সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ১৩
লেখক:রিয়ান আহমেদ
-‘আমি আর আমার বোন সারিকা ছোটবেলা থেকে মা বাবার ভালোবাসা কখনো পাইনি।’
অন্তি অভিনবর কথার মাঝেই প্রশ্ন করলো,
-‘আপনার বোন আছে?কই আপনি তো এখনো পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে আমার দেখা করালেন না?সেও এই বাসায় আসে নি।’
-‘তুমি হসপিটালে ভর্তি থাকাকালীন একটা মেয়ের তোমার সাথে দেখা করেছিল মনে আছে?সে’ই সারিকা,,সারিকা বুসরা খান আমার জমজ বোন।আমরা আধ ঘণ্টার ছোট বড়।’
অন্তি অবাক হলো অভিনবর মুখে জমজ বোনের কথা শুনে।অন্তি কখনো ভাবতেই পারে নি অভিনবর বোন আছে তা ও আবার জমজ।অন্তি অভিনবর দিকে তাকিয়ে আছে অবাক হয়ে সে সারিকার চেহারাটা মনে করার চেষ্টা করছে। যেন অভিনবর সঙ্গে সারিকার মুখের কোনো মিল খুঁজে পেতে পারে।অভিনব অন্তির চোখের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বলল,
-‘হোয়াট?এভাবে কি দেখছো।’
-‘নাহ্ মানে আপনি কখনো বলেন নি আপনার জমজ বোন আছে সেটাই আর কি ভাবছিলাম।’
-‘তুমি কি কখনো জিজ্ঞেস করেছো না কি?,,,আচ্ছা যাইহোক এখন তোমার প্রশ্নের উত্তর দেই কেমন?’
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
অন্তি হ্যা বোধক মাথা নাড়ায়।সে মনযোগ দিয়ে অভিনবর কথা শোনার এবং বোঝার চেষ্টা করে।অভিনব বলতে শুরু করে,
-‘আমি আর সারিকা জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই সবসময় দেখেছি আমাদের মা বাবা সবসময় কাজের সূত্রে এই দেশ থেকে সেই দেশ এই শহর থেকে সেই শহরে পাড়ি জমান।কখনোই আমাদের সঙ্গে বসে দুদন্ড ঠিকমতো কথা বলতেন না।সারিকা আর আমি তাই ছোটবেলা থেকে গুরুগম্ভীর এবং অল্প কথার মানুষ ছিলাম।কারণ সন্তানেরা প্রথম মন খুলে কথা বলতে শিখে নিজেদের বাবা মায়ের কাছ থেকে কিন্তু আমরা সেরকম সুযোগটাই কখনো পাই নি।স্কুলে আমার অনেক বন্ধু হলেও সারিকা তেমন কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করতো না দুই একজন হাতে গোনা বন্ধুই ছিল তার জীবনে বরাদ্দ।সারিকা মতামত ছিল আমাদের টাকার জন্য যারা আমার বন্ধু হতে চায় তারা আমাদের বাস্তব বন্ধু না।আর সে তাই নিজের জীবনে নকল বন্ধু নয় বাস্তব বন্ধু বানাবে।কিন্তু আমি ওর থেকে তুলনামূলক বোকা ছিলাম যার কারণে সৎ এবং অসৎ বন্ধুদের মাঝে পার্থক্য করতে পারতাম না।স্কুল শেষ হলো, আমাদের দুজনকে এবার বাবা মা দেশের বাইরে পাঠাতে চাইলেন পড়াশুনার জন্য কিন্তু সারিকা বলল সে যাবে না।সারিকা আর আমি জীবনে কখনোই আলাদা থাকি নি তাই আমরা বাংলাদেশেই পড়াশুনা অব্যাহত রাখলাম।কলেজে পড়াশোনা শুরু করার এক বছর পর সে আমার জীবনে আসে।সে আমাকে প্রথম দেখায় হয়তো ভালোবাসতে বাধ্য করে নি কিন্তু দ্বিতীয় দেখায় আমার হৃদয়ের অনেকটা অংশে নিজের বাসা বেঁধে ফেলেছিল।’
অন্তি থমকে গেছে।সে খেয়াল করছে অভিনবর চোখ জলজল করছে।অন্তি জিজ্ঞেস করলো,
-‘কে সে?’
