গল্প – দ্বিতীয় বাসর শেষ পর্ব
writer – Arfin Sumon
সব কিছু টিকটাক করে বাড়ি থেকে বিদায়
নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম দ্বীনের কাজে। ৪০
দিনের সফর।সবাই একত্রিত হলাম সেই
মাদ্রাসায়। এর মধ্যে আমার কিছু বন্ধুকেও
রাজী করাতে পেরেছিলাম। ইমামুল,
ইমরান,রাসেল, শাকিল আমার সাথে যেতে
রাজী হয়েছিল। বড় হুজুরের দ্বায়িত্বে
আমরা একই গাড়িতে উঠে রওয়ানা দিলাম
দিনের কাজের উদ্দেশ্যে। সত্যি বলতে
শান্তি পাচ্ছি মনের ভিতর। আমরা পৌঁছে
গেছি সময় মত কোন সমস্যা হয়নি আল্লাহর
রহমতে।
বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দেই
আমরা যে এসে পৌঁছে গেছি সেটা।
দেখতে দেখতে ৪০ দিন কেটে গেল।
আমি এখন নামাজ পড়ি ৫ ওয়াক্ত। মাঝে
মাঝে তাহাজ্জুদ ও পড়ি। সেখানে থেকে
এই অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। দাড়িও রেখে
দিয়েছি। এখন নামাজ পড়তে সত্যি অনেক
ভালো লাগে। মনের মধ্যে একটি শীতল
হাওয়া বয়ে যায়।আজান শুনলে মন মানে না
ছুটে যায় নামাজে। আজ সবাই বাড়ির
উদ্দেশ্য রওয়ানা দিব।ভাবতেই ভালো
লাগছে কারন অনেকদিন পর পরিবারের
কাছে যাব। আমাদের এলাকায় পৌঁছালাম
জোহরের নামাজের আগে।
আরও গল্প পড়তে আমাদের ফেসবুক গুপে জয়েন হউন
পরেমাদ্রাসায় নামাজ পড়ে বাড়ির উদ্দেশ্য
যাত্রা করলাম। বাড়িতে যাবার পড়ে
বাবা-মাকে সালাম দিলাম পড়ে সোজা
ঘরে ঢুকে সালাম দিলাম আমার
বউকে। বউ উত্তর না দিয়ে হা করে
তাকিয়ে আছে আমার দিকে। মুখে বড় বড়
দাড়ি, পাঞ্জাবী, টুপি সাথে লুংগি।
সত্যি অবাক করার মতো কাহিনী। এত
পরিবর্তন দেখে যে কেউ অবাক হবে এটাই
স্বাভাবিক। হিহিহিহিহি
আমিঃ- এহেম এহেম আসসালামু আলাইকুম।
একাঃ- ওয়ালাইকুম আসসালাম।
আমিঃ- কেমন আছেন?
একাঃ- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনি?
আমিঃ- আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর রহমতে
ভালো।
পরে ব্যাগটা রেখে বুকের মধ্যে একটা
কিছু আবিষ্কার করলাম।আরে সেটা আর
অন্য কিছু না সেটা আমার বউ। মেয়েটা
অঝোর ধারায় কান্না করছে। গাল দুটি
ধরে মুখটি উঁচু করে চোখে চোখ রেখে
বললাম..
আমিঃ- আমার এতো পরিবর্তন তোমার
মতো ভালো বউ পাওয়াতেই হয়েছে। বলে
তার কপালে একটি ভালবাসার পরশ একে
দিলাম। মেয়েটি লজ্জা পেয়ে আবার
আমার বুকে মুখ গুজে দিল। পরে নামাজের
জন্য চলে গেলাম আসলাম এশার নামাজের
পর সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করে। আজ
স্বপ্নীলা আমার আগে খেয়ে রুমে চলে
গেলো। আর মা-বাবা ও খেয়ে রুমে চলে
গেছে কারন আমার আসতে একটু দেরী
হয়েছে। আমিও আমার খাবার শেষ করে
রুমে গিয়ে দেখি অবাক করা কান্ড।
মেঝেতে অনেকগুলো মোমবাতি জ্বালানো
খাটে ফুল দিয়ে সাজানো। সে আমার
হাতে একটা নতুন পাঞ্জাবী বের করে
দিয়ে বলল নেন এইটা পড়ে নেন।
আমিঃ- এইটা কিসের জন্য। আর আপনি কোথায়
পেলেন।
একাঃ- আপনি দ্বীনের কাজে চলে যাওয়ার পর
মা- বাবা সবাই মিলে শপিং করতে
গিয়েছিলাম পরে এইটা আপনার জন্য
আনছিলাম। কেনো পছন্দ হয়নি বুঝি।
দ্বিতীয় বাসর পর্ব ৬
আমিঃ- হ্যাঁ অনেক সুন্দর। আমিতো তোমার জন্য
কিছুই আনতে পারিনি।আর ঘর এইভাবে
সুন্দর করে সাজিয়েছো কেনো?
একাঃ- আমার কিছুই লাগবেনা আপনার
ভালোবাসাই আমার জন্য যথেষ্ট। আজ
আমাদের দ্বিতীয় বাসর ঘরতো তাই। প্রথম
দিনের কথা না হয় নাই বললাম।
হিহিহিহিহি আর আমি আমার সাধ্য মতো
সাজানোর চেষ্টা করছি।
আমিঃ- দ্বিতীয় বাসর ঘর।(একটু খোঁচা দিয়ে
বললাম)
পরে লজ্জা পেয়ে চলে যেতে লাগল।পরে
হাতটা ধরে টানদিয়ে বুকে এনে বললাম
কোথায় যাচ্ছেন ম্যাডাম। লজ্জায় কিছু
বলতে পারছেনা পরে অনুভব করলাম সে
আমার বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে আর
আমিও তাকে আগলে নিলাম ভালবাসার
রাংগা পরশে। শুরু হলো আমাদের পবিত্র
ভালবাসা।।
~~~~~(সমাপ্ত)~~~~~