মন গহীনে পর্ব ২১
দোলন আফরোজ
আজ ৫ দিন যাবৎ তিথী বাবার বাড়ি আছে। সাথে তমা ও আছে। আগে থেকেই বলেছিলো তারা দুই বোন থাকবে ১ সপ্তাহের মতো। কাব্য পর দিন ই চলে যায়, তার একটা কাজ ছিলো চিটাগং তাই সে সেদিন ই চিটাগং চলে যায়।
আবির ২ দিন থেকে চলে যায়। ওরা দুই বোন কতো দিন পর নিজেদের মতো করে নিজের বাড়ি থকছে। তমার আবিরের সাথে কথা হয় রেগুলার ই।তিথীর ই কথা হয়নি কাব্যর সাথে। তিথীর নিজস্ব কোনো ফোন নেই। আসলে কাব্য ইচ্ছে করেই ফোন দেয় নি ওকে, পড়াশোনার ক্ষতি হবে বলে।
পর্ব গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
আর ফোন দেয়ার দরকার ও পরেনি তিথীকে, কারণ এতোদিন তো সব সময় তার সাথেই থাকতো তিথী। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে খুব ভুল করেছে সে। ৩ দিনে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও ঢাকায় ফিরতে পারেনি কাব্য, কাজ শেষ হয়নি। তার উপর বিয়ের পর এই প্রথম এতোদিন তিথীর থেকে দূরে সে।
কেমন একটা দম বন্ধ করা পরিস্থিতিতে আটকে গেছে মনে হচ্ছে। এই ৪ দিনে তিথীর সাথে মাত্র একবার কথা হয়েছে তার। তাও আবার তমার ফোনে। তমাকে এর পরেও কয়েকবার ই ট্রাই করেছে, কিন্তু বিজি পেয়েছে। হয়তো আবিরের সাথেই কথা বলছে। তাই তমাকে ফোন করতেও এখন সে দ্বিধাবোধ করে।
তানিয়া বেগম কে ফোন করেছিলো ৩ দিন। একদিন ঘুমাচ্ছিলো তিথী, তাই সেই ডাকতে নিষেধ করেছে। আরেকদিন ফোন করেছে তমাকে নিয়ে বাইরে গেছে ফুচকা খেতে, আরেকদিন গোছলে ছিলো। এই কদিনে তাই একবার মাত্র কথা হয়, তাও দু তিন মিনিট এর জন্য। এখন মনে হচ্ছে খুব বড় ভুল করে ফেলেছে। আসার সময় একটা ফোন কিনে দিয়ে আসা দরকার ছিলো। ভিতর টা হাসফাস করছে কাব্যর।
রাতে খাওয়ার পরে তমা আর তিথী ছাদে বসে গল্প করছে। তিথীকে কেমন যেনো বিষন্ন লাগছে। উদাস হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
কিরে কি হলো তোর?
কই?
আকাশের দিকে তাকিয়ে আছিস কেনো?
তারা গুনি।
মিস করছিস কাউকে?
ভিষণ।
কাকে?
কাবির সিং কে।
বলেই হুস আসে তার। এই না, কি বলছো আপুটি। আমি তো তারা গুনি।
হুম বুঝতে পেরেছি।একটা কথা বলতো তিথী।
কি?
ভালোবাসি।?
উহুম।
হাসে তমা। কথা বলবি কাব্য ভাইয়ার সাথে? আমি কেনো কথা বলতে যাবো? কাল আসার কথা ছিলো, এসেছে কি? উনার আমার সাথে কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না তবে আমি কেনো বলবো।
ভাল্লাগছে না আপুটি, চলো শুয়ে পরি গিয়ে।
দাঁড়া একটা কল দেই।
বলেই ফোন দেয় কাব্য কে। দুবার কল দেওয়ার পর ও রিছিভ করেনি।তাই আর কল দেয় নি। ব্যাস্ত হয়তো।
প্রচন্ড রাগ উঠে যায়। চলোতো আপুটি, এতো ব্যস্ত মানুষ কে ফোন করো কেনো বলোতো । বলেই উঠে একা একাই চলে যায়। রুমে গিয়ে সোজা দরজা আটকে শুয়ে পরে।
তার কিছুক্ষণ পরেই কল দেয় কাব্য। তমা তিথীর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অনেক্ষণ ডাকে, দরজা খুলে না তিথী।
খোল না তিথী একটা বার। কাব্য ভাইয়া কথা বলবে।
এতো ব্যস্ত মানুষের কথা বলার প্রয়োজন নাই। বলে দাও তিথী ঘুমাচ্ছে। বলেই বালিশে মুখ গুজে কান্না শুরু করে। অনেকক্কণ কাঁদার পর ভাবে কেনো কাঁদছি আমি? হুহ পাগল হয়েছি কি? ওই কাবির সিং এর জন্য কাঁদছি?মোটেও কাঁদবো না হুহ।
এদিকে কাব্য পারছে না এক্ষুনি ছুট্টে চলে আসতে।তমা কে কাকুতি মিনতি করে বলছে একবার শুধু ফোন টা তিথীর কাছে দাও।
