সাথে থেকো প্রিয় - Golpo Bazar

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ১০ || golpo poka golpo

সাথে থেকো প্রিয়

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ১০
লেখক:রিয়ান আহমেদ

-‘আ,,আমি মিষ্টি কিছু খাব আমার সু,,সুগার আছে।’
শুভ্র কথাটা শুনে দ্রুত ওয়েটারকে বলল,
-‘এই মিষ্টি যা আছে জলদি দেও।’
ওয়েটার বুঝতে পারছে না কি করবে তাঁর সামনে মিষ্টি অনেক কিছুই আছে কিন্তু কোনটা দেবে সেটা বুঝে উঠতে পারছে না।পিটুশ নিজের পকেট থেকে একটা কিটক্যাট বের করে নিয়ে এসে সারিকার মুখের সামনে একটা ধরে।সারিকা বেশ বড় কয়েকটা কামড় দিয়ে অর্ধেকটা খেয়ে নেয়।শুভ্র ওয়েটারদের দিকে তাকিয়ে রাগী গলায় বলল,
-‘একটা বাচ্চার ভেতরে যা কমন সেন্স আছে তাঁর এক অংশ তোমাদের মাঝে নেই যত্তসব ফালতু।পিটুশ থ্যাংক ইউ।,,মিস সারিকা তোমার এখন কেমন লাগছে?’

সারিকা মিইয়ে যাওয়া গলায় বলল,
-‘একটু ভালো।’
-‘উঠতে পারবে?’
-‘হুম একটু উঠতে সাহায্য করুন।’
সারিকা শুভ্রর সাহায্য নিয়ে উঠে দাঁড়ায়।সারিকা একটা চেয়ারে কিছুক্ষণ বসে তারপর উঠে দাঁড়ায়।সারিকা এক পা এগোতে গিয়ে আবার পড়ে যাওয়া ধরে।সারিকাকে পড়ে যেতে দেখে শুভ্র এক হাতে সারিকার কোমর লেপ্টে ধরে চিন্তিত হয়ে বলল,
-‘তুমি তো দেখছি অনেক দূর্বল আমি তোমাকে সাহায্য করছি,,,,দেখ কোনো ধরনের ব্যাড ইন্টেনশন নিয়ে কিন্তু আমি তোমার কোমর ধরি নি সো ডন্ট বি রুড।’
সারিকা কিছুক্ষণ শুভ্রর দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,
-‘থ্যাংক ইউ বাট আমার আপনার সাহায্যের দরকার নেই।তাই প্লিজ ছেড়ে দেন আমি নিজে থেকে চলে যেতে পারব।’
শুভ্র মনে মনে বলল,
-‘আজকাল মানুষকে সাহায্য করতে গেলেও দেখি ভাব বেড়ে যায়।’
শুভ্র সারিকার বাহু বাম হাতে চেপে ধরে বলল,
-‘কিন্তু আমি বেহায়া তাই তুমি আমাকে না করা সত্তেও আমি তোমার সাহায্য করব।’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

সারিকা ছাড়ানোর চেষ্টা করে শুভ্র থেকে নিজেকে।কিন্তু শুভ্র সাপের মতো পেঁচিয়ে ধরে রাখে আর সারিকাকে এক প্রকার জড়িয়ে ধরে মেডিকেল রুমে নিয়ে যায়।সবাই এই দৃশ্য দেখে হা করে তাকিয়ে থাকে।
সারিকা শুয়ে আছে আর ডক্টর তাঁর চেকাপ করছে।সারিকার চেকাপ শেষ করে ডক্টর বলল,
-‘মিস সারিকা আপনি বোধহয় আজকাল কম খাবার খাচ্ছেন ওজপ কমানোর জন্য তাই না?’
সারিকা থতমত খেয়ে গিয়ে বলল,
-‘কি বলছেন আপনি?আমি ডায়েট করবো কেন আমার ওজন একদম পারফেক্ট আমার ডায়েটের দরকার নেই।আজ শুধু বাসা থেকে মেডিসিন নিয়ে আসি নি তাই এমন হঠাৎ দূর্বল হয়ে পড়েছি দ্যাটস ইট।’
ডাক্তার মোবাইলে কিছু একটা টাইপ করতে করতে বললেন,
-‘ওকে আমি আপনার কথা বুঝতে পেরেছি।তবে আপনি এই কথাগুলো আরো একজনকে বুঝিয়ে দিয়েন।টেক কেয়ার অফ ইউরসেল্ফ।’
ডাক্তার চলে গেল।শুভ্র সারিকার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে হাসতে বলল,

