সিনিয়র হেব্বি রোমান্টিক বউ শেষ পর্ব
Nirob Ahmed Kowcer
সকালে নিরবের ঘুম একটু তারাতাড়ি ভেঙে গেলো চোখ খুলতেই দেখলো তমা তার উপর তখন তমা কে পাশে শুইয়ে দিলো নিরব আর সে উঠে বসতেই তার সারা সরিল হাল্কা ব্যাথা অনুভব করতে লাগলো…
তখন নিরব নিজেকে বলে উঠলো।
_ কি ব্যাপার কাঁদে আর গালে এতো বেশি ব্যাথা করছে কেন বুঝলাম না আগে তো এমন ব্যাথা হয় নি তাহলে আজ ব্যাথা করছে কেন ইস দেখি তো আয়নার সামনে গিয়ে কিছু হয়েছে কি না { নিরব }
এটা বলে নিরব বিছানা থেকে উঠে আয়নার সামনে গিয়ে তাকাতেই সে অবাক নিজেকে দেখে চমকে উঠলো আর বলে উঠলো।
পর্ব গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
_ একি দেখছি আমি নাহ এটা হতে পারে না শয়তান বউ রাক্ষস বউ লুচ্চা বউ তরে তো আমি আজ পানিতে চুবিয়ে চুবিয়ে মারমু…..
এটা বলেই নিরব রেগে আয়নার সামনে থেকে সোজা বিছানার দিকে গেলো ।
গিয়ে দেখলো তমা উঠে বসে চোখ ডলছে ঘুম মাত্র ভেঙেছে তখন নিরব বলে উঠলো।
_ ওই,,,শয়তান, রাক্ষস, এইগুলা কি করছো { নিরব রাগি গলায় বললো }
তখন তমা বলে উঠলো।
_ আমি আবার কি করলাম আমি তো ঘুম থেকে উঠলামি না এখনো । তো কি করলাম { তমা }
_ বলছি আমার কাঁদে গালে এইগুলা কি করছো { নিরব }
_ কি করছি { তমা মুচকি হেসে বললো }
_ এইগুলা কামড় দিছে কে হুম { নিরব রেগে বললো }
_ কেন আমি দিয়েছি { তমা একটু ভাব নিয়ে বললো }
_ শয়তান, রাক্ষস, লুচ্চা,বউ তরে তো আমি গুলি কইরা মারমু কামড় তো নয় যেন প্রিন্ট করছে দাঁত এর দাগে ইস কি ব্যাথারে বাবা কাঁদে গালে তামাতামা কইরা লাইছে কামড় দিয়ে শয়তান বউ { নিরব রাগী গলায় বললো }
তখন তমা ফিক করে হেসে দিলো 😁😁😁 আর বলে উঠলো।
_ হি 😁 হি 😁 হি 😁 একদম ঠিক করছি { তমা বলে উঠলো }
_ তাই না দাড়া দেখাচ্ছি মজা আমিও কামড় দিতে পারি { নিরব }
_ এই না না একদম না { তমা বললো }
_ হুম হুম পরে সব যানবো কি জন্য কিসের জন্য আগে কামড় দিয়ে নেই { নিরব }
এটা বলেই নিরব গিয়ে তমা কে ধরলো ।
ধরে ধাক্কা দিয়ে খাটে শুইয়ে দিলো ।
তারপর তমার উপর নিরব বসে
তমার দুই হাতে দুই দিকে শক্ত করে ধরে
তার কাঁদে গালে কামড় দিতে লাগলো
আর তমা না করছে
কিছু কামড় দিয়ে নিরব ছেড়ে দিলো আর বলে উঠলো।
_ বদলা নিয়ে ফেলছি 😎 { নিরব }
তমা কান্না করতে করতে বললো।
_ এ্যাহ 😭 এ্যাহ 😭 এ্যাহ 😭 শয়তান বান্দর বিলাই { তমা কান্না করতে করতে বললো }
তখন নিরব বলে উঠলো।
_ হয়েছে কাঁদতে হবে না আমারে দিছো কেন { নিরব }
_ রাগ উঠছে তাই দিছি কারণ তো আছে দেওয়ার { তমা }
