গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৮
লেখক :তানভীর হাসান মুন্না
ফোন রিসিভ করতে যা শুনে তাতে তানভীর হতভম্ব হয় যায় ।।
তানভীর : আসসালামু আলাইকুম কে বলছেন ??
ওপাশ থেকে : ওয়ালাইকুম আসসালাম আমি নেহার আব্বু বলছিলাম বাবা ।।
(কান্না করে )
তানভীর : আঙ্কেল আপনি এতো রাতে আর কান্না করছেন কেনো ??
নেহার আব্বু : বাবা নেহা সুইসাইড করার চেষ্টা করে হসপিটালে ভর্তি ।।
তানভীর : আঙ্কেল কোন হসপিটাল এ ভর্তি আমাকে ঠিকানা দিন আমি আসছি ।।
নেহার আব্বু :****”*এই হসপিটাল এ ২০৩ নম্বর কেভিন এ রয়েছে ।।
তানভীর : আচ্ছা আঙ্কেল আপনি চিন্তা করবেন না আমি আসছি ।।
তানভীর ঘুম ঘুম চোখে উঠে গিয়ে ফ্রেশ হয় নিয়ে জামাকাপড় পড়ে রেডী হয় ।।
ব মোবাইলটা পকেট এ রেখে বাইকের চাবিটা হাতে নিয়ে তাদের বাসার গেরেজ থেকে
বাইকটা বের করে স্টার্ট দেয় রাত প্রায় একটা তানভীর বাইক চালিয়ে যাচ্ছে আর
ভাবছে আজ তার জন্যই হইতো নেহা জিদ করে এইসব করলো তানভীরের নিজের
কাছে খুব অপরাধী লাগছে ।। অবশেষে বাইক চালিয়ে তানভীর হসপিটাল এ গিয়ে
নেহার কেভিন এর সামনে চলে গেলো ।। সেখানে নেহার আব্বু আর আম্মু বসে
আছে ।। তানভীর তাদের সামনে গিয়ে ইনোসেন্ট ভাব নিয়ে
তানভীর : আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল অ্যান্টি !!
নেহার আব্বু : ওলাইকুম আসসালাম ।। তুমি কি তানভীর !!
তানভীর :জি আঙ্কেল ।।
নেহার আম্মু : বাবা আমার মেয়েটির কিছু হবে না তো অনেক আধর যত্নে ওকে আমরা
বড় করেছি ।। কখনো কোনো কিছুর অভাব পর্যন্ত পড়তে দেই নী ।। কিন্তু দেখো আজ
আমার মেয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ।।
তানভীর : অ্যান্টি আপনি চিন্তা করবেন না নেহা সুস্থ হয় যাবে ।। আল্লাহ ওকে সুস্থ করে
দিবে ।। আচ্ছা আঙ্কেল ডক্টর কি বললো ।।
নেহার আব্বু : এই তো ডক্টর দেখছে ।। একটু আগেই ভর্তি করলাম ওকে ।।
তানভীর : ও আচ্ছা ।।
কিছুক্ষন পর ……
ডক্টর কেভিন থেকে বেরিয়ে
তানভীর : ডক্টর নেহার এক্ষণ কি অবস্থা !!
ডক্টর : শরীল থেকে অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যাওয়ায় ২ ব্যাগ A+রক্ত প্রয়োজন জরুরি
ভিত্তিতে ।। কিন্তু আমাদের ব্লাড ব্যাংক এ এক্ষণ A+রক্ত নেই ।। সো যা করার
তাড়াতাড়ি করুন ।।
তানভীর : ডক্টর আমার রক্ত A+ আমি রক্ত দিবো ।।
ডক্টর : আচ্ছা আপনি আমার সাথে আসুন ।।
তানভীর নেহার পাশের একটি বেড এ শুয়ে তানভীরের রক্ত নিলো ।। ২ ব্যাগ রক্ত
দাওয়ার পর তানভীর এক্ষণ অনেকটা দুর্বল হয় পরেছে এমনিতেই সারাদিনের কাজ
কর্ম করে অনেকটা ক্লান্ত তার উপর আবার রক্ত দাওয়ায় দুর্বল শরীল নিয়ে বেডেই
তানভীর ঘুমিয়ে পড়ে ।।
সকাল বেলা ………
তানভীরের যখন ঘুম বাঙ্গে পাখির কিচির মিচির শব্দে তখন তার পকেট থেকে মোবাইল
বের করে দেখে ১০ টা বাজে তানভীর বেড থেকে উঠে নেহার দিকে তাকাতেই দেখে
নেহা তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।। নেহা এক্ষণ চোখের নিচে কালচে
একটা দাগ পড়েছে হইতো ২ থেকে ৩ দিন ভালো করে ঘুম হয় নী ওর তাদের ৩ দিন
দেখা ও হয় নী ।। আজ নেহাকে অনেক মায়াবী লাগছে ।। মিষ্টি রোদের এক জিলিক
এসে নেহার গালে পরছে যা নেহার সুন্ধর্যটা তানভীরের কাছে বাড়িয়ে তুলছে ।। তানভীর
তার বেড থেকে উঠে গিয়ে নেহার পাশে থাকা প্লাস্টিক এর চেয়ার টা টেনে নেহার
বেডের সাথে বসে বললো
তানভীর : এমনটা কেনো করলে ??
