সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ২৮
লেখক:রিয়ান আহমেদ
অভিনব চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছে কারণ অন্তিকে সে খুঁজে পাচ্ছে না।তার বুক ধুকপুক করছে মনটা শুধু একটা কথাই বলছে,’খারাপ কিছু যেন না ঘটে।’
অভিনব অন্তিকেও খোঁজার জন্য পুরো পার্টির চক্কর লাগিয়ে ফেলেছে প্রায় দুইবারের মতো।তৃতীয়বারের মতো চক্কর লাগানোর সময় তার এক তরুণীর সঙ্গে আচমকা ধাক্কা লাগে।অভিনব কিছু না বলে সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে বাধাগ্রস্ত হয় পেছনের কারোর টানে।সে বিরক্ত হয়ে পেছনে ঘুরে দেখে দিনা নামের মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে।অসহ্য!শব্দটা কয়েকবার বিরক্তি নিয়ে বিড়বিড় করে উচ্চারণ করলো অভিনব।যদিও এই দিনা নামক ডাইনিটাকে ‘অসহ্য!’ শব্দটা বলে তাড়ানো যাবে না।অভিনব ঝামটা দিয়ে দিনার থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে ঠান্ডা গলায় বলল,
-‘ধাক্কা দেওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইবো এমনটা ভুলেও আশা করো না অভিনব খান বিজয় যার তার কাছে ক্ষমা চায় না।তাছাড়া তুমি যে ইচ্ছে করে ধাক্কা খেয়েছো সেটা আমি জানি।’
দিনা হাসলো।এই হাসি দেখে দিনার জন্য বহু ছেলে পাগল হয়েছে তাই হয়তো দিনার বয়ফ্রেন্ড লিস্টটা বেশ বড়।এমন বিদঘুটে হাসিতে যারা পাগল হয় তারা বোকা।তবে অভিনব বোকা নয় তাই তার পাগল হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই।তাছাড়া হাসিটাও তো দেখার মতো কি না।এই হাসি দেখলেই তো হাসির মালিকের ভেতরের শয়তানিটা ধরে ফেলা যায়।
–‘এমনিতে তুমি ঠিকই বলেছ।ইচ্ছে করেই ধাক্কাটা খেয়েছি।মুভিতে দেখো না নায়ক নায়িকা ধাক্কা খেয়ে একে অপরের প্রেমে পাগল হয়।’
—‘আমাদের সাথে তেমন কিছু ঘটার সম্ভাবনা নেই কারণ আমি ম্যারিড।তাছাড়া তোমার মতো মেয়েকে তো বিয়ের আগেই আমি হাজারবার রিজেক্ট করেছি।’
দিনার মুখটা অন্ধকার হয়ে এলো।অভিনবর এমন ঠান্ডা মাথার অপমানটা সে ঠিক হজম করতে পারলো না।তবুও কথা বলাটা সে অব্যাহত রাখতে চাইলো।
-‘বিয়ের পরও তো মানুষ প্রেমে পড়ে ভালোবাসে।’
অভিনব কিছু মনে পড়ার ভঙ্গিতে বলল,
