গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা শেষ পার্ট
লেখক :তানভীর হাসান মুন্না
নেহা অন্য একটি ছেলের সাথে রেস্টুরেন্ট এ বসে আছে ।। নেহা আজ বোরকা ও পড়ে
নী একটা নীল শাড়ি পরে এসেছে ।। নেহাকে যথেষ্ট সুন্ধর লাগছে ।। কতো বছর পর সে
নেহাকে দেখছে কতো সুন্দরী লাগছে তার ভালোবাসার পরীটাকে ,, ইচ্ছে করছে
নেহার কাছে ছুটে যেতে !! কিন্তু পরিস্থিতি তাকে বাঁধা দিচ্ছে !!তানভীর মিটিং শেষে
আড়ালে একটা টেবিল এ গিয়ে বসলো ।। নেহা যে অন্য একটা ছেলের সাথে বসে আছে
তাতে তানভীর মাইন্ড করে নী কিন্তু নেহা তার কথার কোনো মূল্য রাখে নী তাকে দাওয়া
কথা নেহা ভুলে গেলো এতো সহজে !!
আচ্ছা এমন নয় তো যে নেহা তাকে ভুলে গেলো তার ভালোবাসাকে আজ অস্বীকার
করলো !! তানভীরের বুকে চিন চিন ব্যাথা শুরু হলো !! না না এমনটি হলে সে কাকে
নিয়ে বাঁচবে !! এই ২ টি বছর তাকে ছেরে থাকতে যে কতটা কষ্ট অনুভব করেছে
তানভীর তা তানভীরের অজানায় ।। চোখের কোণে অজান্তেই এক বিন্দু জল চলে এলো
!! হটাৎ তানভীর শুনতে পেলো ;:
ছেলেটি : নেহা আজ আসি কাল দেখা হবে *****এই পার্ক এ বিকাল ৪ টায় ।।
আর ওকে নিয়ে আসিস প্লিজ !!
নেহা : আচ্ছা ।। ভালো ভাবে রাস্তা দেখে যাস ।।
ছেলেটি চলে গেলো তানভীর ও আর সেখানে দাড়ালো না রুমাল দিয়ে মুখ ডেকে
সেখানে থেকে চলে আসলো যাতে নেহা তাকে দেখতে না পায় !! তানভীর বাসায় চলে
আসলো ।। বাসায় এসে তানভীরের মনে কোনো শান্তি নেই শুধু বিশাদায়ক যন্ত্রণা ।।
চোখের সামনে সেই দৃশ্যটাই যেনো বার বার ভেসে উঠছে !! খুব কষ্ট হচ্ছে বুকের
মাজে !! কিন্তু এই কষ্ট কে বোজার মতো কেউ নেই !! তানভীর ভেবেছিল সামনে
নেহার জন্মদিন সেদিন নেহাকে সারপ্রাইজ দিবে কিন্তু সে নিজেই সারপ্রাইজড !! নেহা
কিভাবে পারলো তার সাথে এমনটি করতে !! তানভীর ভেবেছিল নেহাকে কল করবে
কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে আর কল করা হলো না ।। হটাৎ তানভীরের ফোন এ
একটি কল আসে তানভীর ফোন রিসিভ করতেই
ওপাশ থেকে ………….
তানভীর : কি ??? না এমনটি হতে পারে না !!! এটা কি করে সম্ভব ।।
ওপাশ থেকে কি বললো জানা গেলো না !! তানভীর ফোন রেখে আরো দুশ্চিন্তায় পড়ে
গেলো !! একদিকে নেহা আর অন্যদিকে …. অফিসের এই কেস টা !! উফফ মাথায়
ব্যাথা করছে খুব !!
পরের দিন বিকাল ৪ টা ……
তানভীর সেই ঠিকানায় সঠিক টাইম এ পৌঁছে গেলো তারপর একটি গাছের পিছে
লুকিয়ে নেহাকে লক্ষ্য করতে লাগলো !! আজ নেহা যদিও বোরকা পড়ে এসেছে তবুও
তানভীরের নেহাকে চিনতে কোনো অসুবিধা হইলো না ।। কিছুক্ষন পর কোথাথেকে
যেনো ছেলেটি ও চলে আসলো !!
