দ্বিতীয় বাসর পর্ব ৪ || Romantic Golpo || Golpo Bazar

দ্বিতীয় বাসর

দ্বিতীয় বাসর পর্ব ৪
writer – Arfin Sumon

শুধু সেই চোখের দিকে তাকিয়ে আমি
যেনো হারিয়ে যাচ্ছি সেই অতল সাগরে।
আমার কত স্বপ্ন ছিল আমার বউকে নিয়ে
যখন ঘুরতে বের হবো তখন সে নীল রংগের
একটি শাড়ি পড়বে কপালে থাকবে
টিপ,হাতে থাকবে নীল চুড়ি মানে আমার
নীল পরী কারন আমার পছন্দের কালার
হলো নীল। এভাবেও যে সুন্দর লাগে তা
আগে খেয়াল করি নাই। ভাবনার জগত
থেকে বেরিয়ে আসলাম বউয়ের কাশির
শব্দ শুনে..

একাঃ- এহেম, এহেম!! যাবেন নাকি এইভাবেই
তাকায় থাকবেন??
আমিঃ- হুম চলেন।(লজ্জা পাইয়া গেলাম)
একাঃ- এর আগে মেয়ে মানুষ দেখেননি নাকি
হুম?? হা করে তাকিয়ে আছেন যে।।
আমিঃ- না মানে দেখছি তবে এইভাবে না।
(সালার কি dangerous মেয়েরে বাবা
দেখছে লজ্জা পাইছি তার পরেও)
একাঃ- হুম ভালো তবে দেখার চেষ্টাও করবেন
না। দেখলে..
বলার আগেই আমি বলে উঠলাম
আমিঃ- দেখলে কি করবেন হুম।
একাঃ- আগে দেখেন না পরে দেখেন কি করি।

আরও গল্প পড়তে আমাদের ফেসবুক গুপে জয়েন হউন

বাবা মেয়েটা এই দিক দিয়ে সব মেয়েদের
সাথে এক কারন মেয়েরা তার পছন্দের
মানুষের ভাগ আর কাওকেই দিতে চাইনা।
তারা চাই সব সময় তার পছন্দের মানুষ যেন
সব সময় তার পাশেই থাকে তাকে ছাড়া
যেন আর কাওকে সে না ভালোবাসে। তার
মানে আমার বউ ও আমাকে ভালোবাসে
হুররে। থাক এতো খুশির কিছু হয়নাই।
একাঃ- কি যাবেন না নাকি?
আমিঃ- হুম চলেন। তবে কোথায় যাবেন?
একাঃ- আপনি যেখানে নিয়ে যাবেন তবে পরে
আমার পছন্দের জায়গাতেও যাব। বলে
চশমা টাও পড়ে নিল।

আমিঃ- হুম চলেন। বলে আমি গাড়ি ড্রাইব
করতেছি আর ও আমার পাশে বসে আছে।
মনে হচ্ছে আমি তার প্রেমে দুর্বল হয়ে
পড়ছি পরে তাকে নিয়ে গেলাম আমাদের
ভৈরবের ব্রিজের কাছে যেখানে অনেক
সুন্দর জায়গা আছে। অইখানে ঘুরে আড্ডা
দিয়ে পরে তাকে নিয়ে গেলাম আরেক
সুন্দর জায়গা আশুগঞ্জ দ্বীপ এর মতো চরে
যেখানে চারপাশে শুধু পানি কিন্তু ওই চর
বাদে অনেক ঘুরাঘুরি করলাম প্রায় সন্ধ্যা
হয়ে আসল। সালার আরেক জ্বালা আছে
ব্রিজের নিচে প্রেমিকা নিয়া গেলেই
কত পিক তুলে মানুষ আর আমার বউতো পিক
তুলতেই দিল না। এইখানে মেঘনা নদীর কত
সুন্দর জায়গা কত জায়গা থেকে লোক
আসে আমার বউতো পিক ওই তুলতে দিল না।

আরও গল্প পড়তে আমাদের ফেসবুক গুপে জয়েন হউন

আর হুম আরেকটি কথা আমি তো অন্য কোন
মেয়ের দিকে তাকাতেই সাহস পাইনাই
কারন বউ যা বইলা আনছে
আর ওর মতো বউ পাশে থাকলে অন্য মেয়ের
দিকে তাকানো ইম্পসিবল। আরেকটা কথা
আমার মনে পড়তে লাগল যে যারা
প্রেমিকা নিয়া অইখানে বসা মাঝে
মাঝে বাজে ছেলেরা তাকায় আছে যেন
মনে হয় গুড় ওয়ালা গুড় নিয়া বইসা আছে
আর তার আশেপাশে শত শত মাছি আসা
যাওয়া করে। কিন্তু দেখলাম আমি আমার
বউকে নিয়া যতক্ষণ বসা ছিলাম আমাদের
কেউ ডিস্টাব করেনি তার মানে এইটা
বুঝলাম যে ইভটিজিং এর পিছনে এই সবের
ও কিছু হাত আছে। যদি মেয়েরা হিজাব
করত তাহলে কিছুটা হয়ত কমে আসতো।
এই দিক দিয়া আমি খুশি যে আমার বউ গাইয়া
হলেও তা শুধু আমার সে আর অন্য কারো না
আর তার পাশে তো মাছি আসে না
হিহিহিহিহি। আমি এইসব ভেবে হাসতেছি
তখনি সে আমার দিকে তাকিয়ে…

দ্বিতীয় বাসর পর্ব ৩

একাঃ- কি হল হাসেন ক্যা।
আমিঃ- নাহ এমনি।
একাঃ- এত হাসলেতো মানুষে পাগল কইব।
আমিঃ- আমি তো পাগল ওই।
একাঃ- এএএএ
আমিঃ- এএ না হ্যাঁ
একাঃ- যেমন
আমিঃ- তা জানা লাগবেনা। চলো সন্ধ্যা হইছে
তোমার পছন্দের জায়গা থেকে ঘুরে আসি।
একাঃ- নাহ। আজ না আজকে তারাতারি বাসায়
গিয়ে নামাজ পড়তে হবে। পরে আরেকদিন
যাব।
আমিঃ- বাহ! কি সুন্দর চিন্তাভাবনা নামাজ মিস
দিবেনা আর আমি তো অনেকদিন
মসজিদের পাশে বসে থেকেও নামাজে
যাই নাই। তার এইসব কিছু আচরন আমাকে
তার দিকে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করছে।
পরে গাড়িতে বসে চলে আসলাম। বাসায়
আসার পর মাকে ও সালাম দিল মা ও ওর
সালাম নিল পরে মা ওকে জিজ্ঞাস করল
মা কেমন লাগল আজ।

একাঃ- হুম আলহামদুলিল্লাহ মা ভালো লাগছে।
আপনি নামাজ পরবেন না।
মাঃ- হুম মা পড়ব তো।
একাঃ- চলেন,,(আমাকে উদ্দেশ্য করে) মা আপনি যান আমি একটু ফ্রেশ হয়ে
ওজু করে আসতেছি।
বলে ও রুমে চলে গেলো মা অনেক খুশি এমন
বউমা পেয়ে আর আমি তা না হয় না ওই
বললাম।
পরে ও রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে মায়ের রুমে
গেলো মায়ের সাথে নামাজ পড়তে।

দ্বিতীয় বাসর পর্ব ৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.