-‘ওহ্ তাই হয়তো সিকান্দার খন্দকার ষাট বছর বয়সে তোমার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছে তাই না?এমনিতে ওনাকে ছাড়লে কেন?ওনার ওয়াইফ বাধ্য করেছে নাকি বিছানায় সুখ দিতে পারছিলেন না?,,যাইহোক তোমার ব্যক্তিগত বিষয় তোমার মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখো আমি জেনে কি করবো।তবে বিয়ের পর ভালোবাসা যায় নতুন করে প্রেমে করা যায় প্রতিনিয়ত প্রেমে পড়া যায় শুধু মানুষটা নতুন হয় না।মানুষটা সেই পুরনো স্ত্রী কিংবা স্বামীটাই থাকে।তুমি একটা পুরুষের সঙ্গে হাজার রাত কাটালেও তার জীবনে তার স্ত্রীর জায়গা কখনো পাবে না।যদিও ঐ পুরুষগুলোও জানে দিন শেষে তাদের স্ত্রীর কাছেই ফিরে যেতে হবে।কিন্তু তখন হয়তো তাদের স্ত্রীরা তাদের মেনে নিবে না।’
আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন
অভিনব কথাগুলো বলে সেখান থেকে সামনের দিকে পা বাড়ায়।পেছনে দিনা অন্ধকার মুখে দাঁড়িয়ে থাকে।অভিনব কথাগুলো তাকে অপমান করতেই বলেছে।কতো পুরুষকে দিনা ব্যবহার করেছে টাকার জন্য।তাদের থেকে টাকা নেওয়া হয়ে গেলেই তাদের ছেড়ে দিয়ে নতুন খাবারের খোঁজে সে উড়তে শুরু করতো।সেই লোকগুলো তাদের ঘরে স্ত্রী রেখে বাইরে রঙ্গলীলায় মত্ত হতো দিনার সাথে আর ঘরে স্ত্রী সেই বেইমান স্বামীর জন্য খাবার বেড়ে অপেক্ষায় বসে থাকতো।
অভিনব হঠাৎ ড্রিংক্স এরিয়াতে অন্তিকে বসে থাকতে দেখলো।সে পুরো পার্টিতে অন্তিকে দুইবার খুঁজলেও এদিকটায় তার আশা হয় নি।কারণ তার জানা মতে অন্তির এই জায়গার আশেপাশে থাকাটাও অসম্ভব।
অভিনব অন্তির কাঁধে হাত রাখতে অন্তি পেছনে ঘুরে একটা হাসি দেয়।অভিনব অন্তির পেছনে গিয়ে অন্তির কাছে হাত রাখতেই পিছনে ঘুরে বোকা বোকা একটা হাসি দিল অভিনব অন্তির এই বোকা বোকা হাসির সাথে পূর্ব পরিচিত নয়।অভিনবকে অবাক করে দিয়ে অন্তি বলল,
-‘saya sayang awak ‘
অভিনব চমকে গেল।এই বাক্যটার অর্থ ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ কিন্তু এখন কথা হলো অন্তি এই ভাষা কোত্থেকে শিখেছে।অন্তির পক্ষে মালেশিয়ান ভাষায় কথা বলাটা অসম্ভব।অভিনব নিজেও কথাটার মানে বুঝতে পারতো না যদি না সিঙ্গাপুর থাকাকালীন টুকটাক মালেশিয়ান ভাষা শিখে থাকতো।অভিনব অন্তির দুই বাহু ধরে বলল,
-‘অন্তি তুমি কি বলছো এসব!তোমার মাথা ঠিক আছে তো।’
অন্তি আবার হেসে বিড়বিড় করে বলল,
-‘ঠিক আছে।আমার মাথা একদম ঠিক আছে কিন্তু আমার মন ঠিক নেই।’
অভিনব অন্তির গলার কাছে গিয়ে বুঝতে পারলো অন্তি কোনো ধরনের এলকোহল খেয়েছে।অভিনব রাগী গলায় বলল,
-‘কি খেয়েছো তুমি?’
