সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ১১
লেখক:রিয়ান আহমেদ
দেখতে দেখতে অভিনব আর অন্তির বিয়ের বয়স আজ চার মাস হয়ে গেল।অন্তির হাত এখন প্রায় পুরোপুরি রিকভার হয়ে গেছে।দুজনের সম্পর্কে তেমন কোনো পরিবর্তন নেই তাঁরা প্রয়োজনের বাইরে কথা তো দূরে থাক কোনো কোনো সময় দেখাও করে না।অভিনব আর অন্তি শুধু সকালের নাস্তাটা একসাথে করে আর বাকি সময় নিজের মতো করে থাকে।এছাড়া কোনো কোনো সময় অন্তি পড়া বুঝতে অভিনবর সাহায্য নেয়।
তাঁরা দুজন একে অপরের সাথে আছে ঠিক’ই কিন্তু প্রিয় হয়ে নয়।
অন্তি এখন আর অভিনবর পাশের রুমে থাকে না গার্ডেনের পাশে একটা রুমে থাকে।রুমটা একটা সময় অভিনব নিজের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ব্যবহার করতো কিন্তু অন্তি বাড়িতে থাকায় সেটা সম্ভব হয় নি তাই রুমটা প্রায় পরিত্যক্ত হয়েই পড়েছিল।একদিন গার্ডেনে হাঁটতে হাঁটতে অন্তি রুমটার দিকে তাকায়।কেন যেন তাঁর মনে হলো এই রুমটা অনেক একাকিত্বে ভুগছে ঠিক তাঁর মতো।রুমটা বাড়ির এমন একটা অংশে আছে যা বাড়ির অন্য রুমগুলোর থেকে নিজেকে কোনোভাবে পৃথক করে নেয়।
রুমটা প্রায় সকলের দৃষ্টির আড়ালে থাকে একটা কেবিনেটের মতো।হঠাৎ করেই অন্তির এই রুমটাতে থাকার ইচ্ছে কেন?? এর উত্তর হয়তো ওর কাছে নেই।তবে নিজের তীব্র ইচ্ছাটাকে দমিয়ে রাখতে না পেরে অভিনবর কাছে এই রুমটাতে থাকার অনুমতি সেদিন চেয়ে বসলো।এরপর থেকে অন্তি এখন সকলের দৃষ্টির আড়ালের এই একাকিত্বে ভোগা রুমটির একমাত্র সঙ্গী।
তবে রুমটার একাকিত্বে অন্তি হয়তো ব্যাঘাত ঘটিয়েছে কারণ অন্তির এই রুমে শিফ্ট হওয়ার পর সবার এখানে আসা যাওয়া সচরাচর লেগেই থাকে।অন্তির এখন মনে হচ্ছে এই রুমে আসার তীব্র ইচ্ছে হওয়ার কারণটা হয়তো সকলের দৃষ্টির আড়ালে থাকতে চাওয়া যেটা হয়তো কখনোই সম্ভব হয়ে উঠবে না।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
আজ অন্তি ভীষণ খুশি তাই নিজের হাতে রান্না করছে।খুশি হওয়ার কারণটা বিয়ের চার মাসের পূর্তি নয় অন্যকিছু।অন্তি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।আজকে অন্তি নিজে হাতে কেক,কুকিজ,আরো বিভিন্ন মিষ্টি জিনিস বানিয়েছে।অন্তি রান্না করা বলতে বেশিরভাগ মিষ্টি জিনিসই বানাতে পারে।এই খাবারগুলো অন্তি এক প্রকার অভিনবর জন্য ধন্যবাদ হিসেবে তৈরি করেছে কারণ ভর্তি পরীক্ষার সময় অভিনব ওর পড়াশুনায় বেশ সাহায্য করেছিল।
বিকেলে অভিনব বাসায় এসে দেখে অন্তি ওর জন্য খাবার দাবার তৈরি করে বসে আছে হাসিমুখে।অভিনব বুঝতে পারলো না এত খুশি হওয়ার কারণ কি?অভিনবর হঠাৎ মনে পড়লো আজ তাঁদের বিয়ের চার মাসের পূর্তি।মেয়েটা কি এই কারণে খুশি?কিন্তু কেন অন্তির তো এই দিনে দুঃখী থাকার কথা আর না হয় কোনো বিশেষ দিন না এটা এমন একটা ভাব করা।কারণ অন্তির মতে এই বিয়েটা তাঁর লাইফের একটা অভিষাপের ন্যায়।
অভিনব ডাইনিং টেবিলের দিকে কয়েক পা এগিয়ে যেতেই অন্তি নিজেই এক প্রকার লাফাতে লাফাতে চলে এলো।অন্তি মুখে একটা মিষ্টি এবং প্রশস্ত হাসি ঝুলিয়ে রেখেছে।অভিনব অন্তিকে এর আগে কখনো এতো সুন্দরভাবে হাসতে দেখে নি।অভিনব মুখ ফুটে কিছু বলতে গিয়েও কেন যেন বলতে পারছে না,চোখের পলক ফেলতেও তাঁর ভীষণ বেগ পেতে হলো।অন্তি আজ প্রতিদিনকার মতো সাধারণভাবেই পোশাক পরিধান করেছে তবুও অভিনবর মনে হচ্ছে আজ এমন কিছু একটা তো হয়েছে যা তাকে অন্তির দিক থেকে চোখ সরাতে দিচ্ছে না।
