সাথে থেকো প্রিয় - Golpo Bazar

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ১৫ || na bola valobasha

সাথে থেকো প্রিয়

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ১৫
লেখক:রিয়ান আহমেদ

অন্তি অভিনবর সাথে ফটোশুটের জন্য এসেছে মানে অভিনবর ফটোশুটে।অন্তিকে ছাড়িয়ে আনতে যাওয়ার আগে অভিনব ফটোশুটেই ব্যস্ত ছিল একটা নতুন ম্যাগাজিনের জন্য কিন্তু মাঝখানেই অন্তির জন্য সব ছেড়েছুড়ে দৌড়ে চলে যেতে হয়েছিল।অভিনব অন্তিকে নিয়ে সেখান থেকেই সোজা বাসায় চলে যেতে চেয়েছিল কিন্তু মাঝখানে বাঁধ স্বাদে সেই ম্যাগাজিন কম্পানির ডিরেক্টর নাহিদ মাহতাব।উনি অভিনবর বাবার খুব ক্লোজ বন্ধু তাই অভিনব চেয়েও তার রিকোয়েস্ট ফেলতে পারে নি।আবার অন্তিকেই উনি এখনো পর্যন্ত দেখেন নি তাই অন্তিকেও সাথে নিয়ে আসতে বলেছিলেন।তাই অভিনব বাধ্য হয়ে অন্তিকে সাথে করে নিয়ে এসেছে।

অন্তি চুপচাপ বসে বসে ওরেন্জে জুস গিলছে আর অভিনবর শ্যুট দেখছে।অন্তি অভিনবর মাগ্যাজিনের ছবি কেটে কেটে ওর বান্ধবীদের ডায়েরিতে লাগিয়ে রাখতে দেখেছে অনেক।অন্তির তখন মনে হতো এই ছেলের মধ্যে এমন কি আছে যে এর ছবি নিজের কাছে রেখে দিতে হবে?তবে এখন সে প্রতিনিয়ত অভিনবর চার্ম আর কিউটনেস দেখে নিজেও আহত হয়।
অভিনব শার্টের বাটন অর্ধেক খুলে বাম হাতে ভর দিয়ে আধশোয়া হয়ে ছবি তুলছে।ব্যাপারটা অন্তিকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিল কারণ তার চোখ অভিনবর লোমহীন বুকের দিকে বারবার চলে যাচ্ছে।অন্তি মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে মনে মনে বলল,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

-‘ছিঃ ছিঃ এই ছেলের লজ্জাশরম কি সব বেঁচে খেয়েছে না কি?চোখের চাহুনি দেখো কেউ এর মনে হচ্ছে নেশা করেছে।এই ছবির উপরেই হাজারো মেয়ে নিজের হৃদয় দিয়ে বসবে আমি ড্যাম শিওর,,,আল্লাহ্ আমার বুকটাই তো কেমন ধুকপুক করছে।’
অন্তি দেখলো এখানে উপস্থিত সকল মেয়েরা চোখ দিয়ে অভিনব গিলে খাচ্ছে।অন্তি ভাবলো অন্য সকলে দেখতে পারলে ও কেন লজ্জা পাবে।বাকি সবাই অবৈধভাবে অভিনবর দিকে তাকাচ্ছে কিন্তু ওর কাছে তো বৈধ অধিকার আছে তাহলে ওর এতো অস্বস্তিতে পড়াটা বেমানান।অন্তি অভিনব দিকে তাকায়।কিন্তু বেশিক্ষণ সেটা স্থায়ী হয় না কারণ অভিনব উঠে চলে যায়।কিছুক্ষণ পর অন্য ড্রেস আপে ফিরে আসে একটা কালো স্যুট আর ভেতরে সাদা শার্ট।তখনই সেখানে উপস্থিত হন নাহিদ মাহতাব।তিনি অভিনবর সঙ্গে কোলাকুলি করে অন্তির কথা জিজ্ঞেস করেন।অভিনব অন্তিকে হাতের ইশারায় ডাকে।অন্তি লক্ষি মেয়ের মতো সামনে গিয়ে দাঁড়ায় আর সালাম দেয়।নাহিদ মাহতাব সালামের উত্তর নেয় কিছুক্ষণ অন্তিকে দেখে হেসে বললেন,
-‘অভিনব মাই চাইল্ড আমাদের বৌমা তো বেশ সুন্দরী।কিন্তু বৌমার হাতের রান্না তো এখনো খাওয়া হলো না।আমাদেরও তো জানতে হবে বৌমার কি কি গুন আছে।’
অভিনব হেসে বলল,

