দ্বিতীয় বাসর পর্ব ২
writer – Arfin Sumon
আমি ক্রাশ খাইলাম রে ক্রাশ খাইলাম
আবার আমার বউয়ের উপর। আমি তাকিয়ে
আছি অপলক দৃষ্টিতে। কেমন যেন অদ্ভুত
মায়ায় পড়ে গেলাম মুহুর্তের মধ্যে চোখে কি
মায়া!!!! যেন অতল সমুদ্রে আমি এক খন্ড
পাথর হয়ে ডুবে চলেছি তার গভীর
তলদেশে। শত চেষ্টা করেও সে মায়া
উপেক্ষা করতে পারছি না আমি। মেয়েটা
লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে নিল। আর সব কিছু
ঘটে গেল মুহুর্তের মধ্যে কিছুই বুঝলাম না।
আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি ডুবে চলছি
যুগ যুগ ধরে সেই চোখের অতল গহব্বরে। আমি
তার মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম
পুর্নিমার এক খন্ড চাঁদ যেন আমার ঘরে
এসে গেছে তাও আবার আমার সামনে।তার
রুপের বর্ননা লিখে প্রকাশ করতে পারব
না আপনাদের দেখতে হবে কিন্তু আমার
বউতো কাওকে মুখ দেখাবে না।
হিহিহিহিহি,,যাক বাবা ক্ষ্যাত হলেও সেই একটা বউ
পাইছি। এর মধ্যে সে খাটে গিয়ে বসে
পড়ল। আমিও গিয়ে তার পাশে বসলাম পরে
যখনি তার হাতটা স্পর্শ করতে যাব তখনি
সে বলে দিল…
আরও গল্প পড়তে ভিজিট করুন
একাঃ- খবরদার আমার কাছে স্বামীর অধিকার
খাটাতে আসবেন না।
এই কথা শুনে তো আমি অবাক কিরে এই
মেয়ের আবার কোনো লাভার আছে
নাকি?
আমিঃ- কেনো কি হল।
একাঃ- কোনো বেনামাজির সাথে আমার
কোনো সম্পর্ক থাকতে পারেনা।(শান্ত
সুরে বলল)
যাক বাবা তাহলে তার লাভার নাই।
আমিঃ- তাহলে আগে বুঝা উচিত ছিল। এখন এই
মুহুর্তে তুমি এইসব বলছো কেনো??(রাগান্নিত
সুরে)
একাঃ- শান্ত সুরে কথা বলছি বলে ভাববেন না
যে আমি দুর্বল। আর রাগ আল্লাহ তায়ালা
হারাম করে দিয়েছেন। আপনিও সংযত
হোন। আমার সকল পছন্দ আমার মা-বাবা।
তারা যেখানে বিয়ে দিবেন সেখানেই
রাজি।
আমিঃ- ওও তাইতো ডাকলেন কাজী। আর আমায়
সাজায়লেন পাঁজী।
একাঃ- থামেন আগে আমাকে বলতে দেন।
আমিঃ- বাবা বিয়ে করলাম আর বাসর রাতে
বউয়ের লেকচার শুনতে হয়। হায়রে কপাল
আরো কতকি জানি দেখতে হয়। হুম বলো।।
একাঃ- হুম প্রথমে আপনার সাথে বিয়ে দিতে
রাজী ছিলেন না। আপনার বাবা মা
আমাকে পছন্দ করেছে আর তাদের
জুরাজুরিতে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
আর আপনার বাবার বন্ধু আমার চাচা তার
কথাতেই রাজী হয়েছে। আর আমাদের
বিয়েটা হয়েছে।
(মনে মনে বললাম বাবারে বাবা এখন যা
দোষ সব আমার মা-বাবার আর হুম মা- বাবা
জুরাজুরি করে ভালোই করেছে নাইলে এমন
পরী পাইতাম কই যাক ওরে
এইসব বুঝতে দেওয়া যাবেনা)
আমার নিরবতা দেখে সে আবার বলতে শুরু করল..
একাঃ- আমারো পছন্দ আমার মা-বাবার হাতেই
তাই আপনাকে না জেনেই না বুঝেই রাজী
হয়েছি।
আর আমার পছন্দ আমার প্রেমিকা নাই
দেখে আপনাকে না দেখে বিয়া করছি আর
বাসর রাতে জ্বালা পাইতাছি।(বিড়বিড় করে বললাম)
একাঃ- এই কি বিড় বিড় করতেছেন।
আমিঃ- নাহ কিচ্ছু না। তো আপনি এখন কি
চাচ্ছেন???
একাঃ- আমি চাই আমার স্বামী আল্লাহর
রাস্তায় আসুক। রাসুলের সুন্নাত তার
শরীরে দেখতে চাই।
আমাদের ফেসবুক গুপ এ জয়েন হউন
আমিঃ- আমি আর কিছু বলতে পারলাম না কারন
সারাজীবন শুনলাম ছেলেরা বিয়ের আগে
দাড়ি রাখলে মেয়েরা বিয়ে করতে
চায় না। তাদের নাকি সমস্যা আর আমার বউ
বলে আমাকে আগে সুন্নতি লেবাস পড়তে
হবে মানে আমাকে ভালো হতে হবে। আমি শুধু
ভাবছি এই আধুনিক শহরে এমন কেউ কি
আছে আদৌ? হয়ত আমি তার যোগ্যনা। কি
ব্যাবহার, কি সুন্দর তার কথা গুলো,কি
নিষ্পাপ চাওয়া গুলো। আমি সত্যি তার
সাথে বেমানান। ভাবনার জগত থেকে
বেরিয়ে এসে বিছানা থেকে নেমে
আসলাম। তার কথার অর্থ কিছুটা হলেও
বুঝতে পারছি। সুফাতে বালিশ নিয়ে শুয়ে
পরছি আর ভাবছি সালার জীবন বাসর
রাতে সবাই নাকি মারে বিড়াল আর আমি
মারি মশা। অইযে মাইয়াডা ফেশিয়াল হরব
আইনাদে তারে শষা ।
দ্বিতীয় বাসর পর্ব ১
কত স্বপ্ন আছিল বাসর রাত লইয়া সব পানি
হইয়া গেলো। এই বিয়া নিয়া কত স্বপ্ন
দেখতাম সব শেষ। বাসর রাতে ঘুমান লাগে
সোফায়। আর সালার একটা শালী ও নাই।
সজিব কত কইতো দোস্ত তুই বিয়া করলে
তোর শালীর লগে আমি প্রেম হরুম
আহারে বেচারা সজিব তোর কি হবে রে।
হিহিহিহিহি হে ও পারল না।
আরে ভাই মনডারে শান্তনা দেই।
হিহিহিহিহি
ওই মেয়েটা মানে আমার পরী থুক্কু বউ ও
ঘুমায় গেছে। আমিও ঘুমায় গেলাম কহন তা
জানিনা। হঠাৎ মাঝরাতে ঘুম ভেংগে
গেলো পরে দেখি..!!!!