খুব তাড়াতাড়ি অভিনব উত্তরটা পেয়ে গেল অন্তি আজ কালো শাড়ি পড়েছে যা অভিনবর চোখকে অন্তির মাঝে আটকে দিয়েছে।একটা সুন্দর,নিষ্পাপ হাসি না কি মানুষের সৌন্দর্যকে ৬০% বাড়িয়ে দেয় যা কোনো দামি সাজসজ্জার উপকরণ ও পারে না।তাহলে কি অন্তির সুন্দর হাসিটাও অভিনবর চোখে অন্তির সুন্দর বাড়িয়ে দিয়েছে।
অভিনব ঘোরের মাঝেই অনুভব করলো কেউ তাঁর হাত চেপে ধরেছে।অভিনব দেখে ব্যক্তিটা অন্তি। অন্তির দিকে তাকাতেই সে হেসে বলল,
-‘আপনাকে কতক্ষণ যাবত ডাকছি আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন না?চলুন কেকটা কাটবেন।’
কেক কাঁটার কথা শুনে অভিনবর মনে হলো,’অন্তি তাহলে আমাদের বিয়ের চার মাসের পূর্তি উপলক্ষেই এসব করেছে।ও কি আমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে না কি?’
অভিনব মনে মনে কথাগুলো ভেবেই অন্তির হাত ঝাড়া দিয়ে সরিয়ে ফেলল।এদিকে সে ঘোরে থাকা কালীন যে অন্তি নিজের এডমিশনের সুখবরটা বলেছে সেদিকে তাঁর কোনো খেয়ালই ছিল না।
অন্তি অভিনবর আচরণে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।এমন আচরণে মানে কি?হাতটা তো আলতো করে ছাড়িয়ে নিলেও পারতো বা হাত ছেড়ে দিতে বললে কি অন্তি ধরে রাখতো না কি সঙ্গে সঙ্গেই ছেড়ে দিত।অন্তিকে আরো অবাক করে দিয়ে অভিনব অন্তির বানানো কেকটা টেবিল থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিল।অন্তির মনে হচ্ছে তাঁকেই অভিনব ফ্লোরে ছুঁড়ে মেরেছে।অভিনব রাগে চিৎকার করে বলল,
-‘তোমাকে বলেছিলাম না আমি ভালোবাসায় বিশ্বাস করি না আমার প্রতি ভালোবাসা দেখাতে আসবে না।ভুলে যেও না তুমি শুধুমাত্র আমার চার বছরের স্ত্রী এরপর তুমি তোমার রাস্তায় আমি আমার রাস্তায়।এসব ফালতু ফোর মান্থ এনিভার্সারি পালন করার কোনো মানেই হয় না।কি ভেবেছো কি আমাকে নিজের ভালোবাসার জালে ফাঁসিয়ে সারাজীবন আমার বউ হয়ে থাকবে?কখনো না তোমার এইসব চিন্তা নিজের মস্তিষ্ক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখো বুঝলে।অভিনব খান বিজয়ের স্ত্রী হওয়ার নূন্যতম যোগ্যতা তোমার নেই।আমার জীবনে এক,,,,,,,।’
অন্তি অভিনবকে আর বলতে না দিয়ে বলতে লাগলো,
-‘ব্যস,অনেক বলেছেন আর আমিও অনেক শুনেছি।আপনার কি মনে হয় আমার আপনার মতো মানুষের সঙ্গে সারাজীবন নিজেকে বেঁধে রাখার শখ আমার আছে?কখনোই না।আমি এই বাসায় শুধুমাত্র থাকছি দুটো কারণে প্রথম কারণ আমার এখান থেকে চলে যাওয়ার কোনো উপায় নেই এবং দ্বিতীয় কারণ আমার নানা কারো কাছে ওয়াদা করেছে যা আমাকে পূরণ করতে হবে।এতগুলো কথা আপনি কীসের ভিত্তিতে বললেন?আমি শুধু নিজের জীবনের একটা খুশির মূহুর্ত আপনাকে নিয়ে উপভোগ করতে চেয়েছিলাম।,,আপনি আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন টেস্টের আগে পড়াশুনায় অনেক সাহায্য করেছিলেন তাই এই কেকটা আপনাকে থ্যাংক ইউ জানাতে তৈরি করেছিলাম।আর আপনি অনর্গল আমার নামে উল্টাপাল্টা কথা বলেই চলেছেন।আমার এতদিন মনে হয়েছিল আপনি মানুষ ততোটা খারাপ নন তবে আজ মনে হচ্ছে আমার ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল আপনি আমার দেখা সবচেয়ে খারাপ লোক।’
