমিও নাছোড়বান্দা। পরে আনিশা আপু অনেক
বুঝিয়ে সুঝিয়ে ইলহামকে অন্যপাশে শুতে বললো।

আহা! কি ঝিরিঝিরি বাতাস, মনটা জুড়িয়ে যায়। খোলা জানালা ভেদ করে
গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির ছিঁটেফোঁটা এসে পড়ছে গায়ে। আমার খুব আনন্দ লাগছিলো।
বালিশে হেলান দিয়ে বসে আনিশা আপুর মোবাইলে ওর বরের ছবি দেখছি। দেখে
ভালো ছেলেই মনে হলো, একটা ব্যাংকের ম্যানেজার! দেখতে খারাপ না, আপুর
সাথে বেশ মানাবে। আমার একপাশে আপু, অন্যপাশে ইলহাম। সবাই-ই মিলে
দেখছি। তারপর ফেসবুক স্ক্রল করলাম। কিছুক্ষণ এটা-সেটা দেখলাম, হাসাহাসি
করলাম। ইলহাম আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে হঠাৎ বললো, ‘ভাইয়াকে সার্চ
দিই?’

.

আনিশা আপু বললো, ‘দে দেখি!’
ইলহাম “অভ্র আহমেদ ফারবিন” লিখে সার্চ কর‍তেই ভেসে উঠলো ওনার আইডি।
আমরা ঘেটেঘুটে দেখতে লাগলাম এবং আমি বেশ অবাক হলাম। প্রোফাইলে দুটো
কিউট টুইন বাচ্চার ছবি দেওয়া, কভারে ওনার পিকচার। ওনার ছবিতে
হাজারেরও বেশি লাইক, কমেন্ট! কি ছবি আপলোড দেয়…বাবারে!! যেমন
অভ্র, ঠিক তেমন তাঁর ছবি। কিন্তু বাচ্চার ছবি ডিপি’তে রাখার মানেটা কি?

বুঝলাম না। নিজের বাচ্চাকে মারতে চেয়ে আবার ভালো বাবা সাজার নাটক
করছে নাকি সোশ্যাল সাইটে? যত্তসব ঢং!! আসলে মানুষ তাঁর বাস্তব জীবনে
এক, সোশ্যালে আরেক। ওখানে কে ভালো, কে মন্দ বোঝা যায়না। কাউকে
বিশ্বাস করতে গেলে ভয় হয়। সুযোগ পেলে অপমান কর‍তেও ছাড়েনা! যাইহোক,
আপুর এটা ফেইক আইডি, আইডির নাম ‘জহির মিয়া’। সেজন্য আপু একটা
প্ল্যান করলো। সেইমতো অভ্র ভাইয়ের ইনবক্সে গিয়ে লিখলো ‘আসসালামু
আলাইকুম!’

অভ্র ভাই বোধহয় লাইনেই ছিলো। মিনিট পাঁচেক পর উওর আসলো,
‘ওয়ালাইকুম সালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু!’
আপু লিখলো, ‘কেমন আছেন?’
‘ আলহামদুলিল্লাহ!’
‘ আপনার ডিপি’তে বাবুর পিকগুলো কার? আপনার বেবির?’
‘ নাহ!’
‘ তাহলে কার?’
‘ আপনাকে বলবো কেন? আজব তো!’
মনে হচ্ছে ওনি বোধহয় রেগে গিয়েছেন। আপু লিখলো না মানে, আমি
আপনাকে চিনি।
‘ চিনেন মানে? কে আপনি?’
‘ ইরামের বন্ধু!’

.

ওপাশ থেকে কিছুক্ষণ নিরবতা। তারপর বললেন, ‘ ইরুর যে বন্ধু আছে আমিতো
জানতাম না?’
‘ আসলে ও আমার বন্ধুও নয়। আমরাতো দু’বছর যাবৎ প্রেম করছি। ইভেন
এখনো কন্ট্যাক্টে আছি।’
অভ্র ভাইয়া রেগেছেন। লিখলেন, ‘মিথ্যা বলার জায়গা পাস না?’
‘ মিথ্যা বলবো কেন? ওকে আপনি যেমন দেখেন ও কিন্তু ততোটাও সাধাসিধা
নয়। উপরে এক, ভেতরে আরেক। নেহাতই ওর ফ্যামিলি জোর করে ওর বিয়ে
দিয়েছে, নইলে কখনোই আপনাকে বিয়ে করতোনা। আমি তো আজও ওকেই
ভালোবাসি!’

এদিকে আপু এসব লিখছে আর আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। আপুর প্ল্যানটা
ঠিক কি বুঝলাম না। তবুও দেখি ইলহাম আর আপু মিলে কি কর‍তে পারে! হা হা।
অভ্র ভাই লিখলেন, ‘ চুপ। আমি তোর কথা বিশ্বাস করিনা।’
‘ ছবি পাঠাবো? আমাদের দুজনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিন্তু অনেক ছবি আছে,
চাইলে দিচ্ছি। কিন্তু ছবিগুলো এ্যালবাম থেকে কালেক্ট করতে হবে। আপাতত
নেই।’
‘ অন্তরঙ্গ মুহূর্ত মানে? কি বলতে চাইছিস তুই?’

