বৃষ্টি নামার পরে পর্ব ১৬- Golpo Bazar

বৃষ্টি নামার পরে পর্ব ১৬ || আবেগি ভালোবাসার গল্প

বৃষ্টি নামার পরে

বৃষ্টি নামার পরে পর্ব ১৬
লেখিকা-ইশরাত জাহান ফারিয়া

“গুঞ্জন এবার লজ্জ্বায় তাকাতে পারছে না,ভয়ে একেবারে কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আর এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে হঠাৎ করে ভড়কে যাওয়ারই
কথা।লজ্জ্বা আর ভয়ের সংমিশ্রণে গুঞ্জন এবার কাঁপা-কাঁপি শুরু করেছে।হাতের গাউনটা মৃন্ময় একটানে ফ্লোরে ফেলে দিলো,জুতো দিয়ে
পিষে বললো এটা ড্রেস?ড্রেস মাই ফুট!””গুঞ্জন কাঁদোকাঁদো হয়ে বললো,উনি এটা আমায় গিফট করেছেন!”
“মৃন্ময় রেগে চিৎকার করে বললো,গিফট মাই ফুট!”

“গুঞ্জন যতই আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন নারী হোক না কেন মাঝে মাঝে পরিস্থিতির চাপে পড়ে একেবারে ভীতুর মতো আচরণ করে।এবার ওর চোখ
দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো।মৃন্ময় তা দেখে ওর গাল চেপে ধরে বললো, প্রথম দিনই বলেছিলাম তুমি একটা লোভী মেয়ে,তারই প্রুফ আজকে
দিলে।আমার বন্ধুর কাছ থেকে গিফট নিতে তোমার একটুও লজ্জ্বা করলো না?ওর টাকা দেখে মাথা পুরাই ঘুরে গিয়েছে নাকি?”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

“গুঞ্জন এবার ভয় আর রাগের সংমিশ্রণে দম নিলো।ওকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে বললো,আপনার মতো এতোটাও নিচে নেমে যাইনি টাকার জন্য যে
একজনকে এভাবে অপমান করবেন।আর কি বললেন হ্যাঁ?আমি লোভী?আমি প্রুফ দিয়েছি লোভের?আমার মাথা আপনার ছ্যাছড়া বন্ধুকে
দেখে ঘুরাই গিয়েছে?ব্লা ব্লা ব্লা..তো মিস্টার আপনি আমাকে লোভ কাকে বলে শিখাতে আসবেন না,যে নিজেই একের পর এক মেয়ে বদলায়,
নিজের স্ত্রীকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয় না,অন্য মেয়েকে ওয়াইফ হিসাবে পরিচয় দেয় তার কাছ থেকে এই গুঞ্জন লোভ কী?কত প্রকার তার
ব্যাখা শিখবে না!নিজে তো এক লুইচ্চা আবার ফ্রেন্ডও আরেক লুইচ্চা,মেয়ে দেখলেই ছোঁক ছোঁক করা আপনাদের স্বভাব, তাই না?সো আমি
আমার যেমন ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা যার সাথে ইচ্ছা তার সাথে চলবো কজ আপনার ওই ছ্যাছড়া সিফাত বন্ধু আমারও ফ্রেন্ড, গট ইট?চাইলে
রিলেশনেও যাবো,আমাকে অসহায় বা অবলা ভাববেন না।গুঞ্জন আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কাউকে পরোয়া করে না। মাইন্ড ইট!”

“মৃন্ময় এসব শুনে অভ্যস্ত।ও জানতো গুঞ্জন এসব করবে,বলবে, রেগে যাবে। কিন্তু গুঞ্জন তো এতদিন ওর ভালোমানুষি দেখেছে এবার ওর রাগী
রুপটাও দেখবে।ও নিজেই নিজের কাছে পরিষ্কার নয় যে ও গুঞ্জনকে ভালোবাসে কি না।কিন্তু আজ সিফাতের সাথে ওকে দেখে মৃন্ময়ের মনে
হচ্ছে এই গুঞ্জনকে ছাড়া ওর চলবে না,ওর পাগলামো কাজ,রাগী চেহারা,চুলের সুগন্ধ, হঠাৎ হঠাৎ গুঞ্জনের ছোঁয়া,এমনকি ঘুমানোর সময়
গুঞ্জনের মুখটা না পেলে ও বেঁচে থাকতে পারবে কিন্তু মৃত মানুষের মতো।আর ওর সামনে ওরই বউকে নিয়ে সিফাত লাফালাফি করবে তা তো
হতে পারেনা?তাই না?”

