দ্বিতীয় বাসর পর্ব ৫
writer – Arfin Sumon
পরে ও রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে মায়ের রুমে
গেলো মায়ের সাথে নামাজ পড়তে। আর
আমি আসার সময় বাদাম কিনে আনছিলাম
খাব বলে কারন ওইখানে তো মহারাণী
কিছুই খাই নাই হিহিহিহিহি যাক টাহা
বেছে গেলো। আমি বিছানায় শুয়ে আছি
তখন সে আসল আমার পাশে বসল আর বলল…
একাঃ- আপনি নামাজে যান নাই।
আমিঃ- নাহ।
একাঃ- ধ্যাত।
আমিঃ- কি হল।
একাঃ- নাহ কিছুনা আপনি নামাজ পড়েন না
কেনো।
আমিঃ- হুম পড়ব। তা পরে।
একাঃ- হুম। তা কি করেন?
আমিঃ- বাদাম খাচ্ছি দেখেন না আপনাকে
নিয়ে ঘুরতে গিয়েতো কিছুই খাই নাই(একটু
খোচাঁ দিলাম)
একাঃ- হুহ।
আরও গল্প পড়তে আমাদের ফেসবুক গুপে জয়েন হউন
আমিঃ- আচ্ছা কিছু বাদাম ছোলাই দেন না।
আমার কত ইচ্ছা ছিল আমার প্রেমিকা
নাইলে বউ আমারে বাদাম ছোলাই দিব আর
আমি তা খাইব।হিহিহিহিহি (একটু
রোমান্টিকতার চেষ্টা)
একাঃ- এহহহ শখ কত!
আমিঃ- আচ্ছা আপনি না দিলে নাই। আমি একটা
প্রেম করব নে পরে আমার প্রেমিকা
আমাকে ছোলাই দিব।
একাঃ- এইইই মেরে ফেলব কিন্তু।
আমিঃ- হুহ নিজেও ভালবাসবে না আবার কারও
ভালবাসা পেতেও দিবেনা। (ইমোশনাল
ডায়ালগ)
একাঃ- হুহ এখন না হয় আপনি বাদাম না ছোলাইয়া
চিবাই খাইয়া ফালান পরে প্রেমিকা
আসলে দেখা যাইব নে।বলেই একটা মুক্তা ঝরা হাসি দিল। কি
মায়াবি হাসি তার মনে চাই তারে কইতে
আমি তোমায় ভালোবাসি বউ। কিন্তু
লজ্জা লাগে কারন সে আমায় এখন
রিজেক্ট করে দিবে আগে তার মনের মতো
হতে হবে আগে বলে দিছে। ভাবতেছি..
তখনি ছোট বোন এসে বলে গেল রাতের
খাবার খেয়ে আসতে।
পরে নিচে গিয়ে খেয়ে নিলাম। খেয়ে
এসে আবার শুয়ে পড়লাম পরে আমার বউ
মানে আমার স্বপ্নীলা আসল এসে বলল কি
হলো শুয়ে পড়লেন কেনো নামাজে যাবেন
না।
আমি কিছু বললাম না আর আমি বুঝলাম না
তার কথা শুনে যদি নামাজ পড়ি তাহলে
আমার কি ক্ষতি হতো। সে রাগ করে চলে
গেছে মায়ের রুমে গিয়ে নামাজ পড়ে
আসল। আর আমি ঘুমিয়ে গেলাম কি
ভাবতেছেন খাটে আরে না সেই কপাল
এখনো হয় নাই। আবার আজও সেই সোফা ঘুম
আসেনা তার পরেও ঘুমের চেষ্টা। কখন যে
ঘুমিয়ে গেলাম তা জানিনা সকালে ঘুম
থেকে চিৎকার দিয়ে উঠলাম আব্বা
তোমার বাসার ছাঁদ ফোটা হইয়া গেছে।
.
একাঃ- আরেএএ চিৎকার করেন কেন?
আমিঃ- পানি পড়তেছে ছাঁদ দিয়া তাই।
পরে ভালা কইরা চেয়ে দেখি পরীর হাতে
পানির জগ। আল্লা আমারে কি জ্বালায়
ফেললা না দেয় রাতে খাটে জায়গা না
দেয় একটু ঘুমের শান্তি। তার পরেও তার এই
দুষ্টুমি গুলো ভালোই লাগে।
একাঃ- আরে আমি পানি ঢালছি।
আমিঃ- অহ তা কেনো?
