শেষ পাতায় তুমি পর্ব ১৩
ফাবিহা নওশীন
ঝড়-বৃষ্টির রাত। ঝড়-বৃষ্টি যেনো রাতের নিস্তব্ধতা আরো বাড়িয়ে তুলেছে।একটু পর পর বিদুৎ চমকাচ্ছে আর বিকট শব্দে বাজ পড়ছে। জানালার পর্দাগুলো তীব্র বাতাসের বেগে উড়ছে। বাতাসের সাথে বৃষ্টি ফোঁটা ঘরে এসে পড়ছে। বারান্দার দরজাটাও খোলা। বৃষ্টির ফোটা ঘর ভিজিয়ে দিচ্ছে। বাতাসের বেগে জানালার পাশের হালকা
জিনিসপত্র মেঝেতে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
এমন সিচুয়েশনে মেহের বিছানার এক কোনায় কুশন জড়িয়ে চোখ বন্ধ করে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে। কিছুক্ষণ পর পর বাজ পড়ার শব্দে কেঁপে কেঁপে উঠছে।
এরি মধ্যে ফায়াজ হালকা ভেজা কাপড়ে ঘরে ঢুকেছে। তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে ঢুকে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছছে। চুল মুছতে মুছতে ঘরে আসতেই ঘরের অবস্থা খেয়াল হলো। এই ঝড়ের মধ্যেও দরজা জানালা সব খোলা। পানি এসে ঘর ভিজে যাচ্ছে। ফায়াজ মেহেরকে খোজার জন্য পুরো ঘরে চোখ বুলালো। মেহেরকে জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকতে দেখে ফায়াজ মেহেরের সামনে গিয়ে দাঁড়াল।
ফায়াজ ধমকে মেহেরকে বলল,
“ঘরের এই হাল কেন? বাইরের ঝড়-বৃষ্টি তোমার দৃষ্টিতে পৌছায় নি?”
মেহের ফায়াজের দিকে ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে বলল,
“একা একা ভয় লাগছিল।”
“তাই বলে দরজা জানালা বন্ধ করবে না? দেখো ভিজে কি অবস্থা ঘরের।”
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
“আমি ঝড় খুব ভয় পাই। হটাৎ করে ঝড় শুরু হওয়ায় আমি দরজা জানালা বন্ধ করার সুযোগ পাই নি। ঝড় শুরু হওয়ার পর ভয়ে জানালার কাছে যেতে পারি নি।”
ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বলল।
ফায়াজ ওর কথা শুনে জ্ঞান হারাবার অবস্থা। এত বড় মেয়ে হয়ে এই সামান্য ঝড়ের ভয়ে দরজা জানালা বন্ধ করতে পারে না?
“শিখেছোটা কি? এত বড় মেয়ে দরজা জানালা বন্ধ করতে পারে না। তাহলে কি পারো? কোনো যোগ্যতাই তো নেই।”
ফায়াজ মেহেরকে বকতে বকতে দরজা জানালা বন্ধ করে নিল। মেহের চুপ করে বসে আছে। ফায়াজ তারপর নিজের ভেজা জামাকাপড় চেঞ্জ করতে চলে গেল। চেঞ্জ করে এসে মেহেরকে বলল,
“যাও এক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে এসো। শীত শীত লাগছে।”
মেহের ফায়াজের জন্য কফি নিতে এসে দেখে কিচেনে কেউ নেই। এমনিতেই ঝড় হচ্ছে আর নিচটা নীরব। মেহেরের এখানেও ভয় লাগছে। কিন্তু কফি না নিয়ে গেলে ফায়াজ আবারও বকাবকি করবে।
মেহের ঠিক করল নিজেই আজ কফি বানাবে। কিন্তু মেহের তো কোনো দিন কফি বানায় নি তাই মাহিকে ফোন করল। মাহির দেওয়া ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী কফি বানিয়ে নিয়ে গেল। ফায়াজের সামনে গিয়ে হাসি হাসি মুখে কফি এগিয়ে দিল। আজ প্রথম বার নিজের হাতে কফি বানিয়েছে তাই খুশি খুশি লাগছে। ফায়াজ এক চুমুক দিতেই থু করে ফেলে দিল।
মেহের ফায়াজের দিকে ভয়ে ভয়ে তাকাচ্ছে আর ভাবছে মাহি আপু যেভাবে বলল সেভাবেই তো বানালাম। তাহলে কি হলো?
ফায়াজ চোখ-মুখ কুকড়ে বলল,
“এটা কি বানিয়েছো?”
মেহের মাথা চুলকে বলল,
“কি হয়েছে? ভালো হয় নি?”