“মৃন্ময় ভ্রু কুঁচকে একটা চওড়া হাসি দিলো।ফলে ওকে লাগছে অতি সুন্দর।বললো,তাই বেবি?তুমি সিফাতকে ফ্রেন্ড বানিয়েছো?বাট স্যরি টু
সে আমি তো তা হতে দিতে পারিনা।”
-“আপনার এসব বন্ধ করে এখন এখান থেকে প্লিজ বের হোন।নইলে আমি চিৎকার করবো!”

-“তাই বেবি?”

-“মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ,,আপনি এতো বেবি বেবি করছেন কেন?জাস্ট অসহ্য লাগছে আমার!”
-“কিন্তু আমার তো খুব ভাল্লাগছে।ডু ইউ থিংক দ্যাট আই এম আ’ ফুল?”
-“জ্বি।আপনি বোকার বোকা।আপনার এসব আবালামি কথাবার্তা শুনে জনগণ হার্ট-অ্যাটাক করে ইন্তেকাল করবে!”
“মৃন্ময় রেগে বললো,তুমি কিন্তু আমাকে রাগিয়ে দিচ্ছো বেবি!”
-“বেশ করেছি,আরও রাগিয়ে দেবো!কি করবেন আপনি?”

“মৃন্ময় চিল্লিয়ে বললো,আই উইল মেইক ইউ ফ্ল্যাট বাই বিটিং,বুঝলে?সো গট ইট!”
-“কিপ ইউর ভয়েজ ডাউন,ওকে?আমি আপনাকে ভয় পাই না।তাই চিৎকার করবেন না!”
“মৃন্ময় মুখ কালো করে বললো, ডোন্ট গ্রো সো ফার!”
-“তাহলে কি করবেন শুনি?”
“মৃন্ময় গম্ভীর গলায় বললো,যে ডানা দিয়ে আকাশে উড়ছো সে ডানা কেটে রেখে দেবো।”
“গুঞ্জন ভ্রু কুঁচকে বললো,ওয়েট ওয়েট আপনি কি আমাকে লুলা করার কথা ভাবছেন?”

-“হুম!”

-“আপনার সমস্যাটা কি আমি বুঝতে পারছি না,প্লিজ ক্লিয়ার করে বলবেন?”
“মৃন্ময় একটা বাঁকা হাসি দিলো।বললো,হুম ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দিচ্ছি!”
“তারপর গুঞ্জনকে ছেড়ে দিয়ে শার্ট পুরোটাই খুলে ফেললো।বললো, দেখো আমার সিক্সপ্যাকওয়ালা বডি,কেমন লাগছে আমাকে জানু?”
“গুঞ্জন হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো।হঠাৎ করে এক চিৎকার মেরে চেঞ্জিং রুমের বাইরে বেরিয়ে এলো।আশেপাশে কেউ না থাকায় কোনো
সমস্যা হলো না।দৌড়ে অন্যপাশে চলে গেলো।হাঁপাচ্ছে গুঞ্জন, মৃন্ময়টা দিনদিন এতো বেহায়া হচ্ছে কেন গুঞ্জন বুঝতে পারছে না।”

২৮.

“এদিকে মৃন্ময় হাসতে হাসতে শেষ।পালাবে কিভাবে এবার মৃন্ময়ের রোষানল থেকে মিসেস গুঞ্জন চৌধুরী?”
“গুঞ্জনকে চিন্তিতমুখে দেখে সিফাত এগিয়ে এলো। বললো,তুমি ঠিক আছো?”
-“জ্বি!কেন?”
-তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে ভূত দেখে এসেছো!”
“গুঞ্জন বিড়বিড় করে বললো,তোর জন্যই তো ভূত দেখতে হয়েছে রে আবাল।তারপর মুখে বললো,ওহহ না।আমার মুখটাই এমন ভয়ার্ত।”
-“স্যরি।কি বললা শুনিনি?”
-“কিছুনা!”
-“তোমার হাতে ড্রেসটা কোথায়?”

