গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ২
লেখক :তানভীর হাসান মুন্না
তারপর আপু যা বললো তা শুনে তানভীর অবাক হয়ে গেলো ।।
আপু : কে বলেছে আমি রিলেশন করি না আমিও একজনকে …
(এই রে বলে ফেললাম )
তানভীর : তুমিও এক জনেকে কি ?? বলো বলো ??
আপু : না কিছু না ।।
তানভীর : না বলতেই হবে নাহলে কিন্তু আব্বুকে বলে দিবো !!
আপু : এই না না বলছি ।।। কিন্তু তুই প্রমিজ কর আমাকে হেল্প করবি ।।
তানভীর : আচ্ছা সম্বব হলে হেল্প করবো ।।
আপু : আমি একজনকে ভালোবাসি সে আমাদের হসপিটাল এর ডক্টর ।। সে ও আমায়
ভালোবাসে ।। এক্ষণ আব্বুকে রাজি করাতে পারলে আমাদের বিয়ে হয় যাবে ।।
তানভীর : আচ্ছা আমি আব্বুকে বলবো দেখি কি হয় ।।
আপু : থ্যাংক ইউ মেরে ভাই ।।
তানভীর : এইসব তোমার জন্য না আমার একটা দুলাভাই হবে সেই জন্য ।।
রাতে তানভীরের আব্বু আম্মু , তানভীর আর তানভীরের আপু ডিনার করছে তখন ।।
তানভীরের আব্বু : কি তানভীর তোমার ভার্সিটির প্রথম দিন কেমন কাটলো ??
তানভীর : জি আব্বু ভালো ।।
তানভীরের আব্বু : আর আমার দাওয়া শর্ত মনে আছে তো ?? কোনো মেয়ের সাথে
রিলেশন এ যাবে না কারণ এই সময় ছেলে মেয়েরা রিলেশন এ গিয়ে নিজের কারিয়ের
নষ্ট করে ফেলে ।।
তানভীর :- জি আব্বু ।। আব্বু তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো ।।
তানভীরের আব্বু : বলো !!
আরও ভিডিও পেতে গুপ এ জয়েন করুন
তানভীর : আসলে আপু একজনকে ভালোবাসে আর সে ও আপু কে ভালোবাসে আর
বিয়ে করতে চায় তাই তুমি যদি রাজি থাকো তাহলে তারা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসতে পারে ।।
তানভীরের আব্বু : তাহলে আসতে বলো !! দেখি ছেলের বাবা মা , ছেলের চরিত্র কেমন
তানভীর : আচ্ছা ।।
রাতে খাবার শেষে তানভীর নিজের রুমে গিয়ে কিছুক্ষন স্টাডি করে ঘুমিয়ে পরলো ।।
আর অন্যদিকে নেহা খাবার খেয়ে তানভীরকে নিয়ে ভাবছে ।। কি এমন হলো তার যে
সে ছেলেটিকে নিয়ে এতো ভাবছে ।। সে তো কখনো প্রেম ভালোবাসায় জড়াবে না
নিজেকে তাহলে তার সাথে এমনটা কেনো হচ্ছে ।। ছেলেটির শান্তশিষ্ট সবাব যেনো তার
মনে এক বিরল ভালোবাসার সৃষ্টি করছে এই ভাবনা থেকেই তার মনে তানভীর এর জন্য
ভালোবাসার সৃষ্টি হচ্ছে সেটা হইতো সে বুজতে পারছে ।।
পরের দিন ভার্সিটিতে
তানভীর ভার্সিটির গেট দিয়ে আগের দিনের মতোই শান্তশিষ্ট ভাবে প্রবেশ করছে হটাৎ
তার চোখ পড়লো কিছু মেয়ে মিলে একটা ছেলেকে মারছে সে কি মাইর ।। মাইর খেয়ে
ছেলেটার মুখ থেকে রক্ত পড়ছে তবুও মেয়ে গুলো মাইর থামাচ্ছে না ।। তানভীর একটা
ছেলেকে ডেকে জিজ্ঞাস করলো
তানভীর : ভাই মেয়ে গুলো ছেলেটিকে মারছে কেনো ??
ছেলেটি : কি ভাই ভার্সিটিতে নতুন নাকি !!??