-‘ককটেইল আর ওয়াইন। টেস্টটা ততটা ভালো ছিল না তবে ভাবছি ওয়াইনটা আবার টেস্ট করতে ইচ্ছে করছে।’
অভিনব অন্তিকে ছেড়ে দিতেই অন্তি টেবিলে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়ে।অভিনব ওয়েটারকে ডেকে কিছুক্ষণ ঝাড়ে অন্তিকে এসব উল্টাপাল্টা দেওয়ার।অভিনব এটা ভুলে যায় যে ওয়েটারকে অন্তি অর্ডার করেছে তাই ওয়েটার দিয়েছে।এখন বাড়ির মালকিনের অর্ডার যদি না মানে তাহলে তো বেচারা ওয়েটারের চাকরি নট হয়ে যাবে।
অভিনব অন্তির দিকে তাকিয়ে দেখে অন্তি কিউটভাবে হাসছে আর বলছে,
-‘একটা অভি,দুইটা অভি,তিনটা অভি।ও আল্লাহ্ আমার দেখি তিনটা জামাই!(অন্তি কথাটা বলে মুখে হাত দেয়)তিনটা জামাই তো একরকম দেখতে,,কিন্তু কোনোটাই ভালো না তিনটাই শয়তানের হাড্ডি।’
অভিনব বুঝতে পারে অন্তিকে এখানে বেশিক্ষণ রাখলে কোনো একটা সিনক্রিয়েট অবশ্যই ঘটবে।আর অভিনবর বাবা অর্ণব এখন সুযোগের অপেক্ষায় আছে অন্তিকে অপমান করার জন্য।অভিনব অন্তিকে টেনে তুলে দাঁড় করায় কিন্তু অন্তি সোজা হয়ে দাঁড়ায় না ক্রমাগত ঢুলতে থাকে।অন্তির পড়ে যাওয়ার আশংকা আছে বুঝতে অভিনব ওর দুই বাহু আগলে ধরে জড়িয়ে নেয়।অন্তি কিছুক্ষণ ধাপাধাপি করে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য কিন্তু একটা পর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে অভিনবর বুকে মাথা ঠেকিয়ে নিজের সবটুকু ভর তার উপর ছেড়ে দেয়।
অভিনব ততক্ষণে সারিকাকে একটা ম্যাসেজ দিয়ে দেয়,
-‘সারিকা আমি অন্তিকে নিয়ে রুমে চলে যাচ্ছি কেন যাচ্ছি সেটা পরে বলবো।এদিকে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবি আমি অসুস্থ তাই রুমে রেস্ট করছি অন্তিও আমার সাথে আছে।’
অভিনব সবাল চোখের আড়ালে অন্তিকে নিয়ে রুমের দিকে পা বাড়ায়।
নিজের রুমের এতো বড় পরিবর্তন অভিনব ঠিক হজম করতে পারলো না।ফুলে ফুলে সজ্জিত এই ঘরটা কি আদৌ তার?ঘরের প্রতিটা কোনা লাল গোলাপ আর মোমবাতি দিয়ে মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।বিছানার উপর লাল লাভ শেপড একটা বালিশ রাখা এবং সেটার উপর লেখা A+ A ।তখনই টুং করে ম্যাসেজের শব্দ হলো।ম্যাসেজটা সারিকার কাছ থেকে এসেছে,
-‘কি ভাই নিজের রুমটা তোর কেমন লাগছে😁? তোর রুম খালি হতেই মম লোকজন দিয়ে এই ঘর সাজিয়েছেন। এখন ঘরের এই অবস্থার জন্য কারোর কাছে গিয়ে অভিযোগ করিস না কারণ এতে তুইই লজ্জা।Enjoy your love night bro bye❤’
(সারিকার ম্যাসেজটা সে কিভাবে দিয়েছে তা বোঝানোর জন্য ইমোজি ব্যবহার করা হয়েছে।)
সারিকার ম্যাসেজ দেখে অভিনব আরেক দফা অবাক হলো।আজকে যে তাকে এতো এতো সারপ্রাইজের মুখদর্শন করতে হবে এটা তার ধারণার বাইরে ছিল।অভিনব পাশে তাকিয়ে দেখলো অন্তি নেই।সে ইতিমধ্যেঈ বিছানায় উঠে লাফাতে শুরু করছে সাথে তার কিউট কিউট হাসি তো আছেই।অভিনবর অন্তির এই কিউট হাসি দেখার পর যত মন খারাপ থাকুক তার সে কেন যেনো খুশি হয়ে যায়।অভিনব অন্তিকে টেনে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে নিজেও অন্তির পাশে বসল।
অন্তি খিলখিল করে হেসেই যাচ্ছে।অভিনব একটু কঠোর হয় ধমক দিয়ে বলে,
-‘চুপ!চুপ করে এখানে বসো।’
অন্তি সাথে সাথে চুপ হয়ে যায়।অভিনব রাগী গলায় প্রশ্ন করে,
-‘তুমি এসব কেন খেয়েছো?’