তারা দুজন পার্কের একটি বেঞ্চ এ গিয়ে বসলো ।। তারা দুজন কি নিয়ে যেনো কথা
বলছিল ।। হটাৎ ছেলেটি নেহার হাত ধরে কি যেনো বলতে লাগলো ।। তানভীরের এটা
দেখে আর সহ্য হলো না তার বুকের ভিতরটা যেনো জ্বলে পুড়ে শেষ হয় যাচ্ছে ।।
তানভীর ধির পায়ে নেহার দিকে এগিয়ে গিয়ে হাতে তালি দিয়ে বললো
তানভীর : বাহ প্রেম তো ভালই জমেছে দেখছি !! পুরো জমে খির (চোখে কিছুটা পানি )
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
নেহা :- কলিজা তুমি এইখানে !! কবে আসলে এইখানে !! তুমি আমায় ভুল বুঝছো !!
আসলে আমরা …
তানভীর : থাক আমাকে আর বুজাতে হবে না !! আমার যা বুঝার বুঝে গেছি !! কি
জানো বলতে পারো তোমায় ছেরে আমার পরিবার ছেরে কতটা কষ্টে ছিলাম এই ২ টি
বছর !! ভেবেছিলাম ফিরে এসে আপন করে নিবো তোমায় কিন্তু তুমি তুমি আমার সব
বিশ্বাস ভরসা নষ্ট করে দিলে !! কি এমন দোষ করেছিলাম বলতে পারো !! অনেক
বেশি ভালবাসতাম তোমায় এইটাই হইতো আমার বড় দোষ ছিল তাই না ।। আচ্ছা আমি
তো তোমার মায়ায় জর্জরিত হতে চাই নী তুমি তো আমায় জর্জরিত করেছিলে !!
কিন্তু আজ যখন তোমার ভালোবাসা মায়ায় আমি জর্জরিত তখন তুমি আমায় ছেড়ে
আরেকজনকে নিয়ে স্বপ্ন দেখলে !! এটাই তোমার ভালোবাসা !! আচ্ছা আমি কাছে না
থাকায় একাকীত্ব টাই কি এই রিলেশন এর প্রধান কারণ ।। কিন্তু আমি তোমার থেকে
দূরে থাকলাম কেনো জানো যতো তাড়াতাড়ি আমি তোমাকে নিজের করে নিতে পারি
তাই কিন্তু তুমি !! ছি : ভাবতে পারি নি !!
নেহা : তুমি আমায় ভুল ভাবছো কলিজা !!
ওই ছেলেটি : আপনি ভুল ভাবছেন ভাই !!
তানভীর : তোমরা সুখে থেকো !!
তানভীর চোখের জল মুছে হেঁটে হেঁটে পার্ক থেকে বের হয় আসলো !! নেহা কান্না
করছে তার চোখের অশ্রু জল বাঁধা মানছে না কোন অপরাধের শাস্তি সে পাচ্ছে !! নেহা
তানভীরের পিছে পিছে অনেক জোরে জোরে হাঁটছে আর পিছন থেকে তানভীর কে
ডেকে চলেছে ।।
কিন্তু তানভীর কোনো উত্তর না দিয়েই হাঁটছে হটাৎ একটা মিনি বাস এসে তানভীরকে
ধাক্কা দাওয়ায় তানভীর ছিটকে রাস্তার সাইট এ পরে যায় ।। তানভীরের শরীল দিয়ে রক্ত
পানির মতো বেরিয়ে যাচ্ছে ।। চোখ দুটি নিবো নিবো হয়ে যাচ্ছে কিন্তু হটাৎ দেখতে
পেলো একটি মেয়ে তার কাছে চলে এসে তানভীরের মাথা নিজের উরুর উপর নিয়ে
সবাইকে বলছে হেল্প হেল্প !!
তানভীরের চোখটি অনেক কষ্টে খোলা রেখে দেখলো মেয়েটি আর কেউ না নেহা !!