একাঃ- যান নামাজ পড়ে আসেন।
আমিঃ- এই মেয়ে এই তোমার সমস্যা কি হুম। একটু
ঘুমাতেও দিবা না শান্তিতে।(একটু রেগে
গিয়ে)
কিছু বলল না চলে গেলো। আমিও আর না
ঘুমিয়ে ফ্রেশ হয়ে গিয়ে নামাজ পড়ে
আসলাম।
পরে আসার পর আবার ঘুমিয়ে পড়লাম
সকালে নাস্তার শেষে আবার সেই
গতকালের মতো বন্ধুদের সাথে আড্ডা।
যাওয়ার আগে মাকে বলে গিয়েছিলাম
যেনো একাকে রেডি হয়ে থাকতে বলে
কারন আজকেও ঘুরতে যাব আমি দেখব তার
পছন্দের জায়গা। আজ বন্ধুদের সাথে বেশী
আড্ডা দিলাম না কারন আজকে আমি
আমার একা মানে স্বপ্নীলার পছন্দের
জায়গা দেখব। বিকালে তাকে বললাম
রেডি হতে সে রেডি হয়ে নিল। আজকেও
সেই সুন্দর সাজ তবে আজ অনেক সুন্দর
লাগতেছে।
একাঃ- চলেন যাবেন না।
আমিঃ- হুম চলো
পরে আমরা বের হলাম তার পছন্দের
জায়গার উদ্দেশ্যে। রাস্তায় তার সাথে
আমার তেমন কথা বার্তা হয়নি। আমি
গাড়ি ড্রাইভ করতেছি আর সে আমায় বলে
দিতেছে কোন রাস্তা দিয়ে যেতে হবে।
আমিতো মনে করছিলাম সে আমাকে না
জানি কত সুন্দর জায়গায় নিয়ে যায়। সে
জায়গাটি কি আমার নিয়ে যাওয়া
জায়গার চেয়েও সুন্দর হবে। কিন্তু একি
ওতো আমায় এমন রাস্তাতে নিয়ে যাচ্ছে
দেখতে গ্রামের মতো হঠাৎ একটা মাঠের
সামনে এনে বলল..
একাঃ- গাড়িটা সাইট করেন। আজ অনেক দিন পর
এইখানে আসলাম।
তারদিকে তাকিয়ে দেখলাম তাকে
অনেক খুশি খুশি লাগতেছে। আমিতো
অবাক আরে সালার সারা পথ তো এমন খুশি
ছিলনা তা এখন কেনো এত খুশি বুঝলাম
না।পরে তারে জিজ্ঞাস করলাম..
আমিঃ- এতো খুশির কারন টা জানতে পারি কি?
একাঃ- হুম অবশ্যয় আমি এই মাদ্রাসাতেই
পড়ালেখা করতাম।
এএএএ এইখানে মাদ্রাসা
আছে আমি জানতাম না।
.
সে বাহিরে গেলো আমিও গেলাম তার পর
দেখলাম অনেক ৪/৫ বছরের পিচ্ছি কিছু
বাচ্ছা তাকে এসে ঘিরে ধরল আর সবচেয়ে
মজার বিষয় হলো সবাই পাঞ্জাবী টুপি
পড়া বাচ্ছা গুলোকে অনেক সুন্দর
লাগতেছে। তখন সে আমার কাছে এসে বলল..
একাঃ- চকলেটের প্যাকেট গুলা দিন।
আর হুম আপনাদের তো বলাই হয়নি আসার
পথে বাজার থেকে কিছু চকলেট কিনে
আনছিলো তখন বুঝিনি কেনো আনছিলো
এখন বুঝলাম।
আমিঃ- তাকে দিয়ে দিলাম।
পরে দেখি মাদ্রাসার পাশে একটি
এতিমখানা। আমি দাঁড়িয়ে আর মজা করা
দেখতেছি আর ভাবতেছি মানুষ এতো
ভালো হয় কি করে। তখনি সে আমাকে
ডাকদিলো…
একাঃ- এইযে শুনছেন
আমিঃ- হুম বলেন।
একাঃ- আপনি এইখানে থাকেন আমি মাদ্রাসার
খালামনিদের সাথে দেখা করে আসি।
আর নামাজের সময় হয়ে যাচ্ছে আমি
নামাজ ও পড়ে আসব।
আমিঃ- হুম আচ্ছা।
দ্বিতীয় বাসর পর্ব ৪
ও চলে যাবার পর আমি পাশে একটি
মাদ্রাসা আছে ওইটাতে গেলাম দেখতে
লাগলাম। হঠাৎ তেলাওয়াত এর আওয়াজ
শুনলাম পরে দেখি মাদ্রাসার ছাত্র রা
কোরআন তেলাওয়াত করতেছে আমি কি
বলব কিছুই বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না
কারন এতো মধুর সুর আমি জীবনে কখনও
শুনিনাই হয়ত আমি দাঁড়িয়ে বাচ্ছাদের
তেলাওয়াত শুনতেছি। পরে একটু পরে
আজান দিল তার পরের দৃশ্য তো আমার নজর
কেড়ে নিল। মাদ্রাসার ছোট ছোট
বাচ্ছারা হুজুররা কি সুন্দর করে মসজিদে
নামাজ পড়তে যাচ্ছে আমি আর আমাকে
কন্ট্রোল করতে পারলাম না। আমার মনে
লোভ জন্মাল ওই বাচ্চাদের সাথে গিয়ে
মসজিদে নামাজ পড়ার।
তাই তারাতারি দেরি না করে ওজু শেষ করে নামাজে
গেলাম। এই ছোট ছোট বাচ্ছা দের মধ্যে
কি সুন্দর শৃঙ্খলা বোধ। তাদের সাথে
মাগরিবের নামাজ পড়লাম। আহ! কি সুন্দর
তেলাওয়াত পড়ছেন ইমাম সাহেব। সব
মিলিয়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। আর
নামাজ পড়ে মনে শান্তি লাগতেছে
কেনো জানি। আর দোয়া পরে কেনো
জানি চোখের পানি আটকে রাখতে
পারিনি। পরে নামাজ শেষে বাহিরে
গেলাম একটু পরে সে আসল পরে দু’জনে
বাসায় আসলাম। বাসায় আসতে আসতে
এশার নামাজের সময় হয়ে গেলো।