গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৭ - Golpo Bazar

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৭ || Golpo poka || Golpo Bazar

গুন্ডি মেয়ের ভালোবাসা

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৭
লেখক :তানভীর হাসান মুন্না

আম্মু : একটু ওয়েট কর আমি খাবার নিয়ে আসছি ।।
তানভীর : আচ্ছা ।।
কিছুক্ষন পর তানভীরের আম্মু খাবার নিয়ে আসলো তানভীর খাবার খেয়ে তার আম্মুর
সাথে কিছুক্ষন গল্পঃ করে নিজের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো ।। সন্ধ্যা বেলা ঘুম থেকে
উঠে ফ্রেশ হয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে পড়তে বসলো ।। রাত ১০ টা পর্যন্ত পড়াশুনা
করে উজু করে এসার নামাজ পড়ে ডিনার করতে চলে গেলো ।। ডিনার করতে গিয়ে
দেখলো সেখানে তার আব্বু , আম্মু , আপু সবাই আছে ।। তাই সেও গিয়ে একটা চয়ার
টেনে বসে পরলো ।। তারপর সবার সাথে খাবার খেয়ে নিলো ।। খাবার শেষে
তানভীরের আব্বু :- তানভীর তোমার পড়াশুনা কেমন চলছে ??

তানভীর :- জি আব্বু ভালো ।।

তানভীরের আব্বু : সামনে তোমার আপুর বিয়ে ৩ দিন পর তাই অনেক কাজ কর্মের
জামেলা তাই আমি চাচ্ছি এই ৩ দিন তোমাকে ভার্সিটি যেতে হবে না তুমি আমার সাথে
কাজে সাহায্য করবে আর সব কাজ তো তোমাকেই দাইত্ব নিয়ে করতে হবে ।।

তানভীর : জি আব্বু ।।
তানভীর তার আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলে নিজের রুমে চলে আসলো ।। আজ বৃষ্টিতে
ভিজে তার মোবাইল টা নষ্ট হয় গিয়েছে তাই মোবাইল চালাতে পারবে না সে !! আর
তাছাড়া কালকে থেকে অনেক কাজ করতে হবে তাকে তাই সে বিশ্রামের জন্য
আজকে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লো ।। কালকে সকালে নাহই একটা মোবাইল কিনে
নাওয়া যাবে আর সিম গুলো এক্ষণ ও ঠিক ই আছে তাই সমস্যা নেই আর তার সাথে
কথা বলার মতো এতো লোক ও নেই যে তার মোবাইল এক্ষণ প্রয়োজন তাই নিশ্চিন্তে
তানভীর ঘুমিয়ে পড়লো ।।

আর অন্যদিকে……..

নেহা সেই সন্ধ্যা থেকে তানভীরকে masnger এ কল দিয়ে ম্যাসেজ দিয়ে রাখছে
কিন্তু তানভীর unactive ।। নেহার কাছে তানভীর এর নম্বর নাই যে তাকে ফোন
করবে তাই বিরক্ত ও হচ্ছে নেহার এক্ষণ অনেক ইচ্ছা করছে তানভীরের সাথে কথা
বলতে কিন্তু পারছে না ।। যাতে নেহার মনে ভালো লাগছে না ।। সন্ধ্যা থেকে রাত হয়ে
গেলো কিন্তু এক্ষণ ও তানভীর এক্টিভ হলো না নেহার এক্ষণ টেনশন লাগছে তানভীরের
কিছু হলো না তো ।। তানভীরের কিছু হলে সে যে বাঁচবে না ।। অনেক টেনশন হচ্ছে
নেহার টেনশন এর কারণে ঘুম আসছে না নেহার ।। আজ রাতটা নেহার নির্ঘুম এ ই
কাটলো ।।

পরের দিন ……

তানভীর সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয় উজু করে নামাজ পড়ে কিছুক্ষন পড়াশুনা
করলো তারপর তার আব্বুর সাথে তার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের কাজ কর্ম করতে
লাগলো ।। সব মিলিয়ে কাজের চাপে সে ভুলেই গেলো মোবাইল এর কথা ।। বিকাল
বেলা একটু কাজের চাপ কমলে যখন তার আপুর ড্রেস এর জন্য তারা মার্কেট এ যায়
তখন ভালো দেখে একটি মোবাইল কিনে তানভীর ।। বাসায় এসে তানভীর মোবাইল এ
নিজের আগের সিম লাগিয়ে নিলো তারপর আবার মোবাইলটা তার রুমে রেখে কাজ
করতে লাগলো বুঝতেই পারছেন বিয়ে বাড়ীতে কতো কাজ ।। কাজ শেষে সে অনেক
ক্লান্ত তাই মোবাইল না টিপে আজ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরলো সে ।।

আর অন্যদিকে ভার্সিটিতে ……..