“গুঞ্জন কি বলবে ভেবে পেলো না।ঠিক এমন সময় সিফাতের মোবাইলে একটা ফোন আসে,আর ফোনে কথা বলতে বলতেই সিফাত গুঞ্জনকে
বিদায় জানিয়ে চলে যায়।গুঞ্জন হাফ ছেড়ে বাঁচে,এখন যদি এই ফোন না আসতো তাহলে কি হতো গুঞ্জন ভেবে পেলো না।”
-“কি? আপনার বয়ফ্রেন্ড কোথায়?পালিয়ে গিয়েছে?”
“গুঞ্জন পেছনে ফিরে মৃন্ময়কে দেখে ভেঙচি কাটে।ভাব নিয়ে বলে,না পালায়নি,উনি তো আর আপনার মতো না যে পালাবে,আমার
বয়ফ্রেন্ডের ইমোর্টেন্ট একটা কাজ পড়ে গিয়েছে তাই চলে গিয়েছে। মাইন্ড ইট!”

“মৃন্ময় রেগে গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে রইলো।অনু,আরিশা,নাবিলা এগিয়ে আসছে।গুঞ্জন ওদের কাছে গেলো।অনু মৃন্ময়ের সাথে আবারও
ন্যাকামি শুরু করলো।কি কি কিনেছে,কত দামী জিনিসপত্র ও ইউজ করে সেসব বলতে লাগলো।একেবারে গায়ের উপর ঢলে পড়ছে।গুঞ্জনের
ইচ্ছে করছে এই ফাজিলটাকে একটা কষে থাপ্পড় মারতে।কিন্তু এখন থাপ্পড় দেওয়া যাবে না।মল ভর্তি লোকের সামনে অযথাই সিন ক্রিয়েট
করার কোনো মানেই হয় না।তার থেকে ভালো পরে সুযোগ বুঝে এটাকে উচিৎ শিক্ষস দেওয়া যাবে।আপাতত ঠান্ডা থাকতে হবে।”

“এরপর মৃন্ময় মলের অভিজাত রেস্টুরেন্ট ফুড গার্ডেনে ওদের ডিনার করার জন্য নিয়ে গেলো।সবাই খেলেও গুঞ্জন প্রায় কিছুই খেলো না
একটু পাস্তা ছাড়া।অতঃপর শপিং, ডিনার সব শেষ করে রওয়ানা দিলো বাড়ির উদ্দেশ্যে।এবার মৃন্ময়ের পাশের সিটে বসেছে অনু।সে কি খুশি
ওর।অবশ্য গুঞ্জনই ওকে সেখানে বসার সুযোগ করে দিয়েছে!মৃন্ময় রাগে গম্ভীর হয়ে রইলো।স্টিয়ারিংয়ে একটা ঘুসি দিয়ে গাড়ি স্টার্ট করলো।”
” রাত নয়টায় ওর বাসায় ফিরলো।সবাই ফ্রেশ হয়ে যার যার ঘরে এসে রেস্ট নিচ্ছে।মৃন্ময় কিছুক্ষণ রেস্ট নেবার পর স্কেচ করায় ব্যস্ত গুঞ্জনকে
জ্বালানোর উদ্দেশ্যে বলে উঠলো,বেবি!”
“গুঞ্জন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বললো,কিপ ইউর মাউথ সাট!”

-“তাই নাকি বেবি?”

“গুঞ্জন রেগে বললো,আপনি আপনার বাচ্চাকে গিয়ে বেবি বেবি বলে ন্যাকামু করুন,কিন্তু আমাকে না!”
-“বাচ্চা লাগবে গুঞ্জন? সরাসরি বললেই পারতে আমায়।এতো প্যাঁচিয়ে বলার কি দরকার?”
“মৃন্ময়ের কথা শুনে গুঞ্জনের মুখ হা হয়ে গেলো। ওর চুল আর খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি টেনে ধরে বললো, বাজে কথা বন্ধ করুন।”
-“গুঞ্জন আমার বাচ্চাগুলোকে ছাড়ো।ব্যাথা পাচ্ছি।
-“মানে?কিসের বাচ্চা?”
-“এইতো আমার চুল।”