.

আমি “আস্তাগফিরুল্লাহ” বলে আপুর দিকে তাকালাম। আপু হেসে বললেন, ‘দেখ
কেমন জব্দ করি, তুই শুধু মজা নে ইরু। হা হা হা!’
আপু লিখলো, ‘ এটাতো আপনার বোঝার কথা। আচ্ছা আমি বিশ্লেষণ দিচ্ছি,
ওকে?’
‘ তোর বিশ্লেষণ আমি চাইনি, কি বলতে চাইছিস তুই কু* বাচ্চা?’
আপু আর আমি হেসে দিলাম। ইলহাম হাসতে হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে, পেট
ফেটে হাসি আসছে। জ্বলছে, ব্যাটা অভ্র ভালোই জ্বলছে!
আপু আমাকে বললো, ‘এবার আসল বোমটা ফাটাই?’
আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘আর কিছু বাকি আছে?’
‘ আসল ক্লাইমেক্স এখন শুরু। সো এনজয়!’
‘ ওকে!’

এদিকে অভ্র ভাই বারবার গালাগালি দিচ্ছে। ওনি লিখেছেন, ‘কথা বলছিস না
কেন? এই কথা বল। মিথ্যেবাদী, জোচ্চোর। ইরুর নামে মিথ্যা বলিস শালা
হারামি। তোর জিভ যদি টেনে না ছিঁড়ি আমার নামও অভ্র নয়।’
আপু লিখলো, ‘রিল্যাক্স! আমি সোজাসাপটা কথা পছন্দ করি তো বলে দিচ্ছি।’
‘ কিসের কথা?’ ওপাশ থেকে বললো।

.

‘ আসলে ইরাম তো এখন প্রেগন্যান্ট! আর ও এখন চাইছে বাচ্চাটাকে এবোরেশন
করে ফেলতে। প্রথমে চাইছিলো না, আসলে মা তো। কিন্তু আমি অনেক করে
বুঝালাম যেখানে বাচ্চার বাবাই তাঁর সন্তানকে চাইছেনা তখন ইরামের রেখে লাভ
কি? ওটাকে নষ্ট করে ফেলতে। তারপর ও আমার কাছে চলে আসবে, দ্যান
আমরা বিয়ে করে সুখে থাকবো। কার না কার বাচ্চা, একে আমি কেন পুষবো?
আমি আমার বাচ্চাকেই শুধু দেখবো।আসলে একটা বাচ্চাই তো সম্পর্কের আসল ভিত্তি, সম্পর্ককে এক সুতোয় গেঁথে রাখে। বাচ্চা না থাকলে সম্পর্কের মূল্যই কি?
বাচ্চার জন্যই তো বাবা-মা কখনো আলাদা হয়না, তাই না? আর ইরামের আর
আপনার বাচ্চাটা তো হুদাই, একে নষ্ট করেই আমি আর ও নতুন জীবন গড়বো।’

এই-ই ছিলো আপুর আসল উদ্দেশ্য! আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। অভ্র ভাই
ম্যাসেজ সিন করেছেন অনেকক্ষণ তবু রিপ্লাই করলেন না। প্রায় বিশমিনিট পরে
ভয়েজ নোট এলো। আপই প্লে করলো। অভ্র ভাইয়ের রাগী গলা। বলছেন, ‘ তোর
প্ল্যান আমি সাকসেস হতে দেবোনা। জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ ইডিয়ট। তোকে বের
করে ছিঁড়ে যদি না ফেলি দ্যান আমিও মানুষ না। আমার বাচ্চাকে মেরে তুই
সুখের সংসার করবি এটা হতে দেবোনা। আমি আমার সন্তানের কিছু হতে
দেবোনা, না ইরুকে! বিকজ আই লাভ হিম… আই লাভ হিম এ লট!!’
👉“গীবতকারী ও শ্রোতা উভয়ে পাপের শামিল।”

তুমিময় অসুখ সিজন ২ পর্ব ৭

রাসূলুল্লাহ্ (সা:) বলেন,
‘পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’(বুখারী ও মুসলিম) আল্লাহ
তায়ালা আমাদের সহায় হউন ,আমীন।”
👉”যেকোন কঠিন পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়বেন না। হতাশ হবেন না। আল্লাহর
ব্যাপারে সুধারণা রাখবেন।তাঁর রহমতের ব্যাপারে আশাবাদী হবেন।
সাহায্য আসবেই – এটা আল্লাহর ওয়দা।

“জেনে রাখ নিশ্চয়ই ‘আল্লাহর’ সাহায্য অতি নিকটে।”[ সুরা বাকারাহঃ২১৪]
আর অন্যত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেনঃ
“নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয়
না।”
~ [সুরা ইউসুফঃ৮৭]

তুমিময় অসুখ সিজন ২ পর্ব ৯

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.