অন্তির নাক লাল হয়ে গেছে চোখে পানি টলমল করছিল কথাগুলো বলার সময় কিন্তু সে আটকে রেখেছিল।অন্তি নিজের বানানো কুকিজ,আর বাকি সবগুলো খাবার নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দিল।এরপর হনহন করে নিজের রুমের জন্য পা বাড়ালো।
অভিনব অন্তির কথা শুনে অবাক হয়ে গেল।সে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে দেখলো কেকটার উপর খুব সুন্দর করে ‘Thank You’ লেখা আছে।অভিনবর লজ্জা লাগছে নিজের এমন বাজে আচরণের জন্য আবার রাগও হচ্ছে।মেয়েটার কথা না শুনেই মেয়েটাকে কত কথা শুনিয়ে দিল।অভিনব দ্রুত পায়ে অন্তির ঘরের দিকে এগিয়ে যায়।অভিনবর মনে হচ্ছে তাঁর কানের ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন আজ যদি এই বজ্জাত কানটা অন্তির কথা শুনতো তাহলে এতটা সিনক্রিয়েট হতো না।
অন্তি একটা বালিশ মাথার নিচে আর অন্য একটা বালিশ মাথার উপরে চেপে ধরে আছে।তাঁর শরীর একটু পর পর কেঁপে উঠছে সে কাঁদতে চাইছে না তবুও চোখ দিয়ে বেহায়া নোনা জলগুলো নিজেদের বিসর্জন দিয়েই চলেছে।অন্তির শুধু মনে হচ্ছে ভুলটা তাঁর’ই।
-‘ঐ বাজে লোকটার জন্য এতো ঘটা করে খাবার বানাতে যাওয়াটাই আমার ভুল ছিল।যাঁর ভেতরে মানুষের জন্য নূন্যতম সম্মানটা পর্যন্ত নেই তাঁকে চলেছিলাম খাওয়াতে।আমার কি করতে ইচ্ছে করছে আমি নিজেও জানি না।’
কথাগুলো অন্তি নিজের হাতেই কামড় দিয়ে বসলো।এটা অন্তির ছোটবেলার অভ্যাস কাউকে মারার ভীষণরকম ইচ্ছা হওয়া সত্তেও যদি মারতে না পারে তাহলে নিজেকে কামড়ে দেয়।আর অদ্ভুতভাবে তাঁর রাগটা এক পর্যায়ে দমেও যায়।অন্তির হাত দিয়ে কয়েকবার এমন করার কারণে রক্ত পর্যন্ত পড়েছে।
অভিনব অন্তির রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে অন্তিকে ডাকতে থাকে কিন্তু অন্তির কোনো সাড়া শব্দ নেই।
-‘স্যার এই প্রোডাক্টের মার্কেটিং করাটা আমি উচিত বলে মনে করছি না।’
শুভ্র ও মিটিং রুমের বাকি সবাই সারিকার কথা শুনে ভ্রূ কুচকে তাকিয়ে রইলো।শুভ্র সারিকার দিকে ভ্রূ কুঁচকে তাকিয়ে বলল,
-‘আপনার কথাটা আপনি একটু বুঝিয়ে বলুন।’
-‘জ্বী স্যার বলছি,,,এই কম্পানির হ্যাড পূর্বে একবার একটা ড্রাগ ডিলিং ক্যাসে সাত বছর জেল খেটেছিলেন।তাঁর নামে এমন ও অভিযোগ করা হয়েছিল যে তাঁর কম্পানির ফুড প্রোডাক্টের বিভিন্ন ধরনের কম দামি দ্রব্য ব্যবহার করা হয় যেগুলো অস্বাস্থ্যকর এবং বাজে হয়ে থাকে।এছাড়াও আগের বছর উনি যেই ড্রিংক্স বাজারে ছেড়েছিলেন তাঁর মধ্যে মাদক দ্রব্য ছিল বলে যাঁরা এটা কনজিউম করেছে তাদের মধ্যে অনেকেরই মারাত্নক রোগ দেখা দিয়েছে।এর ফলে এই কম্পানিকে জরিমানা তো দিতে হয়েছিলই কিন্তু তাঁর সাথে যেই চ্যানেল এই প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল তাঁদেরকেও ভরপাই করতে হয়েছি।তাই আমি বলছি পুরনো সব রেকর্ড বলে দিচ্ছে ওনাদের এই প্রোডাক্টের মার্কেটিং করা ঠিক হবে না।’
সারিকার কথা শুভ্র মন দিয়ে শুনলো তখনই মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের হ্যাড আসিফ দাঁড়িয়ে বলল,
-‘স্যার আমিও কিছু কথা বলতে চাই?’