ফায়াজ কফিটা মেহেরে দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
“আমি বললে তো বিশ্বাস করবে না। বলবে মিথ্যে বলছি। তুমি ট্রাই করে দেখো কি বানিয়েছো।”
মেহের ফায়াজের হাত থেকে কফি নিয়ে চুমুক দিয়ে গিলে ফেলল। তারপর মনে
মনে বলল, “আপু এত জঘন্য কফি বানায়?”
ফায়াজ দু-হাত ভাজ করে মেহেরের বরাবর দাঁড়িয়ে আছে। মেহের ওর দিকে তাকাতেই ফায়াজ ভ্রু নাচিয়ে বলল,
“কি এটা?”
মেহের মিনমিন করে বলল,
“আমি আসলে কফি বানাতে পারি না।”
ফায়াজ মাথায় হাত দিয়ে বলল,
“তুমি দুনিয়ার সব চাইতে অকর্মা মেয়ে। আমার কপালে শেষে এই ছিল? তুমি কি কি পারো তার একটা লিস্ট দিও। তাহলে বুঝব এই দু-চারটে জিনিস ছাড়া আর কিছুই পারো না।”
মেহের হাতের কড় গননা করে বলল,
“আমি গান গাইতে পারি, নাচতে পারি, কবিতা আবৃত্তি করতে,,।”
ফায়াজ হাত উঁচিয়ে থামিয়ে দিয়ে বলল,
” ঘরের কাজ পারো কিছু? যে এক কাপ কফি বানাতে পারে না সে কি পারে জানা হয়ে গেছে। শুধু পারে ভয় পেতে। অন্ধকারে ভয়, ঝড়ে ভয়, জানালার কাছে যেতে ভয়।”
মেহের নাক ফুলিয়ে ফায়াজের দিকে তাকাল। এখনকার যুগে মেয়েদের ঘরের কাজ এত জানতে হয়? আর ফায়াজ এই যুগের ছেলে হয়ে মুরব্বিদের মতো কথা বলছে কেন?
মেহের রাগের মাথায় বলল,
“আপনি কি আমাকে কাজের মেয়ে পেয়েছেন? আপনার এত কাজ জানা মেয়ে দরকার তো আমাদের বাড়ির কাজের আন্টি, রহিমা আন্টির মেয়েকে বিয়ে করতেন। তাহলেই তো হতো। ও খুব ভালো কাজ করতে পারে। আপনাকে রোজ কফি বানিয়ে খাওয়াতো।”
ফায়াজ মেহেরের কথা শুনে চোখ কটমট করে তাকাল। ফায়াজের দিকে তাকিয়ে মেহেরের টনক নড়ে।
মেহের ঠোঁটের উপর আঙুল দিয়ে ফায়াজের দিকে অসহায় ফেস করে তাকাল।
মেহেরের ইনোসেন্ট ফেস দেখে ফায়াজের হাসি পাচ্ছে। ফায়াজ রাগী ফেস করে অন্য দিকে ঘুরে হেসে ফেলল। কিন্তু শব্দ করল না। যাতে মেহের শুনতে না পায়।
মেহের ফোন নিয়ে গেল মাহিকে ঝাড়তে। মাহি ফোন রিসিভ করতেই মেহের বলল,
“আপু তুমি এত জঘন্য কফি বানাও? ছিঃ তোমার কাছে শিখতে যাওয়াই ভুল হয়েছে।”
মাহি মেহেরের কথা শুনে ভরকে গেল। তারপর বলল,
“জঘন্য হবে কেন? আমি তো খুব ভালো
কফি বানাই।”
“এই তোমার ভালোর নমুনা? আমার মুখটাই নষ্ট হয়ে গেছে।”
“তুই কিভাবে বানিয়েছিস?”
মেহের কিভাবে বানিয়েছে সবটা বলল। সেটা শুনে মাহি শব্দ করে হাসছে। মেহের ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল।
“বোকা মেয়ে আমি তোকে এক কাপ কফির ইন্সট্রাকশন দিয়েছি আর তুই করেছিস কি?”