-‘জ্বী আংকেল আসলে বিয়েটা হঠাৎ হওয়ার তেমন কাউকে বলা হয় নি।’
অন্তি অভিনবর মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে বলে উঠলো,
-‘জ্বী আংকেল আপনি একদিন আমাদের বাসায় সময় করে আসলেও তো পারেন।’
-‘কি যে বলবো মা এই বয়সেও কাজের চাপ এতো বেশি যে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জো নেই।তা তুমি কি এখনো পড়াশুনা করছো না কি?’
-‘জ্বী এ বছর ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে চান্স পেয়েছি আজ প্রথম ক্লাস,,,,।’
-‘থাক মা বলতে হবে না আমার মনে পড়েছে।,,,, এমনিতে তোমার এখানে কোনো সমস্যা হলো বলবে কিন্তু।’
-‘জ্বী আচ্ছা।’
তখনই নাহিদ মাহতাবের পিএস এসে বললেন,
-‘স্যার আজ দিনা ম্যাডাম আসতে পারবেন না বলেছেন,
এখন কি করবো?’
নাহিদ রাগী গলায় প্রশ্ন করলেন,
-‘হোয়াট?তাকে আগেই পেমেন্ট করা হয়েছে আর এখন সে না করে কিভাবে?’

-‘জ্বী স্যার ওনার না কি পার্সোনাল ক্রাইসিস আছে।’
-‘শুনি ঐ পার্সোনাল ক্রাইসিসটা কি?ওর কে মরেছে?’
-‘স্যার কেউ মরে নি।ওনার ব্রেকাপ হয়েছে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে।’
-‘ও তো জামা কাপড়ের মতো বয়ফ্রেন্ড চেন্জ করে।ওর বয়ফ্রেন্ডের ইস্যুর কারণে আমার কত বড় লস হবে এখন বুঝতে পারছো।এখন আমি নতুন রিপ্লেজমেন্ট কোথায় পাব?’
-‘স্যার আজ তো সবার সিডিউল বিজি।’
নাহিদ চেয়ারে মাথা নিচু করে বসে আছেন তখনই তার চোখ গেল অন্তির দিকে অভিনবর সঙ্গে দাঁড়িয়ে কি যেন বলছে।তিনি তাড়াতাড়ি ক্যামেরা নিয়ে দুজনকে একসাথে ক্যামেরায় কেমন লাগছে দেখতে লাগলেন।নাহিদ চেঁচিয়ে বললেন,
-‘ওয়ান্ডারফুল,পেয়ে গেছি নতুন মডেল।’
সবাই চমকে তাকালো নাহিদের দিকে।নাহিদ অভিনবর কাছে গিয়ে বললেন,

