সাথে থেকো প্রিয় - Golpo Bazar

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ৩২ || লেখক:রিয়ান আহমেদ

সাথে থেকো প্রিয়

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ৩২
লেখক:রিয়ান আহমেদ

-‘অনেকদিন পর দেখা হলো তোমার সঙ্গে অভিনব খান বিজয় তা কেমন আছো তুমি?মানে কতটা খারাপ আছো সেটা জানতে চাইছি তোমার ভালো থাকার কথা শুনে আমার ভালো দিনটা নষ্ট করতে চাই না।’
এক গাল হেসে হুইস্কিতে চুমুক দিতে দিতে এক গিল হেসে দুর্জয় কথাগুলো বলল।
অভিনব দুর্জয়ের পাশের ট্যুলে বসে একটা সিগারেট ধরিয়ে হেসে বলল,
-‘তুই আমার কাছে আমার খারাপ থাকার খবরটা জানতে চাইছিস বলে যে আমি তোকে আমার খারাপ থাকার খবর দেব এমন কোনো কথা নেই।তোকে জ্বালাতে নিজের ভালো থাকার খবরটাই দেই।আমি পরিবার পরিজন নিয়ে বেশ ভালো আছি।’
-‘ওহ তাই নাকি?বিয়ে করেছিস পাঁচ মাস হয়েছে না?’
-‘হুম তো।আমার বিয়ের খবর জেনে তোর কি?নিশাকে ফিরিয়ে দে আমার তোর মতো একটা নরকের কীটের সাথে সময় নষ্ট করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই।’
দুর্জয় নিজের হলুদ কাঁচের চশমা ঠিক করে অভিনবর দিকে তাকালো হেসে বলল,

-‘এতো জলদি কিসের?এসেছিস যখন একটু অপেক্ষা কর।,,,তোর বউ তো বেশ সুন্দরী।তোর ভাগ্যটা বেশ ভালো বলতে হবে যেদিকে তাকাস সুন্দরী রমণীরা তোর জন্য ভীর করে।ঐ নিশা মেয়েটাকে দেখে না আমার বেশ লোভ হচ্ছিল কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়েছি কারণ আজ আমার তোর সঙ্গে ফাইট করার ইচ্ছে আছে তাই বিছানায় শক্তি ব্যয় করলাম না।’
অভিনব হাত মুঠ করে ফেলে রাগে।এই জঘন্য লোকটার কাছে মেয়েটা আরো কিছুটা সময় থাকতে দেওয়া মানে তার সর্বনাশের গল্প নিজে হাতে লিখবে অভিনব।অভিনব মুখ শক্ত করে বলল,
-‘কি চাইছিস তুই?’
-‘একটা রেসলিং ম্যাচ হয়ে যাক পাঁচ মিনিটের ম্যাচ জিততে পারলে মেয়েটাকে নিয়ে যাবি।’
-‘ওকে।’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গুপ এ জয়েন হউন

কিছুক্ষণের মাঝেই দুজনে রেসলিং রিং এ উঠে দাঁড়ায়।একপাশে অভিনবর ব্ল্যাক শ্যাডো গ্যাঙ্গের লোকজন অভিনবর জন্য চিয়ার আপ করছে আর অন্যদিকে red giant মানে দুর্জয়ের লোকেরা দুর্জয়ের জন্য চিয়ার আপ করছে।ম্যাচ শুরু হয়।দুজনের স্কোর সমান হতে শুরু করে।খেলার এক পর্যায়ে দুর্জয় অভিনবকে বলল,
-‘তোর ওয়াইফকে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।এক রাত তার সঙ্গে কাটাতে পারলে মন্দ হয় ন।’

এই কথাটা দুর্জয়ের মুখ দিয়ে বের হতে না হতেই অভিনব জোরে একটা ঘুষি মারে দুর্জয়ের নাকে।অভিনবকে রাগিয়ে দেওয়ার জন্য অন্তির বিষয়ে এই নোংরা কথাটাই মারাত্মক কার্যকর ওষুধের ন্যায় কাজ করেছে।দুর্জয় বুঝতে পারে কথাটা বলা তার জন্য ঠি হয় নি এখন হয়তো অভিনব তার অবস্থা বেশ খারাপ করে দিবে।শুরু হলো দুজনের মাঝে মারামারি।দুজনে কোনো নিয়মের পরোয়া না করে একে অপরকে বাংলা ওয়াস দিতে শুরু করে।অভিনব ব্যাথা পেয়েছে বেশ ভালোই কিন্তু এরচেয়ে বেশি আহত হয়েছে দুর্জয়।একপর্যায়ে দুর্জয় পড়ে যায় আর অভিনবকে উইনার ঘোষণা করা হয়।