মাহি আবারও হাসতে লাগল।
“সেটা তোমার দোষ আপু। তুমি আমাকে ভালো করে বলো নি। তাই তুমি হাসতে পারো না।”
মেহের খট করে ফোন কেটে দিল। পেছনে ঘুরে দেখে ফায়াজ দাঁড়িয়ে আছে।
ফায়াজ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,
“অন্যকে ফলো করলে এভাবেই নিজের ঘর-সংসার উচ্ছন্নে যাবে।”
মাঝরাতের দিকে ঝড় বেড়ে গেল। বাইরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। মেহেরের ঘুম আসছে না। ভয় লাগছে খুব। আগে মেহের মাহির রুমে গিয়ে মাহিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে থাকতো। ফায়াজ বেঘোরে ঘুমাচ্ছে।
মেহের ফায়াজের দিকে কিছুটা এগিয়ে গেল। চুপচাপ ফায়াজের কাছ ঘেঁষে শুয়ে রইল। ফায়াজ যেনো বুঝতে না পারে তাই মেহের নড়ছেও না। ফায়াজ বলে দিয়েছে মেহের যাতে ঘুমের ঘোরেও ফায়াজের দিকে না যায়।
।
সারারাত বৃষ্টির পর প্রকৃতি নতুন রুপে সেজেছে। প্রকৃতি বড্ড স্নিগ্ধ ও শান্ত লাগছে। ফায়াজ আধোঘুমে কপাল কুচকাচ্ছে। ডান হাতে ব্যথা অনুভব হচ্ছে। মনে হচ্ছে ডান হাতে কতগুলো কাটা বিঁধে আছে। ফায়াজ পিটপিট করে চোখ মেলে ঘাড় কাত করতেই মুখের উপর উষ্ণ নিশ্বাস অনুভব করল। তাই দ্রুত চোখ মেলল। তারপর যা দেখল তাতে লাফিয়ে উঠল। মেহের যে কি না কম করে দু-হাত ডিফারেন্স রেখে ঘুমায় সে ওকে ঘেঁষে ঘুমাচ্ছে। তারপর নিজের হাতের দিকে তাকাতেই দেখে যে মেহের ফায়াজের হাত শক্ত করে ধরে আছে। এতটাই শক্ত করে ধরে রেখেছে যে নখ বিধিয়ে রেখেছে। ফায়াজ নিজের হাতের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকাল। এমন ভাবে খামচে ধরেছে যে কিছুটা রক্ত বেরিয়ে আছে।
ফায়াজ মেহেরের হাত সরিয়ে হাত ধরে জোরে টান দিল। মেহের ব্যথায় ঘুমের মধ্যেই “আহহহ!” চিতকার করে উঠে। তারপর চোখ মেলে ফায়াজকে দেখে ভয়ে চোখ বড়বড় করে দ্রুত উঠে বসে। তারপর দ্রুত সরে যায়।
ফায়াজ মেহেরের দিকে চোখ কটমট করে তাকায়।
“তুমি এখানে কেন? তোমাকে কি বলেছিলাম?”
মেহের আমতা আমতা করে বলল,
“ইয়ে মানে,,আমার খুব ভয় করছিল। আর ভয়ের জন্য হয়তো এখানে এসে পড়েছি।”
তারপর নিজের হাত দেখিয়ে বলল,
“এ-সব কি? দেখো তো আমার হাতের কি অবস্থা করেছো? তুমি মেয়ে না অন্য কিছু?”
মেহের ফায়াজের হাত দেখে বিস্ময়ে চোখ বড়বড় মুখে হাত দিল।
“আমি আসলে বুঝতে,,।”
“সাট আপ! একদম কথা বলবে না। তুমি সব বুঝতে পারো আর সব জানো। তুমি জেনে বুঝেই করেছ।”
ফায়াজ বিরক্তি নিয়ে নিজের হাতের দিকে তাকাল।
বিছানা ছেড়ে উঠে ওয়াশরুমে যেতে যেতে বলল,
“জংলী বিল্লি নাকি? মেয়েরা নাকি এত বড়বড় নখ রাখে, আল্লাহ! আমি ওয়াশরুম থেকে এসে যদি তোমার হাতে নখ দেখেছি তো হাত কেটে ফেলব সোজাসুজি।”
মেহেরের একটু খারাপ লাগল। কি অবস্থা করেছে ফায়াজের হাতের। মেহের তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমে হাতের নখ কাটায় ব্যস্ত হয়ে গেল। নয়তো ফায়াজ এসে হাত কেটে ফেলবে।
ফায়াজ ফ্রেশ হয়ে বের হতেই মেহের ফার্স্ট এইড বক্স দিল। তারপর বলল,
“আমি সত্যিই ইচ্ছে করে কিছু করি নি। আমার নিজেরও খারাপ লাগছে। আপনি হাতে একটু ওষুধ লাগিয়ে নিন। ঠিক হয়ে যাবে।”
ফায়াজ ব্যস্ততা দেখিয়ে আলমারি থেকে জামাকাপড় নিতে নিতে বলল,
“প্রয়োজন নেই। আমি এতটাও দূর্বল নই। আমাকে দয়া দেখানোর চেষ্টা একদম করবে না। এটা তোমার জন্য ভালো হবে না। কারণ আমি তোমাকে দয়া দেখাবো না।”
মেহের চুপচাপ বক্স রেখে দিল।
মেহের আর ওর বন্ধুরা দোতলার ক্লাসরুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। তখনই ফায়াজ ওর দলবল নিয়ে ভেতরে ঢুকল। ফায়াজের বন্ধুরা মুখ টিপে হাসছে। ফায়াজ অনেকক্ষণ ধরে ব্যাপারটা লক্ষ্য করছে। এতক্ষণ পাত্তা দেয়নি কিন্তু এখন কেন যেন মনে হচ্ছে কিছু একটা হয়েছে যে কারণে ওরা হাসছে। কিন্তু কেন এভাবে কিছুক্ষণ পর পর মুখ চেপে হাসছে।
ফায়াজ কপাল কুচকে বলল,
“তোদের সমস্যা কি? তোরা সেই তখন থেকে এভাবে হাসছিস কেন?”