জানোই তো তুমি ওর কেমন জেদ। একবার যখন না বলেছে তাহলে আজ আর কথা বলবেই না। আসলে তোমার জন্য খুব অস্থির হয়ে ছিলো। তখন কথা বলতে না পেরে রেগে যায়। জানোই তো হুট করেই রেগে যাওয়ার মানুষ সে। চিন্তা করো না, কাল সকাল সকাল কথা বলিয়ে দিবো আমি।
মন খারাপ করে ফোন কেটে দেয় কাব্য। আর অপেক্ষা করতে থাকে কখন সকাল হবে।
পর দিন সকাল সকাল তমা চলে যায় শ্বশুর বাড়ি। ওর শ্বাশুড়ি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরেন। তাই চলে যেতে হয় তার।
এদিকে তমা চলে যাওয়ার পর তিথী একদম একা হয়ে যায়। কিছুই ভালো লাগছে না তার। বিকেলের দিকে মায়ের কোলে শুয়ে আছে সে। চারদিক টা কেমন যেনো ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। বুকের বাঁ পাশটা চিনচিন করছে। কিন্তু কেনো এমন হচ্ছে।
আম্মু ভালো লাগছে না আমার। বুক টা ব্যথা করছে। বুঝতে পারছেন তানিয়া বেগম।
তখন উনি ফোন বের করে কল দেয় কাব্য কে। কল রিছিভ করতেই তিথীর কানে ধরে। তিথীও ভাবছে হয়তো তার কোনো বান্ধবী হবে হয়তো। সেও ফোন কানে নিয়ে হ্যালো বলে।
তিথীর কন্ঠ শুনেই কাব্যর বুকটা প্রশান্তিতে ভরে যায়।
কাতর কন্ঠে বলে কেনো কষ্ট দিচ্ছো আমায়? নিরুপায় তো আমি।
কাব্যর কন্ঠ শুনেই তিথী রাগী চোখে তাকায় মায়ের দিকে। ফোন টা উনার হাতে ধরিয়ে দিয়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা আটকে দেয়।
কিছুই বুঝতে পারে না তানিয়া বেগম। হঠাৎ কি হলো মেয়ের। এমন আচরণ করছে কেনো।
ফোন কানে নিয়ে কাব্যর সাথে কথা বলে সবটা জানতে পারে। কাব্য এটাও জানায় সে তমাকে কল করেছিলো সকালে। তমা চলে গেছে। আর তার আসতে আরো দুদিন লাগবে।
রাতে ডিনার টেবিলে তানিয়া বেগম মেয়েকে বুঝায় হুট হাট রাগ করা ভালো কথা না। সমস্যা থাকতেই পারে। আর এর মাঝে কাব্য কতোবার ফোন করেছিলো জানিস তুই? তখন তো তুই ব্যস্ত ছিলিস,কই ছেলেটা কি রাগ করেছে?
এতো ছেলে ছেলে করো নাতো আম্মু। আমার উনার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না তাই কথা বলবো না। ব্যাস।
যা ইচ্ছে কর।
তখনই শাহানারা বেগম এর কল আসে তানিয়া বেগম এর ফোনে।কিছুক্ষণ ফোনে কথা বলে তিথীর সাথে কথা বলে।
কাল কায়েস কে কাল পাঠাচ্ছি, চলে আয় প্লিজ। বাড়িটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে তুই ছাড়া।
আর কয়েকদিন পর আসি মামনি? আদুরে গলায়।
থাকবি? আচ্ছা ঠিক আছে। কাব্য এলে নিয়ে আসবে নে গিয়ে।
তোমার ছেলের আসতে হবে না। আর আমি যাবো ও না। বলেই ফোন টা তানিয়া বেগম এর কাছে রেখে চলে যায়।
আর বলবেন না ভাবি, মেয়ে হুট হাট রেগে যায় কেনো কিছুই বুঝতে পারছি না।
এতো চিন্তা করো না তানিয়া, কাব্য এলেই মেয়ের সব রাগ উড়ে যাবে।
তারপর আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন কাটেন তানিয়া বেগম।
আজ ৬ দিন হয় কাব্য গেছে। ওর ফিরতে আরো ২ দিন লাগবে। কাব্যর কথা মনে হতেই তিথীর মেজাজ থেকে থেকেই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কেনো হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না সে। কাব্য ৩ দিন এর কথা বলে ৬ দিন কাটিয়েছে বলে নাকি কাব্য ওর কাছে নেই বলে।
রাত প্রায় পৌনে ১২ টা। তিথী ঘুমিয়ে গেছিলো। দরজার কড়াঘাতে ঘুম ভাংগে তিথীর।
এতো রাতে আম্মু দরজা নক করছে? কি হলো, আম্মু কিংবা আব্বুর শরীর খারাপ করেনিতো?
