শেষ পাতায় তুমি পর্ব ৩৩
ফাবিহা নওশীন
“আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেব
তুমি আমার”
মেহের ফায়াজের পাশে একটা টুলে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আর ব্যান্ডেজগুলো আঁড়চোখে দেখছে। রক্ত, কাটাস্থান দেখলে ওর মাথা ঘুরে। তাই সোজাভাবে দেখতে পাচ্ছে না। মেহের ফায়াজের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। ডাক্তার ওষুধ দেওয়ার পর থেকে ঘুমাচ্ছে। ফায়াজ অনেক কথা বলছিল আর ওর বন্ধুরাও বেশ ভীড় করছিল। ডাক্তার মেহেরকে রেখে সবাইকে বের করে দিয়েছে। ফায়াজের তেমন সমস্যা নেই। কাচে শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে গেছে। এখন শুধু ঘা শুকানোর অপেক্ষা।
মেহের ফায়াজের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছে সেই দিনের কথা। ভার্সিটির প্রোগ্রামের দিন মেহের গান গাইছিল “ভালোবেসে সখি নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো তোমার হৃদয়ও মন্দিরে” হটাৎ করে মাইক্রোফোন নষ্ট হয়ে যায়। কি লজ্জায় না পড়েছিল। তখন একটা কন্ঠস্বর ভেসে আসে। মেহের চোখ তুলে সেদিকে তাকায়। ফর্সা করে মাঝারি গড়নের একটা ছেলে। মুখে খোচাখোচা দাড়ি, কপালের উপর সিল্কি চুল। সেদিনই ফায়াজকে প্রথম দেখেছিল। সেই প্রথম অনুভূতি। ভালোলাগার অনুভূতি। পরবর্তীতে ফায়াজ সম্পর্কে সবটা জানার পর ভয় কাজ করেছিল, ফায়াজের বিহেভিয়ারে ওর প্রতি নেগেটিভ ধারণা জন্মেছিল কিন্তু সেই প্রথম অনুভূতি ম্লান হয় নি। হয়তো হবেও না। আজীবন মনের মনিকোঠায় আবদ্ধ থাকবে। আর আজ সেই ছেলেটিকে কতটা ভালোবেসে ফেলেছে। আসলে মেহের সেই অনুভূতিতে এতটাই আসক্ত হয়েছিল যে তার মাদকতা কোনদিন কাটে নি।
ফায়াজের ঘুম ভাঙতেই মেহেরকে দেখে কেবিনের জানালার পর্দা সরিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ফায়াজ মৃদুস্বরে বলল,
“মেহের!”
মেহের ফায়াজের কন্ঠস্বর শুনে দ্রুত ফায়াজের দিকে তাকাল। ফায়াজকে জেগে থাকতে দেখে মেহের মৃদু হেসে ফায়াজের কাছে গেল। ফায়াজ উঠে বসার চেষ্টা করছে। মেহের ওকে ধরার চেষ্টা করল। ফায়াজ একাই উঠে গেল। তারপর আলতো হেসে বলল,
“তোমার ক্ষমতা আছে আমাকে ধরে তোলার? পুটিমাছ! শরীরে তো এক বিন্দুও শক্তি নেই। দেখো দিন দিন কেমন শুকিয়ে যাচ্ছো। চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। তুমি কি আমার জন্য টেনশন করছো?”
মেহের শুকনো হেসে বলল, “হ্যা কিছুটা।”
তারপর ফায়াজের দিকে তাকিয়ে বলল,
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
“কোন পথ বেছে নিয়েছেন আপনি? আপনার কিসের অভাব? কেন আপনি এমন লাইফ লিড করবেন? আজ আপনার দল ওদের মারবে কাল ওরা মারবে তারপর আবার আপনারা মারবেন এভাবে চলতেই থাকবে? এ-সব বাদ দিন না। সুস্থ জীবন-যাপন করুন। আমি জানি আপনার বন্ধুরা কি ছক কষছে। ওদের কিভাবে শায়েস্তা করা যায় তার প্লান করছে। আপনিও যোগ দিবেন।”
ফায়াজ আঙুল দিয়ে নিজের গাল, হাত আর শরীরের বিভিন্ন জায়গার ব্যান্ডেজ দেখিয়ে বলল,
“তুমি বলতে চাইছো ওরা আমার এমন অবস্থা করার পরেও আমি চুপ করে থাকব। তাই তো? আমার গায়ে কেউ কখনো টাচ করার সাহস পায় নি আর এই অবস্থা করেছে। আমি ছেড়ে দিলেও আমার বন্ধুরা ওদের ছাড়বে? তোমার কি তাই মনে হয়?”