-‘অন্তিকে কি আজকের ফটোশুটে মডেল হিসেবে অংশগ্রহণ করতে দিতে পারবে?’
অভিনব অবাক হয়ে একবার নাহিদের দিকে আরেকবার অন্তির দিকে তাকালো।অন্তি চোখ গোল গোল করে তাকিয়ে আছে।অভিনবকে মাথা নাড়িয়ে না করতে বলছে কারণ ও নিজে থেকে না করতে পারবে না।অভিনব বুঝতে পারছে না কি বলবে।হঠাৎ নাহিদের মাথায় এমন উদ্ভট চিন্তা আসলো কি করে?তাছাড়া অভিনব অন্তির সঙ্গে শুট করবে কি করে?অভিনব জোরপূর্বক হেসে বলল,
-‘আংকেল আসলে সিদ্ধান্তটা আমি অন্তির উপরেই ছাড়তে চাই।জীবনটা ওর আর এই জীবনের সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারটাও ওর।’
অন্তি অভিনবর কথা শুনে মনে মনে তাচ্ছিল্যের হাসি দেয়।এই ছেলের মুখে এমন কথা বেমানান মনে হচ্ছে।কারণ অভিনব’ই সেই ব্যক্তি যে ওকে জোর করে বিয়ে করেছে আর বিবাহ নামক কারাগারে চার বছরের জন্য বন্দি করে দিয়েছে।কয়েদিরা তো জেল থেকে পালাতে পারে কিন্তু ও সেটাও পারবে না কারণ এখান থেকে পালিয়ে গেলে যদি ধরা পড়ে তবে সত্যিকারের জেলের বাসিন্দা হতে হবে দশ বছরের জন্য।
অন্তি ফেসে গেছে ঝামেলায় কারণ গুরুজনদের না বলাটা বেশ কঠিন।’না’ শব্দটা দেখতে সহজ মনে হলেও বলতে গেলে এর কাঠিন্যতা সামনের বক্তা বেশ ভালোই বুঝতে পারেন।অন্তি তবুও ইনিয়ে বিনিয়ে বলল,

-‘আসলে আংকেল আমি বুঝতে পারছি আপনি সমস্যায় আছেন কিন্তু আমি আগে কখনো এসব করি নি আর তাছাড়া আমি এসব পারি না আমি অতি সাধারণ মেয়ে।আমি এমন মেকাপ টেকাপ লাগিয়ে ছবি টবি তুলতে পারি না,তাই সরি।’
নাহিদ এক গাল হেসে বললেন,
-‘ওহ এই কথা।দেখো এটা সাধারণ একটা ফটোশুট তোমাকে কোনো মেকাপ করতে হবে না জাস্ট এই ড্রেসটা পড়বে আর এরপর অভিনবর সঙ্গে কিছু পোজ দেবে জাস্ট।,,এন্ড তোমাদের এই ছবিটাই আমি ম্যাগাজিনের কভারে দিতে চাই।’
অন্তি আর অভিনব দুজনকে তবুও বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছে।হঠাৎ অভিনবর মোবাইলে একটা ম্যাসেজ এলো সারিকা পাঠিয়েছে,

-‘অভি অন্তিকে নিয়ে যে কি টাইপের রিউমর ছড়িয়েছে দেখেছিস।সবাই বলছে ঐ ছেলেটা না কি অন্তির বয়ফ্রেন্ড ছিল।ছেলেটার সঙ্গে প্রেম ঘটিত কারণে ঝগড়ার এক পর্যায়ে না কি অন্তি রেগে গিয়ে ছেলেটার মাথায় পাথর দিয়ে মেরেছে।শোন আমি নিউজটা এই মুহুর্তে সব জায়গা থেকে মুছে দেয়ার কাজ করছি তাই তোকে ফোন করতে পারছি না।তবুও এখন পর্যন্ত অনেকেই নিউজটা দেখে ফেলেছে তাই তাদের মুখ বন্ধ করতে যত দ্রুত সম্ভব কিছু একটা কর।আমি ফ্রি হয়ে ফোন দিচ্ছি,বাই।’
অভিনব এবার টেনশনে ঘামতে লাগলো।অন্তির দিকে তাকিয়ে নাহিদকে বলল,
-‘আংকেল আমি একটু অন্তির সঙ্গে পার্সোনালি কথা বলতে চাই।’
-‘শিওর।’
অভিনব আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা করে না অন্তির হাত ধরে এক প্রকার টেনে নিয়ে যায় মেকাপ রুমে।