আজ ভার্সিটির সেই বাদাম গাছটির নিচে বসে তানভীরের জন্য অপেক্ষা করছে নেহা
কিন্তু তানভীর আসছে না ।। সে সেখানে বসেই ভার্সিটির গেটের দিকে এক নাগাড়ে
তাকিয়ে আছে কখন যে তার ভালোবাসার মানুষটি আসবে তাকে এক নজর দেখবে
চোখের পলকে কিন্তু সেরকম কিছুই না তানভীর আসলো না আর তার অপেক্ষার প্রহর
ও কাটলো না ।। ক্লাসগুলো একে একে সব শেষ কিন্তু তানভীর আজ ভার্সিটিতে আসে
নী তবে কি তানভীরের কোনো বিপদ হলো ??

এই আশঙ্কাটা নেহার মনে সেই কখন থেকে রয়েছে ।। আজ নেহা এক মন হতাশা
নিয়ে বাড়িতে ফিরলো করো সাথে কোনো কথা না বলে নিজের রুমে চলে গেল
নিজেকে ঘর বন্ধী করে নিলো সে আবার তানভীরকে masg দিলো কিন্তু নো সিন
নো রিপ্লাই ।। নেহার কাছে সবকিছু যেনো অসহ্যকর লাগছে ।। সে নিজের রুমে
ভাঙচুর শুরু করলো ।। নেহার আম্মু নিচে থেকে সব শুনতে পেয়ে নেহার রুমে ছুটে
আসলো এসে দেখে নেহার রুমের সব জিনিসপত্র এলোমেলো ভেংগে গেছে অনেক
দামি দামি জিনিষ ।। তিনি দেখেন নেহা পাগলের মতো এক সাইড এ বসে আছে আর
নেহার চোখে পানি ।। নেহার চোখের পানি দেখে নেহার মায়ের অনেক কষ্ট লাগলো
(সব মায়েরই লাগার কথা ) কারণ তিনি এবং তার হাজবেন্ড আজ পর্যন্ত তাদের মেয়ের
চোখে কখনো পানি আসতে দেন নী সেই মেয়ে আজ তার সামনে কান্না করছে ।।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

নেহার আম্মু নেহার কাছে গিয়ে বসে নেহার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন ।। নেহা
নিজের মাথায় করো হাত বুজতে পেরে তার দিকে তাকিয়ে দেখে নেহার আম্মু ।। নেহা
ওর আম্মুকে দেখে জড়িয়ে কান্না করে দেয় ।।
নেহার আম্মু : কি হইছে সেটা আমাকে বল তুই এইভাবে কান্না করেছিস কেনো ??
জানিস না তোর চোখের পানি তোর আব্বু আর আমি দেখতে পারি না ।।

নেহা : আম্মু জানো ও গতকালকে থেকে আমার একটি masg এর উত্তর ও দেয় নাই
আর আজকে ভার্সিটিতে ও আসে নাই ওর কিছু হয় যাইনি তো আম্মু ।। আম্মু আমি যে
ওকে ছাড়া বাঁচবো না এই ক্ষণিকের সময়েই আমি ওকে যে অনেক ভালোবাসে
ফেলেছি ।।(কান্না করে )

নেহার আম্মু : কার কথা বলিস মা !!

নেহা : তোমাকে ওই যে একটি ছেলের সম্পর্কে বলেছিলাম না একদিন !! (নেহা ও ওর
আম্মু অনেক ফ্রেন্ডলী )
নেহার আম্মু : তাহলে অবশেষে আমার গুন্ডী মেয়েটি ও করো প্রেমে পরলো !!
নেহা : আম্মু আমার কিছু ভালো লাগছে না এক্ষণ ও আমার সাথে কোনো কথা বলছে না
প্লিজ কিছু করো !!
নেহার আম্মু : টেনশন করিস না কালকে ভার্সিটিতে গিয়ে দেখিস ঠিক এসে পড়েছে !!
নেহা : আমি আর অপেক্ষা করতে পারবো না !! আমি এক্ষণই ওর সাথে কথা বলবো !!

নেহার আম্মু : এক্ষণ কিভাবে ??

নেহা : আমি কিছু জানিনা আমি এক্ষণই ওর সাথে কথা বলতে চাই !!
নেহার আম্মু : আচ্ছা তুই ভার্সিটি থেকে এসে কিছু খাস নাই তাই কিছু খেয়ে নে
ততক্ষনে আমি তোর আব্বুর সাথে কথা বলে দেখি কি করা যায় !!
নেহা : না আমি আগে ওর সাথে কথা বলবো তারপর খাবার খাবো !!
নেহার আম্মু এক্ষণ এক বেজালের মধ্যে পড়ে গেলেন তিনি জানেন তার যে জেদি
মেয়ে একবার যা বলবে তাই করবে !! নেহার আম্মু নেহার আব্বুর কাছে ফোন দিয়ে
সব বললো !!