দুর্জয়ের লোকজনেরা দুর্জয়কে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় অভিনব বলে,
-‘আজ এই কথাগুলোর ফল এরচেয়েও বাজে হতে পারতো কিন্তু তোর মতো নরকের কীটকে মেরে হাত নোংরা করতে চাই না তাই ছেড়ে দিলাম।নিশাকে দিয়ে দে।’
দুর্জয় বাঁকা হাসলো যার অর্থ অভিনব বেশ ভালোই বুঝতে পারলো।কিছুক্ষণ পর নিশাকে নিয়ে আসা হলো।অভিনবর মায়া হচ্ছে মেয়েটাকে দেখে।মেয়েটা কেমন ভয়ে কুঁকড়ে গেছে কারো দিকে চোখ তুলে ঠিকমতো তাকাচ্ছে না।অভিনব নিশার মাথায় হাত রেখে একটু নরম গলায় বলল,
-‘নিশা এখন আর ভয় পাওয়ার কিছু নেই আমরা তোমাকে তোমার পরিবারের কাছে নিয়ে যাব।’

নিশা আরো ভয়ে কুঁকড়ে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে দিল।অভিনব ভরসার হাতে নিশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আর বলল,
-‘আমাকে তোমার বড় ভাই মনে করো ভয় পেও না।’
নিশা এবার অভিনবকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে বলল,
-‘ভাইয়া আমাকে প্লিজ এখান থেকে নিয়ে চলুন আমি বাবা আম্মুর কাছে যেতে চাই।’
-‘কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমাকে তাদের কাছে পৌছে দেওয়া হবে।’
অভিনব বুঝতে পারে নিশাকে শারীরিক অত্যাচার না করে হলেও মানসিকভাবে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ভয় দূর হতে বেশ অনেকটা সময় দরকার হবে।

অভিনব চোরের মতো নিজের বাড়িতে ঢুকে।তার এই ক্ষতচিহ্ন দেখলো হাজারটা প্রশ্ন করবে।অভিনব কোনোমতে হল রুম পাড় করে নিজের রুমে গিয়ে পৌছায়।অন্তি তখনি দরজি খুলে বের হচ্ছিল তাই দুজনে ধাক্কা খায়।অভিনব কিছু না বলে দ্রুত রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।অন্তি বলল,
-‘এ কী!আপনার এই অবস্থা কিভাবে হলো?’
অভিনব জলদি জলদি জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে যায় আর বলে,
-‘পরে বলছি।’
অন্তি অভিনবর উন্মুক্ত পিঠে যত্ন করে কাটা স্থানে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে।অভিনব একটু পর পর ব্যাথায় ইশশ ইশশ করছে।অন্তি রেগে ধমক দিয়ে বলল,
-‘চুপ একদম চুপ এভাবে মারামারি করার কোনো মানে হয়?এই যে ব্যাথাগুলো পেয়েছেন এসবের জন্য এখন সাফার কে করছে আপনিই তো।’

-‘তো আমি ওকে ছেড়ে দিয়েছি না কি ও এরচেয়েও দ্বিগুণ ব্যাথা পেয়েছে।এখন বোধহয় হসপিটালের কোনো ভিআইপি রুমে পড়ে আছে।’
অন্তি কথার উত্তর দেয় না।অভিনবর সামনে বসে কটন দিয়ে অভিনবর ঠোঁটে মেডিসিন লাগিয়ে দিতে থাকে।কিন্তু অসুবিধা হওয়ায় আরেকটু কাছে গিয়ে অভিনবর গাল এক হাত দিয়ে ধরে।অভিনব অপলক অন্তির দিকে তাকিয়ে থাকে।মেয়েটা সত্যিই ওর অনেক বেশি কেয়ার করে।ভাগ্য ভালো তাই এই মেয়েটাকে ও পেয়েছে অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে।হঠাৎ কপালে ব্যাথা অনুভব হতেই অভিনব অন্তির হাত ধরে থামিয়ে দেয়।অভিনব মুচকি হাসে।অন্তি হাসির মানে বুঝতে না পেরে অদ্ভুত ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকে।অভিনব অন্তির কোমর জড়িয়ে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বলল,
-‘তুমি এমন অদ্ভুত অদ্ভুত মুখভঙ্গি পাও কোথা থেকে?’
অন্তি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে বিরক্ত ভঙ্গিতে বলল,
-‘জানি না।আপনি আমার সঙ্গে টিকটিকির মতো চিপকে থাকেন কেন?উফফ অসহ্য।’
-‘ছেড়ে দিতে বলছো তাহলে?’
-‘হ্যা ছেড়ে দিতেই বলছি।আমার আপনার হাবভাব সুবিধার লাগছে না।’
অভিনব অন্তিকে হঠাৎ ছেড়ে দেয় যার ফলে অন্তি বিছানায় ঠাস করে পড়ে যায়।অভিনব হো হো করে হাসে অন্তি রেগে গাল ফুলিয়ে অভিনবর দিকে তাকিয়ে থাকে।

