গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১ - Golpo Bazar

গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১ || Romantic Golpo || SA Alhaj

গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা

গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১
লেখক :তানভীর হাসান মুন্না

ভার্সিটি ক্যাপমাস এর পাশেই একটি কাঠবাদাম গাছ আছে আর তার নিচে সিমেন্ট দিয়ে
গোল করে একটা শান বাঁধানো ।। সেখানেই বসে বসে বাংলা সাহিত্যের একটি বই
পড়ছে আর বাদাম খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে ছেলেটি ।। ছেলেটি নিতান্তই শান্ত শিষ্ট ভাবেই
সেখানে বসে বই পড়ছে ।। ভার্সিটিতে ছাত্র _ছাত্রীদের , শিক্ষকদের আনাগোনা চলছে
কিছুক্ষন পর ভার্সিটির ক্লাস শুরু হবে ।। তাই ক্লাস শুরু হবার আগে ছেলেটির পরিচয়
দিয়ে নেই ।।

(ছেলেটির নাম তানভীর হাসান ।। বাবা  মায়ের এক মাত্র ছেলে সন্তান
তবে তার একটি বড় বোন ও আছে ।। ) ছেলেটি সব সময় শান্ত শিষ্ট ভঙ্গিতে থাকতেই
পছন্দ করে করো সাথে অতিরিক্ত কোন কথা বলা তার অতটা পছন্দ নয় ।। তাই তার
বন্ধুবান্ধব একটু কম তবে অতটা ও কম নয় ।। তবে এই ভার্সিটিতে নতুন বলে তেমন
কোনো বন্ধু এক্ষণ ও হয় উঠে নী ।। যেহেতু এইখানে কোনো বন্ধু নেই সুতরাং বই পরেই
সময় কাটাচ্ছে ছেলেটি ।। তবে এই সময় অনেক কিছুই হয়ে চলেছে ভার্সিটিতে তবে
তাতে তার কোনো ব্রুখেপ নেই সে তার মতো ব্যাস্ত ।।

আরও ভিডিও পেতে গুপ এ জয়েন করুন

আসে পাশে অনেক ছেলে মেয়ে চলাফেরা করছে তবে সেদিকে তার কোনো খেয়াল
নেই সে তার হাতে থাকা বইটি নিয়েই ব্যাস্ত সময় পার করছে ।। অনেক মেয়েরা তার
দিকে আর চোখে তাকিয়ে চলে যাচ্ছে ।। কিন্তু তাতে কি ?? সে তো বই পড়ায় ব্যাস্ত
, ।। কিন্তু যদিও সে ভার্সিটিতে নতুন কিন্তু তাকে নিয়ে কথা হচ্ছে ভার্সিটির কোনো এক
মেয়ে গাং এর মাজে ।। চলুন তাহলে শুনে আসা যাক তাদের গল্পঃ

রিনা : এই নেহা দেখেছিস ছেলেটি কতক্ষন ধরে ওই খানে বসে বসে শুধু বই পড়ে
যাচ্ছে এই রকম আজব জিনিষ আমি আজ পর্যন্ত একটাও দেখি নি ভার্সিটিতে ।।
লিমা : আরে ওসব কথা বাদ দে ছেলেটি কি হট রে ।। দেখতে কতো সুন্দর , একদম
কিউট ।।

readmore : অমানুষ 

সামিয়া : তোর তো শুধু এইগুলোই ।। ছেলেটি মনে হয় ভার্সিটিতে নতুন নাহলে এর
আগে কখনোই দেখি নী তো ।। আর ছেলেটি বড়ই আজব নাহলে চারপাশে এতো কিছু
ঘটে চলেছে আর তাতে ছেলেটির কোনো খেয়াল ও নেই ।। আর ওর পাশ দিয়ে এতো
মেয়ে চলে যাচ্ছে একটি মেয়ের দিকেও একবার ঘুরে ও তাকালো না ।।
রিনা : ঠিক বলেছিস ।। আমার bf না থাকলে লাইন মারতাম ।।
সামিয়া : আমার জাইয়গা খালি আছে তবে আমার আবার এতটা ভালো
ছেলের দরকার নেই ।।

লিমা : কিরে নেহা তুই কিছু বল ??