-‘মারিহা! আমার প্রাক্তন প্রেমিকা মারিহা।তার নীল চোখে আমি হাজারবার মরেছি।মারিহা আমাদের কলেজে ছিল যদিও আমরা দুজন আলাদা ইয়ারের ছিলাম।মারিহাকে প্রথম দেখেছিলাম কলেজের ক্যান্টিনে বসে চা পান করতে।সেটা কারো জন্য বিশেষ কিছু ছিল না আমার জন্য ও সেই দেখাটা তেমন বিশেষ কিছু ছিল না।কিন্তু দ্বিতীয় দেখাটা ছিল ঠিক এর এক সপ্তাহ পর মিনি কক্সবাজারে।আমি আর সারিকা ফ্রেন্ডদের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলাম উইকেন্ডে।স্বচ্ছ নীল সাদা আকাশের নিচে পানিতে পা ভিজিয়ে নৌকার উপরে বসে থাকা নীল শাড়ি পড়া মারিহা আমার নজর কেড়েছিল।আমি ওর ভালোবাসায় নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম।এরপর মারিহাকে আমি প্রপোজ করি সেও সেই প্রপোজাল এক্সেপ্ট করে নেয়।দুজনে বেশ ভালোই সময় কাটাচ্ছিলাম।কিন্তু পৃথিবীতে সবকিছুই সাময়িক সময়ের জন্য।সুখ নামক শব্দটাও ছিল আমার জন্য সাময়িক।মারিহার ঊনিশতম জন্মদিনের রাতে ও হারিয়ে যায়।আমি ওর জন্য মিনি কক্সবাজারে অপেক্ষা করছিলাম কিন্তু সে আসে নি।সারা রাত অপেক্ষা করলাম ওর মোবাইল ফোন দিলাম কিন্তু ও রিসিভ করলো না।মারিহার বড় ভাই মাহিন ছিল আমারই এক বন্ধু খুব ভালো বন্ধু।সে নিজের বোন আর আমার সম্পর্কে সবকিছুই জানতো।তার পরিবার এবং আমার পরিবারও এই বিষয়ে জানতো।পড়াশুনা শেষ হলেই আমরা বিয়ে করে নেব বলে ঠিক করেছিলাম।কিন্তু সেটা তো আর হলো না।,,,মারিহা সেই রাত থেকে গায়েব হয়ে গেল কেউ তার খোঁজ পেল না।সবাই ভাবলো আমি মারিহাকে খুন করে গুম করে দিয়েছি।কারণ মারিহা সেই রাতে আমার সঙ্গে দেখা করার কথা বলেই বাসা থেকে বেরিয়েছিল আর শেষ ফোন কল ও আমাকেই করেছিল।,,,মারিহার কিছু বান্ধবীদের মতে মারিহা না কি কিছুদিন যাবত বেশ ডিপ্রেশনে ছিল আমার সঙ্গে ব্রেকাপের বিষয়েও ওদের সঙ্গে কথা বলেছিল।,,,মিথ্যে বলব না সেই রাতে আমাকেও ফোন করে ও ব্রেকাপের কথা বলেছিল কিন্তু আমি চেয়েছিলাম ওর সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে তাই ওকে সেখানে ডেকেছিলাম,,,,পুলিশের ধারণা আমার সঙ্গে ব্রেকাপ করতে চাওয়ার অপরাধে আমি ওকে খুন করে ফেলেছি।কিন্তু আমি এমন একজন মানুষকে কিভাবে খুন করতে পারতাম যাকে আমি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসতাম।পুলিশ তদন্ত করলো কিন্তু তেমন কোনো প্রমাণ পেল না আমার বিরুদ্ধে তাই আমাকে ছেড়ে দিল।কিন্তু মাহিরের ধারণা আমার বাবার টাকার জোরে আমাকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।আমি মারিহাকে পাগলের মতো অনেক জায়গায় খুঁজি কিন্তু কোথাও পাই না ।এর কিছুদিন পরমাহির আমার কয়েকজন বন্ধুদের সঙ্গে মিলে আমাকে মারার জন্য একটা জায়গায় ডাকে নিজের বোনের প্রতিষোধ নিতে।আমি ভেবেছিলাম ও হয়তো আমার আর ওর মাঝে মারিহাকে নিয়ে হওয়া ভুল বোঝাবুঝি ঠিক করতে চায়।,,কিন্তু আমি ভুল ছিলাম আমাকে আমারই বন্ধুরা এমনভাবে মারলো যেন আমি তাদের কিছুই হই না।কিন্তু একটা পর্যায়ে হয়তো মাহিরের আমাদের বন্ধুত্বের কথা মনে পড়লো তাই আমাকে ছেড়ে দিল।মাহিরের চোখে আমি নিজের জন্য ঘৃণা আর তাচ্ছিল্য দেখেছিলাম।এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক কেউ যদি আমার বোনের সঙ্গে এমন কিছু করতো তাহলে আমার তার প্রতি এরকম আচরণ করাটাই স্বাভাবিক হতো।কিন্তু বাকিরা!বাকিদের চোখে আমি উপহাস দেখেছিলাম।মাহির আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলাতে তারা যেন বেশ দুঃখ’ই পেয়েছিল।তাদের মুখ দেখে মনে হচ্ছিল আমাকে আরো মারতে পারলে তাদের গায়ের জ্বালা মিটতো।মাহির আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিল যতই আমাদের বন্ধুত্বের শেষটা তিক্ত তোক না কেন।আমি আমার একমাত্র ভালো বন্ধুকে হারিয়েছি এবং তাই আমি তোমাকে একজন ভালো বন্ধু হিসেবে চেয়েছিলাম।আমি চেয়েছিলাম যেভাবে মাহিরের সঙ্গে মনের কথাগুলো আগে বলতাম সেভাবে যেন তোমার সঙ্গেও কথাগুলো বলতে পারি।,,,সেদিন মাহির আমাকে একটা কথা বলেছিল,”যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরে যেতে পারছ তাহলে সবার আগে পুলিশের কাছে গিয়ে আমার বোনের খুনের কথা স্বীকার করবি বুঝলি?না হলে তোর সাথে এসব কিছু আবার রিপিট হবে।তুই নিজের অপরাধের যোগ্য শাস্তি না পাওয়ার আগ পর্যন্ত হবে।”,,,সেদিন আমাকে সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় ঝোপের আড়ালে ফেলে ওরা চলে যায়।আমি হঠাৎ গোলাগুলির,,,,,,,,,,,।’
অভিনব থেমে যায় সে কি বলতে যাচ্ছিল এই কথাগুলো যে কাউকে বলা বারণ সেটা সে একদম ভুলেই গিয়েছিল।অভিনবকে থেমে যেতে দেখে অন্তি অভিনবর হাতে ধাক্কা দিয়ে বলল,
-‘এরপর কি হলো বলুন।’
অভিনব কিছুটা সময় নিয়ে নিজেকে শান্ত করে আবার বলতে শুরু করে,
-‘আমি সেখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারি নি।,,সেই পুরনো অভিনবর মৃত্যু ঘটেছিল সেদিন।আমি সুস্থ হওয়ার পর সিঙ্গাপুর চলে যাই আসলে আমাকে পাঠানো হয়।মম ড্যাড আমাকে অনেকবার জিজ্ঞেস করেছিল কে এসব করেছে কিন্তু আমি শুধু একটাই কথা বলে গেছি লোকগুলোকে আমি চিনি না।তাই তারা ভেবেছিল হয়তো ড্যাডের কোনো বিজনেস রাইবেল এসব করেছে।তাই তারা আমাকে বিদেশ পাঠিয়ে সেফ্টির জন্য সাথে সারিকাকেও।আমি সারিকাকেই শুধু এই ব্যাপারে সত্য কথাটা বলেছিলাম এবং কসম দিয়েছিলাম যেন ও এসব কাউকে না বলে।সিঙ্গাপুরে পড়াশুনা করার সময় আমার মডেলিং ক্যারিয়ার শুরু হয়।সেখানে আমার এক ফ্রেন্ড মজা করেই আমার কিছু ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে।কিন্তু সাম হাউ সেগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পায় আর আমি মডেল হয়ে উঠি।এই মডেলিং করাটাই আমাকে মারিহার খোঁজ এনে দেয়।মারিহা একদিন আমাকে ইমেইল করে যে সে আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়।সে সিঙ্গাপুরেই আছে।আমি সেদিন খুশি হব না কি অবাক হব বুঝতে পারি নি।একটা মানুষ তিন বছর নিখোঁজ থাকার পর হঠাৎ কিভাবে ফিরে এলো?আমি রাজি হয়ে গেলাম।আমরা দুজন একটা ক্যাফেতে দেখা করলাম।আমার মনের হাজারো প্রশ্ন তার সামনে তুলে ধরার আগেই সে বলল সে আমার জীবনে ফিরে আসতে চায়।সে যা করেছিল তার জন্য সে অনুতপ্ত কিন্তু এখন সে নিজের ভুল শোধরাতে চায়।আমি বলেছিলাম কিসের ভুল?কোথায় ছিল ও এতদিন এরপর ও যা বলল তাতে আমার নিজের প্রতিই ঘৃণা জন্মে গিয়েছিল।কিভাবে এমন জঘন্য মানসিকতার মেয়েটাকে আমি ভালোবেসেছিলাম আমি জানি না।