গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১১
লেখক :তানভীর হাসান মুন্না
তানভীরের আব্বু যা বললো তা শোনার জন্য তানভীর মোটেও প্রস্তুত ছিলো না ।।
তানভীরের আব্বু : তানভীর আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই আর আমার কথা শুনে
তুমি না করতে পারবে না ।।
তানভীর : আব্বু আমি কি তোমার কোনো কথা আজ পর্যন্ত ফেলেছি !!
তানভীরের আব্বু : আমি নেহালের কাছে সবটাই শুনেছি আর তাতে যা বুজেছি
নেহা তোকে সত্যি খুব ভালোবাসে তাই আমরা দুই বন্ধু মিলে ঠিক করেছি তোর আর
নেহার বিয়ে দিবো ।। কিন্তু সেটা তোদের পড়াশুনা শেষ করার পর ।। আর এক্ষণ থেকে
নেহা মার খেয়াল রাখবি ।।
তানভীর : আমি কিভাবে তার খেয়াল রাখবো বরং সেই আমার ক্ষেয়াল রাখে ।।
তানভীরের আব্বু : যা বলছি তাই করবে বিয়ে ঠিক হইছে মানে পড়াশুনা করতে হবে না
ভালো ভাবে পড়াশুনা করবে ।।
তানভীর : আচ্ছা আব্বু তাহলে আমি ভার্সিটিতে গেলাম আল্লাহ হাফেজ ।।
তানভীর তার আব্বুকে বিদায় জানিয়ে ভার্সিটির পথে রওনা দিলো আজ হেঁটে হেঁটেই
ভার্সিটির দিকে রওনা দিলো সে ।। ভার্সিটি তে তার ক্লাস শুরু হতে এক্ষণ ও অনেকটা
সময় বাকি তাই সে হেঁটে হেঁটেই ভার্সিটিতে যাচ্ছে ।।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
তানভীর আজ কিছুটা খুশি তবে কিসের জন্য সেটা কি সে জানে ?? নাকি জানেনা শুধু
ভালো লাগা কাজ করছে !! আচ্ছা সে কি সত্যি নেহাকে ভালোবাসে না ?? নাকি
ভালোবাসে হ্যাঁ নেহাকে নিয়ে তার মনের মাঝে ও একটা ভালো লাগা কাজ করে তবে
সেটাই কি ভালোবাসা ।। তানভীর রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছে আর এইগুলো ভেবে কিছুটা
মুস্কই মুস্কি হাসছে ।। মানুষ দেখলে তাকে পাগল ভাববে !! তবে কি সে পাগল !! হয়তবা
সে পাগল প্রেমের পাগল একটা আশিক থাক না সে পাগল লোক এ লোকের কথা
বলবেই তাতে তার কি সে নিজের মতোই না হয় থাকুক ছন্ধ ছাড়া এক অগুছালো
প্রেমিক বা আশিক দিওয়ানা ।।
তানভীর আনমনে নিজেকে হাজারো জিনিষ ভেবে চলছে আজ ঠিক যেমন মানুষ
প্রথম প্রেমে পড়লে হয় ।। তবে অবশেষে তানভীর ও করো প্রেমে পরলো !! হটাৎ
তানভীর তার বাম হাতে একটা টান অনুভব করলো তানভীর চেয়ে দেখে ১০ বছর কিংবা
৮ বছরের একটি মেয়ে বাচ্চা তার হাত ধরে বলছে
বাচ্চাটি : ভাইয়া ফুল নিবেন ??(বাচ্চাটির হাতে ফুল আছে আবার ফুলের মালাও আছে )
তানভীর মেয়েটির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বললো
তানভীর : তোমার নাম কি ??
বাচ্চাটি : আমার নাম লিজা !!
তানভীর : বাহ বেশ সুন্ধর নাম তো !! তা তোমার ফ্যামিলিতে কে কে থাকে ??
লিজা : আমি আর আমার আম্মু ।।
তানভীর : তুমি এতো ছোট বয়সে ফুল বিক্রি করছো কেনো তোমার তো স্কুল এ থাকার
কথা তুমি কি পড়াশুনা করো না !!
লিজা : করি ভাইয়া কিন্তু বেশ কিছুদিন হলো আম্মু অসুস্থ তাই কাজে যেতে পারে না
তাই বাসায় টাকা নেই আর যার জন্য আম্মুর চিকিৎসা আর খাবারের টাকা নেই তাই
আমার বাগানের ফুলগুলো বিক্রি করে দিচ্ছি !!