মেহের ফায়াজের কথা শুনে হাল ছেড়ে দিলেন না। উদ্যমী হয়ে বলল,
“আপনি চাইলেই পারবেন। আপনি চাইলেই এই রোজ রোজ হানাহানি, রক্তপাত বন্ধ করতে পারবেন। আপনার এসবে থাকার কি দরকার? আপনার গ্রাজুয়েশন শেষ। আপনি বাবার বিজনেসে জয়েন দিন। এমবিএ টা শুধু পরীক্ষা দিবেন। আপনি এমনিতেও ভার্সিটিতে ক্লাস করতে আসেন না। আপনি ভার্সিটি ছেড়ে দিন। প্লিজ। প্লিজ ফায়াজ আপনি আমার এই কথাটা রাখুন।” (অনুনয়ের সুরে)
ফায়াজ মেহেরের কথাটা অগ্রাহ্য করতে পারছে না। তাই এড়ানোর জন্য বলল,
“এ নিয়ে আমরা পরে কথা বলব। এ-সব এখন থাক মেহের।”
মেহের ফায়াজের দিকে করুণভাবে চেয়ে বলল,
“আমার কিংবা আমার কথার কোনো দাম নেই আপনার কাছে?”
ফায়াজ ডানে-বামে তাকিয়ে বলল,
“মেহের তুমি এভাবে বলছো কেন? তোমার কথার দাম থাকবে না কেন?”
“আপনাকে আমি এতক্ষণ কি বললাম? আর আপনি আমার কথার দামই দিলেন না।”
ফায়াজ মেহেরের গালে আলতো করে হাত রেখে দরদমাখা কন্ঠে বলল,
“আমার কাছে আমার মেহেরজানের চেয়ে দামী আর কিছু নেই।”
মেহের অভিমান নিয়ে নিজের গাল থেকে হাতটা সরিয়ে দিতে চাইলে ফায়াজ আরো শক্ত করে ধরে। মেহের শক্তি প্রয়োগ করেও ফায়াজের হাত সরাতে পারল না।
তারপর মনে মনে বলল,”আমি আসলেই পুটিমাছ।”
মেহের ফায়াজের দিকে তাকাল। ফায়াজ কেমন মাদকতা নিয়ে ওর দিকে চেয়ে আছে। তারপর নেশাক্ত কন্ঠে বলল,
“তুমি ফিরে এসো তাহলে আমি সব ছেড়ে দেব।”
মেহের ফায়াজের কথা শুনে শকড। ঘনঘন চোখের পলক ফেলে কিছু ভাবছে। তারপর ফায়াজের দিকে চোখ তুলে তাকাল। ফায়াজ উত্তরের আশায় মেহেরের দিকে তখনও চেয়ে আছে।
মেহের ফায়াজের দিকে তাকিয়ে স্মিত হেসে বলল,
“আপনি সব ছেড়ে দিন আমি চলে আসব। আপনি প্রমাণ করুন আপনার কাছে আমি কতটা মূল্যবান। কথা দিলাম সব ছেড়ে দেব,পুরো পৃথিবী ছেড়ে দেব। কাউকে পরোয়া করব না। আপনি বললে আমিও ভার্সিটি, পড়াশোনা সব ছেড়ে দেব। চুটিয়ে আপনার সাথে সংসার করব। কথা দিলাম।”
ফায়াজ মেহেরের কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া আশা করে নি। ফায়াজ অবাক হয়ে মেহেরের দিকে তাকিয়ে আছে। এত সহজে মেহের রাজি হবে ভাবে নি।
“ভাই, এইবার আমাদেরও তো সুযোগ দেওয়া উচিত।”
মেহের কারো কন্ঠ শুনে ফায়াজের থেকে সরে গেল। ফায়াজ মেহেরের গাল থেকে হাত সরিয়ে দরজার দিকে তাকাল। ফায়াজের বন্ধুরা সব জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ফায়াজ ওদের দিকে ভ্রু কুচকে তাকাল। মেহের উঠে দূরে গিয়ে দাঁড়াল। ওরা সবাই হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকল। ফায়াজ তখনও মেহেরকে দেখছে। ওর কানে শুধু মেহেরের কথাগুলো বাজছে।
মেহের কেবিনের সাথে এটাচ করা ওয়াশরুমে ভেসিনের সামনে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। দু-হাত শক্ত করে মুঠো করে রেখেছে। ঠোঁট কামড়ে রেখেছে। চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। ফায়াজের ডাকে চোখ মেলল। ফায়াজ বাইরে থেকে ডাকছে। মেহের দ্রুত চোখের পানি মুছে নিল। চোখে-মুখে পানি দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বের হয়ে গেল।