_ আমারও রাগ উঠে গেছে তাই আমিও দিছি ওহ ভালো কথা তুমি কামড় দিলে কখন আর কেন দিলে বলো তো এখন { নিরব }
_ তুমি আদর করে যখন ঘুমিয়ে পড়লে তখন তোমার ফোন চার্জে দিতে গিয়ে দেখি মেসেঞ্জার থেকে অনেক গুলা মেসেজ আসছে আমি আগে দেখি নি তখন আগ্রহ নিয়ে দেখতে গেলাম কে মেসেজ দিলো গিয়ে দেখি মেয়েদের মেসেজ কতগুলো মেয়ের সঙ্গে কথা বলো কি সুন্দর মিষ্টি মিষ্টি কথা বলো দেখেই রাগ উঠে গেছে দুইটা মেয়ে তো আই লাভ ইউ লিখে পাঠিয়েছে তখন মাথা একদম গরম হয়ে গেছিলো তাই গিয়ে তোমাকে ঘুমের মধ্যে যত্ন সহ কারে কামড় দিছি যাতে ঘুম না ভাঙ্গে ব্যাথা পেলেও সকালে তা টের পাও আর তুমি আমায় এমন ভাবে কামড় দিতে পারলে এ্যাহ 😭 এ্যাহ 😭 এ্যাহ 😭😭 { তমা }
তমা এটা বলে কান্না করতে লাগলো তখন নিরব বলে উঠলো।
_ কি বুদ্ধি তোমার বাহহ আর আইডি নাম কি ছিলো দেখছো { নিরব }
_ নাহ
_ তো তুমি বুঝলে কি করে আমার আইডি { নিরব }.
_ ফোন তোমার আইডি কি অন্য কারো থাকবে নাকি { তমা }
_, কথা ঠিক কিন্তু যেই গুলা মেসেজ দেখছো এটা আমার আইডির না এটা আমার বন্ধু সাব্বির এর আইডির শুনো বিকেলে যে আসলো আমার বন্ধু সাব্বির তখন এসে আমায় বললো স্যার নাকি কিছু প্রশ্ন লিখে দিয়েছে পড়ার জন্য এইগুলা কমন পড়তে পারে অর ইনবক্সে দিয়ে দিয়েছে তাই অর আইডি নিয়েছি এইগুলা দেখতে বন্ধু তো তাই আইডি থাকলেও সমস্যা হয় না { নিরব }
_ তাহলে তোমার আইডিতে শেয়ার করে দিতো { তমা }
_ এই যে বললাম না বন্ধু তাই আইডি নিয়েছি { নিরব }
তার মানে এটা তোমার আইডি না { তমা }
_ নাহ বিশ্বাস না হলে জিজ্ঞেস করো { নিরব ]
_ থাক আর বলতে হবে না জিজ্ঞেস করতেও হবে না { তমা }
_ এই যে কামড় দিয়েছো এইগুলা মানুষ দেখলে কি বলবে বলো তো বাসায় তো এখনো মেহমান আছে তারা দেখলে কি মনে করবে { নিরব }
_ আর তুমি যে আমারে দিছো এখন তারা আমার কামড় দেখলে কি বলবে কি মনে করবে {, তমা }
_ তুমি তো ওড়না দিয়ে ডেকে রাখতে পারবে আমি কি করবো { নিরব }
_ যা খুশি করো যাও তোমার সাথে কথা নাই { তমা }
_ না বললে নাই তাতে আমার কি কামড় দিয়ে রাগ দেখায় আবার আমার উপর এহ { নিরব }
এটা বলে নিরব উঠে ফ্রেশ হতে গেলো ফ্রেশ হয়ে একদম রেডি হয়ে গেলো মুখে মাক্স পড়ে নিলো যাতে কামড় গুলো খুব বেশি না বুঝস যায়।
কিছুক্ষণ তমা বসে থেকে সেও উঠে ফ্রেশ হয়ে মাথায় ওড়না দিয়ে বাহিরে চলে গেলো।
তখনি নিরব এর বোন নুপুর আসলো এসে বললো।
_ ভাইয়া আজ এতো সকালে রেডি হয়ে গেছে যে { নুপুর }
_ একটু কাজ আছে তাই { নিরব }
_ আব্বু তো বললো একটু বাজারে যেতে { নুপুর }
_ কি জন্য { নিরব }