অভিনব একটা চেয়ারে বসে আছে আর অন্তি তার সামনাসামনি।অভিনব অন্তিকে সব বলল।অন্তি বেশ রেগে গেল।কারণ ছেলেটা ওর বয়ফ্রেন্ড দূরের কথা ও এখন অব্দি সেই ছেলের নাম ও জানে না।অভিনব বলল,
-‘অন্তি দেখ যা হওয়ার হয়েছে কিন্তু এখন মানুষ তোমাকে নিয়ে যেই রিউমর ছড়িয়েছে সেটা বন্ধ করতে হবে।,,,মানে তুমি আমাকে চিট করছো না আমাদের মাঝে অনেক বেশি ভালোবাসা আছে সেটা শো করতে হবে বুঝলে।’
-‘কিভাবে?’
-‘একটা রোমান্টিক ফটোশুট।’
-‘কিহহহ?আ,,আমি পারবো না।’
-‘দেখো প্লিজ এটা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আর আমরা তো সত্যি সত্যি রোমান্টিক হচ্ছি না।শুধুমাত্র ক্যামেরার সামনে নিজেদের একটু রোমান্টিক কাপল হিসেবে দেখাতে হবে।’
অন্তি কিছুক্ষণ ভাবলো।আসলে অভিনবর কথাটা যুক্তিসঙ্গত তাই অন্তি রাজি হয়ে গেল।সাধারণ একটা পনেরো বিশ মিনিটের ফটোশুটের ব্যাপার।
অভিনব বসে বসে বিধানের সঙ্গে কথা বলছে,

-‘নিউজটা পুরোপুরি ধামাচাপা দিয়ে দেওয়ার জন্য জন্য সব ম্যাগাজিন,নিউজ পেপার,টিভি চ্যানেলকে যত টাকা দিতে হয় তত দেও দরকার পড়লে আরো বেশি দেও।আজ আমার কারণে অন্তির এভাবে বদনাম হচ্ছে।আমার জীবনের মিডিয়া নামক মাছি ওর জীবনেও এখন ইন্টারফ্যায়ার করছে।আমি চাই না ও আর কোনো সমস্যায় পড়ুক,রাখছি।’
তখনই অন্তির মিষ্টি গলার আওয়াজ কানে এলো,
-‘আমি তৈরি।’
অভিনব অন্তির দিকে তাকিয়ে বিস্মিত মেয়েটাকে সুন্দর নয় বড্ড বেশি সুন্দর লাগছে।সাদা রঙের একটা গাউন পড়েছে অন্তি।অন্তি অভিনবর পাশে এসেছে সেই কখন সেদিকে অভিনবর একদম খেয়াল নেই।নাহিদের ডাকে অভিনবর হুস ফেরে।নাহিদ বললেন,
-‘এই অভিনব অন্তির আরেকটু কাছে এসে দাঁড়াও।’
অভিনব কাছে গেল।

-‘এখন অন্তির অভিনবর কাঁধে দুই হাত রাখো আর মিষ্টি করে হাসো।অভিনব তুমি অন্তির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসো।’
অভিনব কাঁপা কাঁপা হাতে অন্তির কোমরে হাত রাখলো।সে অনেক মেয়ের কাছাকাছি এসেছে প্রফেশনের কারণে কিন্তু এভাবে হাত কাঁপে নি কখনো।কিন্তু আজ তার হাত কাঁপছে ,বুক ধুকপুক করছে কিন্তু কেন?এই মেয়েটা তো তেমন বিশেষ কেউ নয়।,,এই ওর স্ত্রী বিয়ে করা বউ।তাহলে ওর সঙ্গে এতো অস্বস্তি কিসের?
এদিকে অন্তির ও একি অবস্থা।অভিনবর নিঃশ্বাস ওর মুখে পড়ছে ছেলেটা ওকে দম বন্ধ করে খুন করতে চায় না কি?এভাবে বেশি বেশি নিঃশ্বাস ফেলার কারণে যে অন্তির ভেতরে একটা অদ্ভুত ঝড় সৃষ্টি হয়েছে তা কি ওর জানা আছে?
এভাবে বিভিন্ন পোজে ছবি তোলার পর নাহিদ যা কথা বললেন তাতে দুজনের অজ্ঞান হবার মতো অবস্থা।