নেহা : তোমাকে না পেলে আমি মরে যাবো তাই ।।
তানভীর : নেহা তোমাকে আজ কিছু কথা বলি শুনো তোমার বাবা মা তোমাকে অনেক
আদর যত্নে বড় করেছে তাদের প্রতি তোমার একটি দায়িত্ব আছে ভালোবাসা আছে
সেটাকে তুমি অবজ্ঞা করে ২ দিনের কোথাকার না কোথাকার ছেলে আমার প্রতি তুমি
ভালোবাসা এনে নিজের জিবনটা আজ শেষ করে দিতে তাতে কি লাভ হতো ?? মানছি
তুমি আমায় ভালোবাসো তার জন্য কি আমায় না পেলে তোমায় মরতে হবে ।। আচ্ছা
তুমি যদি আজ মরে যেতে তাহলে আজ সবচেয়ে বেশি কে কান্না করত জানো তোমার
মা বাবা ।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
। আর আমি আমি হইতো ২ _৩ দিন একটু কস্ট পেতাম যে আমার বন্ধুটা মরে
গেছে বা নিজের কাছে নিজেই একটা অপরাধী হয় থাকতাম যে তুমি মরার জন্য আমি
দায়ী ।। আর এইটাকে ভালোবাসা না মিছে মায়া বলে মায়া ।। আরেকটা কথা বাবা মা যা
বলে তাই করো কারণ মা বাবার মনে কষ্ট দিয়ে কেউ কখনো সুখে থাকতে পারে না ।।
আর তুমি যদি আমার কপালে থাকো তাহলে তুমি আমার হবে জন্ম মৃত্যু বিয়ে এটা
আল্লাহর হাতে তাতে মানুষের কোনো হাত নেই ।।
নেহা : স্টপ আমি এক্ষণ তোমার মটিবিশনাল কথা শুনতে চাই না আমি বাস
তুমাকে চাই ।।
তানভীর : আচ্ছা তাহলে কিছু বলবে এক্ষণ তুমি !!
নেহা : না শুধু তোমাকে দেখবো !!
তানভীর : পরে দেখে নিও আমাকে এক্ষণ যেতে হবে আমার আপুর বিয়ে তাই অনেক
কাজ তুমি সুস্থ থাকলে নিয়ে যাওয়া যেতো ।। আচ্ছা ডক্টর ওকে কখন বাসায় নিয়ে
যাওয়া যাবে !!
ডক্টর : আজকে বিকালেই নিয়ে যেতে পারেন ! !
তানভীর : ওকে ,!! আঙ্কেল অ্যান্টি আজকে তাহলে আসি আব্বু আম্মু চিন্তা করবে !!
নেহার আব্বু : তোমার আব্বুর নম্বর টা দাও তো ??
তানভীর :01*********
নেহার আব্বু : আচ্ছা বাবা ভালো ভাবে যেও !!
তানভীর : আঙ্কেল কালকে নেহাকে নিয়ে আমাদের বাসায় চলে আসবেন
এই ঠিকানা ***””
নেহার আব্বু : আচ্ছা বাবা সে তো আসতেই হবে ।।
তানভীর হসপিটাল থেকে বের হতে নিলে নেহা অনেক জোর করছিল থাকার জন্য
কিন্তু তানভীর চলে আসলো ।। তানভীর সবাইকে বিদায় জানিয়ে তার বাইক নিয়ে
বাসায় চলে আসলো ।।
আর অন্যদিকে তানভীর যাওয়ার পর নেহা
নেহা : আব্বু আমি এক্ষণই ওকে বিয়ে করতে চাই !!
নেহার আব্বু : দেখ নেহা মা !! বিয়ে বললেই তো হয় যায় না তার জন্য সময় লাগে ।।
আমি ওর আব্বুর সাথে কালকে তোর আর ওর বিয়ের কথা বলবো !!
নেহা : সত্যি আব্বু !! তোমাকে অনেক ধন্যবাদ !!my সুইট আব্বু ।।
নেহার আব্বু : হ্যাঁ রে মা ছেলেটির কথা বার্তা আচার আচরণের দিক থেকে আমার
কাছেও ভালো লেগেছে নাহলে এতো রাতে কেউ করো জন্য ছুটে আসে এইভাবে আবার তোকে রক্ত ও দিয়েছে ।।
গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ৭
নেহা : কি বললে ও আমার জন্য রক্ত দিয়েছে !! তাহলে ও আমাকে ভালোবাসে কিন্তু
শিকার করে না কিন্তু আমিও নেহা ওর মুখ থেকে কিভাবে ভালোবাসা কথাটি শুনতে হয়
তা আমার জানা আছে ।।
তারপর নেহা নেহার আব্বু , আম্মু গল্পঃ করতে লাগলো
আর ওদিকে তানভীর বাসায় গিয়ে অনেকটা ক্লান্ত তানভীরের আব্বু তানভীরকে
জিজ্ঞাস করে
তানভীরের আব্বু : সারা রাত কোথায় ছিলে তুমি তো কখনো বাহিরে থাকো না ।।
তানভীর : আব্বু এক বন্ধু অসুস্থ ছিলো তাই দেখতে গিয়েছিলাম ।।
তানভীরের আব্বু : আচ্চা যাও গিয়ে ফ্রেশ হয় আসো !!
তানভীর নিজের রুমে চলে গেলো তানভিরদের বাড়িটা এক্ষণ সুন্ধর ভাবে সাজানো
গুছানো ।। বাহিরে ও ভিতরে লাইটিং করা হইছে বাড়িটি বাড়ির ভিতরে অনেক রকম
ফুল দিয়ে সাজানো মেহমান তেমন আসে নী এক্ষণ ও কিছু কিছু এসেছে তারা অনেক
ঘনিষ্ট ।।তানভীর নিজের রুমে গিয়ে আবার কিছুক্ষন ঘুমিয়ে নিয়ে ১২ টা বাজে দুপুর
তখন গোসল করে নতুন কিছু জামাকাপড় পরে রেডী হয় নিলো তারপর আবার বাড়ির
কাজ করতে লাগলো ।