শুভ্র রঙের প্রেম - গল্প বাজার

শুভ্র রঙের প্রেম পর্ব ১২ || premer kotha golpo

শুভ্র রঙের প্রেম
শুভ্র রঙের প্রেম পর্ব ১২

রুবাইদা হৃদি(sheikh ridy)

ঠান্ডা শিরশিরে বাতাস হু হু করে গাড়ির জানালা ভেদ করে শরীরে কাঁপুনি ধরিয়ে দিচ্ছে৷ বৃষ্টির পরের স্নিগ্ধ, শীতল বাতাস মনোরম ভাবে মন ছুঁয়ে গেলেও আমার প্রচুর পরিমাণে কান্না পাচ্ছে৷ তবে কান্না করছি না একদম৷ স্থির ভাবে আড়চোখে পাশে বসে থাকা মানুষটার দিকে তাকাতেই থমকে যাচ্ছি৷ উনি একই ভাবে লাগাতার কারো সাথে ফোনালাপে ব্যাস্ত!

গতকাল কোন নেতার এক ছেলেকে যেন কারা মেরে ফেলেছে সেই সূত্র ধরেই সমস্ত রোড অবরোধ করে রাখা হয়েছে৷ ঢাকা যাওয়ার মেইন পয়েন্ট গুলোতেই গাড়ি নিয়ে পৌছুতেই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে নয়তো ভেঙে গুড়িয়ে দিচ্ছে৷ সাথে নির্দোষ মানুষ গুলোকে নির্দয় ভাবে মেরে আহত করছে৷
গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার আগেই সাবধানী বাণী ধরিয়ে দিলেন স্থানীয় লোকজন৷ এই রিস্ক নিয়ে আজ আর ঢাকা ফেরা হচ্ছে না ভেবেই দম ফেটে এলো আমার৷
–‘ আজ কোনোভাবেই যাওয়া পসিবল না৷ ‘ উনি ফোন রেখে বললেন৷
–‘ এখন কি হবে?? ‘
–‘ কি আর হবে! ‘
উনার নিরলসভাবে ভাবে বলা কথায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলাম আমি৷ এইদিকে গত দুইদিন আমার ফোন অফ সাথে কোথায় আছি কেও জানে না একমাত্র ভিসি স্যার ছাড়া৷ নীতি আর রাহাত বাসায় গেলে কেলেংকারী হবে আর আব্বু ভার্সিটি আসলে৷ উফফ! মহা মুসিবত৷

ঢাকায় না ফেরা পর্যন্ত শান্তিতে নিশ্বাস নেওয়া দায় হয়ে যাচ্ছে৷ চট করে মনে হলো,রাহাত না নীতিকে ফোন দিলেই কিছু টেনশন লাঘব পাবে৷ আমি কন্ঠের খাদ নামিয়ে বললাম, ‘ আপনার কাছে পাওয়ার ব্যাংক হবে?? ‘
–‘ চার্জ নেই৷ ‘ বললেন উনি৷ সব বিপদ উড়ে এসে জুড়ে বোধহয় আমার কাছেই এসে পরেছে৷
–‘ ধরো৷ ‘ উনি নিজের মোবাইল এগিয়ে দিয়ে বললেন৷ আমি ভ্রু কুঁচকে নিতে না চেয়েও হাত বাড়িয়ে নিয়েই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম৷ ঝটপট নীতির নাম্বারে ডায়াল করেও কেটে দিলাম ৷ ও এখনো বাসা থেকে ফেরে নি এক সপ্তাহ পর ফিরবে৷ এই কথা মনে হতেই হতাশায় ডুবে গেলাম৷ অলস ভাবে রাহাতের নাম্বার উঠিয়ে ফোন দিলাম৷ এই ছেলেটাকে বলা আর চোরের কাছে আমানত জমা রাখা সমান কথা৷ তবে আব্বু এসেছিলো কিনা সেটা জানার জন্য হলেও কথা বলতে হবেই৷
ফোন রিসিভ হতেই আমি কিছু বলার আগে ওইপাশে থেকে কর্কশ কন্ঠে ভেসে আসলো,