_ কিছু গুঁড়া মাছ কিনে নিয়ে আসতে { নুপুর }
_ ঠিক আছে টাকা নিয়ে আয় { নিরব }
তখন নুপুর গিয়ে টাকা নিয়ে আসলো আর নিরব তখন বাজারে চলে গেলো কিছু গুঁড়া মাছ কিনে বাসায় দিয়ে চলে আসলো না খেয়ে পরিক্ষা দিতে এসে হোটেল থেকে কিছু খেয়ে নিলো।
খেয়ে ফোন দিলো নিরব এর সব বন্ধু কে আসার জন্য কিছুক্ষণ পর সাব্বির এসে বললো।
_ তুই এতো তারাতাড়ি আজ এসে গেলি আর মাক্স পড়ে আছিস কেন খোল হালা { সাব্বির }
_ ভাল লাগছে না তাই এসে গেলাম মাক্স পড়ছি আসার আগে মাছের বাজারে গিয়েছি তাই { নিরব }
_ ভাল কথা যানিস আজ সকালে আব্বু আম্মু ঝগড়া করছে তখন আব্বু গিয়ে দুই কেজি গুঁড়া মাছ আনছে রাগে আম্মু তো আব্বু কে বকা দিতে দিতে শেষ তখন আব্বু বললো বেশি কথা বললে আরও নিয়ে আসবে তখন চুপ হয়ে গেছে { সাব্বির }
_ বাহহ ভালো শাস্তি তো এটা মনে রাখতে হবে ঝগড়া করে না পারলে দুই তিন কেজি গুঁড়া মাছ এনে দিবো এটাই তার শাস্তি সারাদিন বসে মাছ কুটবে 😅😅😅{ নিরব }
_ হুম
তারপর নিরব আর সাব্বির কথা বলতে লাগলো কিছুক্ষণ পর নিরবের বাকি বন্ধুরা ও এসে হাজির তারপর সবাই মিলে পরিক্ষা দিতে গেলো।
পরিক্ষা শেষ করে বাসায় চলে গেলো।
এইভাবেই চলে গেলো কিছু দিন নিরবের সব পরিক্ষা আসতে আসতে শেষ হয়ে গেলো সব গুলো পরিক্ষা ভাল ভাবে দিয়েছে।
পরিক্ষা শেষ হওয়ার পর তমার আম্মু আব্বু আসলো তমা কে নিতে সাথে নিরব কে তারপর তমা আর নিরব গেলো সেখানে গিয়ে কিছুদিন থেকে চলে আসলো।
আসার পর থেকে নিরব আর ঠিক মতো বাসায় থাকে না মাঝে মধ্যে অনেক রাতে বাসায় ফিরে কোথায় যায় কিছু বলে না।
তমা কিছু জিজ্ঞেস করলে ঝগড়া করে তাই তমাও কিছু বলে না আর তমা নিজ থেকে তার ভালবাসা জোর করে আদায় করে নিরব নিজ থেকে তা করে না ।
নিরবের আম্মু আব্বু বললেও এখন কথা শুনে না ঠিক মতো ।
তমা প্রতিদিন বলে তাকে নিয়ে একটু ঘুরতে যেতে কিন্তু নিরব নিয়ে যায় না।
তাই তমাও আর বলে না কিছুর আবদার ও করে না শুধু তার ভালবাসা আর আদর তা জোর করে নেয়
একদিন রাতে নিরব ঘরে বসে আছে তখনি তার আব্বু এসে বললো।
_ শুন নিরব তর পরিক্ষা শেষ বন্ধ সব তাই আমি তর জন্য একটা জব নিয়েছি আগামীকাল আমার সাথে যাবি সকালে রেডি হয়ে থাকিস { নিরবের আব্বু }
_ কিন্তু আব্বু আমি এখন জব করবো না { নিরব }
_আমি এতো কথা শুনতে চাই না তকে যেটা বললাম সেটা করবি { নিরবের আব্বু ধমক দিয়ে বললো }
তখন নিরব চুপ হয়ে গেলো আর এটা বলেই নিরবের আব্বু চলে গেলো তখনি তমা বলে উঠলো।
_, তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো { তমা }
_ বলো এতে আবার অনুমতি নিতে হয় নাকি { নিরব }
