গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৬ - Golpo Bazar

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৬ || Golpo Bazar

গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৬
লেখক :তানভীর হাসান মুন্না

তানভীর চলে যাওয়ার পর নেহা সেখানে বসেই কান্না করতে লাগলো অনেক এ অনেক
কথাই বলতে লাগলো তারা ও কিছুটা অবাক হচ্ছে ।। আজ সকাল থেকেই আকাশটা
একটু মেঘলা ছিলো , ঠাণ্ডা বাতাস চলছিলো সকাল থেকেই হটাৎ আকাশটা অন্ধকার
হয় আসলো আর রিমঝিম বৃষ্টি পড়তে লাগলো নেহা সেখানে বসে কান্না করতে লাগলো
।। আজ নেহার কান্না দেখার মতো কেউ নেই , নেহার অশ্রুজল গুলো সেখানেই বৃষ্টির
পানির সাথে মিশে গড়িয়ে পরছে নেহা এক্ষণ ও সেখানে বসেই কান্না করে চলেছে ।।

আসে পাশে কেউ নেই কিন্তু একজন তাকে ঠিকই লক্ষ্য করছে সে আর কেউ না
তানভীর ।। আসলে বৃষ্টির কারণে তানভীর বেশি দূরে যেতে পারে নী হটাৎ রিমঝিম বৃষ্টি
শুরু হওয়ায় তানভীর আবার ভার্সিটিতে ফিরে এসে দাঁড়ায় ।। তানভীর ভার্সিটির বিল্ডিং
এর নিচতলায় দাড়িয়ে আছে আর নেহাকে লক্ষ্য করছে ।। নেহাকে এভাবে কাদিয়ে সে
ও শান্তিতে নেই ।। তার ও এক্ষণ ইচ্ছা করছে নেহার হাতটি জড়িয়ে ধরে বলতে সে ও
নেহাকে ভালোবাসে কিন্তু সে করো কাছে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ সে কখনো প্রেম ভালবাসায়
জড়াবে না ।। তানভীরের ইচ্ছা করছে নেহার সাথে এই বৃষ্টির মাজে বিজতে নেহার
হাতটি ধরে এই বৃষ্টিতে হাটতে কিন্তু সে পারছে না ।।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

হ্যাঁ তানভীর ও নেহাকে ভালোবাসে কিন্তু সেটা ভালোবাসা নাকি মায়া সেটা সে এক্ষণ ও
বুজে উঠতে পারছে না ।। আচ্ছা ভালোবাসা আর মায়ার মাজে পার্থক্য কি ?? তানভীর
কি তা জানে ।। মায়া তো ক্ষণিকের মোহ মাত্র ।। তানভীর হটাৎ করেই নেহার কাছে
চলে গেলো বৃষ্টি এক্ষণ ও জুম ধারায় আকাশ থেকে মাটিতে পড়ছে , আর আকাশটা
এক্ষণ ও মেঘলা আর কিছুটা ঠাণ্ডা বাতাস বইছে !! তানভীর গিয়ে নেহার পিছনে
দাড়ালো কিন্তু নেহা এক্ষণ ও কান্না করে চলেছে ।। তানভীর নেহার কাধে কাপা কাপা
হাত রাখলো ।।

নেহা হটাৎ কাধে করো স্পর্শ পেয়ে পিছে ফিরে তাকিয়ে দেখে তার ভালোবাসার
মানুষটি দাঁড়িয়ে !! নেহা তানভীরকে দেখে বললো
নেহা : তুমি এখানে কেনো আসলে !! নাকি দেখতে এসেছ আমি কি করছি আর মজা
নিতে আসলে !!(অভিমান মাখা )
তানভীর : (নিশ্চুপ)…. বলার কিছু নেই মাথাটা সামান্য নীচু করে আছে ।।
দুজনে কিছুক্ষন নিরবতা পালন করছে জুম ধারে বৃষ্টি পরে চলছে আজ মনে হয় এই
বৃষ্টি আর থামবে না ।। নিরবতা ভেংগে তানভীর বলে উঠলো ;

