গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৪
লেখক : তানভীর হাসান মুন্না
তখনই এমন কিছু হলো যার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলো না ।। তানভীর যখন উল্টা পাল্টা
গিটারে শুর তুলছিলো তখন অনেকেই অনেক কথা বলছিল আর তানভীরকে নানা
অপমান জনক কথা বলছিল তারা যা নেহা শুনতে পারছিল না তার বুকের ভিতর অনেক
কষ্ট হচ্ছিল ।। কিন্তু হটাৎ করেই স্টেজ থেকে একটা সুন্ধর শুরে গান বেশে এলো আর
গানটা কেউ না তানভীর ই গাইছে সবাই এক মুহূর্তে চুপ হয় গান শুনতে লাগলো ….
★★কার মনেতে কি স্বপ্ন থাকে,,
★★ কেউ জানে না কতো আশা বুকে,,
করে লুকোচুরি খেলা ও..
জিবন মানেই শুধু চলা …
মনে মনে কথা বলা।।।★★..
★★ কার মনেতে কি স্বপ্ন থাকে,,
★★ কেউ জানে না কতো আশা বুকে,,
করে লুকোচুরি খেলা ও..
জিবন মানেই শুধু চলা …
মনে মনে কথা বলা।।।★★
★★হওয়াতে ভেসে যায়…
জীবনের কতো সুর
তারি মাঝে করো হাঁসি লাগে যে মধুর★★
★★কার চাওয়া কার পাওয়া হবে যে জীবনে কে ভাঙ্গে
কে গড়ে কে থাকে কার মনে★★
★★তবু পথ চলতে হয় পিছুটান ছড়িয়ে
জিবনে প্রেম আসে কতো প্রেম হারিয়ে
কতো প্রেম হারিয়ে ★★…….
তানভীরের গান শেষ হবার সাথে সাথে সবাই তালি বাজিয়ে অভিনন্দন জানালো আবার
অনেকে বলছে”” ওন মোর” কিন্তু তানভীর জানিয়ে দিলো সে এক্ষণ আর গান গাইতে
পারবে না ।। তানভীর গান শেষে গিটার টা রেখে স্টেজ থেকে নামতেই কিছু মেয়ে
তানভীরের কাছে গিয়ে অটোগ্রাফ চাইলো আবার কেউ কেউ এমনি কথা বলতে আসলো
।। এইগুলো দেখে নেহার গা জ্বলে যাচ্ছে ।।।
নেহা ওর বন্ধুবিদের এক দফা মাইর দিলো তারপর তানভীরকে আনতে চলে গেলো ।।
কিছু মেয়েরা যখন তানভীরকে ঘিরে আছে তখন নেহা তানভীরের পাশে দাড়ানো মাত্র
সব মেয়ে গুলো দৌড় দিয়ে চলে গেলো ।। আসলে নেহা গুণ্ডি বলে সব মেয়েরা ও
নেহাকে ভয় পায় তাই নেহাকে দেখা মাত্র ভয়ে তারা চলে গেলো এতে তানভীরের কাছেও
ভালো লাগছে কারন এতো মেয়ের মাজে বেচারা একলা কি করবে আর এমনিতেও
তানভীরের কাছে এতো গেদারিং পরিবেশ পছন্দ ও না তবে তার কাছে অতটা খারাপ ও
লাগছিল না ।। কিন্তু তানভীর একটু লাজুক টাইপ এর ছেলে হওয়ায় তার কাছে কেমন
যেনো লাগছিলো যাই হোক ভালোই হয়েছে ।। নেহা তানভীরের হাত ধরে টেনে নিয়ে
একটা নির্জন পরিবেশে চলে গেলো ।। নেহা বললো
নেহা : মেয়েদের সাথে এতো কি কথা ?
তানভীর : কই আমি তো কিছু বলি নাই ওরাই তো এসে আমার সাথে কথা বলছিল ।।
নেহা : থাক আর বলতে হবে না তুমি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলবে না ।।(ধমক দিয়ে )
তানভীর এমনিতেই নেহার ওই গুণ্ডি রূপকে ভয় পায় তার উপর এইভাবে ধমক দাওয়ায়
তানভীর একদম চুপ হয় যায় ।।
নেহা : আচ্ছা তুমি গান পারো আমাকে আগে বলো নী কেনো ??
তানভীর :(নিশ্চুপ )…….
নেহা : কি হলো কথা বলছো না কেনো ???
তানভীর : তুমি তো কথা বলতে না করলে ??
নেহা : আমি কখন কথা বলতে না করলাম ??
তানভীর : ওই সময় যে বললে !!