তানভীর : জি ভাই ।।
ছেলেটি : এইটা রোজ দিনের কাহিনী ।। ওই যে দেখছ না যে মেয়েটি ও হলো নেহা
ওদের সবার লিডার বাবা _ বড়োলোক বলে কেউ কিছু বলতে পারে না ।। মেয়েটি দেখতে
সেই সুন্দর ভার্সিটির অনেকের ক্রাস কিন্তু এই রকম গুন্ডী হওয়ায় কেউ প্রপোজ করতে
সাহস পায় না ।। আর আজকে কি জন্য জানি ওই ছেলেটিকে মারছে ।।
গল্প শুনতে আমাদের চ্যানেল এ ভিজিট করুন
তানভীর : মেয়েটি সম্পর্কে এতো কিছু জেনে কেমন যেনো গলা শুকিয়ে গেলো কি
মেয়েরে বাবা ।। ওই ছেলেটিকে যেভাবে মারছে তার একটা যোদি ওর গায়ে লাগে
ও তো শেষ ।।
তানভীর এগিয়ে গিয়ে মেয়েটি কে বললো
তানভীর : এই যে শুনছেন !!
নেহা : জি বলে পিছনে ফিরে দেখে তানভীর দাড়িয়ে আছে ।।
★তানভীর এই প্রথম নেহার দিকে তাকালো দেখতে অসম্ভব সুন্দরী নেহা তবে তার
ছেলেদের মতো পোশাক যেনো তানভীরের কাছে অতটা ভালো লাগলো না ।।★
তানভীর : আচ্ছা আপনারা ওই ছেলেটিকে মারছেন কেনো ??
নেহা : ও একটি মেয়েকে কালকে ডিস্টার্ব করেছে তাই ওকে আজ মাইর দিচ্ছি !!
তানভীর : অনেক তো হলো আর হলে তো ছেলেটি মরে যাবে দেখেন কিভাবে ছেলেটির মুখ থেকে রক্ত পরছে ।।
ছেলেটি : ভাই আমা আমাকে এদের হাত থেকে বাঁচান !!
তানভীর : আর কোনো মেয়েকে ডিস্টার্ব করবেন ??
ছেলেটি : না ।। এইবারের মতো আমাকে বাঁচিয়ে নিন প্লিজ ।।
তানভীর : শুনেন আপনি যে মেয়েটি কে কালকে ডিস্টার্ব করেছেন তাকে
সরি বলবেন আর সব সময় মিয়েদের সন্মান দিবেন কারণ মেয়েরা মায়ের জাতি ।।
ছেলেটি : আচ্ছা ভাই ।। আমার ভুল হয় গেছে ।।
তানভীর :আচ্ছা ওনাকে ছেরে দিন আর কখনো ওনি এমনটা করবেন না ।।
নেহা : আর কখনো যেনো কোনো অভিযোগ না পাই তোর নামে তাহলে কিন্তু !!(ছেলেটিকে উদ্দেশ্য করে )
তানভীর ছেলেটিকে বলল আচ্ছা আপনি ডক্টর দেখিয়ে নিবেন আমি চলি আমার ক্লাস
আছে লেট হয় যাবে ।।
ছেলেটি : আচ্ছা ভাই ধন্যবাদ ।।
তানভীরের এমন কাজ দেখে সবাই অবাক ।। কারণ আজ পর্যন্ত এই ভার্সিটিতে কেউ
নেহার উপর কথা বলতে পারে নী আর সেখানে কোথাকার এক ছেলের কথা নেহা এই
ভাবে মেনে নিল ।।
তানভীর কোনো কিছুর না ভেবে ক্লাস এ চলে গেলো আজ একদম শেষ বেঞ্চে গিয়েই
বসলো তানভীর ।। তখন তার পাশে থাকা একটি ছেলে বললো
ছেলেটি : Hi আমি বিজয় !!
তানভীর : আমি তানভীর !!
বিজয় : আমরা কি বন্ধু হতে পারি !!