আরও গল্প পরতে ভিজিট করুন 

–‘ এই কে আপনে? ‘
–‘ দোস্ত,আমি হৃদি৷ ‘
–‘ ওই হারামী, কোন চিপায় পলাইছোস তুই??আর এইটা কার নাম্বার? ‘
রাহাতের চিল্লানিতে আমার মাথা ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে৷ আমি থমথমে গলায় জবাব দিলাম,
–‘ তুই আবার চিল্লালে ভার্সিটি ফিরে ঠাডায় চড় লাগাবো৷ বেশি চিল্লাস৷ তোর কাঁকের মতো ফ্যাসফ্যাসে গলার জন্য কাঁক নিজেও ভয় পাবে৷ মুখ দিয়ে আর একটাও শব্দ করবি না! যা বলঁছি শোন৷ ‘
–‘ হ,তোমাগোই সময়৷ হুটহাট উধাও হও আবার কিঁছু কইলেও দোষ৷ ‘
আমি গলার আওয়াজ নিচু করে মিনমিনে গলায় বললাম,
–‘ আমি স্নিগ্ধ স্যারের সাথে আছি৷ আর এসে সব বলবো৷ ক্যাম্পাসে আব্বু এসেছিলো কি?? ‘

রাহাত ছোট করে ” না ” উচ্চারণ করতেই আমি আস্তে করে ফোন রেখে দেই৷ বেহুদা কথা বলবে আর সাথে প্রশ্নের ঝুঁড়ি৷ আমি তপ্ত হাতে ফোন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ঘুরতেই দেখি অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন উনি৷ আমি ভ্রু কুঁচকে, ” কি হয়েছে! ” জিজ্ঞেস করতেই দ্রুত চোখ নামিয়ে ফেলেন ৷ এতো সবের মাঝে আসল কথাটা একদম আমার মাথা থেকে বের হয়ে গেছে৷ ছবি রহস্য! সেই কথা উচ্চারণ করেও থেমে গেলাম আমি৷ অতি শীঘ্রই মনের মাঝে বলে উঠলো,” সে আমাকে বলবে একান্ত ভাবে বলবে৷ ”

উত্তাল হাওয়া বইছে চারদিকে৷ ঠান্ডায় আমি শাড়ির আঁচল টেনে জড়িয়ে নিলাম আরো৷ তবুও যেন ঠান্ডা কমছে না৷ আমি কাঁপা ঠোঁটে প্রশ্ন করলাম, ‘ আমরা কোথায় ছিলাম তখন?? ‘
স্নিগ্ধ স্যার ড্রাইভিং থেকে মনোযোগ না সরিয়ে বললেন,
–‘ হাজিগঞ্জ৷ ‘ উনার জবাব শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো মনে হচ্ছে৷ বিস্ফোরিত চোখে জোরে ‘ কি ‘ বলতেই উনি হেসে উঠলেন৷ উনার হাসি শুনে থতমত খেয়ে যাই আমি৷ হঠাৎ করেই হাসি থামিয়ে গম্ভীর ভাবে বললেন,
–‘ তুমি নিজের বাসার রোড চিনো না! ব্যাপারটা সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ শুনলে দু তিনবার ভাববে,আমি কেন এখনো সুস্থ আছি৷ ‘
উনার কথা শুনে কাট কাট গলায় জবাব দিলাম,
–‘ তার মানে আপনি ভেবেছেন৷ যাক আলহামদুলিল্লাহ! ‘
আমার কথা শুনে উনি জবাব দিলেন না৷ আড়চোখে আমার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ করেই ব্রেক করলেন৷ আমি ব্যাস্ত কন্ঠে বললাম, ‘ গাড়ি থামালেন কেন? দেরি হয়ে যাচ্ছে যে৷