নেহা : আচ্ছা সরি আর হবে না তবে তুমি আমার সাথে শুধু কথা বলবে !!
তানভীর : কেনো ?? আমি কি তোমার bf লাগি নাকি ??
নেহা : না তুমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড !!★হলে তো ভালই হতো ★(মনে মনে )
তানভীর : আচ্ছা কি বলার জন্য এইখানে নিয়ে আসলে ??
নেহা : তুমি যে গান পারো বললে না কেনো জানো আমি কতো ভয় পেয়ে গেছিলাম !!
তানভীর : আচ্ছা আমি সরি আসলে অনেক দিন ধরে গান গাওয়া হয় না তাই বলতে চাই
নী ।।
নেহা : ও আচ্ছা ।।
তানভীর : আচ্ছা চলো অনুষ্ঠান দেখি !!
নেহা: না !! চলো কোথাও থেকে ঘুরে আসি !!
তানভীর : না আমি ঘুরতে পারবো না আমার আব্বু আমার সাথে তোমাকে দেখলে খারাপ
ভাববে আর আমার অবস্থা কাহিল বানিয়ে ছাড়বে !! না বাবা আমি ঘুরতে যেতে পারবো
না আমি আমার আব্বুকে অনেক ভয় পাই !!
নেহা : তুমি তো সবাই কেই ভয় পাও ভীতু একটা !! তোমাকে নিয়ে আর পারা যায় না
আচ্ছা চলো ঘুরতে হবে না ফুসকা খাই !!
তানভীর : আচ্ছা চলো !!
তারপর তানভীর আর নেহা ভার্সিটির পাশেই একটা ফুসকার দোকান আছে সেখানে চলে
গেলো সেখানে গিয়ে ৪ প্লেট ফুসকা অর্ডার করলো ৩ প্লেট নেহার জন্য এক প্লেট
তানভীর এর জন্য ।। ফুসকা খাওয়া শেষে তানভীর বিল দিতে গেলে নেহাই বিল দিয়ে
দেই তারপর তানভীর নেহাকে বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে যায় ।। আর নেহা তার
বান্ধবীদের কাছে চলে যায় !!নেহাকে আসতে দেখে রিনা বলে
রিনা :- কিরে নেহা কেমন সময় কাটলো দুলাভাই এর সাথে ??
সামিয়া : ভালো সময় না কেটে আবার উপায় আছে যেভাবে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছিল
মনে হচ্ছিল যেনো হাত ছেরে দিলেই দুলাভাই অন্য কারো হয় যাবে ।।
নেহা ; তবে রে হারামির দল তোদের এমনিতেই একদফা মাইর বাকি আছে তোরা দ্বারা ।।
নেহা ওদেরকে আবার এক দফা মাইর দাওয়ার পর ।।
নেহা : তোরা আমাকে না জানিয়ে ওর নাম ঐখানে দিলি কিসের জন্য !!
রিনা : ভালোই তো হয়েছে দুলাভাই কতো সুন্ধর গান পারে আহা মনটা জুড়িয়ে গেছে
আমার bf না থাকলে ওর সাথেই প্রেম করতাম ।।
রিনা কথাটা বলা মাত্র নেহা রিনাকে মারতে লাগলো আর বললো
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
নেহা : তোর একটাতে হয় না আমার টা ও তুই নিবি দ্বারা আজ তোকে মেরেই ফেলবো
!!(নেহা রিনাকে আরো মারতে লাগলো )
সামিয়া তো ভয়ে শেষ রিনা বললো
রীনা : আচ্ছা সরি আমি তো মজা করছি প্লিজ দোস্ত ছেরে দে !! আমায় !!
নেহা : এইবারের মতো মাফ করলাম !!
নেহা ওর বান্ধবীদের বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে গেলো ।।
দেখতে দেখতে ২ দিন চলে গেলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হওয়ায় ২ দিন ভার্সিটি বন্ধ
ছিলো তাই তানভীর বা নেহা কেউই ভার্সিটিতে যেতে পারে নী আর তাদের মাজে কোনো
যোগাযোগ ও হয় নী ।।
গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৩
ফোন নম্বর না থাকায় দুজনেই দুজনের সাথে কথা ও বলতে পারে নী ।। নেহা এই দুই
দিন তানভীরকে দেখতে না পেয়ে ব্যাকুল হয় উঠেছে এই দুই দিন যে কিভাবে কেটেছে
নেহার কাছে সেটা নেহা নিজেও জানে না ।। ২ দিন শেষে তার অপেক্ষার প্রহর কাটে ৩
দিন সে ভার্সিটিতে গিয়ে এমন কিছু দেখে যার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিলো না একটি
মেয়ে তানভীরকে