_, আচ্ছা আমাদের বিয়ে হয়েছে কতদিন { তমা }
_ প্রায় দেড় মাস { নিরব }
_ আচ্ছা এর মধ্যে তুমি কি আমায় নিয়ে একবার দুই ঘন্টার জন্যে ও কোথাও ঘুরতে নিয়ে গেছো নিজ থেকে { তমা }
এটা শুনে নিরব নিস্তব্ধ একদম চুপচাপ হয়ে গেছে সত্যি তাকে এখনো পযন্ত কোথাও ঘুরতে নিয়ে যায় নাই সে তখন তমা আবারও বলে উঠলো।
_ বিয়ের পর থেকে এখন পযন্ত কিছু এনে দিছো সাধারণ একটা আইসক্রিম বা চকলেট { তমা }
নিরব তমার এমন প্রশ্ন শুনে চুপ করে রইলো কারণ সে কিছুই এনে দেয় নি এখনো পযন্ত কোথাও ঘুরতে নিয়ে যায় নি তাই উওর দিতে পারছে না তখন তমা আবারও বলে উঠলো।
_ আমি কি তোমার কাছে কিছু আবদার করছি এটা ওটা এনে দাও কিছু করি নাই তাহলে তুমি কেন এমন করছো বিয়ের পর থেকে নিজ থেকে একবার আদর ভালবাসা দিছো চুমু দিয়েছো বলছিলাম এক প্লেটের মধ্যে খাবো তুমি খাইয়ে দিবে দিছো { তমা }
এইবার ও নিরব চুপ করে রইলো কিছু বলতে পারছে না তখন তমা আবার বলে উঠলো।
_ কেন তুমি নিজ থেকে আদর ভালবাসা দাও না আমি কি কোনো অপরাধ করছি এখন তুমি ধিরে ধিরে আরও আমাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছ যা করছি সবি আমি জোর করে করছি দিন শেষে যখন ভাবি এইগুলা তখন ভিতরে খুব কষ্ট লাগে মনে হয় আমি জোর করে সব কিছু করছি { তমা }
এটা বলেই তমা কান্না করতে লাগলো নিরব চুপ করে রইলো কারণ কথা গুলো সত্যি নিরব নিজ থেকে এখনো তাকে একবার কিস করে দেখে নি কোথাও ঘুরতে ও নিয়ে যায় নি কিছু এনেও দেয় নি কিছু আবদার ও করে নি তমা তখন নিরব বুঝতে পারছে সত্যি তাকে কতটা ভালবাসে তমা তখন নিরব তমার চোখের পানি মুছে বললো।
_,, সরি গো আমার সিনিয়র হেব্বি রোমান্টিক বউ ঠিক আছে এখন থেকে আমার ভালবাসা সবটুকু তোমাকে দিবো তোমার ইচ্ছে গুলোও পূর্ণ করার চেষ্টা করবো { নিরব }
_ তাহলে এখন আদর করো { তমা }
_ ঠিক আছে { নিরব }
এটা বলেই নিরব তমা কে কাছে টেনে নিলো নিয়ে তমার ঠোঁটের সাথে এক করে দিলো তারপর আর কি আসতে আসতে ইতিহাসে চলে গেলো। 😁
সকালে উঠে নিরব ফ্রেশ হয়ে নিলো তারপর সবাই এক সাথে খাবার খেয়ে নিরব তার আব্বুর সাথে চললো অফিসে নতুন জব নিয়ে দিয়েছে যেখানে ।
নিরবের আব্বু কথা বলে সব ঠিক করে দিয়ে আসলো একটি সরকারি চাকরি মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন শুরুতেই।
এইবাবে চলে গেলো কিছু দিন এখন নিরব প্রতিদিন অফিসে যায় প্রতি শুক্রবার তমা কে নিয়ে আর তার বোন নুপুর কে নিয়ে ঘুরতে যায় প্রতিদিন তমা কে আর তার বোন নুপুর কে ফুচকা এনে দেয় চকলেট দেয় ।
একদিন তমা…….