-‘বয়ফ্রেন্ড কি ছেড়ে চলে গেছে না কি ওজনের কারণে?আহারে বেচারি ভালোবাসার মানুষকে ফিরে পাওয়ার জন্য কতই না কষ্ট করছে?'(আফসোসের সুরে)
সারিকা রেগে বলল,
-‘একদম ফালতু কথা বলবেন না।আপনাকে কে বলেছে আমার বয়ফ্রেন্ড আছে বা ছিল?যত্তসব,,,আমার সম্পর্কে আর একটা শব্দ বললে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না।’
-‘আচ্ছা পাঁচটা শব্দ বলবো ভুল করে দুই তিনটা শব্দ এদিক ওদিক হয়ে যেতে পারে।’
-‘আপনি আমার পেছনে কেন লেগে থাকেন?এত বড় অফিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে আমার মতো সাধারণ ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে ঝগড়া করতে আপনার ইগো তে লাগে না।’
-‘দেখ আমি অনেক সাদা হৃদয়ের মানুষ যে সবাইকে সমান চোখে দেখে বুঝলে।আর ঝগড়া সবার সঙ্গেই করা যায় এটা কোনো বড় ব্যাপার নয়।’
-‘আপনার সঙ্গে কথা বলাটাই বেকার।’
-‘তো বলো কেন?’

-‘আপনি যাবেন এখান থেকে না কি আমি এটা আপনার মাথায় মারবো?’
সারিকা হাতে একটা গ্লাস নিয়ে শুভ্রর দিকে তাক করে কথাটা বলল।শুভ্র ভয় পেয়ে গেল কারণ সারিকা বাস্তবেই এটা ছুঁড়ে মারতে দ্বিতীয়বার দ্বিধাবোধ করবে।শুভ্র চলে যেতে যেতে বলল,
-‘যাচ্ছি, যাচ্ছি, তুমি এই স্যালাইন শেষ হওয়ার আগে উঠে যেও না।’
-‘আপনি যাবেন?’
শুভ্র মুখ ভেঙচি কেঁটে চলে গেল।শুভ্র যেতে যেতে নিজেকে মনে মনে কঠিন কয়েকটা কথা বলল এই এরোগেন্ট মেয়েকে সাহায্য করার অপরাধে।

-‘আচ্ছা এই ব্যাপার গুলো তো আমরা পরেও মিটমাট করতে পারি তাই না?এখন খাবার খাওয়ার সময় আর তুমি হিসাব নিকাশ করছো।’
অন্তি অভিনবর কথায় পাত্তা না দিয়ে বলল,
-‘আচ্ছা অপারেশন আর কেবিনের রেন্ট আর ঐ নার্সের পেমেন্ট,মেডিসিনসহ এই পর্যন্ত কত টাকা আমার পেছনে খরচ হয়েছে?’
অন্তি কলমের মুখে ডায়েরিটা রেখে দিয়ে অভিনবর দিকে উত্তরের আশায় তাকিয়ে থাকল।অভিনব প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে বলল,
-‘আমি ঠিক মনে করতে পারছি না।ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়া সব কাজ বিধান করেছে আই হসপিটালের সকল পেমেন্ট ও করেছে।’
অন্তি অবাক হয়ে বলল,
-‘কিহ?আপনি এতটুকুও জানেন না কত টাকা আমার জন্য খরচ করা হয়েছে?আপনার কি কোনো প্রকার চিন্তা নেই আপনার টাকা কিভাবে এবং কোথায় খরচ করা হয়েছে?’
-‘আরে এসব ছোটখাটো লেনদেনের ব্যাপারে আমি কেন খবর রাখতে যাব?যদি সবই আমার করতে হবে তাহলে আমার পিএসের দরকার কি?’
-‘আল্লাহ মানুষ কতটা ইরেসপন্সিবল হতে পারে।,,, আচ্ছা আপনার মতে কত খরচ হয়েছে?’

