গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১৫- Golpo Bazar

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১৫ || Emotional Love Story

গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১৫
লেখক :তানভীর হাসান মুন্না

তানভীর এর আব্বু :: তানভীর তুমি এক্ষণ কোথায় ??
তানভীর : এই তো আব্বু বাসায় আসার পথেই আছি !!
তানভীরের আব্বু : তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসো !!
তানভীর : আচ্ছা আব্বু ।।
কেনো বা কি কারণে সেটা জিজ্ঞাস করার মতো বাকশক্তি তানভীরের হলো না সে তার
আব্বুকে যথেষ্ট সন্মান শ্রদ্ধা করে ও ভালোবাসে ,,।। তানভীর হেঁটে হেঁটেই বাসায়
যাচ্ছিলো কিন্তু তার আব্বু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে বলায় তানভীর একটা রিকশা করে
বাসায় চলে এলো ।। বাসায় আসার পর …..
তানভীর দেখতে পেলো নেহা ও তার ফ্যামিলির সবাই তাদের বাসায় ।। তানভীর নেহাকে
ও নেহার আব্বুকে তাদের বাসায় দেখতে পেয়ে অবাক হয় তাকিয়ে আছে ।।
তানভীরের আব্বু : তানভীর যাও ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো তোমার সাথে জরুরী কথা আছে !!

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

তানভীর নিজের রুমে চলে গেল তারপর ফ্রেশ হয়ে ওয়াস্রুম থেকে বের হতেই দেখলো
তার রুমে নেহা বসে আছে ।। তানভীর গিয়ে নেহাকে জিজ্ঞাস করলো
তানভীর : এটা কি হচ্ছে নেহা !! আর তুমি এইখানে কেনো ??
নেহা : আমি তোমার স্ত্রী তাই এইখানে !! আর বাকিটা তোমার আব্বু বলবে !!
তানভীর : বাহ রে বিয়েই করলাম না এক্ষণই স্ত্রী !!
নেহা : কি!! তার মানে তুমি আমায় বিয়ে করবে না !!(কান্নার বান করে)
তানভীর : এই কান্না করো না প্লিজ কেউ দেখলে খারাপ ভাববে ।।
নেহা : কান্না থামাতে পারি তবে আমাকে কিস দিতে হবে !!
তানভীর : অসম্ভব !!

নেহা : (কান্না করে)

তানভীর নেহার গালে একটা চুমু একে দিল ।। এইবার হয়েছে ।।
নেহা : না ।। এইখানে দাও ।।
তানভীর : নেহা এক্ষণ বাড়াবাড়ি হয় যাচ্ছে এক্ষণ চলো !!
নেহা : আচ্ছা চলো !!
তানভীর ওর আব্বুর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো ।। তানভীরের আব্বু বললো
তানভীরের আব্বু : তোমার আর নেহার বিয়ে তো ঠিক হয়ে আছে কিন্তু অপতত আমরা
চাচ্ছি তোমাদের ইঙ্গেজমেন্ট টা হয় যাক ।। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেহেতু তোমাকে
পরশু চলে যেতে হবে ইংয়েজমেন্ট কালকেই হবে ।।

তানভীর কথাটি শোনা মাত্রই একটা কাশি দিয়ে উঠলো এতো তাড়াতাড়ি যে তাকে বলির
বখরা হতে হবে সেটা তার জানা ছিলো না ।। তানভীর বললো
তানভীর : আব্বু পরে হলে ভালো হয় না এক্ষণ ও তো আমার চাকরি হয় নী আর তাছাড়া
পড়াশুনাও কমপ্লিট হয়নি ।।
নেহার আব্বু : আমরাও তাই বলছিলাম কিন্তু নেহাকে তো চিনো বাবা কত জেদি আবার
যদি কিছু করে বসে ।।

গল্প শুনতে আমাদের চ্যানেল থেকে গুরে আসুন

তানভীর নেহার দিকে তাকিয়ে দেখে রাগে ফুসছে নেহা ।। আজ মনে হয় তানভীর শেষ ।।
যাই হোক তানভীরের হাতে আর কিছু নেই যেভাবে তার সাথে যা কিছু হচ্ছে সে তাতেই
তাল মিলিয়ে চলছে ।। এতে অবশ্য যে তার খারাপ লাগছে তা কিন্তু নয় ।। এইভাবে
দেখতে দেখতে নেহা আর তানভীরের ইঞ্জেজমেন্ট হয় গেলো দুষ্ট মিষ্টি ভালোবাসা ,
দুষ্টুমির মাধ্যমে ।। অবশেষে তানভীরের চলে যাওয়ার দিনটি চলে আসলো যাওয়ার সময়
তানভীরের বাসার সবাই নেহা ও নেহার আব্বু ,আম্মু উপস্থিত ছিলেন :-
নেহা অনেক কান্না করছে ।। তানভীর তার আব্বু আম্মুকে সালাম করে ও নেহার আব্বু ,
আম্মুকে সালাম করে নেহার পাশে গিয়ে নেহার চোখের জল মুছে দিয়ে বললো
তানভীর :- এই তুমি এইভাবে কান্না করছো কেনো ?? তুমি এইভাবে কান্না করলে আমি যে
যেতে পারবো না ।।

নেহা : কি করে ছেরে থাকবো তোমায় ??