_ এই চাচা রিকশাটা থামান থামান প্লিজ। { তমা }
তখন নিরব তমা কে বললো।
_ কি হলো আবার রিকশা থামাতে বললে কেন চাচা কে । { নিরব }
_ চাচা আপনি রিকশা থামান। তারপর তোমাকে আমি বলছি। { তমা }
_ ঠিক আছে । চাচা রিকশা থামান তো একটু। { নিরব }
তখন রিকশা থামালো । আর নিরব তখন তমা কে উদ্দেশ্য করে বললো।
_ এখন বলো কি হয়েছে। { নিরব)
_ ওইযে দেখো রাস্তার অইপাশে সূর্যমুখী ফুল বিক্রি করছে আমায় দুইটা ফুল এনে দাও এখনি গিয়ে । { তমা }
তমা নিরবের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে শান্ত গলায় আবদার করলো। তখন নিরব বললো।
_ তুমি ফুল দিয়ে কি করবে বাসায় নিয়ে তো ফেলে দাও পরে । { নিরব }
_ আমার প্রিয় ফুল এটা এনে দিবা প্লিজ আর ফেলবো না নষ্ট না হওয়া আগ পযন্ত । { তমা }
_ রাস্তা দেখছো মেইন রোড এটা আর কত গুলো গাড়ি এত গাড়ির মধ্যে দিয়ে গিয়ে আনতে পারবো না অন্য কোনো দিন নিয়ে আসবো আমি। ( নিরব }
_ অন্য কোনো দিন নয় আজ এখনি এনে দিবা আমায়। { তমা)
_ আচ্ছা আমি আগামীকাল অফিস থেকে আসার সময় নিয়ে আসবো। (, নিরব)
কিন্তু তমা নিরব এর কথা মানতে নারাজ তার এখনি লাগবে। নিরব এর কোনো কথা মানতে রাজি নয় এখন। নিরব এর কাছে বায়না করতে লাগলো বাচ্চাদের মতো। আর বললো।
_ আগামীকাল না আজকে এখনি এনে দিবা প্লিজ এনে দাও না গো প্লিজ দাও এনে এখনি এনে দাও । না দিলে তোমার সাথে কথা নাই যাও তুমি পচা । { তমা }
এই বলে গাল ফুলিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে বসে রইলো তমা তখন নিরব বললো।
_ বেশ ঝামেলায় পড়লাম তো বাবাহ সিনিয়র বউ কে নিয়ে ঠিক আছে নিয়ে আসছি আর রাগ করতে হবে না তুমি রিকশায় বসো। ( নিরব }
এটা শুনে তমা খুব খুশি হলো আর খুশিতে বললো।
_ আচ্ছা যাও তারাতাড়ি নিয়ে আসো। ( নিরব)
তখন নিরব রিকশা থেকে নেমে ওভারব্রীজ খুজতে লাগলো কিন্তু আসে পাসে কোনো ওভারব্রীজ নেই রাস্তা পার হওয়ার জন্য।
রাস্তায় হাজারো গাড়ি দ্রুত গতিতে ছুটছে থামার কোনো সম্ভবনা নেই গাড়ি গুলো ।
রাস্তাটাও অনেক বড় দুই ভাগে ভাগ করা একদিক থেকে গাড়ি আসছে আরেক দিক থেকে যাচ্ছে অনেকটা বড় রাস্তা।
এই রাস্তা পার হওয়া খুব বিপদ জনক একটু বেখেয়ালি হলে রাস্তার মাঝে পিসে ফেলতে পারে গাড়ি গুলো।
এই রাস্তায় প্রতিদিন এক্সিডেন্ট হয়।
নিরব মনে মনে ভয় পাচ্ছে কিন্তু তার তবুও যেতে হবে কারণ তার বউ আবদার ধরে বসে আছে না নিয়ে দিলে অভিমান করে বসে থাকবে তার কিছুই করার নেই তখন নিরব সিধান্ত নিলো এই রাস্তা পার হবে ।