-‘এবার অভিনব এক কাজ করো অন্তির কপালে চুমু দেও।আমি চাই তোমাদের এই ছবিটাই কভার পেজে দেয়া হোক।’
অভিনব কি করবে বুঝতে পারছে।ওরা যদি আর দশটা স্বামী স্ত্রীর মতো হতো তবে এই কাজটা করা তেমন কোনো ব্যাপার ছিল না কিন্তু ওদের সম্পর্ক তো অস্বাভাবিক অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।অন্তি নিজের মাথাটা জোর করে পেছনের দিকে ঝুঁকিয়ে নিল অভিনব বুঝতে পারছে অন্তি চায় না এমন কিছু হোক কিন্তু তারও কিছু করার নেই।অভিনব হেসে বলল,
-‘আরে সুইট হার্ট লজ্জা পাচ্ছো কেন?’
অন্তি মাথা নাড়িয়ে না না করছে।কিন্তু অভিনব শেষ পর্যন্ত ওর কথা আর শুনলো না।অভিনব অন্তির হ্যাট ফেলে দিয়ে অন্তির পিঠে হাত রেখে নিজের কাছে এনে অন্তির কপালে কিস করে।অন্তি চোখ বন্ধ করে ফেলে।

শুভ্র সকালবেলা গোসল করে আয়নার সামনে দাঁড়ালো সে শুধু একটা টাওয়েল পড়ে আছে।শুভ্র নিজের কাঁধের লাল দাগটা দেখে সেটা ছুঁয়ে হেসে দিল।শুভ্র বলল,
-‘আমার ফার্স্ট লাভ বাইট তুমি আমায় দিলে মিস এরোগেন্ট।হয়তো ভালোবেসে দেও নি।ভয় পেয়ে অথবা রেগে গিয়ে দিয়েছো।কিন্তু আমার কাছে তোমার দেওয়া সব চিহ্নই প্রিয়।কাল তো উত্তর না দিয়ে একা ফেলে চলে গিয়েছিলে কিন্তু আমি তোমার জবাব পেয়েই ছাড়বো।শুধু জীবনে প্রিয় মানুষ ভেবে আমার ‘সাথে থেকো প্রিয় ‘ জীবন তো অনেক বাকি তুমি সাথে থাকলে উত্তর পাওয়ার জন্য মৃত্যুর আগে অব্দি অপেক্ষা করবো।’

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ১৪

ছেলেকে সকাল সকাল ফুরফুরে মেজাজে দেখে শুভ্রর মা বাবা বেশ অবাক। এমন কি হয়েছে যে মুখ থেকে হাসিটাই যাচ্ছে না।
শুভ্র বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ির দরজা খুলতে যাবে তখনই পাশের বাসার দুষ্টু বাচ্চাটা দুই তলার ছাদ থেকে টমেটো ছুঁড়ে মারলো।শুভ্রর গাঁয়ে একটুর জন্য লাগলো না।শুভ্র ছেলেটার দিকে তাকাল ছেলেটা ভাবলো শুভ্র বকবে কিন্তু না শুভ্র হেসে বলল,
-‘এই যে পিচ্ছি পাশের বাসার নিকিতার সঙ্গে তোমার চিঠি আদান প্রদানের কথা বাবা মা জানে?’
ছেলেটা কথাটা শুনতেই ভো দৌড়।বাচ্চা ছেলেরাও আজকাল প্রেম করে ব্যাপারটা ভাবা যায়।কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই শুভ্র গাড়িতে চড়ে বসে।

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ১৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.