অন্তি উদাশ গলায় বলল,
-‘কষ্ট!আমার মনে অনেক কষ্ট।আপনাকে ঐ দিনার সঙ্গে দেখে আমার সেই কষ্ট আরো বেড়ে গেছে।,,আমি শুনেছি এসব খেলে মনের মধ্যে থাকা কষ্ট কমে আবার অনেকদিন যাবত টেস্ট করার ইচ্ছাও ছিল তাই খেয়ে নিলাম।’
-‘তুমি আমার সম্পর্কে যা ভাবছো তা ঠিক না আমি দিনার সাথে কোনো উল্টাপাল্টা কথা বলছিলাম না।’
-‘তাহলে কি কথা বলছিলেন?’
-‘সেটা তোমার না জানলেও চলবে।’
-‘,,,ইয়াহ আমার জানার দরকার কি?আমি কে যে আপনি আমায় সব কথা বলতে বাধ্য হবেন?আমি তো জাস্ট আপনার সো কোল্ড ওয়াইফ পৃথিবীর চোখে তাই না?আচ্ছা একটা কথা বলুন মারিহা আপনাকে কষ্ট দিয়েছে এতে কি আমার কোনো দোষ আছে?’
-‘তুমি কোন কথার মাঝে কোন কথা আনছো?'(রেগে)
অন্তি দ্বিগুণ রেগে বলল,
-‘একদম আমার সঙ্গে চোখ গরম করবেন না যা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দিতে পারলে কথা বলুন মারিহা আপনাকে কষ্ট দিয়েছে এতে কি আমার কোনো দোষ আছে?’
অভিনব ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
-‘না নেই।’
-‘তাহলে আপনি আমাকে কেন কষ্ট দিচ্ছেন?’
-‘আমি তোমাকে কষ্ট দেই নি কখনো।’
-‘দিয়েছেন আলবাদ দিয়েছেন।আমার বুকের বা পাশে একটা অদ্ভুত অনুভূতির জন্ম ঘটেছে আপনার জন্য।আপনি কাছে থাকলে এই অনুভূতিটা হাসে আর আপনি দূরে কেঁদে কেঁটে একাকার হয়ে যায়।আমি জানি না এটার নাম কি?আপনি জানেন?’
-‘জানি না।’
-‘জানবেন কি করে সবসময় তো মারিহা মারিহা করেন এখন থেকে অন্তি অন্তি করবেন বুঝলেন?’
-‘আচ্ছা তুমি আমাকে এসব কেন বলছো?’
-‘আমি কি জানি!বলতে ইচ্ছে করছিল তাই বললাম।আচ্ছা ভালো মানুষগুলো তাদের জীবনে কেন ভুল মানুষটাকে বেছে নেয়।’
-‘,,,,মানুষ সেই ভালোবাসাটাই এক্সেপ্ট করে যেটা সে ডিজার্ভ করে।’
-‘তারা কি এরচেয়ে ভালো কাউকে আশা করে না?’