তানভীর : অবশ্যই ।।
বিজয় : তাহলে আজ থেকে তুই করে বলতে হবে ।।
তানভীর : আচ্ছা ।।
আর অন্যদিকে নেহা তানভীরের এই রকম ব্যাবহার দেখে তার মনে তানভীর আরো
কিছুটা জাইগা করে নিলো সে এক্ষণ তানভীরকে নিয়েই ভাবছে ।। নেহা আর তার
বান্ধবীরা আজ ক্লাস এ যায় নী তারা ভার্সিটির ক্যাম্পাস এ বসে আলোচনা করতে ব্যাস্ত ।।
সবাই বিভিন্ন টপিক নিয়ে ব্যাস্ত কিন্তু নেহার কিছুতে মন নেই সে এক্ষণ কোনো ভাবনার
জগতে আছে ।। নেহা এক নাগাড়ে বাদাম গাছটির দিকে তাকিয়ে কি যেনো ভাবছে ।।
হটাৎ তার বান্ধুবরা খেয়াল করলো নেহা তাদের কোনো টপিক ই শুনছে না তাই তারা
নেহাকে ডাক দিলো
রিনা : কিরে তুই কোন ভাবনার জগতে ছিলো এতক্ষন ??
নেহা : কই ! কোথায় আমি তো !!
রিনা : আর বলতে হবে না আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড ডুবে ডুবে জল খাচ্ছে কিন্তু আমাদের
বলতে পরছে না ।।……হা হা (সবাই এক সাথে )
সামিয়া : তানভীরকে নিয়ে এতো ভাবিসিশ যখন তখন ভালোবাসার কথাটি
বলে দে ওকে ??
নেহা : কি যা তা বলসিষ ২ দিনেই কি প্রেম ভালোবাসা হয় যায় নাকি !!
সামিয়া : তা তো দেখতেই পারছি ।। এক্ষণ ট্রিট চাই !!
নেহা : কিসের ট্রিট নো ট্রিট আমি কি বলছি আমি ওকে ভালবাসি ।।
সামিয়া : বলতে হবে না ট্রিট দে !!
নেহা : দিবো না !!
সামিয়া : তাহলে সবাই চল দুলাভাই কে গিয়ে বলি নেহা আমাদের প্রাণের বেস্ট ফ্রেন্ড
আপনাকে ভালোবাসে ।।
নেহা : এই না না !! ট্রিট দিচ্ছি !!(নেহার অনিচ্ছা সত্বেও ট্রিট দিতে হলো )
নেহা তার বন্ধুনিদের সাথে আড্ডা দিয়ে নিজের বাসায় চলে গেলো ।। আর তানভীর ও
ক্লাস করে বিজয়ের সাথে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে বাসায় চলে গেলো ।।
এইভাবে কিছুদিন কেটে গেলো তানভীর নিয়মিত ক্লাস করে আবার ক্লাস শেষে চলে যায়
তেমন করো সাথে কথা বলে না শুধু বিজয়ের সাথে কথা বলে ।। নেহা প্রতিদিন তানভীর
এর খেয়াল রাখে সে তানভীর এর সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু কোনো টপিক খুঁজে পায় না
।। তাই কথা বলা হয় উঠে না ।। কিন্তু এই কয়েক্ দিনে সে তানভীর কে খেয়াল করতে
করতে তানভীরকে আরো বেশি করে ভালোবেসে ফেলেছে ।।
গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১
নেহা চায় সে তানভীরকে গিয়ে তার ভালোবাসার কথাটি তার মনের কথাটি বলবে কিন্তু
বলতে পারে না ।। প্রতিদিনের মতো আজও তানভীর সেই বাদাম গাছটার নিচে বসে আছে
আজ বিজয় ভার্সিটিতে আসে নী বলে একাকীত্বের মাঝেই কাটাতে হচ্ছে সময়টা বিজোয়
ব্যতীত অন্য কোনো বন্ধু এই ভার্সিটিতে নেই তার ।। তাই একাকিততাকে কাটাতে
তানভীর বাংলা সাহিত্যের সেই বইটি তার ব্যাগ থেকে বের করে তানভীর পড়া শুরু
করলো তখন তার পাশে সে খেয়াল করে দেখলো একটি মেয়ে বসেছে ।। হটাৎ করে
মেয়েটি বলে উঠলো
মেয়েটি যা বললো আর তারপর যা হলো তা পরের পার্ট এ জানতে পারবেন ।।