নেহার আব্বু আম্মু ও প্রেম করেই বিয়ে করেছে তাই তারাও বুজতে পারছে😘😘😍😍
আর সেটার সুজকই ওই নেহা উঠাচ্ছে আহা মেয়ের প্রেমের সেটিং বাবা মা করেইয়ে
দিচ্ছে কতো আদিখ্যেতা (বলি আমিও সিঙ্গেল কেউ করো মেয়ের সাথে আমার ও প্রেম
করিয়ে দাও 😇😇)।। নেহার আব্বু নেহাদের ভার্সিটিতে গিয়ে ভার্সিটির ভিসির সাথে
কথা বলে তানভীরের সব ইনফর্মেশন নিয়ে আসলো সাথে নম্বর ও ।। তারপর সেটা
নেহার আম্মুর নম্বর এ সেন্ট করে দিল ।। নেহার আম্মু তানভীরের নম্বর নেহার কাছে
দাওয়া মাত্র নেহা তানভীরের নম্বর এ কল দিলো রাত আনুমানিক ১১ টা হবে ।। নেহা
কল দিলো রিং হচ্ছে কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ করছে না …………. ক্রি ক্রি !!
আবার কল দিলো !!

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৬

তানভীর খাবার খেয়ে সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে সবে কি ঘুমিয়ে পড়েছে তখনই
মোবাইল এর শব্দে তানভীরের ঘুম ভেংগে যায় ।। তানভীর ঘুম ঘুম চোখে ফোনের
দিকে তাকিয়ে দেখে একটা unknown নম্বর প্রথম বার রিসিভ করতে পারলো না
তার আগেই কেটে গেছে ২ বার ফোন দিতেই রিসিভ করলো.. রিসিভ করতেই ওপাশ
থেকে

নেহা :- কুত্তা হারামী আজ ভার্সিটিতে আসিস নাই কেনো আর তোকে এতো masg
দিলাম তুই রিপ্লাই দিস নাই কেন ??
তানভীর : এই কে কে আপনি ??
নেহা : এক্ষণ আমাকে চিনতে ও পারিস না !! আমি নেহা !!
তানভীর : ও নেহা কিন্তু এগুলো কি ধরনের ব্যাবহার হেঁ ??
নেহা : এটা তো কমই তোমাকে ইচ্ছা করছে আরো কতগুলো বকা দিতে ।।

তানভীর : কেনো ??

নেহা : জানিস না কেনো আমি তোকে কতো masg দিয়েছি তোর জন্য কতক্ষন
ভার্সিটিতে অপেক্ষা করেছি !!
তানভীর : এতো অপেক্ষা করার দরকার কি ?? আর আমরা শুধু বন্ধু তাই বন্ধুত্বের
মাজে এতো ঘনিষ্ঠতা কিসের ?? আর আমার মোবাইলটা নষ্ট হয় গেছিল ।।
নেহা : আমরা সত্যি কি শুধু বন্ধু ??
তানভীর : নেহা আমি আগেই তোমাকে বলছি আমি বিয়ের আগে করো সাথে
ভালোবাসার সম্পর্কে জড়াতে চাই না !! আর এক্ষণ রাখি আজ অনেক ক্লান্ত ঘুম
আসছে !!(বলেই ফোনটা কেটে দিলাম )

নেহা যাহ ফোন কেটে দিলো নেহা রাগে ফোনটা ধরে এক আসার দিলো ।। নেহা ওর
আম্মুকে বললো আম্মু আমি তানভীরকে বিয়ে করতে চাই !! এক্ষণই !!
নেহার আম্মু : কি বলিস এইসব !! এক্ষণ ও তোদের পড়াশুনা ও শেষ হয় নী ।। আর
তাছাড়া এক্ষণ এইসব সম্বব না ।।
নেহা : আমি যদি তানভীরকে না পাই তাহলে এক্ষণই সুইসাইড করবো !!
নেহার আম্মু : কি যা তা বলসিস ! তুই কিছু করবি না আর এক্ষণ চুপ চাপ এক্ষণে বস !!
আর কিছু খেয়ে নে !!

নেহা : না আমি সত্যি এক্ষণ কিছু করে বসবো !!

নেহার আম্মু : নেহা শোন পাগলামি করিস না তাহলে কিন্তু খারাপ হবে !!
নেহা কোনো কিছু না শুনে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো নেহার আম্মু
সাথে সাথে নেহার আব্বুকে ফোন দিলো নেহার আব্বু সাথে সাথে বাসায় চলে আসলো
বাসায় এসে দেখে নেহা ভিতর থেকে তার রুমের দরজা বন্ধ করে রেখেছে ।। তাই
নেহার আব্বু দরজা তে নক করার পর যখন অনেক্ষন দরজা খুলছে না নেহা তখন
দরজা ভেংগে রুমে ডুকে দেখে নেহা হাত কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে নেহার
আব্বু নেহাকে উঠিয়ে হসপিটালে নিয়ে গেলো ।। নেহার আব্বু একটু পর তানভীরকে
ফোন দিল

তানভীর ঘুমিয়ে আছে তখন ফোনের আওয়াজ পেয়ে ঘুম থেকে উঠে ফোন রিসিভ
করতে যা শুনে

গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৮

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.