ভয়ে অন্তর আত্না কেঁপে উঠে তিথীর। এক ছুটে গিয়ে দরজা খুলে। দরজা খুলে সে থ হয়ে যায়।
তার মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে। চোখ দুটো ডলে বড় বড় করে তাকায় সে। নাহ এখনো তো একি দেখছে।
তারপর গালে হাত রাখে।
এবার কাব্য শব্দ করে হেসে দেয়।
তিথী ভয়ে ভয়ে বলে, আ আপনি? সত্যিই আপনি?
কাব্য তিথীকে হালকা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ঘরে ঢুকে বলে খুব টায়ার্ট লাগছে। আগে একটু শুয়ে নেই, পরে বলি আমি ই কিনা। বলেই বিছানায় গা এলিয়ে দেয়।
তিথী এখানো যেনো নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে না।বিছানার এক পাশে বসে কাঁপা কন্ঠে বলে স সত্যিই আপনি?
কাছে এসে দেখো সত্যিই আমি কিনা।বলে আবারো হাসে।
এবার তিথী কপট রাগ দেখিয়ে বলে আপনার না ২ দিন পর আসার কথা ছিলো।
আমার বউ টা রাগ করেছে, কিভাবে দুদিন অপেক্ষা করি বলোতো? এমনিতেই আজ ৬ দিন যাবৎ দেখি না আমার পিচ্চি টাকে।চোখ দুটো ভিষণ পুড়ছিলো জানো।
মুখ বাঁকিয়ে অন্য দিকে ঘুড়িয়ে নেয় তিথী।
কাব্য এক হাত ভাঁজ করে তার উপর মাথা রেখে তার অভিমানী বউ টাকে দেখছে। ৬ দিন দেখেনি মনে হচ্ছে আজ কতো যুগ পর দেখলো।।
ভালোবাসো?
কক্ষনো না।।মুখ বাঁকিয়ে।
হাসে কাব্য। প্রাণ খুলে হাসে সে।
পরদিন বিকেলের দিকে বাড়ি ফিরে ওরা। বাড়ি ফিরে বাড়িতে নতুন একটা মুখ আবিষ্কার করে তিথী।
মেয়েটা কাব্যর একদম কাছে এসে বলে তুই আমায় এতো রাতে এভাবে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে চলে যাবি ভাবতেও পারিনি আমি।কাঁদো কাঁদো হয়ে।
স্যরি রে। বুঝতেই তো পারছিস। বলে দু বাহুতে হাত রাখে মেয়েটার। তিথীর এ ব্যাপার টা কেনো জানি পছন্দ হলো না। কারণ কাব্য কখনো মেয়েদের গায়ে হাত দেয়নি, সে অন্তত দেখেনি। এমনকি হিয়ার সাথেও ২/১ ছাড়া কথা বলে না। সেখানে এই মেয়েটাকে তার কাজের কৈফিয়ত দিচ্ছে। যা সে তার মাকে পর্যন্ত দেয় না।
ভ্রু কুঁচকায় তিথী।
তিথী চলে যেতে নিলে কাব্য ওকে বলে, শী ইজ মেধা, হালিমা ফুপ্পিস ডটার এন্ড মাই বেস্ট বেস্ট বেস্ট ফ্রেন্ড। চোখ দুটো উচ্ছ্বসিত।
কাব্যর বলা শেষের কথাটা তিথীর বুকের ঠিক বা পাশটায় গিয়ে বিধলো যেনো। একটা মেয়ে কাব্যর বেস্ট ফ্রেন্ড এ কথা শুনার জন্য সে প্রস্তুত ছিলো না যেনো।
এন্ড মেধা, ইউ নো হার, শী ইজ মাই লাইফ।এক হাত বুকে রেখে।
ইয়া ইয়া, আই নো হার ভেরি ওয়েল।
হাই আই এম মেধা, কাব্য’স,,,,, ( হাত হ্যান্ড শেক এর জন্য বাড়িয়ে দিয়ে।
ইয়া ইয়া আই নিউ ইট, কাব্য’স বেস্ট ফ্রেন্ড। বলে মুখে মেকি হাসি এনে বলে, আই এম তিথী। সিরাত মুনজারিন তিথী। আই এম ফিলিং সো টায়ার্ড, প্লিজ ক্যান আই লিভ?