তানভীর : ও আচ্ছা ।।
তানভীর তার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ভার্সিটি শুরু হতে আর বেশি সময় নেই তাই সে
তার পকেট এ থাকা ৫০০ টাকার নোট বের করে লিজার হাতে দিয়ে বললো
তানভীর : এইটা তোমার বাসায় গিয়ে তোমার আম্মুর হাতে দিবে আর বলবে তোমার এক
ভাইয়া দিয়েছে !!
লিজা : আচ্ছা ।। কিন্তু ফুল নিবেন না !!
তানভীর : না আপু আবার পড়ে দেখা হলে তোমার কাছ থেকে ফুল নিবো ।।
লিজা : আচ্ছা ভাইয়া এই একটি ফুল নিন মনে করেন আপনার বোন তার ভাইয়াকে
দিলো !!
তানভীর অবাক হয় গেলো এতো টুকু পিচ্ছি মেয়ে এতো বড় বড় কথা বলছে !! আর
একদম গুছিয়ে হইতো বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে !! তানভীরের চোখে পানি চলে
আসলো হটাৎ করেই তার আপুর কথা মনে হলো !! তানভীর লিজার হাত থেকে
গোলাপ ফুলটি তার হাতে নিলো !! তারপর বললো
তানভীর : আচ্ছা আপু আবার দেখা হবে এক্ষণ আমাকে যেতে হবে ।।
লিজা : আচ্ছা ভাইয়া !!
তানভীর লিজাকে বিদায় জানিয়ে ভার্সিটিতে চলে এলো ।। ভার্সিটির গেট দিয়ে ঢুকে
দেখতে পেলো নেহা তার কিছু বন্ধুবীদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে ।। তানভীর তার ঘড়ির
দিকে তাকিয়ে দেখে ভার্সিটি শুরু হতে এক্ষণ ও অনেকটা সময় বাকি আছে ।। তানভীর
ধির পায়ে নেহার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার কপাল বেয়ে ঘাম জোরে পরছে ।। তানভীর
আজ অনেকটা নারওয়াজ ফিল করছে তার এতো নারোয়াজ এর আগে কখনো লাগে নী
তবে আজ কেনো এমনটা হচ্ছে আচ্ছা তার কেনো ভয় লাগছে সে তো পুরুষ !! আর
পুরুষদের ভয় পেলে চলে না এটা ভেবেই সে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে ।।
আচ্ছা আজ কি তাহলে তানভীর নেহাকে প্রপোজ করবে জানবে কি তার মনেও
নেহার জন্য ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছে সেও নেহাকে ভালোবাসে আপন করে পেতে চায়
!! কাছে টেনে নিতে চায় তার ভালোবাসার মানুষটিকে আজ তো সে কোনো বাধায়
আবদ্ধ বা শিকল বন্ধী নয় আজ সে স্বাধীন ভাবে বলতে পারবে তার মনের কথাটি কিন্তু
সে কি পারবে নেহাকে তার মনের কথা জানাতে ?? পারবে কি নেহাকে ভালোবাসার
কথা জানিয়ে বুকে টেনে নিতে ??
গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১০
আচ্ছা সে কি জানে সে কখন নেহাকে ভালোবেসেছে?? আর কিভাবে ?? হইতোবা সে
জানে না ?? কারণ ভালোবাসা কখনো রূপ, গুন, প্রতিপত্তি দেখে হয় না সেখানে
আছে করো প্রতি ভালো লাগা আর তার থেকে ভালোবাসার সৃষ্টি যার সবথেকে বেশি
হচ্ছে মায়া ।। মায়ার টানেই ভালোবাসা টিকে থাকে ।। এই দুনিয়ায় সব চেয়ে সুখী স্বামী
স্ত্রী ও মায়ার টানেই ভালোবেসেছে ।। মায়ার টানেই একে অপরকে ছেরে বাঁচবে না
যেখানে তারা উল্লেখ্য করে ভালোবাসা ভালোবাসা আর ভালোবাসা ।। তানভীর ধির
পায়ে গিয়ে নেহার সামনে দাড়ালো তারপর যা হলো পরের পার্ট এ জেনে নিয়েন