নেহা : কি বলবো সব তোরা ই তো বলে যাচ্ছিস আর আমি তো ছেলেটিকে দেখলাম ও
না কি বলবো ।।(এই হচ্ছে নেহা ।। বড়োলোক বাবা _মায়ের এক মাত্র মেয়ে ।। একদম
মডার্ন প্রকৃতির মেয়ে ।। ছেলেদের মতো ড্রেস আপ আর সব সময় একটু গুণ্ডি ভাব তার
মাজে থাকে আর কলেজের অনেক ছেলেই তাকে দেখে জমের মতো ভয় পায় কেউ
কিছু বলতে পারে না তাকে সবাই তাকে গুন্ডি মেয়ে বলেই জানে ।। তবে অকারণে
করো সাথে যোগাড়া করার মতো মেয়ে নেহা নয় ।। আর বাবা বড়োলোক হওয়ায় একটু
পাওয়ার আছে ভার্সিটিতে তাই কেউ কিছু তার মুখের উপর বলতে পারে না ।। তবে গুন্ড
মেয়ে হলেও মনের দিক থেকে অনেক ভালো ।।)

রিনা : ঐ যে বসে আছে এক্ষণ তো দেখলি !! এক্ষণ বল ??

নেহা : কিছুক্ষন ছেলেটিকে লক্ষ্য করলো তারপর চোখ নামিয়ে বললো আসলেই
আজব তো ছেলেটি আজ পর্যন্ত এই রকম ছেলে একটি চোখে পড়লো যে
ভার্সিটিতে এই রকম ভাবে বসে আছে ।।
লিমা : এই চল ছেলেটিকে একটু জ্বালাই দিয়ে আসি ।।
নেহা : চল দেখি একটু র্যাগ দিতে পারি কিনা ??
সামিয়া : কি দরকার ওকে ওর মতো থাকতে দে !! আমরা আমাদের মতো থাকি !!
নেহা : তোর এতো গা জ্বলছে কেনো প্রেমে পড়ে গেলি নাকি !!

আরও ভিডিও পেতে গুপ এ জয়েন করুন

সামিয়া : না রে এমনি বললাম ছেলেটিকে দেখে ভালো মনে হলো তাই ??
নেহা : আচ্ছা চল দেখা যাবে ।।
কিছুক্ষন পর ,,,,
নেহা ও ওর সঙ্গী বন্ধুবি গুলো নিয়ে তানভীরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো নেহা সবার
সামনে পিছনে ওর সব বান্ধুবী গুলো ।।
নেহা : এই ছেলে শুনছো ??
তানভীর বুজতে পারলো ওর সামনে কিছু মেয়ে দাড়িয়ে আছে তবে তাদের দিকে ও
একবার ও তাকায় নী ।। না তাকিয়ে উত্তর দিলো

তানভীর : জি কিছু বলবেন ।।

নেহা : সামনে থেকে বইটা সরিয়ে তারপর কথা বলো ??
তানভীর তার সামনে থেকে বইটা সরিয়ে মাথাটা নীচু করে
তানভীর : কিছু বলবেন !!
নেহা : নিচের দিকে কেনো আমাদের দিকে তাকিয়ে কথা বল ??
তানভীর : সরি আমি মেয়েদের দিকে তাকাতে আমার কেমন যেনো ভয় লাগে ।।
নেহা : ভালো কথা ।। আর কোনো মেয়ের দিকে তাকানো জাবেও না বুজলি ।।
তা এই ভার্সিটিতে নতুন নাকি তুই ??
তানভীর : জি !!
নেহা ; কোন বর্ষে পড়িস ??
তানভীর : জি হনস .২ য় বর্ষে ।। তাহলে আপু আমি চলি !!
(ক্লাস এর ঘণ্টা ও দিয়ে দিয়েছে )

নেহা : আচ্ছা যা তবে এই ভার্সিটিতে যখন পড়িস তবে শুনে রাখ কোনো মেয়ের দিকে
তাকালে মেরে হাত পা ভেঙে রেখে দিবো ।। আর সব সময় আমাদের সন্মান দিয়ে
কথা বলবি ।।

তানভীর সেখানে থেকে উঠে ক্লাস এ চলে গেলো ।।

রিনা : নেহা কি হলো এটা তুই না ছেলেটিকে র্যাগ করতে আসলি ।।
নেহা : না রে ছেলেটি আসলেই ভালো ।। আর তুই তো জানিস আমি
কাউকে অকারণে কিছু বলি না ।।
সামিয়া : ভালোই হয়েছে ।। আর ছেলেটি ও আমাদের সাথেই একই ক্লাস এ পড়ে ।।
আরে ক্লাস শুরু হয় গেছে সবাই চল ।।