নেহা বলছে
গল্প শুনতে আমাদের চ্যানেল থেকে গুরে আসুন
নেহা : এই কলিজা তুমি প্লিজ চোখ খোলা রাখো তোমার কিছু হয় গেলে আমি যে
বাঁচবো না ; কেউ হেল্প করেন প্লিজ !!(কান্না করে )
নেহার এই অশ্রু জল কি সত্য নাকি এটাও কোনো মিথ্যা মায়া !! সেই প্রশ্ন তানভীরের
মনের মাজে ঘুর পাক খাচ্ছে না এই কান্না কোনো মিথ্যা মায়ার নয় এই কান্না সত্যি কান্না
!! আজ তানভীর পরপারে চলে গেলে তা ও ভালোবাসার মানুষটির কোলে মাথা রেখে
চলে যাবে ।। কজনই পারে এইভাবে মরতে তাও শান্তি !! তানভীর হটাৎ চোখটা বন্ধ
করে নিলো !! হটাৎ নেহার সাথে আসা ছেলেটি একটি গাড়ি নিয়ে এসে নেহাকে বলে
ভাইয়াকে তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠিয়ে হসপিটালে নিয়ে চলো !!
তারা দুজন তানভীরকে ধরে হসপিটালে নিয়ে গেলো !! ডক্টর তানভীরকে ইমারজেন্সি
তে নিয়ে গেলো !! এতো খুন নেহা তানভীরের আব্বু আম্মু সহ সবাইকে ফোন করে
হসপিটালে আসতে বললো !! নেহা কান্না করছে আর আজ যা হলো তার জন্য নিজেকে
দাই করছে !!
২ ঘণ্টা পর ডক্টর কেভিন থেকে বেরিয়ে আসলো
নেহা : ডক্টর আমার কলিজা কেমন আছে ??
ডক্টর কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো
ডক্টর : সরি আমরা ওনাকে বাঁচাতে পারলাম না !! আমরা সত্যি দুঃখিত !!
নেহা কান্না করছে ,, কান্না করতে করতে অজ্ঞায়ান হয়ে গেলো তানভীরের আব্বু আম্মু
সহ সবাই কান্না করছে !!
তানভীর সবাইকে ছেরে চলে গেছে ৭ টা বাজে তখন রাত ১০ টা নেহার গেয়ান ফিরলো
!! নেহা জিজ্ঞাস করছে তানভীর কোথায় ?? তার কলিজা কোথায় ??
কেউ কোনো উত্তর দিচ্ছে না নেহা পাগলের মতো ব্যাবহার করছে !! সে নিজেকে শেষ
করে দেবার চেষ্টা করছে বার বার !! ডক্টর নেহাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে
রাখলো !!
গুন্ডী মেয়ের ভালোবাসা পার্ট ১৫
পরের দিন সকাল বেলা সব নিয়ম কানন মেনে তানভীরের কবর দাওয়া হলো !! সবাই
চলে যাবার পর নেহা তানভীরের কবরের কাছে গিয়ে কান্না করে তার মনের অবেক্ত
হাজারো কথা বলে কিন্তু তা শোনার মতো লোক যে আজ বেঁচে নেই !!
নেহা নিজেকে একটি ঘরের মাজে নিজেকে সবসময় আবদ্ধ করে রাখে আজ ৩ মাস
হলো তানভীর তাদের ছেরে চলে গেছে বহুদূরে কিন্তু নেহা মানে তানভীর চলে যায় নী
তানভীর তার পাশেই আছে তার প্রতিটি নিশ্বাসে বিশ্বাস এ তানভীর আছে !! নেহার
পাগলামি ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে !! মেয়েটার কি যে হবে কে জানে !!
সব ভালোবাসার সূচনা লগ্ন সুন্দর হলেও যে শেষটা সুন্দর হবে তার কোনো মানে নেই ।।
সব ভালোবাসায় মিল হয় না কিছু ভালোবাসা অপূর্ণ থেকে যায় ।। ভালোবাসা অবিরাম
ও অন্তহীন ।।