-‘মিস সারিকা আপনি একজন খুবই অলস এবং অকর্মণ্য ব্যক্তি।আমি সত্যিই আপনার এতো বাজে কাজ দেখে অবাক।এতো বাজে ধরনের কাজের রেকর্ড নিয়ে কিভাবে আপনি গত তিন বছর যাবত আমার চ্যানেলে কাজ করছেন তা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।আপনার ক্যামেরাম্যান হওয়ার কোনো ধরনের যোগ্যতা নেই।নিজের যোগ্যতা প্রকাশ করতে আশা করছি পরের বার থেকে ভালো মতো কাজ করবেন।অফিসে পরের বার থেকে আপনার কোনো গুড ফ্রেন্ডকে যেন আপনার সঙ্গে আড্ডারত অবস্থায় না দেখা যায়।অন্যথায় পরের ইমেইলের ভাষাটা আরো ঝাঁঝালো এবং তিক্ত হবে যা হয়তো আপনি ঠিক হজম করতে পারবেন না।’

সারিকার ঘুমের কারণে নিভু নিভু হয়ে আশা চোখজোড়ায় হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠে এই ইমেইলটি পড়ে।শুভ্র নিজের কথার একদম খেলাপ করেনি রাত বারোটার ঠিক পরপরই তার চ্যানেলের একজন এম্প্লই এর ইমেইলে কাজের রিভিউ পৌছে গেছে।কিন্তু সেই একজনটা যে সারিকা হবে তা সারিকা কখনো কল্পনা করেনি।সারিকা দাঁত ব্রাশ করে বেডে গা হেলিয়ে দিতে যাচ্ছিল এমন সময় তার মোবাইলে ইমেইলটা নিজের আগমনের ঘন্টা বাজায়।সারিকা মোবাইলটা হাতে নিয়ে এমন ইমেইল দেখে রীতিমতো রেগে আগুন।লোকটা ওকে অলস অকর্মণ্য কিভাবে বলতে পারলো?ওর মতো ওয়ার্কার হলিক আর একটা হয়তো পুরো অফিসে চিরুনি তল্লাশি করেও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

সারিকা নিজের হাতের কাছে থাকা বালিশটাকে চেপে ধরে।সারিকা এই বালিশটার জায়গায় শুভ্রকে কল্পনা করছে।শুভ্রর গলা টিপে ধরতে ইচ্ছে করছে তার এই মুহুর্তে কিন্তু সেটা সম্ভব নয় তাই বালিশকে চেপে ধরে সে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করছে।বালিশটাকে মাটিতে ফেলে জোরে কিক করে সারিকা যার ফলে বালিশটা রুমের সীমানা অতিক্রম করে বারান্দায় চলে যায় একটুর জন্য বারান্দার সীমানাটা বালিশটার অতিক্রম করা হলো না।
সারিকা দাঁতে দাঁত চেপে বড় বড় নিঃশ্বাস নেয়।শুভ্র এমন কথা ওকে জেলাসির বশে বলেছে এটা ও বেশ ভালো বুঝতে পারছে।দুপুরে জিবরানের সঙ্গে ওকে সহ্য করতে পারে নি শুভ্র।সারিকা ফোন হাতে নেয় উদ্দেশ্য শুভ্রকে ফোন করে কিছু কড়া কথা বলা।অনেক চেষ্টা করেও ফোনটা আর করা হয়ে উঠে না।কারণটা সারিকার কাছে অজানা।তবে ইতিমধ্যে শুভ্র একটা ম্যাসেজ পাঠায়।