–‘ এইটা পরে নাও শীত কম লাগবে৷ ‘ নিজের ব্লেজার টা খুলে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন৷ আমি ভ্রুকুটি করে তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে বললাম, ‘ লাগবে না৷ ‘
–‘ ওকে ফাইন৷ ‘
আমি ঘুরে চোখ বড় বড় করে তাকালাম৷ কি লোকরে বাবা! মানা করেছি তাই বলে এমন করে বলবেন৷ ব্লেজারটা পরতে গেলেই আমি থাবা মেরে নিয়ে থম মেরে বসে রইলাম৷ আমার এহেন কাজে জোরে জোরে হেসে উঠলেন ৷ আমি নিজের কাজে নিজেই এখন বিরক্ত৷ একবার মানা করর আবার নেওয়া টা বড্ড ছেলেমানুষী হয়ে গেছে।
উনার মৃদু হাসির শব্দ আমি এখনো পাচ্ছি। সমস্ত বিরক্তি আর লজ্জা একসাথে হামলে পড়ছে আমার উপর । আমি ধীর হাতে ব্লেজার গায়ে জড়াতেই তীব্র সৌরভ ভেসে আসে। মূহুর্তেই দুনিয়া মনে হয় থমকে দাঁড়ালো।পারফিউমের সুবাস বুঝি এতো মন মাতানো হয় ??

কিন্তু আমি যে সহ্য করতে পারি না। তবে আজ এই সুবাসিত ব্লেজারটা পবিত্র লাগছে আমার। স্নিগ্ধ মানুষের স্নিগ্ধতায় ঘেরা সব।
–‘ এতো রাতে অচেনা একজন পুরুষের সাথে আছো ভয় লাগছে না তোমার ??’
–‘ ভয় তো কাল পেয়েছিলাম । তবে আজ ভয় নেই একদম নেই। ‘
আমি অজানা ঘোর থেকে বললাম। ভয় কেন করছে না?? এর উত্তর আমার জানা নেই। শুধু জানি আমার ভয় করছে না !একদম না। আমি একজন ভরসার মানুষের সাথে আছি ।উনি আবারো আড়চোখে তাকিয়ে বললেন,’একমাত্র তুমিই পারো নিজের গন্তব্য ভুলে যেতে। ‘

আমি মাথা উঠিয়ে সরু চোখে তাকিয়ে বললাম,
–‘ আমি একদম গন্তব্য ভুলি নি ! শুধু সাময়িক ঘাবড়ে গিয়ে অজানা গন্তব্য পা বাড়িয়েছিলাম। ‘
–‘ জীবনের অজানা মোড়ে এসে কি করবে ?? এইভাবেই হারিয়ে যাবে ভুল গন্তব্যে??’
হ্ঠাৎ কথার মাঝে কোন কথা টেনে আনছেন উনি ? জীবনের মোড় মানে?? আমি প্রশ্নসূচক চোখে তাকাতেই উনি আবার বললেন, ‘ বললে না যে ?’
–‘ জীবনে এমন ধরণের মোড় কখনো আসবে না । আর আসলেও আমি সামলে নিবো।’
–‘ তবে কাল কেন পারলে না নিজে একা ফিরতে ?? ‘
–‘ কারণ আপনি আসবেন আমাকে বাঁচাবেন হয়ত এই জন্যই ফিরে আসি নি। আলোর সন্ধানে ছিলাম। আর সেই আলোটা হয়তো আপনি ছিলেন। ‘