,,,তিন বছর আগে ও চলে গিয়েছিল একজন ফরেনারের হাত ধরে ভিন দেশে।আমার সঙ্গে রিলেশনে থাকাকালীন ওর মনে হয়েছিল ও আমার চেয়েও ভালো কাউকে ডিজার্ভ কারণ।কারণ আমি ছিলাম চশমা পড়া,চুপচাপ একটা ছেলে।ও চেয়েছিল কোনো হ্যান্ডসাম,ফ্লার্টিং মাস্টার,আরো রিচ কাউকে।একদিন এমন এক ছেলের সঙ্গে ওর দেখাও হয়ে যায়।ও আমার আড়ালে সেই ছেলেটার সঙ্গে দেখা করা কথা বলা চালিয়ে যায়।এবং একটা পর্যায়ে ওদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা এতটাই বেড়ে যায় যে ওরা শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত চলে যায়।যার ফলস্বরূপ মারিহা একটা সময় প্রেগনেন্ট হয়ে যায় আর তাই মারিহা আমার সঙ্গে ব্রেকাপের সিদ্ধান্ত নেয়।কিন্তু যখন বুঝতে পারে আমি ওকে এভাবেই ছেড়ে দেব না তখন ও রাতের আধারে সেই ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যায়।দুজনে বিদেশে বিয়ে করে নেয় কিন্তু কয়েক মাস পর মারিহার মিসক্যারেজ হয় যার কারণে ছেলেটা মারিহার প্রতি অবহেলা শুরু করে আর একটা সময় মারিহাকে ছেড়ে দেয়।আর মারিহাও সাহস পাচ্ছিল না নিজের দেশে নিজের পরিবারের কাছে ফিরে পাওয়ার।কিন্তু একদিন যখন ও দেখে আমি মডেলিং করে সাক্সেসফুল হয়ে গেছি তখন ও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে।,,, সেদিন আমি ওকে দেখে শুধু ভেবেছিলাম ওকে আমি ভালোবাসা দিয়েছি,ওর জন্য দিন রাত পাগল হয়ে ঘুরেছি কিন্তু এসবের বদলে ও আমাকে কি দিয়েছে? একটা শিক্ষা ভালোবাসায় বিশ্বাস না করার শিক্ষা।সেদিন আমি সকলের সামনে ওকে থাপ্পড় মেরেছিলাম।আমার কাছে ভুল করার জন্য ক্ষমা চাইলে আমি ক্ষমা করবো কিন্তু ও তো ভুল করে নি ও বেইমানি করেছে,,বেইমানির ক্ষমা আমার কাছে নেই।”ভালোবাসা না দিতে পারলে ভালোবাসা তৈরি করা উচিত না।” ও যদি আমার প্রেমের প্রস্তাবটা সেদিনই রিজেক্ট করে দিত তাহলেও ইমার এতটা কষ্ট হত না।,,,শুধুমাত্র আমি নিজেকে বদলে ফেলেছি বলে ও আমার লাইফে ফিরে আসতে চায়।,,,এই পৃথিবীতে আমি না মা বাবার ভালোবাসা পেয়েছি আর না যাকে আমি ভালোবেসেছিলাম তার ভালোবাসা পেয়েছি।তাহলে বলো আমি ভালোবাসা নামক সম্পর্কে বিশ্বাস কেন করবো?’
সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ১২
অন্তির চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো।অভিনব কাঁপছে তার শরীরের এই কম্পনের কারণ কি মারিহার প্রতি ঘৃণা?অন্তি অভিনবর প্রশ্নের কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না।সত্যিই মেয়েটা অভিনবর জীবন নিয়ে এভাবে না খেললেও পারতো।অভিনবর চোখ ছলছল করছে।সে হয়তো কাঁদতে চাইছে কিন্তু নিজেকে দমিয়ে ফেলছে।অন্তি আচমকাই অভিনবকে জড়িয়ে ধরে।অভিনব যেন এভাবেই কাউকে নিজের পাশে চাইছিল।অভিনব ও অন্তিকে জড়িয়ে ধরে এরপর কেঁদে দেয়।অন্তি আটকায় না মানুষটার এই কান্নাটা খুব প্রয়োজন।কখনো কখনো কান্নাটা মানুষের জীবনে জরুরী হয়ে ওঠে তাই তাকে কাঁদতে দেয়া উচিত।অভিনব বিড়বিড় করে বলল,
-‘ও আমার সঙ্গে কেন এমনটা করলো?’
অন্তি অভিনবকে আরো গভীরভাবে জড়িয়ে ধরে কাঁধে হাত বুলিয়ে দেয়।কিছু বলার মতো ভাষা অন্তির কাছে বরাদ্দ নেই।