তানভীর ক্লাস রুমে গিয়ে পুরো ক্লাস টা একবার তাকিয়ে দেখে জানালার পাশে একটা
সিট খালি আছে আর এই পাশে ফাস্ট এর দিকে একটা বেঞ্চ খালি তবে সেখানে একটি
মেয়ে বসা তাই সে জানালার পাশে গিয়েই বসলো ।। কিছুক্ষন পর স্যার চলে আসলো
।। স্যার ক্লাস নিতে এসে সবার উদ্দেশে বললো
স্যার : এইখানে তানভীর কে ??
তানভীর : জি স্যার আমি !!
স্যার : সামনে আসো সবার সাথে তোমার পরিচয় করিয়ে দেই ।।
তানভীর সামনে চলে গেলো ।। স্যার সবার উদ্দেশ্যে যখন বলতে
যাবে তখন নেহা ও ওর বান্ধুবিরা বাহির থেকে

নেহা : মে আই কাম ইন্ স্যার ।।

স্যার : ইয়স ।। আর সিটে গিয়ে চুপচাপ বসো ।।
ওরা গিয়ে সিটে বসলো ।। স্যার সবার উদ্দেশে আবার বললো
স্যার : স্টুডেন্ট ও হলো তানভীর এই ভার্সিটিতে নতুন ভর্তি
হয়েছে আর ও তোমাদের নিউ ফ্রেন্ড ।। বুজলে
সবাই : ইয়স স্যার ।।

তানভীর সিটে গিয়ে বসে মনোযোগ সহকারে ক্লাস করছে আর নেহা বার বার
তানভীরের দিকে আর চোখে তাকাচ্ছে ।। নেহার সাথে এমনটা কখনো হয় নী সে আজ
পর্যন্ত কোনো ছেলের দিকে এমন ভাবে তাকায় নী ।। তবে তানভীরকে দেখে সে
কেনো যেনো নিজের চোখকে ধরে রাখতে পারছে না বার বার তানভীরের দিকে
তাকাচ্ছে ।। নেহার এই ব্যাপারটা রিনা ও সামিয়া লক্ষ্য করেছে ।।

ভার্সিটি শেষে ………….

তানভীর কোনো দিকে না তাকিয়ে তার কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে যুলিয়ে বাসায় চলে গেলো ।।
আর অন্যদিকে নেহা ..
রিনা : কিরে নেহা প্রেমে পড়ে গেলি নাকি !!
নেহা : কি যা তা বলসিশ আমি আর প্রেম হা হা মানায় না ।।
সামিয়া : তবে যাই বলিস আমি ক্ষেয়াল করেছি তুই ক্লাস এ তানভীরের দিকে অনেক
বার তাকিয়ে ছিলি ।।

নেহা : আমি কিছু জানি না বাসায় গেলাম কিছু ভালো লাগছে না ।।
নেহাও তার বাসায় চলে গেলো তার গাড়ি নিয়ে ।।
আর রিনা , সামিয়া , লিমা মুষ্কি হাঁসি দিয়ে বললো : যাই হোক গুন্ডি বন্ধুবিটা এইবার
প্রেমে পরছে ।।

তানভীর বাসায় গিয়ে কলিংবেল দিলো কলিংবেল দিতেই তার আম্মু দরজা খুলে দিলো ।।
তানভীর তার আম্মুকে সালাম করে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয় আসলো ।। তারপর
তার আম্মুর সাথে দুপুরের খাবার খেয়ে নিজের রুমে চলে গেলো গিয়ে দরজা লাগিয়ে
ঘুমিয়ে পড়লো ।। বিকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয় ছাদে চলে গেলো সেখানে তার
আপু বাগানে পানি দিচ্ছে তাদের ছাদে বাগান করা ।। তানভীরের আপু তানভীরকে
দেখে

আপু : কিরে ভাই তোর ভার্সিটি কেমন লাগলো ??

তানভীর : এই তো ভালোই ।।আপু তোমার মেডিকেল কেমন লাগলো ।।
(ও আপনাদের বলা হয় নী তানভীরের আপু মেডিকেল এ পড়ে ) ।।
আপু : ভালোই ।। কোনো মেয়ে টে পছন্দ হলো নাকি ??
তানভীর : আপু তুমি তো জানো আমি ওই ধরনের ছেলে না ।। আমার কোনো মেয়ের
ধারের কাছে যেতেও ভয় হয় আর আব্বু যদি একবার জানতে পারে আমি রিলেশন করি
তাহলে আমি শেষ তাই অনেক বেশি ভয় হয় ।। একদম মেয়েদের দিকে তাকাই পর্যন্ত
না।।

আপু : হমম ।। হায়েছে তোর ধারা কিছু হবেন না ।।
তানভীর : নিজে এমন ভাবে বলছে যেনো ৪ _৫ টা রিলেশন করে ??
তারপর আপু যা বললো …….

গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.