অভিনব একটু ভেবে বলল,
-‘আই থিংঙ্ক চার লাখের মতো হবে।’
অন্তির অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম।অভিনব বিধানকে ফোন দেয় তারপর কিছুক্ষণ পর কথাবার্তা শেষ করে অন্তির দিকে তাকিয়ে বলল,
-‘ওহ চার লাখ না।’
অন্তি স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয় ভাবে হয়তো আরো কম হবে।অভিনব আবার বলে,
-‘চার লাখ চল্লিশ হাজার পাঁচশ টাকা।’
এবার অন্তি একেবারে বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।অভিনব বুঝতে পারছে না অন্তির এমন আচরণের মানেটা কি?
আসলে অভিনব ছোটবেলা থেকে বিলাসিতার মাঝে বড় হয়েছে তাই তাঁর কাছে মনে হচ্ছে এই টাকার এমাউন্টটা নিতান্তই সাধারণ।কিন্তু অন্তির কাছে এই টাকার মূল্য কতটা অন্তি নিজেই ভালো জানে।
অভিনব অন্তিকে বার কয়েক ডাকার পরও কোনো সাড়া না পেয়ে জোরে ডাক দেয়।অন্তি কেঁপে উঠে তারপর এক গ্লাস পানি খেয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে বলল,
-‘এতো টাকা কিভাবে হলো?আমার ট্রিটমেন্ট করার ব্যাপারে আগে যেই হসপিটালে কথা বলা হয়েছিল সেখানে তো দুই লাখের মতো লাগবে বলা হয়েছিল।’

-‘ওয়েট বিধান ম্যাসেজ পাঠিয়েছে আমি তোমাকে পড়ে শোনাচ্ছি।,,ডক্টরদের পেমেন্ট ১৫০,০০০,কেবিনের রেন্ট১০০,০০০,নার্সের পেমেন্ট ৫০,০০০,,,,,,,,,।
এরপর অভিনব সব হিসাব পড়ে শোনাল।অন্তি সব শুনে আগুন হয়ে গেছে রেগে।অন্তি রাগী গলায় বলল,
-‘আপনাকে কে বলেছিল আমাকে দামি হসপিটালে নিয়ে গিয়ে ভিআইপি কেবিনে ভর্তি করাতে।সরকারি হসপিটাল,সরকারি ডাক্তার কি মরে গিয়েছিল।আবার বাসায় নার্স রেখে প্রতিদিন দশ হাজার করে দিয়েছে।হসপিটালে আর্থিক অসুবিধার এপ্লিক্যাশন করলেও তো কিছুটা কম টাকা খরচ হত।’
অভিনব হাসার চেষ্টা করে বলল,

-‘তুমি এমন আচরণ করছো কেন?জাস্ট চিল,, একটু ঠান্ডা হও।আর আমি আর্থিক অসুবিধার এপ্লিক্যাশন কেন করতে যাব আমার তো কোনো সমস্যা নেই।আর এটা তো মিথ্যা কথা তাই না আর বললেও কেউ বিশ্বাস করবে না কেন না সবাই আমাকে চেনে।’
অন্তি কিছুটা চেঁচিয়ে বলল,
-‘চিল করবো! আমি চিল কিভাবে করবো।মাত্র পনেরো দিন হয়েছি আর এর মধ্যে আমার মাথায় প্রায়ে সাড়ে চার লাখ টাকার মতো ঋণ চলে এসেছে।,,আপনার আর্থিক সমস্যা নেই কিন্তু আপনার এই সো কল্ড স্ত্রীর তো আছে।আজ থেকে আমার থেকে না জিজ্ঞেস করে আমার জন্য যদি কোনো ফালতু খরচ করেন তাহলে আপনার একদিন কি আমার যতদিন লাগে।’

অন্তির মুখ রাগে লাল হয়ে গেছে।অভিনবর মনে হচ্ছে অন্তির মুখে কেউ এক মুঠো রক্ত ছুঁড়ে মেরেছে ঠিক এতোটাই লাল হয়ে আছে।
অভিনব অন্তিকে শান্ত করতে বলল,
-‘বি কুল এত হট টেম্পার হলে তো সমস্যা হবে।’
অভিনব অন্তির হাত ধরি চেয়ারে বসাতেই।বুঝতে পারে অন্তির বরফের মতো হাত এই শীতেও গরম হয়ে গেছে।অভিনব বুঝতে পারে না এই মেয়ের এত রাগ কোত্থেকে আসে।অন্তি কিছুক্ষণ চুপ থাকে ধীরে ধীরে সে ঠান্ডা হয়।অভিনব অন্তিকে ঠান্ডা হতে দেখে বলল,
-‘অন্তি খাবারটা খেয়ে নেই চলো।’
অন্তি কিছু না বলে নিজের মতো খাবার খেয়ে ডায়েরি নিয়ে উঠে যায়।অভিনব অন্তির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে সার্ভেন্টকে বলল,
-‘ম্যাডামে জন্য একটা ভ্যানিলা আইসক্রিম পাঠাও তাঁর রুমে।’
-‘স্যার এই শীতে আইস,,,।’