“গুঞ্জন যেন আকাশ থেকে পড়লো।অবাক গলায় বললো,হাউ ইজ দিস পসিবল মিস্টার? চুল আপনার বাচ্চা?”
“মৃন্ময় ভাব নিয়ে বললো,হুম, সকল পুরুষের কাছে তার চুল,দাঁড়ি,গোঁফ হলো তার সন্তানের মতো। বুঝলে?”
“গুঞ্জন হা হয়ে বোকার মতো বললো, হুম বুঝলাম।আর আপনি যে মেন্টালি সিক তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছি।”
“বলেই গুঞ্জন হু হা করে হাসতে লাগলো।মৃন্ময়ের মায়ের ডাকে গুঞ্জনের হুঁশ ফিরলো।মৃন্ময়কে ডাকছেন তিনি,সেজন্য মৃন্ময়ও বাধ্য ছেলের
মতো উঠে চলে গেলো।আর রাগী ভয়ংকর চেহারা নিয়ে পেছনে ফিরে গুঞ্জনের দিকে তাকালো,বাঁকা হাসি দিয়ে বললো,ওয়েট এন্ড সি ডিয়ার!”

“গুঞ্জন আজ অবাকের পর অবাক হচ্ছে মৃন্ময়ের ব্যবহারে।ওর যদিও ভালো লাগছে একটু একটু তবুও কোথায় গিয়ে যেন আটকে যায়,কিছু কথা
মুখ দিয়ে বের হতে গিয়েও হয় না,গলার কাছে এসে আটকে যায়।গুঞ্জনের তখন খুব কান্না পায়।মানুষটা সামনে এলেই ওর শুধু মনে হয়,আর
একসাথে থাকাটা হলো না বোধহয়,হারিয়ে ফেলার ভয়টা গুঞ্জনকে সারাক্ষণ কুড়েকুড়ে খায়।সত্যিই তো,গুঞ্জনের আর কয়টা দিন এ
বাড়িতে?খুব শ্রীঘ্রই এসব পিছুটানকে দূরে ঠেলতে হবে,সামনে এগিয়ে যেতে হবে, দূরে মানে অনেকদূর,বহুদূর,সীমানার বাইরে!”

২৯.

“অনেকক্ষণ পর,প্রায় ঘন্টা দেড়েক পরে মৃন্ময় রুমে আসলো।গুঞ্জন বসে বসে মোবাইল স্ক্রল করছিলো।তা দেখে মৃন্ময় বললো,
-“বেবি কি করছো?”
“গুঞ্জন বিরক্ত হয়ে বললো,এই আপনি বেবি বেবি বলা বন্ধ করুন।”
-“শুনো আমার মুখ,আমি যা ইচ্ছা বলবো। সেটা তোমাকে বলতে হবে না।গট ইট!”
“মৃন্ময় রেগে বললো,শুনো তোমার কোনো বয়ফ্রেন্ড খোঁজার দরকার নেই।হুম?আজকালকার ছেলেরা ছ্যাছড়া হয়,তুমি আবার ওকে
বয়ফ্রেন্ড বানাতে যেও না।”
-“বয়ফ্রেন্ড কিসের?”
“মৃন্ময় দাঁত চিবিয়ে বললো,গুঞ্জন আমি সিফাতের কথা বলছি!”
-“ওহহ!ওর কথা বলছেন?”
-“হ্যাঁ।”

-“আহারে,ওকে কি করে ভুলি বলুন তো।কি সুন্দর কিউট ছেলে,উম্মাহহ,দু মিনিট দেখেই ফিদা আমি।ও বসবাস করবে আমার মনে আজীবন।
ভুলতে পারবো না আমি আমার সিফাত ফ্রেন্ডকে।না না সিফাত নয় সিফু,হাউ কিউট নেইম!”
“মৃন্ময় হঠাৎ বলে উঠলো,তুমি ওকে কিস করেছো?”
-“এখনো তো বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড ট্যাগ লাগানো বাকি,সব ঠিকঠাক হলে কিস করবো,হা হা!আর আপনি তো মেয়ে দেখলেই ছোঁকছোঁক
করেন,আ..পনি তো আ.আমায় ক ক.. কি!”
“মৃন্ময় নিষ্পাপ ভাবে বললো,আমি তো কিস করেছি এখন তুমিও আমায় কিস করবে,হুম?তুমি কাছে এসে চুমু খাবে, হ্যাঁ?আমরা কিন্তু
কাপল,তাই এসব করাই যায়!”