ফায়াজের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। ফায়াজ ওকে পর্যবেক্ষণ করে বলল,
“কি হয়েছে? তোমার চোখ-মুখ এমন লাগছে কেন? শরীর খারাপ লাগছে? তোমার না মেহের এখানে থাকতে হবে না। আজই ফিরে যাবে হোস্টেলে। এখানে তুমি অসুস্থ হয়ে পড়ছো। দাঁড়াও তুষারকে ডাকি। ও তোমাকে ডাক্তার দেখিয়ে দেবে। তারপর গিয়ে রেস্ট নিবে।”
মেহের ফায়াজকে বিচলিত হতে দেখে বলল,
“আরে আপনি ব্যস্ত হবেন না। আমি ঠিক আছি। আসলে ঠিকঠাক খাওয়া-দাওয়া হয়নি তাই একটু দূর্বল লাগছে।”
ফায়াজ আরো বিচলিত হয়ে বলল,
“খাওয়া-দাওয়া? তুমি খাও নি? কি আশ্চর্য! আমি অসুস্থ বলে ওরা কেউ তোমার খোঁজ রাখে নি? তুমি খেয়েছো কি না খোঁজ নিবে না? আমি দেখাচ্ছি ওদের।”
“আপনি আবারও ব্যস্ত হচ্ছেন? উনারা আমার খোঁজ খবর রাখছে। খাবারও দিয়ে গেছে। খেতে ইচ্ছে করছে না। তাই খাই নি। এতে তো আর উনাদের দোষ নেই।”
ফায়াজ কটাক্ষ দেখিয়ে বলল,
“তা খাও নি কেন? মেহের এমন করলে হবে? নিজের দিকে একটু নজর দেও৷ দিন দিন কেমন হয়ে যাচ্ছো৷ এখুনি খেয়ে নেও।”
মেহেরের মুখে খাবার রুচছে না। খেতেও ইচ্ছে করছে না। কিন্তু ফায়াজের রাগের চুটে খেতে হলো।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। ঝিরঝির করে বাতাস বইছে। খাওয়া শেষ হতেই ফায়াজ মেহেরকে ডাকল। মেহের ফায়াজের বেডের কাছে যেতেই ফায়াজ হাত দিয়ে ইশারা করল উঠতে। মেহের বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছে। ফায়াজ বলল,
“এখানে এসো।”
মেহের ফায়াজের কথা মতো বেডে উঠল। ফায়াজ মাথা সরিয়ে জায়গা দিল শোয়ার জন্য। মেহের ফায়াজের পাশে শুয়ে পড়ল। ফায়াজ মেহেরের কোমড় জড়িয়ে ধরে বলল,
“চোখ বন্ধ করো। একটু ঘুমানোর চেষ্টা করো। সারাদিন অনেক ধকল গেছে তোমার।”
মেহের চোখ বন্ধ করতেই ঘুমে তলিয়ে গেল। ফায়াজ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতাল থেকে রিলিজ চায়। বাড়িতে ফিরতে হবে, সবকিছু ঠিক করতে হবে। মাথায় হাজারো টেনশন।
কিছুদিন হসপিটালে থাকার পর ফায়াজ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে। আজ ওর জন্মদিন। সে উপলক্ষে বাড়িতে ছোট-খাটো প্রোগ্রাম রেখেছে। ফায়াজ কখনো নিজের জন্মদিন নিয়ে মাতামাতি করে নি। ফায়াজ ব্যাক করায় ওর বন্ধুরা একটা পার্টি চাচ্ছে। আর ফায়াজ জন্মদিনটাকে উপলক্ষ করে পার্টি রেখেছে।
মেহের বিছানার সাথে লেপ্টে আছে। পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করছে। কি অসহ্য যন্ত্রণা। ওর ফোন বেজেই চলেছে কিন্তু রিসিভ করার নামই নেই। সামিরাও নেই।
মেহের অনেক কষ্টে উঠে বসে হাত বাড়িয়ে ফোনটা নিয়ে ফায়াজের নাম্বার দেখে। মেহের জোরে শ্বাস নিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে। তারপর ঘনঘন শ্বাস ফেলল। ফোনটা রিসিভ করে কানে দিল।
ফায়াজ রাগান্বিত হয়ে বলল,
“তোমার ব্যাপার কি বলো তো। ফোন রিসিভ করছো না কেন? কখন থেকে ফোন করে যাচ্ছি।”
মেহের চুপ করে আছে। ফায়াজ বিরক্তবোধ করছে। তারপর বিরক্ত নিয়ে বলল,
“গাড়ি পাঠিয়েছি। ড্রাইভার কখন থেকে বসে আছে। তুমি আসছো না কেন?”