শুভ্র বলল,
-‘জ্বী বলুন।’
-‘স্যার মিস সারিকার এই বিষয়টা নিয়ে মাথাব্যথা করার কোনো কারণ আমি দেখছি না কারণ উনি হচ্ছেন ক্যামেরাম্যান।কোন প্রোডাক্টের মার্কেটিং করা হবে আর কোনটার করা হবে না তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার জন্য আমাদের রাখা হয়েছে।মিস সারিকার কথাগুলো যুক্তিসঙ্গত কিন্তু আমারও এই বিষয়ে কিছু মতামত আছে।,,এই কম্পানির যে হ্যাড ড্রাগ ডিলিং ক্যাসের জন্য জেল খেটেছিল সে বর্তমানে পদত্যাগ করেছেন এখন তাঁর ছেলে দায়িত্বরত তাই পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে লাভ নেই।আর তাদের নূন্যমানের পন্য বাজারে ছাড়ার ব্যাপারটা একদিক থেকে সত্য আবার অন্যদিক থেকে মিথ্যা কারণ সেই প্রোডাক্ট তাঁদের কম্পানির নামে তৈরি করলেও তাদের কম্পানি তৈরি করে নি মানে নকল প্রোডাক্ট ছিল সেগুলো।আর লাস্ট যেই ড্রিংক্স এর কথা বলা হয়েছে সেটা কনজিউম করেই যে ঐ লোকগুলো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাঁর শক্তপোক্ত প্রমাণ এখনো পাওয়া যায় নি।তাই মনে করছি না আগের কথাগুলোর জের টেনে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।’
শুভ্র আসিফের সব কথা শুনে বলল,
-‘আমরা এই কম্পানির সঙ্গে ডিল সাইন করছি না।’
আসিফ ভড়কে গিয়ে বললেন,
-‘মানে কি স্যার?আমরা ডিল সাইন না করলে অনেক বড় লস হয়ে যাবে।আর আমরা এই প্রোডাক্টের মার্কেটিং নাই করলাম অন্য কোনো চ্যানেল হয়তো অবশ্যই করবে।’
শুভ্র হেসে বলল,
-‘মিস্টার আসিফ প্রেসিডেন্ট আপনি না কি আমি?’
-‘জ্বী স্যার আপনি।’
-‘তাহলে সিদ্ধান্তটা আমাকেই নিতে দিন।শুধুমাত্র কিছু টাকার লোভে মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলাটা বিজনেস নয় অমানবিকতা।’
শুভ্র মিটিং রুম থেকে বেরিয়ে যায় সারিকাও শুভ্রর পেছনে পেছনে যায় কারণ তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না শুভ্র তাঁর কথায় বিশ্বাস করেছে।সারিকা শুভ্রকে পেছন থেকে ডেকে বলল,
-‘স্যার,স্যার।’
সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ১০
শুভ্র থেমে পেছনে ঘুরলো।সারিকা শুভ্রর দিকে তাকিয়ে বলল,
-‘থ্যাংকস আমাকে ট্রাস্ট করার জন্য,কিন্তু,,,।’
-‘এরোগেন্ট মানুষেরা মিথ্যা কম বলে তাই আপনাকে বিশ্বাস করি।’
কথাটা বলে শুভ্র সারিকার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলল,
-‘থ্যাংক ইউ না বলে একটু মিষ্টি করে হাসলেই চলবে।’