তানভীর : এই তো কিছুদিন মাত্র তো ২ বছর দেখতে দেখতে চলে যাবে সেখানে থেকে
ফিরে এসে তোমায় আপন করে নিবো ।।
নেহা : আমার তো তোমাকে যেতে দিতে ইচ্ছে করছে না অনেক কষ্ট হচ্ছে জানো !!
তানভীর : জানি তোমার কষ্ট হচ্ছে আমার ও কষ্ট হচ্ছে কিন্তু আমি তাড়াতাড়ি ফিরে
আসবো !! আর তাছাড়া আমরা প্রতিদিন ইমোতে তো কথা বলবো ই তাই না কলিজা ।।
নেহা কান্না করেই তানভীরকে জড়িয়ে ধরলো তাদের সামনে যে তাদের বাবা মা দাঁড়িয়ে
সে বিষয়ে কোনো ধারণা তাদের নেই ।। তানভীর নেহার কপালে একটা চুমু দিয়ে বলে
একটু হাসো না কলিজা ।। শেষবারের মতো তোমার এই হাসিটা দেখে যেতে চাই ।।

কোনোদিন যদি আমি নাও থাকি কান্না করো না প্লিজ তোমার কান্না যে আমার বুকে
বিষের মতো আঘাত হানে , সবসময় হাসি থাকবে তুমি তোমার ঐ হাশি মুখখানি যে
আমার অধিক প্রিও ।। যাওয়ার আগে একবার তোমার হাশি মুখটি দেখতে চাই ।। আর
মনে রেখো সবসময় পর্দায় চলবে ।। আমায় দাওয়া কথাগুলো রাখবে ।।
তোমায় দাওয়া কথাগুলো আমি রাখবো !!নেহার মুখে হাসি ফুটছে না অনেক কষ্টে এক
জলিক হেঁসে তানভীরকে দেখলো !! তানভীর নেহাকে বিদায় জানিয়ে গাড়িতে উঠে
বসলো এই বিদায় যেনো কতো দুঃখের ।।

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১৪

আচ্ছা যারা সৈনিক তারা তাদের পরিবারকে কিভাবে বিদায় জানায় দেশের পাহারা দিতে
গেলে তো মৃত্যুর ঝুঁকি ও রয়েছে ।। তারপর ও তারা সেখানে যায় নিজ ফ্যামিলি পরিবার
থেকে দূরে ।। সে বিদায় আরো বেশি দুঃখের তাতে সেই বারের বিদায় যেনো শেষ বিদায়ে
ও পরিণত হয় ।। নিজ দেশের জন্য তারা পরিবার থেকে দূরে থাকে ।। তারা পরিবারের
কথা ভাবে না দেশের কথা ভাবে পুরো দেশটা যেনো তাদের পরিবার ।

অথচ এই দেশের মানুষ আর দেশ তাকে দেয় কি ?? অসন্মান , বঞ্চনা , এমনকি তাদের
পরিবারের সুরক্ষা পর্যন্ত আমরা দিতে পারছি না ।। কেমন জাতী আমরা ।। আচ্ছা এই কথা
বলতে গেলে অনেক কথাই চলে আসবে আমরা মূল গল্পে আসি ।।
তানভীর তার ফ্যামিলি থেকে দূরে চলে গেলো cid অফিসারের ট্রেনিং এ ।। ২ বছরের
ট্রেনিং শেষে সে আবার ফিরে আসবে তার পরিবারের কাছে এই ২ বছরে শুধু মোবাইল এ
কিছু কথা হবে তাতে কি মনের তৃপ্তি টা মেটে !! দূরত্ব টা যে অনেক বেশি কিন্তু
ভালোবাসায় কোনো দূরত্ব নেই !! সেখানে থাকে অবিরাম ভালোবাসা ।।

২ বছর ট্রেনিং এর পর ….

তানভীর আজ বাড়ি ফিরলো কিন্তু কেউ কিছু জানে না তানভীর সবাইকে সারপ্রাইজ
দিতেই না জানিয়ে বাড়িতে আসলো !! তানভীর বাড়ির সামনে নেমে চারপাশটা একটু
দেখে নিলো !! আগের থেকে অনেক কিছু পরিবর্তন হয় গেছে এই ২ বছরে আচ্ছা
ভালোবাসাটা ও কি পরিবর্তন হয়ে গেছে ?? কিন্তু ভালোবাসা যে পরিবর্তন হবার নয় !!
ভালবাসা তো অবিরাম অন্তহীন তা কিভাবে পরিবর্তন হতে পারে !! তানভীর কলিংবেল
দিতেই তার আম্মু দরজা খুলে দিলো !! দরজা খুলে নিজের ছেলে কে দেখে যতটা না
অবাক হলেন তিনি ততটাই ভালোবাসা নিয়ে নিজের ছেলেকে পরম মমতায় জড়িয়ে ধরে
কান্না করে দিলেন !! এটাই হইতো মায়ের ভালোবাসা এতো বছর পর নিজের সন্তান কে
নিজের কাছে পেয়ে যেকোনো মা ই তার সন্তান কে আদর ভালোবাসায় পরম মমতায়
জড়িয়ে ধরবেন !!

তানভীরের আব্বু ও তাকে জড়িয়ে ধরলো !! নেহার সাথে যেহেতু এক্ষণ ও বিয়ে হয় নী
তাই নেহা এই বাড়িতে থাকে না ।। আর তাকে জানানোও হয় নী যে আজ তানভীর আসবে
।। তানভীর তার বাবা মাকে তাদের জন্য আনা গিফট গুলো দিয়ে নিজ রুমে চলে গেলো
সেখানে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিছানার সাথে গা এলিয়ে দিলো !! ভাবছে নেহাকে ও কিছু
সারপ্রাইজ দাওয়া যায় !!

পরের দিন …

আজ নেহাকে সারপ্রাইজ দিবে ভাবছে কিন্তু একটা কাজের জন্য তাকে মিটিং এ একটা
রেস্টুরেন্ট এ যেতে হলো ।। সেখানে গিয়ে সে যা দেখলো তাতে সে নিজেই সারপ্রাইজ
হয় গেলো নেহা অন্য একটি ছেলের সাথে ………

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা শেষ পার্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.