মেহের মৃদুস্বরে বলল,
“ফায়াজ, আমি আসতে পারব না। আমার ভালো লাগছে না।”
ফায়াজ দ্বিগুণ রাগ নিয়ে বলল,
“তুমি কি চাইছো আমি আসি?”
মেহের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,
“আমি আসছি।”
মেহের উঠে মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিল।
মেহের ফায়াজের বাড়িতে ঢুকে আরো অসুস্থ বোধ করছে। এই হৈ-হুল্লোড় ওর সহ্য হচ্ছে না।
ফায়াজ মেহেরকে দেখে বন্ধুদের ভীড় থেকে উঠে আসে। মেহেরকে নিজের রুমে নিয়ে যায়। মেহের মুখ ভার করে আছে।
ফায়াজ ওর মুখ দেখে বলল,
“তুমি আমার জন্মদিনে মুখ ভার করে থাকবে?”
মেহেরের মনে হচ্ছে ফায়াজের সুন্দর দিনটা নষ্ট করার কোন অধিকার ওর নেই। ফায়াজের এই আনন্দ ওর অসুস্থতা নষ্ট করতে পারে না। মেহের মিষ্টি হাসল। ফায়াজ আলমারি থেকে একটা ড্রেস বের করে মেহেরকে দিল।
“মেহের আজ তুমি এটা পড়বে। আর সুন্দর করে সাজবে।”
মেহের ফায়াজের হাত থেকে ড্রেসটা নিয়ে ওয়াশরুমে গেল। মেহেরের শরীরটা এখন একটু ভালো লাগছে। মেহের খুশি মনে চেঞ্জ করে এলো। ফায়াজ সোফায় বসে অপেক্ষা করছিল। ওয়াশরুমের দরজার দিকে তাকিয়ে আছে। মেহেরকে দেখে উঠে দাড়াল। এই নীল ড্রেসে মেহেরকে মোহনীয় লাগছে। ফায়াজ মুগ্ধ চোখে দেখছে ওকে। মেহের ফায়াজের দৃষ্টি দেখে লজ্জা পেয়ে গেল। ফায়াজ ধীরে ধীরে মেহেরের দিকে এগুচ্ছে। মেহের অস্বস্তিতে পড়ে গেল। কথা ঘুরানোর জন্য বলল,
“আপনার বাবা কই?”
ফায়াজ থমকে গিয়ে বলল,
“আর বাবা! আমি এক্সিডেন্ট করেছি দূর থেকে খোঁজ নিয়েছে। আর জন্মদিনে দামী গাড়ি, উপহারসামগ্রী পাঠিয়েছে।”
মেহের কোন প্রতিউত্তর না দিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আচঁড়ে খোপা করতে নিলে ফায়াজ বাঁধা দিয়ে বলল,
“থাক! বাধঁতে হবে না। ওদের সামনে খারাপ লাগলে মাথায় ঘুমটা দিও।”
মেহের আর বাঁধল না। চুলটা ছেড়ে দিল। ফায়াজ মেহেরকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিল। মেহেরকে অপলক দেখছে। ওর চুলগুলো আঙুল দিয়ে নাড়ছে। মেহেরের শরীর জুড়ে কেমন শিহরণ বয়ে যাচ্ছে। ঢোক গিলছে। ফায়াজ মেহেরের গালে নিজের গাল ঘেঁষিয়ে বলল,
“কোন উপহার দিলে না?”
মেহের কিছু বলতে চেয়েও পারছে না। গলা আঁটকে আসছে। ফায়াজ মেহেরের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিল। মেহেরের চোখ বড়বড় হয়ে গেল। ও যেন ফ্রিজড হয়ে গেল।
ফায়াজ মেহেরকে ছাড়তেই মেহের জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।
ফায়াজের চোখে চোখ পড়তেই দৌড়ে পালাল। মেহের রুমের বাইরে যেতেই হটাৎ করে পেটের ব্যথাটা বেড়ে গেল। মেহের পেটে হাত দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বসে পড়ল। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
শেষ পাতায় তুমি পর্ব ৩২
ব্যথায় ছটফট করছে। চিতকার করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু পারছে না। মেহেরের চোখ বন্ধ হয়ে আসছে৷ জোর করেও চোখ মেলে রাখতে পারছে না। ধপ করে মেঝেতে পড়ে গেল। সেন্স হারিয়ে ফেলেছে। ফায়াজ রুমের বাইরে আসতেই মেহেরকে দেখে চিতকার করে বলল, “মেহের!!!!”