তখন নিরব দেখলো তার থেকে একটু দূরে দুটি মানুষ দাড়িয়ে আছে রাস্তা পার হবে তখন নিরব তাদের সাথে যাবে বলে তাদের কাছে যেতে লাগলো তখনি রিকশা চালক এসে নিরব কে বললো। রিকশা চালক ছিলো একটু বয়স্ক।
রিকশা চালাক := শুনো ভাতিজা তুমি এই রাস্তা পার হতে যেও না এমনি দিনকাল ভালো না এই রাস্তায় প্রতিদিন এক্সিডেন্ট হচ্ছে তুমি অন্য কোনো দিন যদি ওপাশে যাও তাহলে ফুল নিয়ে নিও অথবা অন্য কোনো দোকান থেকে নিয়ে নিও।
তখন নিরব বললো।
নিরব:= কি করবো বলেন চাচা দেখেন না আবদার ধরে বসে আছে না নিয়ে দিলে রাগ করবে যাই হোক গিয়ে নিয়ে আসি ইনশাআল্লাহ কিছু হবে না।
রিকশাওয়া চাচা := ঠিক আছে যাও।
তখন নিরব যেতে লাগলো তখন তমা পিছন থেকে বলে উঠলো।
_ সাবধানে যেও রাস্তায় গাড়ি দেখে যেও কিন্তু। ( তমা }
তারপর নিরব অই দুটি মানুষ এর সাথে রাস্তা পার হয়ে গেলো ওপাশে গিয়ে ফুলের দোকানে দাড়িয়ে তমা কে ফোন দিলো আর বললো।
_ ফুল কি দুটো নিয়ে আসবো নাকি আরো বেশি নিয়ে আসবো । { নিরব)
_ তাহলে চারটা নিয়ে আসো ফুল উমম্মাহ আমার মিষ্টি বর 😘। ( তমা)
= হয়েছে থাক আর ঢং করতে হবে না ফোন রাখো আমি ফুল গুলো নিয়ে আসছি। (, নিরব)
= নিয়ে আসো নিয়ে আসো যলদি। { তমা)
তারপর ফোন কেটে দিলো তমা আর নিরব চারটি ফুল নিয়ে নিলো টাকা দিয়ে।
তারপর নিরব ফুল গুলো নিয়ে রাস্তা পার হতে দৌড় দিলো রাস্তার মাঝ পথে যাওয়ার পর একটা ট্রাক এসে নিরব কে জোরে ধাক্কা মারলো নিরব ছিটকে কিছুটা দূরে গিয়ে পড়লো।
তখন নিরব এর উপর দিয়ে আরো একটা গাড়ি যায় রাস্তার মাঝে নিমিষেই মিশে গেলো হাতের ফুল গুলে রক্তে লাল হয়ে গেছে রাস্তায় রক্তে লাল হয়ে গেছে। রাস্তার সাইটে থেকে মানুষ চেচামেচি করতে লাগলো
তমা এটা দেখে সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
তখন তমা কারো ডাকে চোখ খুলে দেখে এটা স্বপ্ন সে নিচে পড়ে আছে আর তমা কান্না করতে লাগলো এত ভয়ংকর স্বপ্ন দেখে তখন দেখে তাকে নিরব এর বোন নুপুর ডাকছে তখন নুপুর বললো।
_ কি ভাবি এমন চিৎকার দিয়ে উঠলে কেন আর কান্না করছো কেন। ( নুপুর }
তমা ফুপিয়ে কেঁদে বললো।
_ ভয়ংকর একটা স্বপ্ন দেখেছি তোমার ভাইয়া কে নিয়ে । ( তমা)
– তাই বলে কান্না করতে হয় শান্ত হন ভাবি। (নুপুর }
তমা ফুপিয়ে কেঁদে বললোঃ কয় কয়ট বা বাজে।
তখন নুপুর ফোনে টাইম দেখে বললো।
_ রাত ২ টা বাজে এখন। ( নুপুর)
_ আমি চলে যাচ্ছি তোমার ভাইয়ার কাছে। { তমা)
_ সেকি ভাবি আপনি না রাগ করে এই ঘরে চলে আসছেন আপনার ফুল না এনে দেওয়ার জন্য যতদিন ফুল এনে না দেয় এখানে থাকবেন বললেন। { নুপুর)
_ আমার ফুল লাগবে না কিছু লাগবে না শুধু তোমার ভাইয়া হলে হবে কিছু চাই না আর আমি গেলাম। ( তমা)