ইয়া শিউর।বলে মেধা ও একটা হাসি আনার চেষ্টা করে।
তিথী চলে যায় ঘরে। মামনীর সাথেও দেখা করে না। মাথা তার পুরা গরম হয়ে আছে। মন চাচ্ছে ঐ লুচু কাব্য বেটাকে এক্ষুনি খুন করে ফেলতে।
পেটে পেটে তার এতো শয়তানি, বন্ধবী পাতিয়ে বসে আছে।রাগে তিথীর সারা গা রি রি করে উঠছে।
এসেই বিছানায় বসে আছে। মাথাটা ঠান্ডা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে, তবে পারছে না।
কিরে কাব্য, তোর বউ কি রাগ টাগ করলো নাকি?
আরেহ নাহ, রাগ করবে কেনো? রাগ করার মতো হয়েছে কি কিছু?
কি জানি, আমার তাই মনে হলো। যা গিয়ে দেখ।
কাব্য উপরে উঠে যায়।
মেধা কাব্যর যাওয়ার পানে তাকিয়ে বিরবির করে বলে, আমি একটা মেয়ে, তাই বুঝতেই পারি আরেকটা মেয়ের কোন সময় মনের পরিস্থিতি কেমন থাকে। আর আমি নিজে যেহেতু এই পরিস্থিতির মাঝে আছি আমার থেকে ভালো আর কে বুঝবে তোমায়। তবে যাই হোক তিথী রানী, সবে তো শুরু, পিকচার আভি বাকি হে মেরে ভাবি, জাস্ট ওয়েট এন্ড সি।
যেই আগুনে আজ ৭ মাস যাবৎ আমি জ্বলছি তার চেয়ে দ্বিগুণ আগুনে তোমায় জ্বালাবো। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে অংগার করে দিবো তোমায়। এই জন্যই তো আমার আগমন ঘটেছে পুনরায়। ১২ টা বছর লেগেছে আমার কাব্যর মনে জায়গা করে নিতে, ৭ মাসে কি করে সব শেষ হয়ে যেতে দেই বলো। তুমি পুড়বে, খুব পুড়বে তুমি। চিৎকার করে কাঁদবে এ আগুন থেকে বাঁচার জন্য, তারপর নিজে থেকেই কাব্যর জীবন থেকে সরে যাবে তুমি।
কাব্য ঘরে ঢুকে দেখে তিথী চুপচাপ শান্ত হয়ে বিছানায় বসে আছে। কিন্তু কাব্যর কাছে এটা মোটেও ভালো ঠেকছে না। তিথীর পাশে বসে ওর কাঁধে হাত রেখে বলে, কি হয়েছে তিথী?
ঝাড়া মেরে হাত সরিয়ে দেয় তিথী। মেয়েদের গায়ে হাত দিতে খুব ভালো লাগে তাই না?
কি বলছো এসব? অবাক হয়ে।
ভুল বললাম কিছু?
কিছুই বুঝতে পারছিনা তোমার কথা আমি।
না বুঝার কি আছে? তখন ওই মেধার শরীরে হাত দিলেন আর এখন আমার।
কি বলছো তুমি? তুমি আমার বউ, পিচ্চি বউ আমার। আর আজ প্রথম তোমার গায়ে হাত দিয়েছি আমি?
তবে মেধাকে কেনো টাচ করলেন? কেনো ওর সাথে এতো সফট হয়ে কথা বললেন, কেনো ওকে কৈফিয়ত দিতে গেলেন? যেখানে আপনি মামনীকেও কৈফিয়ত দেন না।
এবার হেসে দেয় কাব্য। ওহ এই ব্যাপার। আর ইউ ফিলিং জেলাস??🤨
ইয়েস, আই এম ফিলিং জেলাস। কাব্যর কলার চেপে ধরে, কখনো দেখেছি যদি ওই মেধাকে টাচ করতে তবে ওই হাত কেটে রেখে দিবো।
কাব্য আবেগী কন্ঠে বলে, ভালোবাসো?
কাব্য কে ঝাড়া মেরে সরিয়ে দিয়ে, না না না ভালোবাসিল না। কতোবার বলবো।
কাব্য আবারো হাসে। ভালোবাসো পুতুল বউ, আর খুব শীগ্রই তুমি মুখেও তা শিকার করবে। মনে মনে।
মন গহীনে পর্ব ২০
( কাল বেড়াতে যাবো, আগামি ৫/৬ দিন হয়তো গল্প দিতে পারবো না। তবু চেষ্টা করবো কাল বিকেলের মাঝে একটা পর্ব দেয়ার। যদি না ও পাড়ি তবে রাগ করবেন না প্লিজ। হ্যাপি রিডিং 🙂🙂)