ওরা তখনও হাসছে। ফায়াজের রাগ উঠে যাচ্ছে। তখন একজন বলল,
“ব্রো হাতে কি হয়েছে? কেউ খামচি মেরেছে?”
আরেকজন বলল,
“আরে না না। জংলী বিল্লি আঁচড় কেটেছে।”
তারপর আবার সবাই উচ্চস্বরে হাসতে লাগল। এই সামান্য ব্যাপারে এত হাসির কি হলো?
আরেকজন বলল,
“ভাই, সেই জংলী বিল্লিটা কি আমাদের মেহের ভাবি?”
ফায়াজ এইবার ওদের ফাজলামির ইস্যুটা ধরতে পারল।
“তোরা আজাইরা আলাপ বন্ধ করবি? নাকি তোরা এই পুকুরে চুবানি খেতে চাস? সব কটাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেব।”
সবাই মুখে আঙুল দিয়ে চুপ থাকার ভঙ্গি করল।
অনু মেহেরকে নিচে দেখাল।
মেহের বুঝতে না পেরে বলল,
“কি? কি দেখাচ্ছিস?”
“ফায়াজ ভাইকে দেখাচ্ছি।”
মেহের বারান্দার রেলিং থেকে ঘুরে তাচ্ছিল্য করে বলল,
“চলে এসেছে? ভালো।”
অনু মেহেরকে প্রশ্ন করল,
“তোরা এক সাথে আসিস না কেন?”
মেহের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
“কারণ উনি চান না ভার্সিটির কেউ জানুক আমাদের বিয়ে হয়েছে। উনার কয়েকজন বন্ধু জানে শুধু আর কেউ জানে না। উনি উনার মতো আসেন আমি আমার মতো। ভালোই হয়েছে।”
অনু মেহেরের মন খারাপটা বুঝতে পারল। মেহেরের মুড ঘোরানোর জন্য বলল,
“মাই গড ফায়াজ ভাইকে কত কিউট লাগছে। কত সুন্দর উনি। কি হ্যান্ডসাম। হ্যান্ডেল করতে না পারলে আমাকে বলিস।”
মেহের অনুর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল,
“তুই না হিরো আলমের ফ্যান? ফায়াজের ফ্যান কখন হলি? হিরো আলমের আছিস তারই থাক।”
আলিফ পানি খাচ্ছিল। মেহেরের কথা শুনে মুখ মুখ থেকে পানি ছিটকে পড়ে গেল। তারপর অনুর দিকে তাকিয়ে বলল,
“হিরো আলমের গার্লফ্রেন্ড আমাদের গ্রুপে এলাও না। তোকে বয়কট করা হলো।”
অনু আলিফের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাল। মেহের ওদের দেখে হাসছে। তখনই অনু মেহেরকে বলল,
“মেহের ক্লাসরুমে দৌড় মার। তোর জমরাজ আসতেছে।”
মেহের আর কোনো দিক না দেখে ক্লাসে দৌড় দিল। ফায়াজকে দূর থেকে অনু দেখেই মেহেরকে সাবধান করে দিয়েছে।
ফায়াজ মেহেরের ক্লাসরুমের দরজার সামনে এসে মেহেরকে খুজতে লাগল।
শেষ পাতায় তুমি পর্ব ১২
৪নাম্বার বেঞ্চে পেয়েও গেল। মেহের চুপচাপ বসে আছে।
ফায়াজ মনে মনে বলছে,
“গুড, মাই ডিয়ার ভীতুর ডিম জংলী বিল্লি।”
ফায়াজ মেহেরকে দেখে চলে যেতেই মেহের ভাবতে লাগলো ফায়াজ এখানে কেন এসেছে? ওর উপর কি নজর রাখছে?