( দাড়ান আপনারা হয়তো কিছু বুঝতে পারলেন না কি হয়েছে তবে শুনুন বলছি সব। )
আজ চারদিন ধরে তমা নিরবের কাছে বায়না করছে সূর্যমুখী ফুল নিয়ে আসতে কিন্তু নিরব অফিস শেষ করে ভুলে আনতে পারে না আর ফুল খুজে পাচ্ছে না তাই আজ নিরব এর সাথে রাগ করে তমা তার বোন এর রুমে এসে শুয়ে থাকে আর বলে আসে ফুল নিয়ে আসলে তার রুমে যাবে।
( তারপর কি হলো তা আপনারা তো যানেন।
এখন গল্পে ফেরা যাক।)
তমা দৌড়ে ফুপিয়ে কেঁদে নুপুর এর রুম থেকে থেকে বেরিয়ে তাদের রুমে চলে গেলো রুমের দরজা খোলা ছিলো তখন গিয়ে দেখলো নিরব মাত্র তার লেপটপ রেখে দাড়ালো তখন নিরব তাকিয়ে দেখে তমা চলে আসছে তখন নিরব বললো।
_ রাগ ভেঙ্গেছে তাহলে তোমার আমি জানতাম তুমি আসবে। ( নিরব)
নিরব তমার এর দিকে না তাকিয়ে কথা গুলো বললো তখন নিরব তাকিয়ে দেখে কাঁদছে তমা ফুপিয়ে তখন নিরব বললো।
_একি তুমি কাঁদছো কেন কি হয়েছে তোমার । ( নিরব)
তখন তমা দৌড়ে এসে নিরবের বুকে মুখ গুজে শক্ত করে জরিয়ে দরে কাঁদতে লাগলো তখন নিরব বললো।
_কি হয়েছে আমার সিনিয়র হেব্বি রোমান্টিক বউ টার এখন এমন করে কাদছো কেন। { নিরব)
তখন তমা ফুপিয়ে কেঁদে বললো।
_ খারাপ স্বপ্ন দেখেছি তোমাকে নিয়ে। ( তমা)
এই বলে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলো তখন নিরব বললো ।
_ আরে পাগলি তাই বলে কাদতে হয় নাকি স্বপ্ন কখনো সত্যি হয় না তুমি সারাদিন যা ভাবতে থাকবে সব চেয়ে বেশি যেটা নিয়ে ভাববে সেটা তুমি স্বপ্নে দেখতে পারবে ঘুমিয়ে পড়লে তোমায় হয়তো সেটা ভালো কিছু দেখাবে নয়তো খারাপ কিছু এটা নিয়ে চিন্তা করো না। কান্না থামাও। { নিরব }
_ তোমার কিছু হলে আমি বাঁচবো না তোমাকে বলছিলাম না ফুল আনতে আমার কিছু লাগবে না শুধু তুমি হলে হবে। ( তমা)
তখন নিরব তমা কে জরিয়ে দরে বললো।
_ পাগলি কোথার এই গুলো বাধ দাও তো কথা আর কান্না বন্ধ করো। { নিরব)
_ হুম।
তখন তমা কে নিরব ছাড়িয়ে চোখের পানি মুছে বললো।
_ আর কাদবে না বলে দিলাম। ( নিরব)
_ তাহলে একটু আদর করো এখন। { তমা }
তখন নিরব তমার এর সারা মুখে কিস করলো তখন তমা বললো।
_ তুমি খুব কিপ্টে ঠোঁটে আদর করো। { তমা }
তখন নিরব তমার ঠোঁট কে গুলো নিজের দখলে নিয়ে পাচ মিনিট কিস করে ছেড়ে দিলো আর বললো।
_ আদর দিলাম এখন চিন্তা বাদ দাও চলো ঘুমিয়ে পড়ি। { নিরব }
_ হুম চলো আরেকটা কথা বলি। { তমা }
_ হুম বলো { নিরব, }
_ আমার দুইটা বেবি লাগবে তোমার মতো কিউট { তমা }
_ তাই ঠিক আছে তাহলে চলো কাজে লেগে পড়ি এখনি 😜😜 { নিরব }
_ ঠিক আছে চলো আমিও রেডি { তমা }
সিনিয়র হেব্বি রোমান্টিক বউ পর্ব ৯
চলুন দেখি ইতিহাস কি….
লাইট………..🔦
ক্যামেরা……..📸
অ্যাকশন……👊