গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১৪
লেখক :তানভীর হাসান মুন্না
নেহা : যথেষ্ট বিশ্বাস ও বরশা আছে ।।
তানভীর : তাহলে কোনো কথা না বলে চুপ চাপ আমার সাথে চলো ।।
নেহা : আচ্ছা চলো ।।
তানভীর নেহার হাত দুটি ধরে ভার্সিটির গেট এ গিয়ে একটা রিকশা ঠিক করলো তারপর
রিকশা অলাকে একটা মার্কেট এর সামনে নিয়ে যেতে বললো
নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তানভীরের দিকে হটাৎ করে তানভীর এমনটি কেনো
করছে ?? নেহা তানভীরকে নিশ্চুপ অভিসারে ইশারায় জিগ্গেস করলো
নেহা : কেনো ??
তানভীর : সেটা গেলেই বুজতে পারবে ।।
কিছুক্ষন পর তারা মার্কেট এর সামনে চলে আসলো রিকশা থেকে নেমে রিক্সা ভাড়া দিয়ে
রিকশা ওলাকে বিদায় জানিয়ে মার্কেট এর পাশের ব্যাংক থেকে তানভীর কিছু টাকা
উঠিয়ে নেহাকে নিয়ে মার্কেট এ চলে গেলো ।। মার্কেট এ নেহাকে নিয়ে তানভীর একটা
বোরকার দোকানে গেলো ।। সেখানে গিয়ে ভালো দেখে একটা বোরকা কিনলো নেহার
জন্য তারপর হিজাব কিনে নেহাকে সেগুলো হাতে দিয়ে মার্কেট থেকে বেরিয়ে নেহাকে
তার বাসার জন্য রিকশা করে বললো
তানভীর : কালকে থেকে যেনো তোমায় এই পোশাকে দেখতে পাই ।।
নেহা : তোমার খুশির জন্য নাহৈ এইটুকুই করলাম চাইলে জিবনটা ও দিয়ে দিতাম ।।
তানভীর : আচ্ছা এক্ষণ ইমোশনাল হতে হবে না ।। বাসায় গিয়ে আমায় ফোন করে
জানাবে তুমি পৌঁছে সো কিনা !!
নেহা : আচ্ছা ।।
নেহাকে বিদায় জানিয়ে তানভীর ও একটি রিকশা নিয়ে তার বাসায় চলে আসলো !!
আজকের দিনটি তানভীরের জন্য ভালোই কাটলো !! যেহেতু ভালোবাসার মানুষটিকে
পেতেছে সেহেতু মনের মাজে এক অজানা অনুভুতি কাজ করছে এক কথায় ভালো লাগা
!! নেহার কাছে ও যে ভালো লাগছে না তা কিন্তু নয় ।।
কিছুক্ষন পর ….
নেহা তানভীরকে ফোন করে জানিয়ে দিলো যে নেহা বাসায় পৌছে গেছে ।। তারপর তারা
কিছুক্ষন কথা বলে ফোন রেখে দিলো ।।
এইভাবে দেখতে দেখতে ২ মাস চলে গেলো ….
এই ২ মাসে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে বিশেষ করে নেহা ।। নেহা এক্ষণ আগের মতো
গুন্ডী গিরি করে না ।। আগের মতো ছেলেদের পোশাক পড়ে ভার্সিটিতে আসে না ।। সে
এক্ষণ ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে , বোরকা হিজাব দ্বারা নিজেকে পর্ধাশিল নারীতে পরিণত
করেছে সে ।। ভার্সিটির সবাই তাকে দেখে এক্ষণ অবাক হয়ে যায় ।। তানভীরের সাথে তার
ভালোবাসার কথা ও ভার্সিটির সবাই জানে ।। ভার্সিটিতে তারা এক্ষণ বেস্ট কাপল ।।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
আজ ভার্সিটিতে যাই নী তানভীর নেহা ও যায় নী কারণ তানভীর আগেই বলেছিল আজ
সে ভার্সিটিতে যাবে না তাই নেহার ও আজ ভার্সিটিতে যেতে ইচ্ছে হলো না ।।
তানভীর বসে বসে স্টাডি করছিলো এমন মুহূর্তে তানভীরের আব্বু তানভীরের রুমে এসে
বললো
তানভীরের আব্বু : আমি গর্বিত তোমার উপর !!
তানভীর : কেনো আব্বু ??
তানভীরের আব্বু : তুমি যে গত ৬ মাস আগে cid তে যোগদান এর জন্য পরীক্ষা
দিয়েছিলে সেখানে তোমাকে সিলেক্ট করা হয়েছে ।। তবে সেখানে গিয়ে তোমাকে ১ বছর
এর ট্রেনিং করতে হবে এই যে তার চিঠি ।।
তানভীর এই খবর শুনে খুশি কারণ তার ইচ্ছে পূর্ণ হতে চলেছে ।। কিন্তু হটাৎ করেই
কোনো একটি জিনিষ নিয়ে তার মন খারাপ হয়ে গেলো সবাই কে ছেরে তাকে চলে যেতে
হবে ট্রেনিং এর জন্য ।। নেহাকে সে কি করে বলবে এ কথা আর কি করেই বা নেহাকে
রাজি করবে !! আর সে তো নেহাকে ছেরে এক মুহুর্ত এক্ষণ ভাবতে পারে না কিন্তু কি
করবে তাকে তো যেতেই হবে ।।
পরের দিন …….