আমি এক শ্বাসে বলে থামলাম । আমার কথা শুনে কেমন হাসি খেলে গেলো উনার মুখ জুড়ে। অন্যধারার হাসি একদম রহস্যময়।জীবনের মোড় মানে কি বুঝাতে চাইলেন?? আমি প্রশ্ন করার জন্য ঘুরতেই আবারও গাড়ি থামালেন উনি। গাড়িব কাচে কেও টোকা দিতেই কাচ নামিয়ে থমথমে গলায় বললেন ,’ কি চাই ??’
ওইপাশে থেকে কর্কশ কন্ঠে জবাব এলো,
–‘ আপনারা জানেন না রাস্তা বন্ধ ?? ‘ একজন পুলিশের লোক জানালা দিয়ে মুখ সামনে এনে বললেন। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। স্নিগ্ধ স্যার অত্যন্ত শান্ত কন্ঠে বললেন,
–‘ আমার স্ত্রী কে নিয়ে বাসায় ফিরছি। ‘ উনার এমন কথায় আমি কেঁশে উঠলাম। পুলিশের লোকটা আমাদের দিকে একদৃষ্টিতে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে। স্নিগ্ধ স্যার আমার মাথায় হাত দিয়ে অদ্ভুত ভাবে বললেন, ‘ কাশি বেড়েছে তোমার ?? এইজন্যই বলেছিলাম না আসতে। এই অসুস্থ শরীর নিয়ে কেন আসলে বল তো।’

আমি কি বলবো ভেবে পেলাম না। লোকটা বলেন কি ?? আমি কিছু বলতে গেলেই স্নিগ্ধ স্যার পুলিশটার দিকে ঘুরে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে বললেন,
–‘ অতিরিক্ত দরকার এইজন্য বের হয়েছিলাম।দেখুন,সেও আমার সাথে এসেছে। একদম ছাড়তেই চায় না আমাকে। তাই ভাবলাম যাচ্ছি যখন সাথে নিয়ে যাই আর ঢাকাতে ডক্টরও দেখিয়ে আনি। প্রচুর ইঞ্জুরি হয়েছে মাথায় ব্যথা পেয়ে।’
স্নিগ্ধ স্যারের কথা গুলো কেমন অনুনয় সাথে আদর মাখা। কারো ফেলার সাহস নেই । পুলিশের লোকটার কি হলো কে জানে ,গম্ভীর চেহারা হ্ঠাৎ করেই পাল্টে হাসি হাসি মুখ নিয়ে জয়নাল নামক কাওকে ডেকে উঠে উচ্চস্বরে বলেন, ‘ এই গাড়ি ছেড়ে দে । উনাদের ইমার্জেন্সি আছে।’
গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার আগে সে ঝুঁকে আবারও বললেন,
–‘ চমৎকার লোক আপনি ! আবার দেখা হলে ঘন্টা খানিক গল্প অবশ্যই করবো আমি

— ‘ অবশ্যই।’
স্নিগ্ধ স্যার মুচকি হেসে জবাব দিয়ে গাড়ি চালু করেন। মূহুর্তেই মানুষকে ঘায়েল করার অদ্ভুত ক্ষমতা লোকটার আছে। কি এমন কথা হলো তাদের মাঝে ? এতেই অজানা লোকটা মূহুর্তেই কাবু হয়ে গেছেন উনার প্রতি । তবে হ্ঠাৎ আমার স্ত্রী বাক্যটি ঘুরেফিরে বেড়ালো মাথায়। দপদপ করে জ্বলে উঠে আমি বললাম,
–‘ আমি আপনার স্ত্রী ?? মিথ্যা কেন বললেন?? আমার অনুমতি নিয়েছেন।’
–‘ মিথ্যা বলতে অনুমতি লাগে জানতাম না তো। ‘ উনার কটাক্ষ করে বলা কথায় রাগ হলো আমার। ধারালো চোখে তাকাতেই উনি শান্ত ভাবে বললেন,
–‘ বাসায় ফিরবে না হলে ??’
–‘ হলে ফিরবো। ‘
আমি থমথমে মুখে জবাব দিয়েই চুপ হয়ে গেলাম। এই লোকের সাথে কথায় একদম পেরে উঠা যায় না। আমি রাগের কারণে পাশ ফিরে চোখ বন্ধ করে সিটের সাথে হেলান দিয়ে শুয়ে আছি।ফিরতে পারঁি এইটাই অনেক।
ভারী অদ্ভুত মানুষ সে! কথা বলেও যেন হাজার কথা বলেন না।