গল্প শুনতে আমাদের চ্যানেল থেকে গুরে আসুন

তানভীর : নেহা আমি সত্যি দুঃখিত কিন্তু কি করবো বলো আমি তোমাকে বন্ধু হিসাবে
আগেই বলেছি আমার আব্বুকে আমি কথা দিয়েছি যে আমি কখনো প্রেম _ভালোবাসার
মোহে জড়াবো না ।। আর ভালোবাসা আমি জানি না আমি তোমাকে ভালোবাসি কিনা
কিন্তু তোমার প্রতি একটা ভালো লাগা আমার মনের মাজেও কাজ করে একটি মায়া
কাজ করে তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে আমি জানিনা এটা ভালোবাসা কিনা
তবে আমি তোমাকে এটা বলতে পারি আমার আব্বু আম্মু যদি রাজি থাকে যে তোমার
সাথে আমার বিয়ে হবে নিঃসন্দেহে আমি বলতে পারি আমি তোমাকে ভালোবাসবো ,
আর তোমাকে মেনে নিতে আমার কোনো আপত্তি নেই ।

কিন্তু বিয়ের আগে আমি কোনো প্রেম _ভালোবাসার মোহে জড়াতে চাই না সরি ।।
আর প্লিজ এইভাবে কান্না করো না তোমার কান্না কেনো জানি নিজেকে অপরাধী
লাগছে ।।তানভীর একদম এ কথাগুলো বলল তারপর দুজনেই নিশ্চুপ ।। নেহা বললো
নেহা : আচ্ছা আমার সাথে এক্ষণ আমার হাত দুটি ধরে বিজবে প্লিজ !!
তানভীর : নেহা সেটি আমি পারবো না ।।
নেহা :- প্লিজ একটু !!

তানভীর : আচ্ছা ।।

নেহা তানভীরের হাতটি আলতো করে ধরে নিলো এই বৃষ্টির মাজে ।। এটাই ভালোবাসার
মানুষটির প্রথম ছোয়া এ যেনো মনের মাজে আলাদা অনুভূতির সৃষ্টি করছে !! নেহা
তানভীরের হাতটি ধরে হাঁটছে আবার কিছুক্ষন পর তানভীরের হাত ছেরে দৌড় দিয়ে
একটু দূরে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে দুইদিকে হাত ছাড়িয়ে দিয়ে নিজের
ভালোলাগাকে লুপ্ত করছে ।। তানভীর অবাক নয়ণে নেহার দিকে তাকিয়ে আছে
কিছুক্ষন আগেও এই মেয়েটি বৃষ্টির মাজে বিজে কান্না করেছে কিন্তু হটাৎ করে ই কতো
খুশি হয়তো মেয়েটি তার অতি মূল্যবান কিছু খুঁজে পেয়েছে ।। সত্যি নেহা এক্ষণ খুশি
সে হইতো তার ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে পেয়েছে ।।

তানভীর নেহাকে ডাক দিয়ে বললো নেহা আর ভিজতে হবে না বেশি বিজলে ঠাণ্ডা
লেগে যাবে তুমি এক্ষণ বাসায় চলে যাও আমিও বাসায় চলে যাই ।। পরে যদি জিবনে
তুমি কখনো আমার হও তাহলে এই রকম হাজারো বসন্ত আমরা বৃষ্টিতে ভিজে কাটাতে
পারবো ।।

নেহাকে বিদায় জানিয়ে তানভীর ভেজা শরীলে ভার্সিটি থেকে বেড়িয়ে পরলো এক্ষণ ও
কিছুটা বৃষ্টি পড়ছে ।। তানভীর আজ গাড়ি নিয়ে আসে নী তাই রিকশা করেই বা বাস এ
করে যেতে হবে রাস্তায় অনেক পানি জমেছে ।। এই অল্প খানি বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি
উঠে যায় এটাই শহরের বর্ষা কালের প্রকৃতির চিত্র ।। থাক সে সম্পর্কে রচনা বলার
দরকার আমার নেই আমি গল্পেই থাকি ।। তানভীর আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো কিন্তু
কোনো বাস নেই বললেই চলে কিন্তু তার পাশেই রিকশা নিয়ে দাড়িয়ে আছে ৫০ বা তার
থেকে অধিক বয়সি এক বৃদ্ধ ।। হইতো অভাবের কারণে আজ তার পেশা সে একজন
রিক্সা চালাক আর তার আজকের সারাদিনের উপার্জনের টাকা দিয়ে কালকে তার
সারাদিনের খাবার টাকা অর্জিত হবে ।। তানভীর চাচাকে ডাক দিতে বললো