-‘হয়তো করে আবার হয়তো করে না।’
অন্তি অভিনবর পাশ ঘেঁষে বসে অভিনবর কাঁধে মাথা ঠেকিয়ে বলল,
-‘আমার ভালোবাসাটা কি আপনি ডিজার্ভ করেন?আপনি আমাকে একটা সুযোগ দেবেন।আমি যদি পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তিও হই তখনও আমি আপনাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালোবাসাটা দেব।আমাকে একটুখানি ভালোবাসলেই চলবে শুধু দিনশেষে ভালোবাসি বলবেন আর কিছুর দরকার নেই।’
অন্তি অভিনবর গাল টেনে বলল,
-‘আপনি অনেক কিউট আপনার জীবনে আমার চেয়ে দেখতে ভালো কেউ হয়তো আসবে। কিন্তু একটা কথা কি জানেন?আমি সেই মানুষটিকে আপনার কাছে আসতে দেব না।মেরে ফেলব আপনার কাছে আসার আগেই।আপনি শুধু আমার,,,খুন করে জেলে যাওয়ার আগে আপনাকে নিয়ে পালাবো।এমন জায়গায় পালাবো যেখান থেকে আমাদের কেউ খুঁজে বের করতে পারবে না।’
অন্তি কি বলছে না বলছে সে নিজেও জানে না।অন্তির কথাগুলোতে অভিনব আর না হেসে থাকতে পারলো না সে হো হো করে হেসে দিল।
অন্তি অভিনবর এই হাসি দেখে কিছুক্ষণ বোকার মতো তাকিয়ে থেকে নিজেও হাসতে শুরু করলো।
কিছুক্ষণ হাসার পর অন্তির দিকে তাকায় অভিনব।অন্তি ঘুমিয়ে পড়েছে অভিনবর কাঁধে অভিনবর গলা জড়িয়ে।
অভিনব কিছুক্ষণ মুগ্ধ নয়নে অন্তির দিকে তাকিয়ে থাকে অন্তির কপালের চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে সে অন্তির কপালে একটা ছোট্ট ভালোবাসার স্পর্শ দিয়ে বলল,
-‘জানি তুমি কথাগুলো মন থেকে বলেছো আর আমার মনে কথাগুলো লেগে গেছে।আজ তুমি নিজের মনের সুপ্ত অনুভূতিগুলো আজ নেশার ঘোরে আমার সামনে বলেছো।আজ যদি তুমি কথাগুলো না বলতে তবে হয়তো আমি ধোঁয়াশার মাঝেই থেকে যেতাম।আমি তোমার প্রতি হওয়া অনুভূতিগুলোকে এতোদিন দমিয়ে রেখেছিলাম শুধুমাত্র এটা ভেবে যে তুমি হয়তো আমাকে পছন্দ করো না।কিন্তু এখন যেহেতু তোমার মনের কথা আমি জেনে গেছি আমি আর নিজেকে আটকাব না।আমি আমার স্ত্রীর প্রেমে পড়বো প্রতিনিয়ত তাকে নতুন রূপে আবিষ্কার করে ভালোবাসার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটাবো।’
সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ২৭
অভিনব অন্তিকে শুইয়ে দিয়ে অর্নামেন্টসগুলো খুলে রেখে নিজেও অন্তির পাশে শুয়ে পড়ে।সে নিজের আর অন্তির ছবি তুলতে শুরু করে বিভিন্ন এঙ্গেলে।অভিনব অন্তির গালে চুমু দিয়ে যখনই ছবি তুলতে যাবে তখন অন্তি ঘুমের মুখ ঘুরিয়ে অভিনবর দিকে ফিরে আর ভুলবশত অভিনবর ধারা আবারও লিপ কিস হয়ে যায়।অভিনব দ্রুত সরে আসে।কারণ আর যাইহোক সে একটা পুরুষ নিজের স্ত্রীর প্রতি অনেক অনুভূতি জেগে উঠতে পারে।
অভিনবর মনে এমন উল্টাপাল্টা চিন্তা যেন না আসে তাই সরে যায় আর মনে মনে বলে,
-‘আমাদের মাঝে কিছু উল্টাপাল্টা কিছু ঘটলে সকালে এই মেয়ে নিশ্চিত আমার মার্ডার করবে।তাই অভিনব নিজেকে সামলা।বউ তো তোরই সময়ের অভাব নেই।এভাবে তার ঘুমিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেওয়াটা ভুল।’
অভিনব নিজেকে দুটো থাপ্পড় মেরে বারান্দায় গিয়ে একটা সিগারেট ধরায় নিজেকে সান্ত করতে গলা বো টাইটা খুলে ফেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসে অন্তির কথা ভেবে।