আজ সকাল থেকেই আকাশটা কিছুটা মেঘযুক্ত নিল আকাশের নেয় ।। তানভীর
ভার্সিটিতে গিয়ে প্রিও বাদাম গাছটির নিচে মন খারাপ করে বসে আছে ।। নেহা এক্ষণ ও
আসে নী ।। তানভীর গুরু গম্ভীর ভাবে চিন্তা জগতে ডুবে আছে ।। সে জানে না আজ কি
হবে !! হটাৎ তানভীর তার পিঠে কারো স্পর্শ অনুভব করলো তানভীর পিছে ফিরে দেখে
নেহা !! নেহা একটি মুষ্কী হাঁসি দিলো ! ! তানভীর প্রতিউত্তর দিতে আজ প্রস্তুত নয়!!
কারণ একটু পর সে যা বলবে তা শোনার জন্য নেহা হইতো প্রস্তুত নয় ।। হইতো নেহার
এই হাশি মুখ খানা মুহূর্তের মাঝেই কালো মেঘে পরিণত হতে সময় লাগবে না ।। নেহা
আজ ও প্রতিদিনের নেয় বোরকা আর হিজাব পড়ে এসেছে ।। নেহা বললো
নেহা : কি এমন ভাবছো তোমাকে অনেক চিন্তিত মনে হচ্ছে !!
তানভীর : আচ্ছা নেহা আমি যোদি তোমার পাশে কোনোদিন না থাকি তাহলে তোমার
কেমন লাগবে ??
গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১৩
নেহা : এ আবার কেমন প্রশ্ন ?? আর তুমি কোথায় যাবে ?? তোমাকে আমি কোথাও
যেতে দিবো না তুমি আমার কাছেই থাকবে জাননা আমি তোমাকে কতো ভালোবাসি
তোমায় ছাড়া এক মুহুর্ত আমার কাছে অনেক কষ্টের মনে হয় ।।
তানভীর : না এমনি ধরো আমি তোমার পাশে নেই তখন ??
নেহা : তখন ও তোমায় ভালোবাসবো , আমার এই মন প্রাণ জুরে তুমি ই থাকবে ।। এই
মন যখন একবার তোমাকে দিয়ে দিয়েছি আর কাউকে এই মন দ্বিতীয় বার দিতে পারবো
না ।।
তানভীর : তাহলে আমার একটা কথা রাখবে !!
এই কথা শুনেই নেহার বুকে চিন চিন ব্যাথা অনুভব করলো নেহা আল্লাহই ভালো জানে
তানভীর তাকে কি বলে !!
নেহা : কি ই ই ??(ততলিয়ে)
তানভীর : নেহা তুমি শুনবে তো আমার কথা !!
নেহা : চেষ্টা তো করতে পারি !!
তানভীর : আসলে নেহা আমাকে cid তে সিলেক্ট করা হয়েছে তাই সেখানে যেতে হবে
১ বছরের জন্য তুমি কি আমার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে !!
নেহা : কি বলছো কি তুমি ১ বছর তোমার থেকে আমায় দূরে থাকতে হবে ।। আমি
কিভাবে থাকবো তোমার থেকে দূরে তাও আবার সম্পূর্ণ একটি বছর যেখানে ১ দিন
থাকতে অনেক কষ্ট হয় ।।
তানভীর : আমি জানি এটা আমাদের দুজনের জন্যই খুব কষ্টের ও দুঃখের বিষয় কিন্তু
আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আমাকে যেতেই হবে যে !! আমি জানি আমার কলিজা
আমার জন্য অপেক্ষা করবে আর আমিও খুব তাড়াতাড়ি আমার কলিজার কাছে ফিরে
আসার চেষ্টা করবো ।।
নেহা : আমি কি করে থাকবো তোমায় ছাড়া কলিজা !!(কান্না করে )
তানভীর : জানি খুব কষ্ট হবে দুজনের কিন্তু এই দূরত্বকে দুর করে আমরা খুব তাড়াতাড়ি
এক হবো আর তাছাড়া তোমার সাথে মাজে মাঝেই ফোন এ কথা তো বলবো ।।
নেহা : কান্না করছে !!
তানভীর নেহার চোখের পানি মুছে দিয়ে নেহাকে নিজের বুকে পরম যত্নে জড়িয়ে ধরে
বললো
তানভীর : এই পাগলী কান্না করে না খুব তাড়াতাড়ি আমি ফিরে এসে তোমায় নিজের করে
নিবো !!
নেহা : কবে যাবে সেখানে ??
তানভীর : ২ দিন পর !!
নেহা : আচ্ছা এক্ষণ ও কান্না করছে ।। নেহা আজ আর ভার্সিটি তে ক্লাস করলো না বাসায়
চলে গেলো তানভীরকে বলে গেলো মাথা ব্যাথা করছে ।। তানভীর বুজতে পারছে নেহা
এক্ষণ কান্না করবে তাই সে বাধা দিলো না কান্না করলে অন্তত তার মনটা হালকা হবে ।।
তবে তার মনে ভয় বাসা বাঁধলো মেয়েটা আবার না আবোল তাবোল কিছু করে বসে ।।
একবার তো আত্মহত্যা ও করতে গেছিলো ।। তানভীর ক্লাস শেষে মনমরা হয় হেঁটে বাসায়
আসছিলো ।। হটাৎ তানভীরের পকেটে থাকা ফোনটা বেজে উঠলো ।। তানভীর ফোনটা
বের করে রিসিভ করতে যা হলো …………..