-“আপনার মতো লম্বুকে কিস করতে আমি গুঞ্জনকে আরো দশ হাত লম্বু হতে হবে, স্যরি টু সে আমি আর লম্বা হয়ে মগা হতে চাই না।”
“মৃন্ময় হু হা হা করে হেসে উঠলো।বাঁকা চোখে তাকিয়ে বললো,ইউ’র লুকিং সো বিউটিফুল গুঞ্জন।একটা কবিতা বলি শুনো,হুম?”
-“না,আমি শুনতে চাই না!”
“মৃন্ময় রেগে বললো,না শুনলে তোমাকে কি করবো নিজেও জানি না,চেঞ্জিং রুমের থেকেও বেশি কিছু হবে,বুঝলে?”
“গুঞ্জন হতভম্ব হয়ে চোখ গোল গোল করে চিৎকার বললো,না আ আ আ!বলুন কবিতা!”
“মৃন্ময় হেসে বললো,দ্যাটস লাইক আ গুড গার্ল!”
“গুঞ্জন ওকে থামিয়ে দিয়ে বললো,এক শর্তে!”
“মৃন্ময় ভ্রু কুঁচকে বললো,কি?”

গল্প শুনতে আমাদের চ্যানেল থেকে গুরে আসুন

“গুঞ্জন হেসে বললো,আমি আগে কবিতা আবৃত্তি করবো!”
“মৃন্ময় হতাশ কন্ঠে বললো,আচ্ছা!”
“গুঞ্জন উৎসাহ নিয়ে শুরু করলো কবিতা আবৃত্তি,
” বাতাস বইছে ঝিরিঝিরি,মিস্টার মৃন্ময় রাগছেন কিড়িকিড়ি।
বাইরে হলো রাত,মনে মনে বলি তুই ভাগ।
আমাকে অবলা ভেবে করে অত্যাচার,আমার ইচ্ছে হয় করি প্রেমসমাচার।
আজকে আমার হলো একটা নতুন ছ্যাছড়া বন্ধু।
ভাবছি তাকে বানাবো সারাজীবনের বন্ধু।
শপিংয়ে গিয়ে যখন দেখা ছ্যাছড়ার সাথে,
তখন বুঝি ছ্যাছড়া আমায় বাঁধতে চায় তার সাথে।
অতঃপর উপহার যখন দেয় আমায়,বেত্তমিজ মৃন্ময় এসে আটকে দেয় আমায়।

নিতে দেয় না উপহার,করে ফেলে নষ্ট,তা দেখে আমার মাথা হয়ে যায় নষ্ট।
তখন ভেবে মরি,কি দিবো জবাব ওই ছ্যাছড়া সিফাতকে?
আর সেই সুযোগে চেঞ্জিং রুমে মিস্টার মৃন্ময় তার গায়ের কাপড় খুলে ফেলে,
আমি হতভম্ব হয়ে গলা ছেড়ে চিৎকার দিয়ে বের হয়ে আসি ওখান থেকে,
পেছন পেছন বেহায়াটাও এসে পড়ে ওখান থেকে।
এতবড় বেলাজ পুরুষ জীবনে দেখেনি গুঞ্জন,
কি করে বাকিদিন কাটাবে এর সাথে,ভেবে যে পায় না গুঞ্জন!”
“মৃন্ময়ের আবারও মনে হচ্ছে ওর সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম কেউ কেটে নিয়ে গিয়েছে নয়তো সেটা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে!”

বৃষ্টি নামার পরে পর্ব ১৫

আমার দুইটা জমজ বোন আছে,ওদের দুজনের ঝগড়ার জন্য বড় করতে পারিনি।ওদের ঝগড়া দেখে অজ্ঞান হওয়ার জোগাড় আমার।
একজন একটু লম্বা আর আরেকজন একটু খাটো। ঝগড়ায় লম্বাজন বলে,এই তুই খাটো তাই আম্মুর সাথে ঘুমাবি,আমি আপুর সাথে থাকবো।
খাটোজন বলে,তুই ভাগ।শয়তান কোথকার।আমি খাটো হলে তোর কি?লম্বা দেখে ভাব দেখাস?আমি তোর দুইমিনিটের বড়।তাই তুই থাকবি
আম্মুর সাথে।

লম্বাজনের আবার কারো গায়ে হেলান দিয়ে বসার অভ্যাস আছে।সেজন্য লম্বাজন যখন খাটোজনকে চুলে টান দিয়ে ধরে তখন খাটোজন এক
ধাক্কায় ওকে ফ্লোরে ফেলে দেয়🤣🤣তারপর শুরু হয় ভয়ংকর ঝগড়া।দুজনেই কিন্তু ক্লাস নাইনে পড়ে 🙄

বৃষ্টি নামার পরে পর্ব ১৭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.