চারদিকে নিস্তব্ধ নীরবতা ।ঢাকা এসে ভার্সিটির সামনে এসেও হতাশ হয়ে বসে থাকতে হবে ভেবেই মাথায় আগুন জ্বলছে। কোনো ভাবেই ঢোকার উপায় নেই। সুস্থ স্বাভাবিক থাকলে দেয়াল টপকে যাওয়ার চেষ্টা করতাম কিন্তু আফসোস!
স্নিগ্ধ স্যার ব্যাস্ত পায়ে চারদিক ঘুরে দেখছেন। কোথাও দিয়ে যদি হলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন এই ভেবে।
দারোয়ান চাচাকে ডেকে তোলা একদম ঠিক হবে না কারণ সে পুরো ভার্সিটি মাথায় তুলবে।
আমি ভয়ে হাসফাস করছি। এই বুঝি কেও একসাথে দেখে নিলো তারপর আব্বুর কাছে বিচার দিয়ে দিলো।
স্নিগ্ধ স্যার বিরক্তিতে চোখ-মুখ কুঁচকে বললেন,
–‘ সকাল হতে দেরি আছে গাড়িতে গিয়ে রেস্ট নাও।’
আমি অসহায় চোখে তাকালাম। ইশ! কোনো ভাবে যদি ঢুকতে পারতাম। আমি অস্ফুটভাবে বললাম,
–‘ আর আপনি ??’

–‘ গো ! আমার কথা চিন্তা করতে হবে না ।’ ধমকে বলে উঠলেন উনি। আমি রাগী চোখে তাকিয়ে জোরে পা ফেলে গাড়িতে বসে পরি।
ঘুমে চোখ জুড়িয়ে আসছে। চোখ খুলে রাখা দায়। শুধু সকালের অপেক্ষা। এর পর টানা পনেরোদিন এই মানুষটার সামনে আসা যাবে না !একদম না ।
–‘ হৃদি উঠো ! ‘ শীতল কন্ঠের আওয়াজে ধড়ফড় করে চোখ খুলে তাকাই আমি। এক জোড়া ঘুমে লাল হওয়া চোখে চোখ পরতেই বুকের রক্ত ছলাৎ করে উঠে। আমি ঘুম চোখে সেই চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘ আপনি ঘুমান নি ?’
–‘ ঘুমাতে আর দিলে কোথায়?? ‘ উনি চুলে হাত দিয়ে ব্রাশ করে বললেন। মূহুর্তেই আমার ঘুমে উবে গেলো। একপ্রকার চিৎকার করে বললাম, ‘ মানে ??’

শুভ্র রঙের প্রেম পর্ব ১১

আমার কথা উপেক্ষা করে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে গেলেন উনি। আমি অবাক চোখে তাকিয়ে মূহুর্তেই চোখ সরিয়ে নেমে দাঁড়ালাম। সময় নষ্ট করা যাবে না। কেও দেখার আগেই হলে ফিরতে হবে তারপরেই এই সব নিয়ে ভাবা যাবে।
ভার্সিটির অপজিটে আমার হল। ক্যাম্পাস পেরিয়েই যেতে হবে। মানুষের কোলাহল বাড়ছে ।
আমি দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেলাম। কেও যেন আমাকে স্নিগ্ধ স্যারের সাথে না দেখে এইভেবে। কিন্তু ভাগ্য একদম সহায় নয়। আমি আর উনি একসাথেই গেইট দিয়ে ঢুকতেই হাজার চোখ একসাথে আমাদের দিকে ঘুরে তাকায়। এতো মানুষ আমি খেয়াল করি নি। তাদের তাকানো দেখেই অপ্রস্তুত হয়ে পরি আমি আর স্নিগ্ধ স্যার। ভীরের মধ্যে একজোড়া চোখ দেখে হৃৎপিন্ড ঝড়ের গতিতে লাফিয়ে উঠে।

চলবে…..

~” ব্যস্ততা অনেক চাইলেও দিতে পারি নি কাল। আমি দেরি করি না নিয়মিত দেওয়ার চেষ্টা করি।আর ভুল ক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।~♥

শুভ্র রঙের প্রেম পর্ব ১৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.