অভিনব সার্ভেন্টকে কথা শেষ না করে ধমক দিয়ে বলল,
-‘যা বলেছি তা করো মনে রাখবে আম ইউর বস।’
-‘ওকে স্যার।’
সার্ভেন্ট চলে যেতেই অভিনব উঠে স্টাডি রুমে যায়।অভিনবর হঠাৎ মনে হলো অন্তির মতো চেহারার কাউকে সে দেখেছে বিশেষ করে অন্তির রাগটা তাঁর কাছে চেনা।কিন্তু কোথায় দেখেছে সে ঠিক মনে করতে পারছে না।অভিনব ব্যাপারটা নিয়ে আর বেশি মাথা ঘামালো না কারণ এই পৃথিবীতে এক চেহারার সাত জন মানুষ আছে।হয়তো অন্তির চেহারার সঙ্গে মিল আছে এমন ব্যক্তিকে সে অনেক আগে থেকে চেনে।

অভিনব ল্যাপটপে কাজ শেষ করে আড়মোড়া ভেঙে হাতের ঘড়ির দিকে তাকাতেই বুঝতে পারে প্রায় পাঁচ ঘন্টা যাবত সে কাজ করছে।রাত তিনটা বেজে গেছে আর তাঁর খেয়ালই নেই।কিন্তু মনে হচ্ছে খুব কম সময় হয়েছে।পৃথিবীতে যেকোনো কাজ করার আগের শর্ত হচ্ছে সেই কাজকে ভালোবাসতে হবে।কাজকে ভালোবাতে পারলে কখনোই সেই কাজ করতে গেলে অলসতা আসবে না।অভিনব দেখে তাঁর সাইলেন্ট করা মোবাইলে শ খানেক কল এসেছে সারিকার নম্বর থেকে।অভিনব জানে কেন তাই ভাবে এখন আর ফোন করবে না সকালেই গিয়ে দেখা করবে।

আজ সারিকার অজ্ঞান হওয়ার খবরটা পাওয়ার পর অভিনব অনেকটা বিচলিত হয়ে পড়েছিল।একটা মাত্র বোন অভিনবর বড় ভাই হিসেবে চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক।আধ ঘণ্টার বড় তো কি হয়েছে বড় তো বড়’ই।অভিনব সারিকার অবর্তমানে তাঁর ফ্লাটে গিয়ে দুজন মেইড রেখে এসেছে যাঁরা সারিকার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাবার দাবার এর খেয়াল রাখবে।আর সারিকা হয়তো এ জন্যই অভিনবকে ফোন করছে।হয়তো অভিনব ঐ একশোটা ফোন কলের একটা রিসিভ করলেই অপরপাশ থেকে ঝাঁঝালো গলায় সারিকা বলতো,

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ৯

-‘অভি তুই এসব কি শুরু করেছিস আমি কোনো বাচ্চা নই যে আমার দেখাশোনার জন্য নেনি রাখতে হবে।দেখ আমার লাইফে তুই এভাবে ইন্টারফ্যায়ার করতে পারিস না।’
অভিনব হয়তো তখন হেসে বলতো,
-‘আমি তোর লাইফে ইন্টারফ্যায়ার করছি না আমি আমার জমজ ছোট বোনের লাইফে ইন্টারফ্যায়ার করছি।’

কথাগুলো ভেবে অভিনব হেসে নিজের চশমাটা খুলে রাখলো।নিজের রুমে যাওয়ার পথে তাঁর একবার দেখার ইচ্ছে হলো অন্তি কি করছে?অভিনব প্রথমে ভাবলো একটা মেয়ের ঘরে এভাবে যাওয়াটা হয়তো মেয়েটাকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে তাই সে ফিরে যেতে চাইলো।কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের নিষিদ্ধ ইচ্ছেটাকে দমিয়ে রাখতে না পেরে অন্তির ঘরের সামনে গেল।কয়েকটা টোকা দিল কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ পেল না একটু জোরে টোকা দিতেই দরজা খুলে গেল।অভিনব দেখলো অন্তি ঘুমিয়ে আছে হাতে ডায়েরি নিয়ে।অভিনব অন্তির কাছে গিয়ে ব্লাঙ্কেট ঠিক করে দিয়ে ডায়েরি আর কলম বেড সাইড টেবিলে রেখে দিল।অভিনব রুম থেকে বের হয়ে বলল,
-‘এই মেয়ে তো অনেক হিসাবি। ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও বিড়বিড় করে হিসাব করছিল।’

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ১১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.