তানভীর : চাচা ****এই ঠিকানায় যাবেন ।।

রিক্সাওলা : হ যাবো তবে বাড়াটা একটু বেশি দিতে হবে বাবা !!
তানভীর : আচ্ছা চাচা আপনাকে আপনার পাওনা টাকা পরিষদ করে দিবো !!
রিক্সাওলা : তাহলে চলেন !!
তানভীর রিকশায় উঠে বসলো রিকশাওলা রিকশা চালাতে লাগলো আর গল্পঃ করতে
লাগলো তানভীরের সাথে ।। গল্পঃ করতে করতে কখন যে তানভীর বাসার সামনে
পৌঁছে গেছে নিজেও জানে না ।।

তানভীর : আচ্ছা চাচা কতো হলো ??
রিকশাওলা : ৪০ টাকা !!
তানভীর তার মানি ব্যাগ থেকে ৫০ টাকার নোট বের করে দিয়ে বলল : এটা রাখেন ।।
রিক্সাওলা ১০ টাকা ফেরত দিতে গেলে বলে চাচা এটা দাওয়া লাগবে না এটি আপনার
কাছেই রাখেন আর আমার জন্য না হয় একটু দোআ করেন !!
রিকশাওলা : সত্যি !! আপনে অনেক ভালো না হইলে আজ কালকের দিনে কেউ
এইভাবে আমাদের মতো মানুষকে এইভাবে চাচা চাচা বলে ডাকে না আমাদের সন্মান
দেয় না ।। তারা প্রয়োজনবোধে সামান্য কিছু টাকার জন্য নিজের বাবার বয়সি একটা
লোকের গায়ে হাত তুলে ।। আর আপনার সাথে কথা বলে সত্যি খুব ভালো লাগলো ।।

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৫

তানভীর : আচ্ছা চাচা তাদের জন্য দোআ করবেন ত তাদেরকে যেনো আল্লাহ হেদায়াত
দান করেন ।। আর ভালো থাকবেন পড়ে এক সময় কথা হবে দেখা হলে !! আল্লাহ
হাফেজ !!
রিক্সাওলা : আল্লাহ হাফেজ দোআ রইলো আপনার প্রতি ।।
তানভীর ভাবছে তার থেকে বেশি বয়সী একজন অশিক্ষিত লোক ও তাকে কি
সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে সন্মান দিয়ে আপনি করে কথা বলছে অথচ এই
দেশেরই কিছু যুবসমাজ এই চাচাদের গায়ে ৫ _১০ টাকার জন্য গায়ে হাত তুলে তুই
তুকারি করে কথা বলে ধিক্কার জানাই এই সব ছেলে মেয়েদের ।।

তানভীর বাসার ভিতরে চলে গেলো আর নেহা ও তার গাড়ি নিয়ে ইতোমধ্যে তার বাসায়
চলে গেছে ।। তানভীর বাসায় এসে যখনই রুমে যেতে যাবে তখন তার আম্মু জিজ্ঞাস
করলো
তানভীরের আম্মু : কিরে বাবা আজ যে ভিজে এলি ??
তানভীর : আসলে আম্মু আজ বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করছিল তাই ভিজলাম ।।
তানভীর এর আম্মু : আচ্ছা তাড়াতাড়ি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে আর মাথাটা ভালো করে
মুছে নিবি নাহলে ঠাণ্ডা লাগতে পারে ।।

তানভীর ; আচ্ছা আম্মু ।।

তারপর তানভীর ফ্রেশ হতে চলে গেলো তানভীর ফ্রেশ হয় কাপড় চেঞ্জ করে নিলো ।।
তারপর তার আম্মুর কাছে গিয়ে বলল
তানভীর : আম্মু কিছু খেতে দাও খুব ক্ষুদা লাগছে ।।

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.