-‘রিজাইন করার কথা ভাবার ভুল করো না।আমি ভালো মানুষ না তাই যেটা বলেছি সেটা করতে দ্বিতীয়বার ভাববো না।’
সারিকা দমে যায় ম্যাসেজটা দেখে।সে আসলেই রিজাইন করতে যাচ্ছিল কিন্তু এখন তার সেই ধারণাটায় শুভ্র এক বালতি সমবেদনা ঢেলে দিল।সারিকা মাথা চেপে ধরে নিজের বারান্দার সুইং দোলনায় বসে।কিছুক্ষণ পর তার ফোনে শুভ্রর কল আসে।সে একটু দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে কলটা রিসিভ করে।
কল রিসিভ করতেই শুভ্র বলল,
-‘মিস এরোগেন্ট কি করো?’
-‘আপনাকে কিভাবে খুন করতে হবে সেটাই ভাবছি।’
শুভ্র হেসে বলল,
-‘ওহ্ আজকাল তোমার ভাবনাতেও আমি বিরাজ করছি।এটা কিন্তু বেশ ভালো একটা লক্ষণ।তুমি দ্রুত স্বীকার করে নেও তুমি আমার প্রেমের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছো।দেখো স্বীকার না করলে কিন্তু তুমি ডুবে যাবে আমি তোমাকে আর তখন উঠিয়ে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরতে পারবো না।’

-‘ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন আমি সাঁতার জানি।বঙ্গোপসাগরেও সাঁতার কাটতে পারি আর আপনার এই প্রেমের সাগরেও সাঁতার কেটে নিজেকে বাঁচিয়ে তীরে ফিরতে পারি।’
-‘বাহ্ সাতার পারো তুমি?তুমি তো দেখছি আমার ভাবনার চেয়েও বেশি পার্ফেক্ট।বাট আই ডোন্ট নিড দিস পারফেকশন আই জাস্ট নিড ইউ।তুমি একটু আমাকে ভালোবাস সেটাই আমার জন্য অনেক।আমরা যখন কাউকে ভালোবাসি তখন কিন্তু এই শর্তে ভালোবাসি না যে তাকেও আমাকে সম পরিমাণ ভালোবাসা দিতে হবে।আমরা ভালোবাসি শর্তহীনভাবে।কিন্তু মানব মন তো তাই শর্ত নিয়ে ভালোবাসার দাবি না করতে পারলেও ভালোবাসাটা আশা করি সেই মানুষটা থেকে।’
সারিকা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুভ্রর কথা শুনে যায়।আগে কখনো শুভ্রর কথা এতো ভালো লাগেনি এই প্রথম এতো ভালো লাগছে।শুভ্র আবার বলল,
-‘সারিকা আমার তোমার সঙ্গে একটা জরুরি কথা ছিল।’
সারিকা ঘোরের মধ্যে থেকেই বলল,

-‘হুম।’
-‘আমি কি বলছি তা শুনো মিস এরোগেন্ট।’
শুভ্র একটু জোরে কথা বলায় সারিকা বাস্তবে ফিরে নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
-‘কি বলছেন বলুন।’
-‘আমরা তিনদিন পর পঞ্চগড় যাচ্ছি একটা কাজে।’
-‘যান তো আমি কি করবো।’
-‘আমি আমরা বলেছি শুনতে পাওনি তুমি?’
সারিকা চেঁচিয়ে বলল,
-‘মানে?আমরা মানে কি?আমি আপনার সাথে কোথাও যাব না আর যাবই বা কেন?আমার সেখানে কি কাজ।’

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ৩১

–‘কাজ আছে তাই তো বলছি।আমরা সেখানে আমার এক বন্ধুর রিসোর্ট এ থাকবো আমি সব ঠিক করে রেখেছি।আমাদের সেখানে একটা সেমিনার এটেন্ড করার জন্য যেতে হবে।আমার পিএস রনির পা ভেঙ্গে গেছে তাই সে যেতে পারছে না তাই আমি তোমাকে সাথে নিচ্ছি।আর তুমিও তো নাকি কিছুদিন যাবত প্রকৃতি নিয়ে ডকুমেন্টারি বানাতে চাইছিলে তাই তোমাকে নেব বলে ডিসাইড করলাম।,,দেখো এই মুহুর্তে পার্সোনাল ইস্যু আমরা সাইডে রাখি আর প্রফেশনাল লাইফের দিকটি চিন্তা করি কেমন?তিনদিনের তো ব্যাপার এরপর আমরা ফিরে আসবো।’
সারিকা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল,
-‘আর কে কে যাবে?’

-‘এখান থেকে আর কেউ যাওয়ার জন্য রাজি হবে না তাই আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে রেখেছি।তোমার ডকুমেন্টারির জন্য যাদেরকে প্রয়োজন ও তাদের জোগাড় করে দেবে।’
-‘আচ্ছা আমি যাব কিন্তু আপনি আমার সঙ্গে,,,।’
সারিকাকে পুরো কথা শেষ করতে না দিয়ে শুভ্র বলল,
-‘কোনো উল্টাপাল্টা কিছু করবো না সেটাই তো?’
-‘হুম রাখছি আমার ঘুম পেয়েছে।’

সাথে থেকো প্রিয় পর্ব ৩৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.